Ajker Patrika

১৪ দল ক্ষমতায় আসার পর ওয়ার্কার্স পার্টি আদর্শ হারিয়েছে: এন্তাজুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
১৪ দল ক্ষমতায় আসার পর ওয়ার্কার্স পার্টি আদর্শ হারিয়েছে: এন্তাজুল হক

নেতা–কর্মীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু ও জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আকবর আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে আজ শনিবার তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মেহনতি মানুষের পক্ষে থাকার আদর্শ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। সকালে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় আইনজীবী আবু রায়হান মাসুদের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আবু রায়হান মাসুদও ওয়ার্কার্স পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্রমৈত্রীর নেতা ছিলেন। দল ছেড়ে তিনি এখন আওয়ামী লীগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, ‘২০০৯ সালে ১৪ দল ক্ষমতায় আসে। তারপর থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি আদর্শ থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে। বাম সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়ে গেছে। যার ফলে বাম সংগঠনগুলোর তেমন কোনো তৎপরতা দেখতে পাওয়া যায় না। গত ৯ মার্চ আমাদের দুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দল থেকে বহিষ্কার করতে গেলে কিছু নিয়ম আছে। নিয়ম বলতে শোকজ করতে হয়। এগুলো কিছু হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সদস্যকে মহানগর কমিটি বহিষ্কার করতে পারে না। তারা কীভাবে এটা করল এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির তদন্ত করা উচিত।’

এন্তাজুল হক বাবু আরও বলেন, ‘বহিষ্কারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে গত সিটি নির্বাচনে আমি নাকি ১৪ দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে থেকেছি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ রকম হলে তখনই আমাকে বহিষ্কার করতে পারত। চার বছর পর এসব কথা বলা ভিত্তিহীন। আমি নাকি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের বিরোধিতা করেছি। এটাও ভিত্তিহীন। এর যদি প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আমি ওকালতি ছেড়ে দেব। আকবর আলীকে ভূমিদস্যু বলা হয়েছে। এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।’

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা জানতে চান, ওয়ার্কার্স পার্টি সব সময় মার্কিন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে কথা বললেও দলের রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবুর আমেরিকার নাগরিকত্ব আছে। এটি নেতা–কর্মীরা কীভাবে দেখেন? জবাবে এন্তাজুল হক বাবু বলেন, ‘আমরা এই ব্যাপারটা দলীয় ফোরামে অনেকবার বলেছি। দ্বৈত নাগরিকত্ব যার আছে, তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক থাকতে পারেন না। তিনি আমেরিকার নাগরিকত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্দিষ্ট সময় গিয়ে সেখানে থাকেন। তাঁর রাজনৈতিক চেতনা নেই। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এই একটা ব্যক্তির কারণে জেলা ও মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি পার্টিকে আদর্শচ্যুত করতে বড় ভূমিকা রাখছেন।’

পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশাকে উদ্দেশ্য করে বাবু বলেন, ‘আপনি যদি পার্টির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু ও সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবুর কথামতো চলেন, তাহলে পার্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। এদের সম্পর্কে আমার কাছে যে তথ্য আছে তা যদি আপনি শোনেন, তাহলে তাদেরও বহিষ্কার করবেন।’

বহিষ্কৃত নেতা আকবর আলী বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সাবেক ছাত্রমৈত্রী নেতা আবু রায়হান মাসুদও। তিনি বলেন, ‘ফজলে হোসেন বাদশা একবার হাতুড়ি প্রতীকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ৩ হাজার ৬০০ ভোট পেয়েছিলেন। সুতরাং রাজশাহীতে ওয়ার্কার্স পার্টির ভোটের সংখ্যা ৩ হাজার ৬০০। ১৪ দলে এসে আওয়ামী লীগের ভোটে তিনি এমপি হয়েছেন। তিনি ১৪ দল ছাড়া ভোটে জিততে পারবেন না। বাম রাজনীতি থেকে আসা আমরা নেতৃবৃন্দ গত ৯ মার্চ রাজশাহীতে একটি মিটিং করেছিলাম। সেখানে ১৪ দলকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। সে কারণেই এন্তাজুল হক বাবু ও আকবরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা অন্যায়।’

মাসুদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে ২০০ নেতা ফজলে হোসেন বাদশার পাশ থেকে সরে গেছে। আমাদের দাবি, ফজলে হোসেন বাদশাকে আমাদের কাছে অনতিবিলম্বে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। আর কেন্দ্রীয় ওয়ার্কার্স পার্টিকে সবকিছুর তদন্ত করতে হবে। যদি তিনি ক্ষমা না চান এবং তদন্ত না হয় তাহলে পার্টির সবাই পদত্যাগ করবে। আমরা কিন্তু ফজলে হোসেন বাদশার অনেক তথ্য জানি জানি। সেগুলো নিয়ে তখন গণ-আন্দোলন শুরু করব।’

ওয়ার্কার্স পার্টি আদর্শচ্যুত হয়ে গেছে, এন্তাজুল হক বাবুর এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে দলটির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু বলেন, ‘পার্টি আদর্শচ্যুত হয়নি। সে নিজেই আদর্শচ্যুত হয়েছে। ছয় মাস আগে থেকে বলে বেড়াচ্ছে সে পার্টি করবে না। পার্টি করবে না তো পদত্যাগ করবে। তা না করে দলের ভেতর বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। ওয়ার্কার্স পার্টি ছেড়ে অন্য ফোরামে বক্তৃতা করেছে। এখন বহিষ্কার করার কারণে পাগলের প্রলাপ বকছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুক্রবার ঢাকা ইপিজেড ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
শুক্রবার ঢাকা ইপিজেড ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

ঢাকা ইপিজেড, আশুলিয়া, নবীনগর ও গাজীপুরের আংশিক এলাকায় আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আশুলিয়া জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খালেদ খন্দকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সেকশন-৩-এর আওতায় পাইপলাইন স্থানান্তর ও নির্মাণকাজ সম্পাদনের জন্য সাময়িক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৭টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ইপিজেডের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারসহ নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের উভয় পাশে সব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে।

যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না:

ঢাকা ইপিজেড, গাজীপুরের কাশিমপুর, সারদাগঞ্জ, হাজী মার্কেট, শ্রীপুর, কবিরপুর, বাড়ইপাড়া, চন্দ্রা, আশুলিয়ার নবীনগর, সাভার ক্যান্টনমেন্ট, কাঠগড়া, জিরাবো, গাজীরচট, নয়াপাড়া, দেওয়ান ইদ্রিস সড়কের উভয় পাশের এলাকা, নয়ারহাট, বলিভদ্র, পল্লীবিদ্যুৎ, ডেণ্ডাবর, ভাদাইল, লতিফপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক নিহত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সোহেল হাওলাদার (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ৩ নম্বর নৈহাটি ইউনিয়নের রহিমনগর গ্রামের মানিক সরদারের বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল ওই গ্রামের বাসিন্দা রুস্তুম হাওলাদারের ছেলে।

রূপসা থানার এসআই নাজমুল এলাকাবাসীর বরাতে জানান, সোহেল হাওলাদার দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলেন। কয়েক দিন আগে প্রবাস থেকে দেশে ফেরেন। রাতে বাড়ির পাশে মাঠে অবস্থান করছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একটি গুলি বুকের বাম পাশে বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ হেফাজতে নেয় পুলিশ। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এসআই নাজমুল সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্ষমতায় গিয়ে আবার উল্টাপাল্টা করলে ছাড় দেব না: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সিলেটে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা

ক্ষমতায় গিয়ে আবার উল্টাপাল্টা কিছু করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর জামায়াতের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুর রহমান বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তারা সরকারে যাওয়ার পরে আবার যদি সেই পুরোনো কায়দায় উল্টাপাল্টা কিছু করা হয়, প্রথমে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বলব, এগুলো ছেড়ে দেন। যদি সংশোধন হন, আমরা খুশি হব, অভিনন্দন জানাব। যদি সংশোধন না হন, তাহলে আগেও যেমন জীবন বাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, আগামীতেও কাউকে ছাড় দেব না।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘তারা নির্বাচিত হলে জামায়াত ছাড়া সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করবে। আমরা মহান আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, আল্লাহ যদি তাঁর মেহেরবানিতে জনগণের ভালোবাসায় আমাদের নির্বাচিত করেন, আমরা তাদেরও সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠন করব।

‘আর যদি কোনো কারণে আল্লাহ আমাদের বিরোধী দলে বসান, তাদের আশ্বস্ত করছি, প্রতিটি মানবিক ও ভালো কাজে আমরা অবশ্যই তাদের কর্মী হয়ে কাজ করব। আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। সবাই মিলে আমরা দেশ গড়ব, এ কাজে আমরা তাদের সহযোগিতা করব।’

জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের ঐতিহাসিক রাতে আমরা সকল ব্যথা ঝেড়ে ফেলেছিলাম। পায়ের নিচে ফেলে দিয়েছিলাম। মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে দায়িত্ব নিয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দ ও নেতা-কর্মীদের বলেছিলাম, আমরা ব্যক্তিগতভাবে কারও ওপর প্রতিশোধ নেব না। প্রতিশোধ প্রতিহিংসার জন্ম দেয়, সমাজকে ধ্বংস করে।

‘আমরা পারতাম, সেই রাতে যদি শুধু বলে দিতাম, যে যার ক্ষতি করেছে, তার সঙ্গে একটু মোলাকাত করে আসুন, বাংলাদেশ একটা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়ে যেত। আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রায় বলতেন, তাঁদের পতন হলে দলের ৫ লাখ লোককে হত্যা করা হবে। ওই রকম কিছুই হয়নি। আওয়ামী লীগ দায়িত্বজ্ঞানহীন হলেও জাতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘জাতিকে আর দল-ধর্মের ভিত্তিতে টুকরা করা হবে না। সবাই মিলে বাংলাদেশ। মেজরিটি–মাইনরিটি না, একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। অসৎ রাজনীতিবিদেরা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পুলিশকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করেছে।

‘সমাজের সর্বত্রই ইঁদুর বসে আছে, তারা উন্নয়নের দড়িগুলো কেটে দিচ্ছে। নির্বাচনের আগে প্রচার করে রাজনীতি ইবাদত, নির্বাচিত হওয়ার পর ইবাদতের খাজনা আদায় করা শুরু করে।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশে দৃশ্যমান অনেক পরিবর্তন হলেও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার যদি কায়েম হয়, দুর্নীতির জট কেটে যাবে।

‘কেননা, আমাদের স্বার্থের ব্যাপারে সবার আগে বাংলাদেশ। নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোটের অধিকারের বিষয়ে অনেক বাধা ছিল। অনেক রাজনৈতিক দলও বলেছে, প্রবাসীরা আবার কিসের ভোট দেবে? আমরা বলেছি না, তারা আমাদের অঙ্গ, অংশ। আমরা দেশ গড়ার সুযোগ পেলে সংখ্যা অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে, ইনশা আল্লাহ।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে একজন থেকে ২০০ জন এমপি নির্বাচিত হলেও সরকারি সুবিধা গ্রহণ করবে না জামায়াত। সরকার গঠন করলে আমরা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা নিব না, যেটা আমাদের জন্য অপরিহার্য। দলটির কেউ কোনো ধরনের অপকর্মে জড়াবে না। যাঁরা অপকর্মে যাবেন, তাঁদের হাত চেপে রাখা হবে।’

মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, জামায়াত নেতা প্রফেসর ফজলুর রহমান, জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, মহানগর সেক্রেটারি শাহজাহান আলী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ড. নুরুল ইসলাম বাবুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেট্রো স্টেশনের নিচে ট্রাফিক পুলিশ চায় ডিএমটিসিএল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রো স্টেশনের নিচতলায় ট্রাফিক পুলিশ চেয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। স্টেশনের নিচতলায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) কাছে চিঠি দিয়েছে কোম্পানিটি।

গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিটি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের (ট্রাফিক) কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএমটিসিএল একটি ‘ক’ শ্রেণির কেপিআই তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১ জুলাই অনুষ্ঠিত সংস্থার মাসিক নিরাপত্তা সমন্বয় সভায় মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর নিচতলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চিঠিতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—স্টেশনের নিচতলায় যাত্রীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা। যানজট নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু পার্কিং ব্যবস্থা বজায় রাখা। নিরাপত্তা মান বৃদ্ধি ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি প্রতিরোধ করা। যাত্রীদের নিরাপদে ওঠানামা ও জরুরি অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। অবৈধ দখল রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এমতাবস্থায় ডিএমটিসিএলের আওতাধীন মেট্রোরেল লাইন-৬-এর ১৬টি স্টেশনের নিচে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত