প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
দুই সপ্তাহের বেশি সময় পানিবন্দী। প্রথমে বাড়ির চারপাশে ওঠে পানি। এরপর বাড়ির উঠানে। কয়েক দিনের মধ্যেই ঘরের মধ্যে পানি উঠে আসে। রান্না ঘর এখন পানির নিচে। ফলে ঘরের চৌকির ওপরে এক সপ্তাহের বেশি সময় রান্নার কাজ করতে হচ্ছে। আমার স্বামী অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করত। মাঠঘাট তলিয়ে যাওয়ায় এখন কাজ নাই। বেকার বসে আছেন। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা তো কোন খবর নেয় না। এভাবেই অসহায়ের মতো কথাগুলো বলছিলেন রাজবাড়ির বরাট গ্রামের ফুলজান বেগম।
জানা গেছে, পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যাকবলিতদের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ৬৭ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী অসহায় মানুষগুলোকে কোমর অথবা হাঁটু পানির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। যাতায়াতের পথঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা অথবা কলাগাছের ভেলায় করে যাতায়াত করছেন তাঁরা। জেলার ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী থাকায় পানিবাহিত নানা ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও পশু খাদ্যেরও সংকট তৈরি হচ্ছে। তলিয়ে গেছে সবজি খেতসহ বিভিন্ন ফসলের জমি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আবার অনেক এলাকায় ত্রাণ পৌঁছায়নি।
মিজানপুর ইউনিয়নের আসমা খাতুন বলেন, ঘরের ভেতরে পানি উঠে গেছে। ছেলেমেয়ে খাবারের জন্য কান্নাকাটি করছে। চুলা এখন পানির নিচে। রান্না করতে পারছি না। সেই সঙ্গে সাপের ভয়ও রয়েছে।
রফিক মোল্লা নামে আরেকজন বলেন, নিজেরা দুই বেলা খেতে পারলেও গরু-ছাগল নিয়ে মহাবিপদে আছি। মাঠ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার ঘাস নেই। রাজবাড়ী শহরে এসে বাড়তি দামে কিছু ঘাস কিনে গরু-ছাগলকে খেতে দিচ্ছি। আমাদের খবর কেউ নেয় না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্টেই পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে ৭৭ সেন্টিমিটার হয়েছে। এ ছাড়া পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার, সদরের মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি বইছে। আগামী আরও দুই দিন পদ্মার পানি বাড়বে। এতে করে আরও কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, পানিবন্দীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার পানিবন্দীদের তালিকা করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী সাড়ে ৭ হাজার পরিবারের জন্য ১০ টন চাল ও ২ লাখ টাকা নগদ প্রদান করা হয়।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় পানিবন্দী। প্রথমে বাড়ির চারপাশে ওঠে পানি। এরপর বাড়ির উঠানে। কয়েক দিনের মধ্যেই ঘরের মধ্যে পানি উঠে আসে। রান্না ঘর এখন পানির নিচে। ফলে ঘরের চৌকির ওপরে এক সপ্তাহের বেশি সময় রান্নার কাজ করতে হচ্ছে। আমার স্বামী অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করত। মাঠঘাট তলিয়ে যাওয়ায় এখন কাজ নাই। বেকার বসে আছেন। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা তো কোন খবর নেয় না। এভাবেই অসহায়ের মতো কথাগুলো বলছিলেন রাজবাড়ির বরাট গ্রামের ফুলজান বেগম।
জানা গেছে, পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যাকবলিতদের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ৬৭ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী অসহায় মানুষগুলোকে কোমর অথবা হাঁটু পানির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। যাতায়াতের পথঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা অথবা কলাগাছের ভেলায় করে যাতায়াত করছেন তাঁরা। জেলার ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী থাকায় পানিবাহিত নানা ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও পশু খাদ্যেরও সংকট তৈরি হচ্ছে। তলিয়ে গেছে সবজি খেতসহ বিভিন্ন ফসলের জমি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আবার অনেক এলাকায় ত্রাণ পৌঁছায়নি।
মিজানপুর ইউনিয়নের আসমা খাতুন বলেন, ঘরের ভেতরে পানি উঠে গেছে। ছেলেমেয়ে খাবারের জন্য কান্নাকাটি করছে। চুলা এখন পানির নিচে। রান্না করতে পারছি না। সেই সঙ্গে সাপের ভয়ও রয়েছে।
রফিক মোল্লা নামে আরেকজন বলেন, নিজেরা দুই বেলা খেতে পারলেও গরু-ছাগল নিয়ে মহাবিপদে আছি। মাঠ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার ঘাস নেই। রাজবাড়ী শহরে এসে বাড়তি দামে কিছু ঘাস কিনে গরু-ছাগলকে খেতে দিচ্ছি। আমাদের খবর কেউ নেয় না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্টেই পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে ৭৭ সেন্টিমিটার হয়েছে। এ ছাড়া পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার, সদরের মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি বইছে। আগামী আরও দুই দিন পদ্মার পানি বাড়বে। এতে করে আরও কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, পানিবন্দীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার পানিবন্দীদের তালিকা করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী সাড়ে ৭ হাজার পরিবারের জন্য ১০ টন চাল ও ২ লাখ টাকা নগদ প্রদান করা হয়।
দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং পর্যটনকেন্দ্র আগামীকাল (১ অক্টোবর) থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। তবে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অবস্থিত এই পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে যেতে হলে পর্যটকদের কিছু শর্ত মানতে হবে।
৯ মিনিট আগেপূজা শেষে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ বলেন, কুমারী পূজা আসলে মাতৃভাবের মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা। জীবন্ত কুমারী কন্যাকে প্রতিমারূপে পূজা করার মধ্য দিয়ে জগজ্জননীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুর জেলা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে শরীয়তপুরের সাধারণ মানুষ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অরাজনৈতিক সংগঠন ‘জাগো শরীয়তপুর’ এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে একসঙ্গে পোলট্রি ও মাছ চাষ (সমন্বিত খামার)। খামারগুলোর নিচে মাছ চাষ, ওপরে মুরগির খামার—এই ব্যবস্থায় দ্রুত লাভবান হলেও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে