নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
দেড় বছর আগে পানির দাম তিন গুণ বাড়িয়েছিল রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)। এ নিয়ে তখন তীব্র আন্দোলন করে নগরবাসী। এরপরও ওয়াসা পানির দাম কমায়নি। এখন আবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওয়াসা ফের পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে নগরবাসী।
তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, পানির দাম বাড়িয়েও লোকসান ঠেকাতে না পেরে আবারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। কর্মকর্তাদের দাবি, এখনো দেশের সব ওয়াসা ও পৌর এলাকার চেয়ে রাজশাহী ওয়াসার পানির দাম কম। এ অবস্থায় তাঁরা দাম বাড়ানোর কথা ভাবছেন।
রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. জাকীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজশাহী ওয়াসা প্রতিষ্ঠার পর সর্বশেষ ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পানির নতুন মূল্য নির্ধারণ করে তা কার্যকর করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুরই দাম বেড়েছে। তাই সময় ও উৎপাদন খরচের সঙ্গে সংগতি রেখেই আবারও পানির মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) পানি সরবরাহ শাখাকে আলাদা করে ২০১০ সালের ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয় রাজশাহী ওয়াসা। এরপর ২০১১ সালের ১০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াসার কার্যক্রম শুরু হয়। এখন মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ১০৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৫৬টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
ওয়াসা বলছে, বর্তমানে পানির মূল্য থেকে তাদের বার্ষিক রাজস্ব আয় ১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তবে ব্যয় হয় ২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। পানির দাম বাড়িয়ে এখনো তাদের লোকসান হচ্ছে। তাই ওয়াসা বোর্ডের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফের পানির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুতই দাম বাড়ানো হবে।
রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকীর হোসেন বলেন, ওয়াসার বোর্ড সভায় উঠে আসা প্রস্তাবনা শিগগিরই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। তারপর অনুমোদন পেলে দাম বাড়ানো হবে। তবে কী পরিমাণ বাড়ানো হবে, এবার তার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।
ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেড় বছর আগে লাগাতার আন্দোলন করেছিল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। এই পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু এবারও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাগরিকসেবা না বাড়িয়ে দেড় বছর আগে পানির দাম তিন গুণ বাড়িয়েছে ওয়াসা। এখন আবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া অযৌক্তিক। আমরা আবার সবাই মিলে বসব। এর প্রতিবাদে যা যা করা দরকার করব।’
তবে রাজশাহী ওয়াসা বলছে, দেড় বছর আগে পানির দাম তিন গুণ বাড়ানো হলেও তা উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কম। তিন গুণ বাড়ানোর পর আবাসিক এলাকার গ্রাহক পর্যায়ে এক হাজার লিটার পানিতে পরিশোধ করতে হচ্ছে ৬ টাকা ৮১ পয়সা। আর বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সমপরিমাণ পানির জন্য দিতে হচ্ছে ১৩ টাকা ৬২ পয়সা। খরচের এই পরিমাণ অন্যান্য ওয়াসার চেয়ে কম। দেড় বছর আগে রাজশাহীতে আবাসিক সংযোগে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ধরা হতো ২ টাকা ২৭ পয়সা। এ ছাড়া বাণিজ্যিকে ছিল ৪ টাকা ৫৪ পয়সা।
দেড় বছর আগে পানির দাম তিন গুণ বাড়িয়েছিল রাজশাহী পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)। এ নিয়ে তখন তীব্র আন্দোলন করে নগরবাসী। এরপরও ওয়াসা পানির দাম কমায়নি। এখন আবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওয়াসা ফের পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে নগরবাসী।
তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, পানির দাম বাড়িয়েও লোকসান ঠেকাতে না পেরে আবারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। কর্মকর্তাদের দাবি, এখনো দেশের সব ওয়াসা ও পৌর এলাকার চেয়ে রাজশাহী ওয়াসার পানির দাম কম। এ অবস্থায় তাঁরা দাম বাড়ানোর কথা ভাবছেন।
রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. জাকীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজশাহী ওয়াসা প্রতিষ্ঠার পর সর্বশেষ ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পানির নতুন মূল্য নির্ধারণ করে তা কার্যকর করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুরই দাম বেড়েছে। তাই সময় ও উৎপাদন খরচের সঙ্গে সংগতি রেখেই আবারও পানির মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) পানি সরবরাহ শাখাকে আলাদা করে ২০১০ সালের ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয় রাজশাহী ওয়াসা। এরপর ২০১১ সালের ১০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াসার কার্যক্রম শুরু হয়। এখন মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ১০৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৫৬টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
ওয়াসা বলছে, বর্তমানে পানির মূল্য থেকে তাদের বার্ষিক রাজস্ব আয় ১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তবে ব্যয় হয় ২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। পানির দাম বাড়িয়ে এখনো তাদের লোকসান হচ্ছে। তাই ওয়াসা বোর্ডের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফের পানির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুতই দাম বাড়ানো হবে।
রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকীর হোসেন বলেন, ওয়াসার বোর্ড সভায় উঠে আসা প্রস্তাবনা শিগগিরই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। তারপর অনুমোদন পেলে দাম বাড়ানো হবে। তবে কী পরিমাণ বাড়ানো হবে, এবার তার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।
ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেড় বছর আগে লাগাতার আন্দোলন করেছিল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। এই পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু এবারও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাগরিকসেবা না বাড়িয়ে দেড় বছর আগে পানির দাম তিন গুণ বাড়িয়েছে ওয়াসা। এখন আবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া অযৌক্তিক। আমরা আবার সবাই মিলে বসব। এর প্রতিবাদে যা যা করা দরকার করব।’
তবে রাজশাহী ওয়াসা বলছে, দেড় বছর আগে পানির দাম তিন গুণ বাড়ানো হলেও তা উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কম। তিন গুণ বাড়ানোর পর আবাসিক এলাকার গ্রাহক পর্যায়ে এক হাজার লিটার পানিতে পরিশোধ করতে হচ্ছে ৬ টাকা ৮১ পয়সা। আর বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সমপরিমাণ পানির জন্য দিতে হচ্ছে ১৩ টাকা ৬২ পয়সা। খরচের এই পরিমাণ অন্যান্য ওয়াসার চেয়ে কম। দেড় বছর আগে রাজশাহীতে আবাসিক সংযোগে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ধরা হতো ২ টাকা ২৭ পয়সা। এ ছাড়া বাণিজ্যিকে ছিল ৪ টাকা ৫৪ পয়সা।
রোববার রাত ৮টার দিকে ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ গয়েশপুর বিওপির হাবিলদার শিশিরের নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত ইউনিয়নের পিচমোড় থেকে আটটি স্বর্ণের বার এবং ছোট একটি স্বর্ণের টুকরাসহ গয়েশপুরের তেতুল মণ্ডলের ছেলে মো. মমিনকে আটক করে। তিনি বাইসাইকেলে স্বর্ণের বারগুলো ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
৪ মিনিট আগেইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোববার পশুর হাট বসিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
৭ মিনিট আগেগত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
১০ মিনিট আগেরাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে