রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি কমে যাওয়ার পর মাত্র নয় দিনের ব্যবধানে একই স্থানে দুইবার ভাঙন ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় দফা ভাঙনেই নদীতে ধসে পড়ে চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
শুক্রবার দুপুর থেকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসিলিমপুর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। বিকেলের মধ্যে ১০০ মিটার এলাকার সিসি ব্লকসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আশপাশের আরও শতাধিক বসতবাড়ি।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসিমা বলেন, এমনিতেই দেড় বছর পর স্কুল খুলল। আর স্কুল বিল্ডিংটাও ভেঙে গেল। এখন আমাদের পড়াশোনার কী হবে। আমরা এখন কোথায় পড়াশোনা করব?
স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, 'সকালেও সব ঠিকঠাক ঠিকঠাক ছিল। দুপুরের দিক থেকে যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে স্কুলটা তো গেলই, এখন আমাদের বাড়িঘর নিয়া দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা গরিব মানুষ। এর আগেও কয়েকবার নদীতে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। এটাই এখন আমাদের শেষ ভরসা।'
একই এলাকার সালমা আক্তার বলেন, 'পদ্মার পানি কমার পর থেকে নদীর স্রোতের কারণে ভয়ে ছিলাম। আমাদের যাওয়ার আর জায়গা নেই। আমাদের জমিজমাও সব নদীতে চলে গেছে।'
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার পর আমরা স্কুলের কার্যক্রম শুরু করি। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছিল। কিন্তু ভাঙন শুরু হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই এত দিন শিক্ষার্থী উপস্থিতি এমনিতেই কম ছিল। কিন্তু আজ সকালে স্কুলের বাম পাশ থেকে ব্লক সরে যাওয়ায় ধীরে ধীরে পুরো ভবনটিই এখন নদীগর্ভে বিলীনের পথে। আমাদের টিনশেড ভবনটিও এখন ঝুঁকির মুখে।
মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, 'এই পদ্মার ভাঙনে স্কুলটি আজ বিলীন হয়ে গেল। এর ফলে চরসিলিমপুর এলাকার আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ এখন বাস্তুহারা হওয়ার শঙ্কায়।'
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, 'পদ্মায় পানি কমার ফলে বেড ম্যাটেরিয়াল সরে যাওয়ায় ব্লক ধসে যায়। ভাঙনের জায়গায় বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আগামীকাল থেকে বালি ভর্তি জিও টিউব ফেলার কাজ করা হবে।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমি মো. সায়েফ জানান, 'পাশেই আমরা একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি পেয়েছি। জনৈক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় স্কুলের নামে জমিটি দিতে চেয়েছেন। আপাতত সেখানে টিনশেড ঘর তুলে স্কুলের কাজ পরিচালনা করা হবে। পরবর্তীতে স্থায়ী ভবন তৈরি করা হবে।'
রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি কমে যাওয়ার পর মাত্র নয় দিনের ব্যবধানে একই স্থানে দুইবার ভাঙন ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় দফা ভাঙনেই নদীতে ধসে পড়ে চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
শুক্রবার দুপুর থেকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসিলিমপুর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। বিকেলের মধ্যে ১০০ মিটার এলাকার সিসি ব্লকসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আশপাশের আরও শতাধিক বসতবাড়ি।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসিমা বলেন, এমনিতেই দেড় বছর পর স্কুল খুলল। আর স্কুল বিল্ডিংটাও ভেঙে গেল। এখন আমাদের পড়াশোনার কী হবে। আমরা এখন কোথায় পড়াশোনা করব?
স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, 'সকালেও সব ঠিকঠাক ঠিকঠাক ছিল। দুপুরের দিক থেকে যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে স্কুলটা তো গেলই, এখন আমাদের বাড়িঘর নিয়া দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা গরিব মানুষ। এর আগেও কয়েকবার নদীতে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। এটাই এখন আমাদের শেষ ভরসা।'
একই এলাকার সালমা আক্তার বলেন, 'পদ্মার পানি কমার পর থেকে নদীর স্রোতের কারণে ভয়ে ছিলাম। আমাদের যাওয়ার আর জায়গা নেই। আমাদের জমিজমাও সব নদীতে চলে গেছে।'
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার পর আমরা স্কুলের কার্যক্রম শুরু করি। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছিল। কিন্তু ভাঙন শুরু হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই এত দিন শিক্ষার্থী উপস্থিতি এমনিতেই কম ছিল। কিন্তু আজ সকালে স্কুলের বাম পাশ থেকে ব্লক সরে যাওয়ায় ধীরে ধীরে পুরো ভবনটিই এখন নদীগর্ভে বিলীনের পথে। আমাদের টিনশেড ভবনটিও এখন ঝুঁকির মুখে।
মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, 'এই পদ্মার ভাঙনে স্কুলটি আজ বিলীন হয়ে গেল। এর ফলে চরসিলিমপুর এলাকার আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ এখন বাস্তুহারা হওয়ার শঙ্কায়।'
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, 'পদ্মায় পানি কমার ফলে বেড ম্যাটেরিয়াল সরে যাওয়ায় ব্লক ধসে যায়। ভাঙনের জায়গায় বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আগামীকাল থেকে বালি ভর্তি জিও টিউব ফেলার কাজ করা হবে।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমি মো. সায়েফ জানান, 'পাশেই আমরা একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি পেয়েছি। জনৈক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় স্কুলের নামে জমিটি দিতে চেয়েছেন। আপাতত সেখানে টিনশেড ঘর তুলে স্কুলের কাজ পরিচালনা করা হবে। পরবর্তীতে স্থায়ী ভবন তৈরি করা হবে।'
দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং পর্যটনকেন্দ্র আগামীকাল (১ অক্টোবর) থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। তবে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অবস্থিত এই পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে যেতে হলে পর্যটকদের কিছু শর্ত মানতে হবে।
১০ মিনিট আগেপূজা শেষে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ বলেন, কুমারী পূজা আসলে মাতৃভাবের মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা। জীবন্ত কুমারী কন্যাকে প্রতিমারূপে পূজা করার মধ্য দিয়ে জগজ্জননীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুর জেলা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে শরীয়তপুরের সাধারণ মানুষ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অরাজনৈতিক সংগঠন ‘জাগো শরীয়তপুর’ এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে একসঙ্গে পোলট্রি ও মাছ চাষ (সমন্বিত খামার)। খামারগুলোর নিচে মাছ চাষ, ওপরে মুরগির খামার—এই ব্যবস্থায় দ্রুত লাভবান হলেও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে