বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে গো-চারণ ভূমি বানানোর পর এবার স্টাফসহ সকল মালামাল সরিয়ে নিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত ১ মার্চের এক মৌখিক নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে স্টেডিয়াম থেকে সকল মালামাল, ভেন্যু ম্যানেজারসহ সকল স্টাফকে ঢাকায় নিয়ে যায় বিসিবি।
জানা গেছে, দীর্ঘ দিন যাবৎ বগুড়ার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম ব্যবহার নিয়ে স্থানীয় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল। বিসিবি তাদের পরিকল্পনা মত স্টেডিয়াম ব্যবহার করতে পারছিলোনা এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বাজে পারফরমেন্সের পর বগুড়ার উইকেট নিয়ে ব্যাপক আলোচনার প্রেক্ষিতে বিসিবি নতুন করে স্টেডিয়াম সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে নতুন আরও ২টি সেন্টার উইকেট এবং অনুশীলনের জন্য নতুন করে আরও ৪টি উইকেট বানানো হয়। একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমের পুরোনো আসবাবপত্র নতুন করে সাজানো হয়। দেওয়া হয় ঘাস কাটার নতুন মেশিন। এছাড়াও আরও বেশ কিছু সংস্কার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু হুট করেই বিসিবি বগুড়া থেকে তাদের সকল কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ পাঠায়।
শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জামিল জানান, বিসিবি থেকে অফিসিয়াল কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। বুধবার মৌখিকভাবে সকল মালামাল ও স্টাফদের নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যেতে বিলম্ব হওয়ায় বৃহস্পতিবার কঠোর নির্দেশনা আসে বিসিবি থেকে। এই নির্দেশের পর দুপুর থেকে সকল মালামাল ট্রাকে বোঝাই করার প্রস্তুতি শুরু হয়। আপাতত মালামালসহ সকল স্টাফকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর বেশি তিনি কিছু বলতে পারেননি।
এদিকে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বিসিবি ৮ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বগুড়ায় মোট তিনটি ৪ দিনের ম্যাচ আয়োজন করেছিল। সূচি অনুযায়ী ৬ মার্চ টিমগুলো বগুড়ায় এসে ৭ মার্চ অনুশীলনের কথা ছিল। কিন্তু ১ মার্চ থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু করায় বিসিবি’র সঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিরোধ চরমে ওঠে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্টেডিয়াম ব্যবহারে অনড় অবস্থান নেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এতে বিসিবি বিসিএল এর পূর্ব নির্ধারিত তিনটি ৪ দিনের ম্যাচ অন্য ভেন্যুতে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিসিবি তড়িঘড়ি করে বগুড়া থেকে তাদের সকল স্টাফ ও স্টেডিয়ামে ব্যবহৃত মালামাল ঢাকায় সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়।
এ বিষয়ে জানতে বিসিবির ন্যাশনাল ম্যানেজার এম এ বাতেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিসিবি’র পরিচালক সাইফুল ইসলাম স্বপনের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বিসিবি থেকে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। মালামাল সরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, বিসিবি মাঝে মধ্যেই মালামাল নিয়ে যাওয়া আসা করে।
এদিকে, বগুড়া থেকে আচমকা স্টেডিয়ামের সকল মালামাল এবং স্টাফ প্রত্যাহারের খবরে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা এবং ক্রীড়া সংগঠকেরা। বিসিবি’র সাবেক পরিচালক ও বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম আর সিদ্দিক লেমন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকোর স্বপ্নে গড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে আওয়ামী লীগ সরকার তিলে তিলে ধ্বংস করেছে। এখন স্টেডিয়ামের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিল। আমরা বিসিবির এই অন্যায় সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে গো-চারণ ভূমি বানানোর পর এবার স্টাফসহ সকল মালামাল সরিয়ে নিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত ১ মার্চের এক মৌখিক নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে স্টেডিয়াম থেকে সকল মালামাল, ভেন্যু ম্যানেজারসহ সকল স্টাফকে ঢাকায় নিয়ে যায় বিসিবি।
জানা গেছে, দীর্ঘ দিন যাবৎ বগুড়ার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম ব্যবহার নিয়ে স্থানীয় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল। বিসিবি তাদের পরিকল্পনা মত স্টেডিয়াম ব্যবহার করতে পারছিলোনা এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বাজে পারফরমেন্সের পর বগুড়ার উইকেট নিয়ে ব্যাপক আলোচনার প্রেক্ষিতে বিসিবি নতুন করে স্টেডিয়াম সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে নতুন আরও ২টি সেন্টার উইকেট এবং অনুশীলনের জন্য নতুন করে আরও ৪টি উইকেট বানানো হয়। একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমের পুরোনো আসবাবপত্র নতুন করে সাজানো হয়। দেওয়া হয় ঘাস কাটার নতুন মেশিন। এছাড়াও আরও বেশ কিছু সংস্কার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু হুট করেই বিসিবি বগুড়া থেকে তাদের সকল কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ পাঠায়।
শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জামিল জানান, বিসিবি থেকে অফিসিয়াল কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। বুধবার মৌখিকভাবে সকল মালামাল ও স্টাফদের নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যেতে বিলম্ব হওয়ায় বৃহস্পতিবার কঠোর নির্দেশনা আসে বিসিবি থেকে। এই নির্দেশের পর দুপুর থেকে সকল মালামাল ট্রাকে বোঝাই করার প্রস্তুতি শুরু হয়। আপাতত মালামালসহ সকল স্টাফকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর বেশি তিনি কিছু বলতে পারেননি।
এদিকে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বিসিবি ৮ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বগুড়ায় মোট তিনটি ৪ দিনের ম্যাচ আয়োজন করেছিল। সূচি অনুযায়ী ৬ মার্চ টিমগুলো বগুড়ায় এসে ৭ মার্চ অনুশীলনের কথা ছিল। কিন্তু ১ মার্চ থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু করায় বিসিবি’র সঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিরোধ চরমে ওঠে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্টেডিয়াম ব্যবহারে অনড় অবস্থান নেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এতে বিসিবি বিসিএল এর পূর্ব নির্ধারিত তিনটি ৪ দিনের ম্যাচ অন্য ভেন্যুতে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিসিবি তড়িঘড়ি করে বগুড়া থেকে তাদের সকল স্টাফ ও স্টেডিয়ামে ব্যবহৃত মালামাল ঢাকায় সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়।
এ বিষয়ে জানতে বিসিবির ন্যাশনাল ম্যানেজার এম এ বাতেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিসিবি’র পরিচালক সাইফুল ইসলাম স্বপনের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বিসিবি থেকে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। মালামাল সরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, বিসিবি মাঝে মধ্যেই মালামাল নিয়ে যাওয়া আসা করে।
এদিকে, বগুড়া থেকে আচমকা স্টেডিয়ামের সকল মালামাল এবং স্টাফ প্রত্যাহারের খবরে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা এবং ক্রীড়া সংগঠকেরা। বিসিবি’র সাবেক পরিচালক ও বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম আর সিদ্দিক লেমন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকোর স্বপ্নে গড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে আওয়ামী লীগ সরকার তিলে তিলে ধ্বংস করেছে। এখন স্টেডিয়ামের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিল। আমরা বিসিবির এই অন্যায় সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৫ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৫ ঘণ্টা আগে