Ajker Patrika

রাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে স্থানীয় নেতাদের সুপারিশই ভরসা

রিপন চন্দ্র রায়, রাবি
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭: ৫২
রাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে স্থানীয় নেতাদের সুপারিশই ভরসা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রায় সাত বছর পরে হতে যাওয়া সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। সভাপতি-সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীরা যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে। তবে শীর্ষ দুই পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সুপারিশই ভরসা বলে জানান রাজনীতি সচেতন শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা। 

শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, রাবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২৫টি কমিটি হয়েছে। আশির দশক পর্যন্ত এই শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিভিন্ন বিভাগ থেকে নেতৃত্ব এসেছে। যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ক্রমেই এই ইউনিটের নেতৃত্ব স্থানীয় রাজনৈতিক বলয়ে আটকে গেছে। 

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আরও জানান, ২০০২-০৪ সাল পর্যন্ত আহ্বায়ক ছিলেন রাবি শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসসংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার ছেলে কামরুজ্জামান চঞ্চল। ২০০৪-১০ সাল পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন পাবনার ইব্রাহিম হোসেন মুন ও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আয়েন উদ্দিন। ২০১০ সালের কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপুর বাড়ি ক্যাম্পাস-সংলগ্ন তালাইমারী। 

 ২০১৩ সালের কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান রানার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিনের বাড়ি একই জেলার বাঘা উপজেলায়। ২০১৫ সালের কমিটিতে সভাপতি ছিলেন ক্যাম্পাসসংলগ্ন মেহেরচণ্ডি এলাকার রাশেদুল ইসলাম রঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক কাজলার খালিদ হাসান বিপ্লব। সর্বশেষ বর্তমান কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার বাড়ি ক্যাম্পাসসংলগ্ন মেহেরচণ্ডি এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর বাড়ি নগরীর নওহাটা এলাকায়। 

সম্মেলন ঘিরে স্থানীয় প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির সহসভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম লিংকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য সাকিবুল ইসলাম বাকি ও ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বদেশ। 

এ ছাড়া রাজশাহীর বাইরে থেকে আলোচনায় রয়েছে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মামুন, গণযোগাযোগ ও উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয় ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাখা ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতা বলেন, বর্তমান ছাত্রলীগের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চা অনেকটা কমে গেছে। শুধু আওয়ামী নেতাদের প্রটোকল ও সালাম দেওয়ার মধ্যে অনেকটা সীমাবদ্ধ। কাউন্সিলসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই বললেই চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইউনিট পুরোটা স্থানীয় রাজনৈতিক বলয়ের মধ্যে পড়ে গেছে। এতে নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় কোটা ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। তবে শীর্ষ পদের একজন স্থানীয় এবং আরেক জন বাইরের হতে পারে। এতে ক্যাম্পাস রাজনীতির ব্যালেন্স হবে। 

ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ছাত্রলীগের মধ্যে আগের মতো গণতান্ত্রিক চর্চা নেই। নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে আগে যেকোনো অঞ্চলের যোগ্যরা প্রাধান্য পেতেন। এখন স্থানীয় রাজনৈতিক বলয়ের চাপে আর বাইরের কেউ শীর্ষ পদে আসতে পারছেন না। এতে অনেক যোগ্য ও মেধাবী ছাত্র রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।’ 

নতুন নেতৃত্ব কেমন হওয়া উচিত? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিন ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তদবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি শুধু ছাত্রলীগ নয় অন্য দলের ক্ষেত্রেও। দলের জন্য নিবেদিত কর্মীরা ফ্রন্ট লাইনে জায়গা পাচ্ছেন না। তাই নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে যতটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় সেটা দলের জন্য ভালো।’ 

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘সামনের জাতীয় নির্বাচনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেদিক বিবেচনায় আমরা যোগ্য ও ত্যাগীদের প্রাধান্য দেব। নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সংগঠনে প্রার্থীর কতটুকু ভূমিকা ছিল সেটা দেখা হবে।’ 

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তাঁরা ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে ট্রাকসহ দুই মাদক কারবারি আটক, ২৩৭ গ্রাম হেরোইন জব্দ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
আটক করা দুই মাদক কারবারি। ছবি: সংগৃহীত
আটক করা দুই মাদক কারবারি। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ট্রাকসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-১২। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২৩৭ গ্রাম হেরোইন, একটি ট্রাক, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে র‌্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল (৫ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে সলঙ্গা এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাবের একটি দল। অভিযানে রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঁঠালবাড়ীয়া এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল ইসলাম (৫৫) এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার মাদারীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাবুল শাহ (৬০) নামের দুজনকে আটক করা হয়।

জব্দ করা ট্রাক। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা ট্রাক। ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হেরোইন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে মোটরসাইকেলচালকের লাশ উদ্ধার

পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা নিহত ব্যক্তির মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা নিহত ব্যক্তির মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কুমিরা চারাবটতলা থেকে আজ ভোরের দিকে ভাড়ায় চালিত এক মোটরসাইকেলচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, তবে ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম অহিদ মোড়ল (৩৮)। তিনি পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালী ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মোড়লের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে অহিদ মোড়ল বাড়ি থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে মহাসড়কের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পাটকেলঘাটা থানা-পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় রাস্তার পাশে তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা একটি মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এটি দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনো ঘটনা, তা জানা যাবে। এর আগে কিছু বলা সম্ভব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকার জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত ১

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁ সদর উপজেলায় জমি নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে অনুষ্ঠিত সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই নয়ন ইসলাম জানান, মালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ ও আজাদ নামের দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে দুই পক্ষ একজন আইনজীবীর কাছে সালিস বৈঠকে বসে। সেখানে গোলাম হোসেন (নিহত) উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি আজাদের পক্ষে বক্তব্য দেন।

নয়ন ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার জেরে বুধবার রাতে হারুনুর রশিদের সঙ্গে গোলাম হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হারুনের ছেলে অন্তর এসে গোলাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নুরে আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বিগত সময়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পুলিশকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে’

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৩
আজ সকালে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম বলেছেন, ‘যেকোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় পুলিশ বাহিনী একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি সর্বদা সরকারের দৃশ্যমান প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। আমরা অতীতে দেখেছি, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ উদ্ধারে পুলিশকে অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে। এর ফলস্বরূপ পুলিশের কার্যক্রমের প্রতি মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল। যার প্রতিচ্ছবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দৃশ্যমান হয়েছে। এ অভ্যুত্থান এটাই প্রমাণ করে যে জনমতের বিপক্ষে গিয়ে কখনো টিকে থাকা যায় না।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৫২তম টিআরসি ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নোয়াখালীর কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান বিপিএম-সেবা।

সরদার নূরুল আমিন আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটি দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক। স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলার অভাবে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বোপরি জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই বর্তমান সরকার পুলিশকে একটি জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। যার জন্য পুলিশে ব্যাপক সংস্কারে কাজ করছে সরকার। আমরা আমাদের অতীতের ত্রুটিগুলো নিরূপণের চেষ্টা করছি।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা কুচকাওয়াজ, প্যারেডসহ বিভিন্ন ডিসপ্লে পরিদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত