শাপলা খন্দকার, বগুড়া
বগুড়ায় কোরবানির পশুর হাটগুলোতে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছে।
গরুর জন্য হাটের নির্ধারিত হাসিল ৫০০ টাকা করে হলেও ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা। বিক্রেতার কাছ থেকেও নেওয়া হচ্ছে ১০০-২০০ টাকা করে। ছাগলের ক্ষেত্রে ক্রেতার কাছ থেকে ৩০০-৫০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০-২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রসিদে এসবের উল্লেখ থাকছে না। গত এক সপ্তাহ বগুড়ার বিভিন্ন হাট ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বগুড়ায় এ পর্যন্ত ১৯টি উল্লেখযোগ্য হাটে দুই লক্ষাধিক পশু বেচাকেনা হয়েছে বলে হাটের ইজারাদার এবং ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে। সব হাটেই ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে হাসিল নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। কিছু ক্ষেত্রে ইউএনওর উপস্থিতি দেখা গেলেও সামগ্রিক প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল একেবারেই নগণ্য।
গত সপ্তাহে বগুড়ার নন্দীগ্রামের ওমরপুর এবং শাজাহানপুরের হাসুখালিতে কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হয়। এরপর একে একে সদরের ঘোড়াধাপ, সাবগ্রাম, জয়বাংলা, কালিতলা, পল্লীমঙ্গল, পীরগাছা হাট, কাহালুর জামগ্রাম হাট, শাজাহানপুরের বনানী, গাবতলীর ডাকুমারা, নারুয়ামালা, তরণী হাট, সোনাতলার কলেজ হাট এবং শিবগঞ্জের বুড়িগঞ্জ ও মহাস্থান হাট বসে। বনানী এবং মহাস্থানে দুই দফা হাট হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিনই সদরের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসছে।
সদরের জয়বাংলা, পীরগাছা এবং পল্লীমঙ্গল হাটে গরুর ক্রেতার কাছ থেকে ৮০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা করে হাসিল নেওয়া হচ্ছে। বাকি ১৬টি হাটে ক্রেতার কাছ থেকে ১ হাজার এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা করে হাসিল নেওয়া হচ্ছে। আর ছাগলের ক্ষেত্রে ক্রেতার কাছ থেকে হাটভেদে ৩০০-৫০০ এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০-২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
মহাস্থান হাটের গরুর ক্রেতা সদরের সাতশিমুলিয়া গ্রামের হাফিজার রহমান বলেন, ‘৭০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছি। ১ হাজার টাকা হাসিল দিতে হয়েছে।’
কোরবানির হাটে নিয়মিত গরু কেনাবেচা করে থাকেন মাসুদুর রানা মানু। তিনি বলেন, ‘সব হাটেই গরু ক্রেতাদের হাজার টাকা করে হাসিল দিতে হচ্ছে। আর ব্যাপারীদের (বিক্রেতা) কাছ থেকে ২০০ করে টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির হাটের গরুর ক্রেতার জন্য ৫০০ টাকা এবং ছাগলের ক্রেতার জন্য ১৫০ টাকা হাসিল নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। বিক্রেতার ক্ষেত্রে কোনো হাসিল নির্ধারণ করা হয়নি।
শুক্রবার সরেজমিনে বগুড়া পৌর এলাকার বনানীর সুলতানগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, এ হাটে গরুর ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ১ হাজার টাকা এবং বিক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা। ছাগলের ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা এবং বিক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা।
সুলতানগঞ্জ হাটের ইজারাদার বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীন বলেন, ‘গরুর জন্য ফ্যান, ডেকোরেশনে আমার দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তাই আমরা ৬০০ টাকা করে নিচ্ছি। কেউ এর চেয়ে বেশি টাকা নিলে অভিযোগ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
হাসিলের টাকার পরিমাণ রসিদে লেখা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রসিদে হাসিলের টাকা লেখার অপশন নেই।’
এদিকে সব হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় হলেও তা ঠেকাতে প্রশাসনের কোনো জোর তৎপরতা চোখে পড়েনি। গত সোমবার কাহালুর জামগ্রাম হাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা অভিযান পরিচালনা করে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করেন। ইজারাদারকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটে অতিরিক্ত হাসিল নেওয়া এবং দেওয়া থেকে বিরত থাকতে মাইকিং করতে দেখা যায়। এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শহরের সুলতানগঞ্জ হাটে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম। অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের প্রমাণ পাওয়ায় হাটের ইজারাদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে শুধু জেলা সদর এলাকাতেই অন্তত পাঁচটি হাঁটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় হলেও জেলা প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৯টি উপজেলার বাকি হাটগুলোতেও।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে এবং ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
বগুড়ায় কোরবানির পশুর হাটগুলোতে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছে।
গরুর জন্য হাটের নির্ধারিত হাসিল ৫০০ টাকা করে হলেও ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা। বিক্রেতার কাছ থেকেও নেওয়া হচ্ছে ১০০-২০০ টাকা করে। ছাগলের ক্ষেত্রে ক্রেতার কাছ থেকে ৩০০-৫০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০-২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রসিদে এসবের উল্লেখ থাকছে না। গত এক সপ্তাহ বগুড়ার বিভিন্ন হাট ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বগুড়ায় এ পর্যন্ত ১৯টি উল্লেখযোগ্য হাটে দুই লক্ষাধিক পশু বেচাকেনা হয়েছে বলে হাটের ইজারাদার এবং ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে। সব হাটেই ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে হাসিল নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। কিছু ক্ষেত্রে ইউএনওর উপস্থিতি দেখা গেলেও সামগ্রিক প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল একেবারেই নগণ্য।
গত সপ্তাহে বগুড়ার নন্দীগ্রামের ওমরপুর এবং শাজাহানপুরের হাসুখালিতে কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হয়। এরপর একে একে সদরের ঘোড়াধাপ, সাবগ্রাম, জয়বাংলা, কালিতলা, পল্লীমঙ্গল, পীরগাছা হাট, কাহালুর জামগ্রাম হাট, শাজাহানপুরের বনানী, গাবতলীর ডাকুমারা, নারুয়ামালা, তরণী হাট, সোনাতলার কলেজ হাট এবং শিবগঞ্জের বুড়িগঞ্জ ও মহাস্থান হাট বসে। বনানী এবং মহাস্থানে দুই দফা হাট হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিনই সদরের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসছে।
সদরের জয়বাংলা, পীরগাছা এবং পল্লীমঙ্গল হাটে গরুর ক্রেতার কাছ থেকে ৮০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা করে হাসিল নেওয়া হচ্ছে। বাকি ১৬টি হাটে ক্রেতার কাছ থেকে ১ হাজার এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা করে হাসিল নেওয়া হচ্ছে। আর ছাগলের ক্ষেত্রে ক্রেতার কাছ থেকে হাটভেদে ৩০০-৫০০ এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০-২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
মহাস্থান হাটের গরুর ক্রেতা সদরের সাতশিমুলিয়া গ্রামের হাফিজার রহমান বলেন, ‘৭০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছি। ১ হাজার টাকা হাসিল দিতে হয়েছে।’
কোরবানির হাটে নিয়মিত গরু কেনাবেচা করে থাকেন মাসুদুর রানা মানু। তিনি বলেন, ‘সব হাটেই গরু ক্রেতাদের হাজার টাকা করে হাসিল দিতে হচ্ছে। আর ব্যাপারীদের (বিক্রেতা) কাছ থেকে ২০০ করে টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির হাটের গরুর ক্রেতার জন্য ৫০০ টাকা এবং ছাগলের ক্রেতার জন্য ১৫০ টাকা হাসিল নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। বিক্রেতার ক্ষেত্রে কোনো হাসিল নির্ধারণ করা হয়নি।
শুক্রবার সরেজমিনে বগুড়া পৌর এলাকার বনানীর সুলতানগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, এ হাটে গরুর ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ১ হাজার টাকা এবং বিক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা। ছাগলের ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা এবং বিক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা।
সুলতানগঞ্জ হাটের ইজারাদার বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীন বলেন, ‘গরুর জন্য ফ্যান, ডেকোরেশনে আমার দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তাই আমরা ৬০০ টাকা করে নিচ্ছি। কেউ এর চেয়ে বেশি টাকা নিলে অভিযোগ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
হাসিলের টাকার পরিমাণ রসিদে লেখা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রসিদে হাসিলের টাকা লেখার অপশন নেই।’
এদিকে সব হাটে অতিরিক্ত টোল আদায় হলেও তা ঠেকাতে প্রশাসনের কোনো জোর তৎপরতা চোখে পড়েনি। গত সোমবার কাহালুর জামগ্রাম হাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা অভিযান পরিচালনা করে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করেন। ইজারাদারকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটে অতিরিক্ত হাসিল নেওয়া এবং দেওয়া থেকে বিরত থাকতে মাইকিং করতে দেখা যায়। এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শহরের সুলতানগঞ্জ হাটে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম। অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের প্রমাণ পাওয়ায় হাটের ইজারাদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে শুধু জেলা সদর এলাকাতেই অন্তত পাঁচটি হাঁটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় হলেও জেলা প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৯টি উপজেলার বাকি হাটগুলোতেও।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে এবং ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি কাঁঠালের জন্য ভাবি শোভা বেগমকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর রাকিব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হলে বিচারক রাহুল দে ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর রামপুরা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেডের গুরুত্বপূর্ণ সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এর জেরে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই গোলযোগের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার রুমে বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগে