Ajker Patrika

আমের ট্রেনে গরু-ছাগল তুলেও এড়ানো যাচ্ছে না লোকসান

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৩, ২০: ৪১
আমের ট্রেনে গরু-ছাগল তুলেও এড়ানো যাচ্ছে না লোকসান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে চালু করা হয় ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল’ ট্রেন। কিন্তু চাষি ও ব্যবসায়ীদের এই ট্রেনের প্রতি আগ্রহ কম। ফলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। লোকসান কমাতে ট্রেনে কোরবানির আগে গরু-ছাগল পরিবহনেরও ব্যবস্থা করা হয়। এরপরও এড়ানো যাচ্ছে না লোকসান। এ বছরও লোকসান গুনেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, লাভ-লোকসান কোনো বিষয় নয়। চাষি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এই ট্রেন চালু করা হয়।

তবে চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ট্রেনে তাঁদের তেমন আগ্রহ নেই। কম মূল্যে ট্রেনে আম পরিবহন করা গেলেও স্টেশনে আম আনা-নেওয়ার কারণে পরিবহন খরচ বেড়েই যায়। এতে ঝামেলাও বেশি। 

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা একবার যাওয়া-আসা করতে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের প্রয়োজন হয় প্রায় এক হাজার লিটার ডিজেল। রেলের অন্য সব খরচ বাদ দিলেও শুধু ডিজেল খরচও ওঠে না ট্রেনটি চালিয়ে।

রেল কর্মকর্তারা জানান, সক্ষমতা ও প্রত্যাশার চেয়ে কম আম এবং পশু পরিবহন হওয়ার কারণে ট্রেনটি চালিয়ে প্রতিবছরই লোকসান গুনতে হচ্ছে রেলওয়েকে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজারের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রথমবার ২০২০ সালের ৫ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ৪৬ দিন চলেছে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন। ওই বছর ট্রেনে ১ হাজার ২০০ মেট্রিকটন আম পরিবহন হয়। প্রতি লিটার ডিজেলের তৎকালীন মূল্য ৬৫ টাকা ধরলে ৪৬ দিনে শুধু তেল খরচই হয় প্রায় ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর বিপরীতে আম পরিবহন করে রেলের আয় হয় ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩৬ টাকা। লোকসান দাঁড়ায় প্রায় ১৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৬৪ টাকা। ওই বছর ট্রেনে কোরবানির পশু পরিবহন হয়নি।

পরের বছর ২০২১ সালের ২৭ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ৫০ দিন চলে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন। ৮০ টাকা লিটার হিসেবে সে বছর এই ট্রেনে তেল খরচই হয় ৪০ লাখ টাকা। এর বিপরীতে কোরবানির পশু ও আম পরিবহন করে আয় হয়েছিল ২৭ লাখ ২২ হাজার ৯৬৮ টাকা। ফলে রেলের আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৩২ টাকা। ওই বছর ট্রেনে ২ হাজার ২৩৫ মেট্রিকটন আম পরিবহন হয়েছিল। এ ছাড়া ১৩১টি গরু ও ১১২টি ছাগল পরিবহন করা হয়েছিল।

গত বছর ১৩ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত সাত দিন চলেছিল এই ট্রেন। ৮০ টাকা লিটার হিসেবে এতে ডিজেল খরচই হয় ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার। আর সাত দিনে রেল আয় করেছিল ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৯৪ টাকা। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫ হাজার ৭০৬ টাকা। এ বছর ১৭৯ মেট্রিকটন আম, ৩৬টি গরু ও ১৬০টি ছাগল পরিবহন হয়েছিল।

এ বছর ৮ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত ১৮ দিন ট্রেন চলেছে। এ বছর ১০৯ টাকা লিটার হিসেবে ট্রেন চালাতে ডিজেল খরচই হয়েছে ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা। আর আয় হয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪২ টাকা। ফলে রেলের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৮ টাকা। এ বছর ৩৮২ মেট্রিকটন আম, ৭৮টি গরু এবং ১৬১টি ছাগল পরিবহন হয়েছে।

তিন বছরে ট্রেনটিতে মোট ২৪৫টি গরু ও ৪৩৩টি ছাগল পরিবহন হয়েছে। এতে রেলের আয় হয়েছে মাত্র ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। আর চার বছরে পরিবহন হয়েছে ৩ হাজার ৯৯৫ মেট্রিকটন আম। এতে রেল পেয়েছে ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ১৪০ টাকা। তবে চার বছরে শুধু তেল খরচের হিসাবেই ট্রেনটি চালিয়ে লোকসান হয়েছে ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৬০ টাকা।

ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে সাধারণত সাতটি ওয়াগন থাকে। এসব ওয়াগনে ৩০১ মেট্রিকটন আম পরিবহন করা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রতি কেজিতে ১ টাকা ৩২ পয়সা ও রাজশাহী থেকে ১ টাকা ১৭ পয়সায় ঢাকায় আম নেওয়া যায় এই ট্রেনে। এবার ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের সঙ্গে অতিরিক্ত দুটি ওয়াগন যুক্ত করে কোরবানির পশু পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিটি ওয়াগনের জন্য রেলওয়ে ভাড়া নির্ধারণ করেছিল ১১ হাজার ৮৩০ টাকা।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা এলাকার গরুর ব্যাপারী আবদুস সামাদ বলেন, ‘ট্রেনে গরু পরিবহনের সমস্যা আছে। ট্রেনে যেতে হলে গরুকে আগে বাড়ি থেকে অন্য গাড়িতে করে স্টেশনে নিতে হয়। এরপর আবার স্টেশন থেকে অন্য গাড়িতে করে হাটে নিতে হবে। এ ছাড়া চাইলেই দু-একটি গরু নিয়ে যাওয়া যায় না। পুরো বগিই ভাড়া নিতে হবে। এসব ঝামেলা এড়িয়ে ট্রাকে করে সরাসরি বাড়ি থেকে হাটে গরু নেওয়ায় সহজ।’

একই কথা বললেন রাজশাহীর নওদাপাড়া এলাকার আম ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, ‘ট্রেনে কম পয়সায় আম পরিবহন করা গেলেও দুইবার অন্য পরিবহনে আনা-নেওয়ার খরচ বেশি হয়ে যায়। এর চেয়ে সড়কপথে আম পরিবহন করা সহজ। এ জন্য ট্রেনে আমরা যাই না।’

বছর বছর এই ট্রেনের লোকসানের বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘লাভ-লোকসান আমরা বুঝি না। চাষি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সরকারের ওপর মহল প্রতিবছর এই সেবা চালু করতে বলে। আমরা এটা চালু করি। জনস্বার্থে অনেক খাতেই তো সরকার ভর্তুকি দেয়। এই ট্রেন সার্ভিসটাও অনেকটা সে রকম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠিত

পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি প্রতিযোগীদের হাতে ইয়েস কার্ড, ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন। এ সময় মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘পিএইচপির আয়োজনে ‘‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’’ প্রতিযোগিতা। বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়াতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রমজান মাস ধরে আমাদের আয়োজকেরা হাফেজে কোরআনদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত ১৭ বছর ধরে চলে আসা এই অনুষ্ঠান দেশে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’

কোরআনের আলো অনুষ্ঠানকে চলমান রাখার ঘোষণা দিয়ে মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পিএইচপি কেয়ামত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন, যারা কুফরি করে এবং মানুষকে সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে, আল্লাহ তাদের দুনিয়ায় শাস্তি দেবেন এবং আখিরাতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন—এটিই হচ্ছে মহান আল্লাহর ঘোষণা। প্রত্যেকের জীবনকে পবিত্র কোরআনের আলোয় জীবন গঠন করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘সারা দেশের হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাই করে টিভি অনুষ্ঠানের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। সেখান থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করা অনেক কঠিন কাজ। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা পৌঁছাই।’ অডিশনে উপস্থিত ছিলেন কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুফতি মোহম্মদ মহিউদ্দিন, অর্থ সচিব হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ক্বারী মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হাফেজ আবদুল্লাহ আল জায়েদ, পিএইচপি পরিবারের মিডিয়া অ্যাডভাইজার দিলশাদ আহমেদসহ পিএইচপি পরিবার ও আয়োজকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে আড়াই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।

লাভলু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকেরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর অংশে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
কুমিল্লার আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লার আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।

ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার রাত পৌনে ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইয়াছিনের সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বলে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।

এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।

এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত