আব্দুল্লাহ আল মারুফ, কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ)
ভোরের আলো ফোটার আগেই বেরিয়ে পড়েন মোছা. শাহীদা বেগম। গন্তব্য এক হিন্দু পরিবারের বাসা। সেখানে ঝিয়ের কাজ করেন। মাস শেষে হাতে পান এক হাজার টাকা আর পাঁচ কেজি চাল। সেই আয় আর আশপাশের মানুষের দান-সদকায় চলে তাঁর সংসার।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া গ্রামের এক কোনায় পলিথিনে মোড়ানো এক ঝুপড়িঘরে বসে জীবনের কঠিন গল্প শোনাচ্ছিলেন প্রায় ৫০ বছরের বিধবা মোছা. শাহীদা বেগম।
ঘরের এক পাশে কাঠের চৌকি, পাশে খাবারের ডালা, ছেঁড়া কাঁথা—সবকিছুই যেন জীবনের দুঃসহ কষ্টের সাক্ষ্য দেয়।
শাহীদা বেগম জানান, তাঁর প্রথম স্বামী আকতার শেখ ১৯৮৮ সালে ডায়রিয়ায় মারা যান। এরপর দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেও সেই স্বামী কয়েক বছরের মধ্যে জ্বরে মারা যান। সন্তানদের নিয়েই জীবন কাটছিল, কিন্তু কয়েক বছর আগে যুবক ছেলে আতাউরের মৃত্যু যেন সবকিছু ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
নিজের সামর্থ্যেই কষ্টে ৩ শতাংশ জমি কিনে সেখানে একটি ভাঙাচোরা ঘর তুলেছিলেন। কিন্তু এক-দেড় বছর আগে ঝড়ে সেই ঘরও ভেঙে যায়। এখন পলিথিন দিয়ে কোনোরকমে মাথার ওপর ছায়া তৈরি করে বসবাস করছেন বাক্প্রতিবন্ধী মেয়ে তারাবানু (তারানী) ও মৃত ছেলের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে।
সরেজমিন দেখা যায়, টিন নেই, জানালা-দরজাও নেই। বৃষ্টি নামলেই পানি পড়ে ঘরে। সেই পানির মধ্যেই কাটে রাত-দিন। কোনোভাবে নামাজ পড়াও সম্ভব হয় না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর বড় ছেলে বিয়ের কয়েক বছর পরই মারা গেছেন। সেই ঘরে রয়েছে একটি ছয়-সাত বছরের শিশু। বাক্প্রতিবন্ধী মেয়েরও বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু সংসার টেকেনি। আর ছোট ছেলে আগে দিনমজুরের কাজ করতেন, এখন আর তা-ও করতে পারেন না।
সব মিলিয়ে মানবেতর এক জীবন পার করছেন শাহীদা বেগম।
শাহীদা বেগম আজকের পত্রিকাকে জানান, একটু শান্তিতে নামাজ পড়তে পারেন না। শুধু কষ্ট আর চোখের পানি। একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ ও সমাজসেবা কার্যালয়ে গেছেন সরকারি বয়স্ক বা বিধবা ভাতার জন্য। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
শাহীদা বলেন, ‘সবাই বলে আসেন, পরে দেখা যাবে। কেউ একটা কার্ড করে দেয় না। আর কত ঘুরব? এখন যদি সরকার একটা ঘর দিত, একটা ভাতার কার্ড দিত, তাহলে হয়তো শেষ জীবনটা একটু শান্তিতে কাটাতে পারতাম।’
এ বিষয়ে জানতে কালিয়া এলাকার ইউপি সদস্য সাইফুলের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার যখন অনলাইনে আবেদনের সময় দেয়, তখন হয়তো আমরা বিষয়টি দেখতে পারি। এমনি বললেই তো আসলে কাউকে বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়া যায় না। তবে ওনার ছবি পাঠান, দেখি এরপর খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’
ভোরের আলো ফোটার আগেই বেরিয়ে পড়েন মোছা. শাহীদা বেগম। গন্তব্য এক হিন্দু পরিবারের বাসা। সেখানে ঝিয়ের কাজ করেন। মাস শেষে হাতে পান এক হাজার টাকা আর পাঁচ কেজি চাল। সেই আয় আর আশপাশের মানুষের দান-সদকায় চলে তাঁর সংসার।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া গ্রামের এক কোনায় পলিথিনে মোড়ানো এক ঝুপড়িঘরে বসে জীবনের কঠিন গল্প শোনাচ্ছিলেন প্রায় ৫০ বছরের বিধবা মোছা. শাহীদা বেগম।
ঘরের এক পাশে কাঠের চৌকি, পাশে খাবারের ডালা, ছেঁড়া কাঁথা—সবকিছুই যেন জীবনের দুঃসহ কষ্টের সাক্ষ্য দেয়।
শাহীদা বেগম জানান, তাঁর প্রথম স্বামী আকতার শেখ ১৯৮৮ সালে ডায়রিয়ায় মারা যান। এরপর দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেও সেই স্বামী কয়েক বছরের মধ্যে জ্বরে মারা যান। সন্তানদের নিয়েই জীবন কাটছিল, কিন্তু কয়েক বছর আগে যুবক ছেলে আতাউরের মৃত্যু যেন সবকিছু ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
নিজের সামর্থ্যেই কষ্টে ৩ শতাংশ জমি কিনে সেখানে একটি ভাঙাচোরা ঘর তুলেছিলেন। কিন্তু এক-দেড় বছর আগে ঝড়ে সেই ঘরও ভেঙে যায়। এখন পলিথিন দিয়ে কোনোরকমে মাথার ওপর ছায়া তৈরি করে বসবাস করছেন বাক্প্রতিবন্ধী মেয়ে তারাবানু (তারানী) ও মৃত ছেলের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে।
সরেজমিন দেখা যায়, টিন নেই, জানালা-দরজাও নেই। বৃষ্টি নামলেই পানি পড়ে ঘরে। সেই পানির মধ্যেই কাটে রাত-দিন। কোনোভাবে নামাজ পড়াও সম্ভব হয় না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর বড় ছেলে বিয়ের কয়েক বছর পরই মারা গেছেন। সেই ঘরে রয়েছে একটি ছয়-সাত বছরের শিশু। বাক্প্রতিবন্ধী মেয়েরও বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু সংসার টেকেনি। আর ছোট ছেলে আগে দিনমজুরের কাজ করতেন, এখন আর তা-ও করতে পারেন না।
সব মিলিয়ে মানবেতর এক জীবন পার করছেন শাহীদা বেগম।
শাহীদা বেগম আজকের পত্রিকাকে জানান, একটু শান্তিতে নামাজ পড়তে পারেন না। শুধু কষ্ট আর চোখের পানি। একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ ও সমাজসেবা কার্যালয়ে গেছেন সরকারি বয়স্ক বা বিধবা ভাতার জন্য। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
শাহীদা বলেন, ‘সবাই বলে আসেন, পরে দেখা যাবে। কেউ একটা কার্ড করে দেয় না। আর কত ঘুরব? এখন যদি সরকার একটা ঘর দিত, একটা ভাতার কার্ড দিত, তাহলে হয়তো শেষ জীবনটা একটু শান্তিতে কাটাতে পারতাম।’
এ বিষয়ে জানতে কালিয়া এলাকার ইউপি সদস্য সাইফুলের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার যখন অনলাইনে আবেদনের সময় দেয়, তখন হয়তো আমরা বিষয়টি দেখতে পারি। এমনি বললেই তো আসলে কাউকে বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়া যায় না। তবে ওনার ছবি পাঠান, দেখি এরপর খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাজৈরে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় পাঠানকান্দি গ্রামের এক বিএনপি কর্মীর দায়ের করা মামলায় শাজাহান মোল্লা এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
৯ মিনিট আগেশিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
১৪ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
২৯ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তানদের সামনে স্ত্রী কাকলিকে (৩২) হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী মেহেদী হাসানকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব-১৪) মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে