বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
বাবার ফুটপাতের মিষ্টির দোকানে বসে বিসিএস ক্যাডার ও এমবিবিএস পাস দুই ছেলে মিষ্টি বিক্রি করছেন। রাজশাহীর আড়ানী পৌর বাজারের মাঝে চাল বাজার দোকানে বসা দুই ভাইয়ের ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
ঈদের ছুটিতে এসে গত শুক্রবার (২৭ রমজান) সন্ধ্যায় বাবার ফুটপাতের মিষ্টির দোকানে বসেন বিসিএস ক্যাডার অমিত কুমার পাল ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা মৃনাল কুমার পাল মিঠন। ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে দেশ বিদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তাঁরা।
তাঁরা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারের বাবু উত্তম কুমার পাল ও বাসনা রানী পালের ছেলে। তাঁদের বাবা উত্তম কুমার পাল আড়ানী বাজারের ফুটপাতের একজন ক্ষুদ্র মিষ্টি বিক্রেতা এবং মা গৃহিণী।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা, অমিত কুমার পাল ও মৃনাল কুমার পাল মিঠন দুই ভাই। তাঁরা আড়ানী উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তারপর অমিত কুমার পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। পরে তিনি ৩৫তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুযোগ পেয়ে শিক্ষক হিসেবে সান্তাহার সরকারি কলেজে যোগদান করেন। এই কলেজ থেকে তিনি ১৬৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার চার মাস মেয়াদে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে দেশসেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ‘চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন।
অপরদিকে রংপুর বেসরকারি প্রাইম মেডিকেল কলেজ থেকে ডা. মৃনাল কুমার পাল মিঠন এমবিবিএস শেষে করেছেন। মৃণাল ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডারে তিনি বর্তমানে ৪৪তম বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একমাত্র বোন মিতা রানী পাল পড়ালেখা শেষ করে সম্প্রতি সরকারি এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে অফিসের অফিসার পদে যোগদান করেছেন। তাঁরা এক ভাই বিসিএস ক্যাডার ও এক ভাই এমবিবিএস ডাক্তার হওয়ার পরেও যে কোনো সরকারি ছুটিতে বাড়িতে আসলে বাবার ফুটপাতের মিষ্টির দোকানে বসে মিষ্টি বিক্রি করেন। বোন নিজেও মিষ্টি তৈরি কাজে মা-বাবাকে সহযোগিতা করেন।
এ বিষয়ে অমিত কুমার পাল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা ফুটপাতে মিষ্টি বিক্রি করে দুই ভাই ও এক বোনকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। এই দোকানের আয় দিয়ে আমাদের মানুষ করেছেন। আমি ৩৫তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুযোগ পেয়ে একটি কলেজে যোগদান করেছি। যে কোনোভাবে সুযোগ পেলেই দুই ভাই বাবার ফুটপাতের দোকানে বসে বাবাকে সহযোগিতা করি।
ডা. মৃনাল কুমার পাল মিঠন বলেন, ‘ঈদের গ্রামে এসেছি। কিন্তু কি আর করা বাবার ব্যবসা ছোট হলেও রমজান উপলক্ষে দোকানে ভিড় বেড়ে যায়, বাবা একা মানুষ কোন দিকে যাবে! তাই বাবার ব্যস্ততায় দোকান সামলাতে দুই ভাই সহযোগিতা করছি। সুযোগ পেলেই সহযোগিতা করি।’
বাবা বাবু উত্তম কুমার পাল বলেন, ‘আমার ছেলে মেয়েদের কখনো ভালো প্রাইভেট, ভালো পোশাক, খাদ্য, ঘুমানোর ভালো জায়গা দিতে পারেনি। আমার ও আমার স্ত্রী বাসনা রানীর সার্বিক প্রচেষ্টায় আজ ছেলে মেয়ে নিজেদের ভালো অবস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছে। ছোট পরিসরে এখনো দোকান করছি। ছেলেরা বাড়িতে এসে আমাকে সহযোগিতা করে। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আমরা গর্বিত।’
বাবার ফুটপাতের মিষ্টির দোকানে বসে বিসিএস ক্যাডার ও এমবিবিএস পাস দুই ছেলে মিষ্টি বিক্রি করছেন। রাজশাহীর আড়ানী পৌর বাজারের মাঝে চাল বাজার দোকানে বসা দুই ভাইয়ের ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
ঈদের ছুটিতে এসে গত শুক্রবার (২৭ রমজান) সন্ধ্যায় বাবার ফুটপাতের মিষ্টির দোকানে বসেন বিসিএস ক্যাডার অমিত কুমার পাল ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা মৃনাল কুমার পাল মিঠন। ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে দেশ বিদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তাঁরা।
তাঁরা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারের বাবু উত্তম কুমার পাল ও বাসনা রানী পালের ছেলে। তাঁদের বাবা উত্তম কুমার পাল আড়ানী বাজারের ফুটপাতের একজন ক্ষুদ্র মিষ্টি বিক্রেতা এবং মা গৃহিণী।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা, অমিত কুমার পাল ও মৃনাল কুমার পাল মিঠন দুই ভাই। তাঁরা আড়ানী উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তারপর অমিত কুমার পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। পরে তিনি ৩৫তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুযোগ পেয়ে শিক্ষক হিসেবে সান্তাহার সরকারি কলেজে যোগদান করেন। এই কলেজ থেকে তিনি ১৬৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার চার মাস মেয়াদে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে দেশসেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ‘চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন।
অপরদিকে রংপুর বেসরকারি প্রাইম মেডিকেল কলেজ থেকে ডা. মৃনাল কুমার পাল মিঠন এমবিবিএস শেষে করেছেন। মৃণাল ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডারে তিনি বর্তমানে ৪৪তম বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একমাত্র বোন মিতা রানী পাল পড়ালেখা শেষ করে সম্প্রতি সরকারি এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে অফিসের অফিসার পদে যোগদান করেছেন। তাঁরা এক ভাই বিসিএস ক্যাডার ও এক ভাই এমবিবিএস ডাক্তার হওয়ার পরেও যে কোনো সরকারি ছুটিতে বাড়িতে আসলে বাবার ফুটপাতের মিষ্টির দোকানে বসে মিষ্টি বিক্রি করেন। বোন নিজেও মিষ্টি তৈরি কাজে মা-বাবাকে সহযোগিতা করেন।
এ বিষয়ে অমিত কুমার পাল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা ফুটপাতে মিষ্টি বিক্রি করে দুই ভাই ও এক বোনকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। এই দোকানের আয় দিয়ে আমাদের মানুষ করেছেন। আমি ৩৫তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুযোগ পেয়ে একটি কলেজে যোগদান করেছি। যে কোনোভাবে সুযোগ পেলেই দুই ভাই বাবার ফুটপাতের দোকানে বসে বাবাকে সহযোগিতা করি।
ডা. মৃনাল কুমার পাল মিঠন বলেন, ‘ঈদের গ্রামে এসেছি। কিন্তু কি আর করা বাবার ব্যবসা ছোট হলেও রমজান উপলক্ষে দোকানে ভিড় বেড়ে যায়, বাবা একা মানুষ কোন দিকে যাবে! তাই বাবার ব্যস্ততায় দোকান সামলাতে দুই ভাই সহযোগিতা করছি। সুযোগ পেলেই সহযোগিতা করি।’
বাবা বাবু উত্তম কুমার পাল বলেন, ‘আমার ছেলে মেয়েদের কখনো ভালো প্রাইভেট, ভালো পোশাক, খাদ্য, ঘুমানোর ভালো জায়গা দিতে পারেনি। আমার ও আমার স্ত্রী বাসনা রানীর সার্বিক প্রচেষ্টায় আজ ছেলে মেয়ে নিজেদের ভালো অবস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছে। ছোট পরিসরে এখনো দোকান করছি। ছেলেরা বাড়িতে এসে আমাকে সহযোগিতা করে। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আমরা গর্বিত।’
রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
২ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের শিবচরে নিজের ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আড়িয়াল খাঁ নদে ফেলে দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ছেলের বোঝা বইতে না পেরে ছেলেকে নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর সদর উপজেলায় মাদ্রাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার শিক্ষকেরা নির্যাতনে জিদানকে হত্যা করে লাশ শৌচাগারে ঝুলিয়ে রেখেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল
৩ ঘণ্টা আগে