নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের প্রত্যাহার দাবি করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। পদ্মা নদীর ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে চারঘাটের চৌরাস্তা মোড়ে এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
আবু সাঈদ চাঁদ চারঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।
থানার কাছাকাছি এলাকায় থাকা অবৈধ বালুমহালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে ওই ওসির প্রত্যাহার দাবি করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মতলেবুর রহমান মতলেবের বিরুদ্ধে ওই বালুমহাল চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
মানববন্ধনে চাঁদ বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে স্থানীয় প্রশাসন ইউএনও ও এসিল্যান্ড প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন। এ জন্য তাঁদের দোষ দিতে পারছি না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, চারঘাট বলে একটা থানা আছে, ওসি আছে, পুলিশ আছে; কিন্তু তাদের কোনো কাজ নাই। তারা বিগত সময়ে যেগুলো করেছে, এখনো সেগুলোই করছে। রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হলেও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে। ডিআইজিকে ওসির বিষয়ে বলেছি। তারপরও যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘চারঘাটে বালু উত্তোলন হচ্ছে অবৈধভাবে, কিন্তু পুলিশ নীরব দর্শক। রাতে গিয়ে বালুর ট্রাকের টাকা গুণে আপনারা টাকা নিচ্ছেন। বালু উত্তোলন বন্ধে কোনো ভূমিকা নাই। আপনাদের প্রশাসনের কাছে আজকেই শেষ কথা। সেদিন ডিআইজি সাহেবকেও বলেছি, এটা ফালতু একটা ওসি। যে ওসির কোনো কাজ নাই, সে ওসি চারঘাটে থাকতে পারবে না।’
ওই বালুমহাল নিয়ে গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় ‘ইউএনওর সামনে অস্ত্রের মহড়া, বালু তুলছে বিএনপি-ছাত্রদল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সেদিন থেকে মাটি কাটা বন্ধ আছে।
আবু সাঈদ চাঁদ মানববন্ধনে বলেন, ‘চারঘাটের মাটিতে খবরদারি চলবে না। আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি, আইনের মধ্যে চলার চেষ্টার করি। আইন যে ভঙ্গ করছে, সে বিএনপির লোক হয়ে থাকলেও খাতির করছেন কেন? তাকে ধরেন। পরিষ্কার কথা আমার, আমি নিজে অন্যায় করে থাকলে আমাকেও ধরেন। যারা ঘাট দখল করে খাবে, চাঁদাবাজি করে খাবে, এর দায়ভার বিএনপি নেবে না। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’
মানববন্ধনে বিভিন্ন এলাকার প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশ নেন। তাঁরাও অবৈধ বালুমহাল বন্ধ ও ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল, যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহীন, উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক মাসুদ রানা, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মমিন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালেক আদিল, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির রহমান মুকুট প্রমুখ।
এ বিষয়ে কথা বলতে ওসি মিজানুর রহমানকে কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি। এর আগে গত সোমবার তিনি আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, থানার পাশেই যে অবৈধ বালুমহাল চলছে, তা তিনি জানেন না। বালুমহাল থেকে সপ্তাহ হিসেবে টাকা নেওয়ায় ওসি মিজানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেদিন তিনি এই অভিযোগও অস্বীকার করেছিলেন।
রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের প্রত্যাহার দাবি করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। পদ্মা নদীর ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে চারঘাটের চৌরাস্তা মোড়ে এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
আবু সাঈদ চাঁদ চারঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।
থানার কাছাকাছি এলাকায় থাকা অবৈধ বালুমহালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে ওই ওসির প্রত্যাহার দাবি করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মতলেবুর রহমান মতলেবের বিরুদ্ধে ওই বালুমহাল চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
মানববন্ধনে চাঁদ বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে স্থানীয় প্রশাসন ইউএনও ও এসিল্যান্ড প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন। এ জন্য তাঁদের দোষ দিতে পারছি না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, চারঘাট বলে একটা থানা আছে, ওসি আছে, পুলিশ আছে; কিন্তু তাদের কোনো কাজ নাই। তারা বিগত সময়ে যেগুলো করেছে, এখনো সেগুলোই করছে। রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হলেও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে। ডিআইজিকে ওসির বিষয়ে বলেছি। তারপরও যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘চারঘাটে বালু উত্তোলন হচ্ছে অবৈধভাবে, কিন্তু পুলিশ নীরব দর্শক। রাতে গিয়ে বালুর ট্রাকের টাকা গুণে আপনারা টাকা নিচ্ছেন। বালু উত্তোলন বন্ধে কোনো ভূমিকা নাই। আপনাদের প্রশাসনের কাছে আজকেই শেষ কথা। সেদিন ডিআইজি সাহেবকেও বলেছি, এটা ফালতু একটা ওসি। যে ওসির কোনো কাজ নাই, সে ওসি চারঘাটে থাকতে পারবে না।’
ওই বালুমহাল নিয়ে গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় ‘ইউএনওর সামনে অস্ত্রের মহড়া, বালু তুলছে বিএনপি-ছাত্রদল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সেদিন থেকে মাটি কাটা বন্ধ আছে।
আবু সাঈদ চাঁদ মানববন্ধনে বলেন, ‘চারঘাটের মাটিতে খবরদারি চলবে না। আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি, আইনের মধ্যে চলার চেষ্টার করি। আইন যে ভঙ্গ করছে, সে বিএনপির লোক হয়ে থাকলেও খাতির করছেন কেন? তাকে ধরেন। পরিষ্কার কথা আমার, আমি নিজে অন্যায় করে থাকলে আমাকেও ধরেন। যারা ঘাট দখল করে খাবে, চাঁদাবাজি করে খাবে, এর দায়ভার বিএনপি নেবে না। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’
মানববন্ধনে বিভিন্ন এলাকার প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশ নেন। তাঁরাও অবৈধ বালুমহাল বন্ধ ও ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল, যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহীন, উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক মাসুদ রানা, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মমিন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালেক আদিল, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির রহমান মুকুট প্রমুখ।
এ বিষয়ে কথা বলতে ওসি মিজানুর রহমানকে কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি। এর আগে গত সোমবার তিনি আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, থানার পাশেই যে অবৈধ বালুমহাল চলছে, তা তিনি জানেন না। বালুমহাল থেকে সপ্তাহ হিসেবে টাকা নেওয়ায় ওসি মিজানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেদিন তিনি এই অভিযোগও অস্বীকার করেছিলেন।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩১ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩৫ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে