রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামে সেচের পানি না পেয়ে আত্মহত্যা করা দুই সাঁওতাল কৃষকের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সান্ত্বনা দিয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। এ সময় তাঁরা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটর ও ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সহসভাপতি মামুনুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা, যুগ্ম সম্পাদক ও বগুড়া-৬ আসনের সাংসদ মোশারফ হোসেন নিমঘুটু গ্রামে ওই দুই কৃষকের বাড়ি যান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, রায়হানুল আলম রায়হান, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আল আমিন সরকার টিটু, রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু, জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব নাজমুল হক প্রমুখ।
তাঁদের দেখে মৃত কৃষক অভিনাথ মারান্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম কান্নায় ভেঙে পড়েন। নেতারা দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন। এ সময় কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন বলেন, এই কৃষকেরা ১২ দিন ধরে জমিতে পানি চাইলেও অপারেটর সাখাওয়াত হোসেন তা দেননি। তিনি পানির পরিবর্তে বিষ খাওয়ার কথা বলেন। তাঁর প্ররোচনায় দুই কৃষক বিষপান করেন। তাই অবিলম্বে সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
কৃষক দলের সভাপতি অভিযোগ করেন, সাখাওয়াত ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি হওয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এখন আবার দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে মামলা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে এই অবস্থা বিরাজ করছে। কেউ এখন ভালো নেই।’
দুই কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের গঠন করে দেওয়া তদন্ত কমিটির সদস্যরা আগের দিন নিমঘুটু যান। তাদের কাছে পরিবার ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার কৃষকেরা অভিযোগ করেন, জমিতে সেচের পানি না দেওয়ার কারণে দুই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এখন পরিবার দুটি বেকায়দায় পড়েছে। তাদের ঘরে খাবার নেই। প্রতিবেশীরা বাড়ি বাড়ি চাল তুলে অভিনাথের স্ত্রীকে দিচ্ছেন। তা দিয়ে তিনি দুই সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছেন।
এই করুণ কাহিনি শুনে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং) আবু জুবাইর হোসেন বাবলু কিছু খাদ্য সহায়তা করার জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। বুধবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম নিমঘুটু গ্রামে গিয়ে দুই পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসেন।
ইউএনও জানান, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছেন।
গত ২১ মার্চ রবি ও অভিনাথ বিষপান করেন। সেদিনই বাড়িতে অভিনাথের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ মার্চ মারা যান রবি। মৃত্যুসনদে বলা হয়েছে বিষক্রিয়ায় রবির মৃত্যু হয়েছে। দুই কৃষকের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তবে প্রতিবেদন হয়নি। তাঁদের মৃত্যুর জন্য গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াতকে দায়ী করে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দুটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। দুই কৃষকের বিষপানের পর থেকেই পরিবার দুটি সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও তাঁকে আটক করা হয়নি। তিনি পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
প্রথম মামলাটি হওয়ার পর সাখাওয়াত পালিয়েছেন। পুলিশ তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বুধবার বিকেলে বলেন, ‘সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামে সেচের পানি না পেয়ে আত্মহত্যা করা দুই সাঁওতাল কৃষকের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সান্ত্বনা দিয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। এ সময় তাঁরা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটর ও ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সহসভাপতি মামুনুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা, যুগ্ম সম্পাদক ও বগুড়া-৬ আসনের সাংসদ মোশারফ হোসেন নিমঘুটু গ্রামে ওই দুই কৃষকের বাড়ি যান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, রায়হানুল আলম রায়হান, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আল আমিন সরকার টিটু, রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু, জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব নাজমুল হক প্রমুখ।
তাঁদের দেখে মৃত কৃষক অভিনাথ মারান্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম কান্নায় ভেঙে পড়েন। নেতারা দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন। এ সময় কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন বলেন, এই কৃষকেরা ১২ দিন ধরে জমিতে পানি চাইলেও অপারেটর সাখাওয়াত হোসেন তা দেননি। তিনি পানির পরিবর্তে বিষ খাওয়ার কথা বলেন। তাঁর প্ররোচনায় দুই কৃষক বিষপান করেন। তাই অবিলম্বে সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
কৃষক দলের সভাপতি অভিযোগ করেন, সাখাওয়াত ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি হওয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এখন আবার দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে মামলা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে এই অবস্থা বিরাজ করছে। কেউ এখন ভালো নেই।’
দুই কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের গঠন করে দেওয়া তদন্ত কমিটির সদস্যরা আগের দিন নিমঘুটু যান। তাদের কাছে পরিবার ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার কৃষকেরা অভিযোগ করেন, জমিতে সেচের পানি না দেওয়ার কারণে দুই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এখন পরিবার দুটি বেকায়দায় পড়েছে। তাদের ঘরে খাবার নেই। প্রতিবেশীরা বাড়ি বাড়ি চাল তুলে অভিনাথের স্ত্রীকে দিচ্ছেন। তা দিয়ে তিনি দুই সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছেন।
এই করুণ কাহিনি শুনে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং) আবু জুবাইর হোসেন বাবলু কিছু খাদ্য সহায়তা করার জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। বুধবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম নিমঘুটু গ্রামে গিয়ে দুই পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসেন।
ইউএনও জানান, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছেন।
গত ২১ মার্চ রবি ও অভিনাথ বিষপান করেন। সেদিনই বাড়িতে অভিনাথের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ মার্চ মারা যান রবি। মৃত্যুসনদে বলা হয়েছে বিষক্রিয়ায় রবির মৃত্যু হয়েছে। দুই কৃষকের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তবে প্রতিবেদন হয়নি। তাঁদের মৃত্যুর জন্য গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াতকে দায়ী করে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দুটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। দুই কৃষকের বিষপানের পর থেকেই পরিবার দুটি সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও তাঁকে আটক করা হয়নি। তিনি পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
প্রথম মামলাটি হওয়ার পর সাখাওয়াত পালিয়েছেন। পুলিশ তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বুধবার বিকেলে বলেন, ‘সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’
মাদারীপুরের কালকিনিতে উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কালকিনির ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট আগেনোয়াখালীর সুবর্ণচরে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সমন্বিত মৎস্য খামার। মাছ চাষের পাশাপাশি একই স্থানে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন করে বেশ ভালো লাভ করছেন খামারিরা। তবে অর্থনৈতিক সুবিধার আড়ালে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য এক অদৃশ্য হুমকি হয়ে উঠেছে সমন্বিত এ খামারপদ্ধতি।
৪ ঘণ্টা আগেবিশাল সেতু। তারই দুই পাশে পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। কেউ নির্মাণ করছে বাড়ি। কেউ কেউ নির্মাণ করছে দোকানপাট। এ ছাড়া মাটি কেটে নিজেদের ইচ্ছামাফিক সীমানা তৈরি করে সেতুর জমি ভোগদখল করছে। স্থাপনা নির্মাণের জন্য কেউ কেউ সেতুর সিসি ব্লকও কেটে ফেলেছে।
৪ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন জান মোহাম্মদ। এই প্রতিষ্ঠানের খাদ্য পরিদর্শক ও সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিলা নাসরিন। এই দুজনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে দুর্নীতির সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে জান মোহাম্মদকে বদলি করা হয়েছে। তবে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে...
৫ ঘণ্টা আগে