রাজবাড়ী প্রতিনিধি
দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের ২য় অবস্থানে রয়েছে রাজবাড়ী জেলা। অনুকূল আবহাওয়া ও ফলন ভালো পাওয়ায় প্রতি বছরই পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রতি ঝোকেন স্থানীয় কৃষকেরা। তবে সংরক্ষণাগারের অভাবে পচনশীল এই দ্রব্যটি তোলার দেড় থেকে দুই মাস পর থেকে পচন শুরু হয়। কৃষকদের অভিযোগ—এ সময় লোকসান কাটাতে কমদামে পেঁয়াজ বিক্রি করেন তারা এবং ফলন ভালো হওয়ার পরও লোকসান গুনতে হয় তাদের।
কর্তৃপক্ষ বলছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন ও বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কালুখালী উপজেলায় বিভিন্ন কৃষকের বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ২০টি আধুনিক ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের গরিয়ানা গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আকব্বর সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেঁয়াজ ঘরে তোলার পর আমাদের সংরক্ষণ করে রাখার মত ব্যবস্থা নেই। পচে যাওয়ার ভয়ে বাজারে কমদাম পেলেও বিক্রি করে দেই। যদি সংরক্ষণাগার থাকত, তাহলে আমরা সেখানে রেখে সুবিধামতো সময়ে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারতাম।’
একই এলাকার আরেক কৃষক রমজান শেখ বলেন, ‘আমরা যে টাকা খরচ করে পেঁয়াজ আবাদ করি। সেই দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারি না। আমাদের লোকসান যায়। যখন মাঠ থেকে পেঁয়াজ ওঠাই তখন বাজারে দাম পাই না। এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদে খরচ হয় ৩০-৪০ হাজার টাকা। আর বিক্রি করতে হয় ৩০ হাজার টাকায়। ঘরে যে কয়েক মাস রেখে বাজারে দাম বাড়লে বিক্রি করবে সেটার উপায় নাই। কারণ ঘরে রাখলে এক দুই মাস পরে পচে যায়, পেঁয়াজে গাছ গজিয়ে যায়।’
রমজান শেখ আরও বলেন, ‘শুনতেছি সরকার থেকে পেঁয়াজ রাখার জন্য ঘর করে দিচ্ছে। তাহলে তো আমাদের মত কৃষকদের সুবিধাই হবে। কারণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রেখে সুবিধামতো সময়ে বিক্রি করতে পারব।’
পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের কৃষক বাদশা শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক মণ পেঁয়াজে উৎপাদন খরচ পড়ে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। বর্তমানে বাজারে দাম পাচ্ছি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে। এখন লোকসান গেলেও করার কিছু নাই। এই পেঁয়াজ আমরা ঘরে রাখতে পারব না। ঘরে রাখলে পচে যাবে, তার জন্য কমদামেই বিক্রি করে দিচ্ছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি-আলু চাষিদের জন্য আলু সংরক্ষণের জন্য যে ঘর করে দিছে, আমাদের পেঁয়াজ রাখার জন্য এই ঘর যেন তৈরি করে দেয়। আমরা ওই ঘরে পেঁয়াজ রেখে দেব, বাজারে যখন বেশি দাম হবে তখন বিক্রি করব।’
রাজবাড়ী কৃষি বিভাগ বলছে, রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণের জন্য কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ২০টি আধুনিক ঘর। প্রতি ঘরে ৩০০ মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষণাগারের কাজ শেষ হলে কাঙ্ক্ষিত দাম পাবে চাষিরা।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর এই জেলা পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের ২য় অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবছরই পেঁয়াজ আবাদ বাড়ছে এই জেলায়। এই জেলায় মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায় সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন না হওয়ার কারণে। এতে করে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘কৃষকদের কথা মাথায় রেখে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন ও বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কালুখালী উপজেলায় বিভিন্ন কৃষকের বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ২০টি আধুনিক ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে ঘর তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিটি ঘরে ৩০০ মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। ২০টি ঘরে প্রায় ২৪০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবেন কৃষকেরা। পেঁয়াজ সংরক্ষণ ঘর নির্মাণ হলে কৃষকেরা ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং তারা লাভবান হবে।’
দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের ২য় অবস্থানে রয়েছে রাজবাড়ী জেলা। অনুকূল আবহাওয়া ও ফলন ভালো পাওয়ায় প্রতি বছরই পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রতি ঝোকেন স্থানীয় কৃষকেরা। তবে সংরক্ষণাগারের অভাবে পচনশীল এই দ্রব্যটি তোলার দেড় থেকে দুই মাস পর থেকে পচন শুরু হয়। কৃষকদের অভিযোগ—এ সময় লোকসান কাটাতে কমদামে পেঁয়াজ বিক্রি করেন তারা এবং ফলন ভালো হওয়ার পরও লোকসান গুনতে হয় তাদের।
কর্তৃপক্ষ বলছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন ও বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কালুখালী উপজেলায় বিভিন্ন কৃষকের বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ২০টি আধুনিক ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের গরিয়ানা গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আকব্বর সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেঁয়াজ ঘরে তোলার পর আমাদের সংরক্ষণ করে রাখার মত ব্যবস্থা নেই। পচে যাওয়ার ভয়ে বাজারে কমদাম পেলেও বিক্রি করে দেই। যদি সংরক্ষণাগার থাকত, তাহলে আমরা সেখানে রেখে সুবিধামতো সময়ে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারতাম।’
একই এলাকার আরেক কৃষক রমজান শেখ বলেন, ‘আমরা যে টাকা খরচ করে পেঁয়াজ আবাদ করি। সেই দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারি না। আমাদের লোকসান যায়। যখন মাঠ থেকে পেঁয়াজ ওঠাই তখন বাজারে দাম পাই না। এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদে খরচ হয় ৩০-৪০ হাজার টাকা। আর বিক্রি করতে হয় ৩০ হাজার টাকায়। ঘরে যে কয়েক মাস রেখে বাজারে দাম বাড়লে বিক্রি করবে সেটার উপায় নাই। কারণ ঘরে রাখলে এক দুই মাস পরে পচে যায়, পেঁয়াজে গাছ গজিয়ে যায়।’
রমজান শেখ আরও বলেন, ‘শুনতেছি সরকার থেকে পেঁয়াজ রাখার জন্য ঘর করে দিচ্ছে। তাহলে তো আমাদের মত কৃষকদের সুবিধাই হবে। কারণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রেখে সুবিধামতো সময়ে বিক্রি করতে পারব।’
পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের কৃষক বাদশা শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক মণ পেঁয়াজে উৎপাদন খরচ পড়ে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। বর্তমানে বাজারে দাম পাচ্ছি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে। এখন লোকসান গেলেও করার কিছু নাই। এই পেঁয়াজ আমরা ঘরে রাখতে পারব না। ঘরে রাখলে পচে যাবে, তার জন্য কমদামেই বিক্রি করে দিচ্ছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি-আলু চাষিদের জন্য আলু সংরক্ষণের জন্য যে ঘর করে দিছে, আমাদের পেঁয়াজ রাখার জন্য এই ঘর যেন তৈরি করে দেয়। আমরা ওই ঘরে পেঁয়াজ রেখে দেব, বাজারে যখন বেশি দাম হবে তখন বিক্রি করব।’
রাজবাড়ী কৃষি বিভাগ বলছে, রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণের জন্য কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ২০টি আধুনিক ঘর। প্রতি ঘরে ৩০০ মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষণাগারের কাজ শেষ হলে কাঙ্ক্ষিত দাম পাবে চাষিরা।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর এই জেলা পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের ২য় অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবছরই পেঁয়াজ আবাদ বাড়ছে এই জেলায়। এই জেলায় মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায় সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন না হওয়ার কারণে। এতে করে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘কৃষকদের কথা মাথায় রেখে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন ও বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কালুখালী উপজেলায় বিভিন্ন কৃষকের বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ২০টি আধুনিক ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে ঘর তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিটি ঘরে ৩০০ মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। ২০টি ঘরে প্রায় ২৪০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবেন কৃষকেরা। পেঁয়াজ সংরক্ষণ ঘর নির্মাণ হলে কৃষকেরা ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং তারা লাভবান হবে।’
রাজধানীর মিরপুরে বাবার সামনে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রিফাত খান (২১) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ২টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বরের সি ব্লকের ৯ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় যুবককে রক্ষা করতে গিয়ে তাঁর বাবা আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনেরা যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
৫ মিনিট আগেআজ সোমবার গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বাজার ও দোকানপাট সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পাহাড়জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
১১ মিনিট আগেবিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য সেবার মান উন্নয়ন ও যাত্রীদের অভিজ্ঞতা জানতে সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ গণশুনানির আয়োজন করেছে। আজ সোমবার বিমানবন্দরের ডিপার্চার লাউঞ্জে এ গণশুনানি হয়। এতে বিমানবন্দরে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থা, অংশীজন ও যাত্রীরা অংশ নেন।
২০ মিনিট আগেখুলনার ফুলতলা উপজেলায় গাজী সাদিকুল ইসলাম হত্যা মামলার ১২ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বিকেলে খুলনার একটি আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। থানা-পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকালে আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে একটি গাড়িতে করে আদালতে যাচ্ছিলেন মামলার আসামিরা। এদিকে সংবাদ পেয়ে র্যাবের এ
২৩ মিনিট আগে