প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত টিম। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তিন ভাগে তারা এসব ঘর পরিদর্শন করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হুমায়ূন কবির, কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, জেলার ডিআরও কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাঈল রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মণ্ডল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির, ধানখালী ইউপির চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার, মিঠাগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন হিরণ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমে মুজিব শতবর্ষের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), জেলার ডিআরও কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা তিন ভাগ হয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক ঘর পরিদর্শন করেন।
এ সময় গরিব অসহায় ভূমিহীনদের ঘর পাইয়ে দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে কি না এবং এসব ঘরে অবকাঠামোগত কোনো সমস্যা আছে কি না, সে বিষয়ে ঘুরে দেখেন এবং ঘরে ওঠা সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নেন।
পরিদর্শন শেষে বিকেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী কর্মকর্তা, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান এবং কলাপাড়ায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন।
ধানখালীর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান, বঙ্গবন্ধুর নামের ঘরে দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পাবে না। নিজের ইউনিয়নে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে এ কার্যক্রম হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসানাত মো. শহীদুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, কলাপাড়া উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৬০টি ঘর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, অসহায়, স্বামী পরিত্যক্ত ও গৃহহীন গরিব মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে এ ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির বলেন, মুজিব শতবর্ষের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৬৫০টির মধ্যে ১০২টি ঘর পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট সবার লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত টিম। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তিন ভাগে তারা এসব ঘর পরিদর্শন করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হুমায়ূন কবির, কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, জেলার ডিআরও কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাঈল রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মণ্ডল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির, ধানখালী ইউপির চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার, মিঠাগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন হিরণ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমে মুজিব শতবর্ষের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), জেলার ডিআরও কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা তিন ভাগ হয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক ঘর পরিদর্শন করেন।
এ সময় গরিব অসহায় ভূমিহীনদের ঘর পাইয়ে দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে কি না এবং এসব ঘরে অবকাঠামোগত কোনো সমস্যা আছে কি না, সে বিষয়ে ঘুরে দেখেন এবং ঘরে ওঠা সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নেন।
পরিদর্শন শেষে বিকেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী কর্মকর্তা, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান এবং কলাপাড়ায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন।
ধানখালীর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান, বঙ্গবন্ধুর নামের ঘরে দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পাবে না। নিজের ইউনিয়নে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে এ কার্যক্রম হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসানাত মো. শহীদুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, কলাপাড়া উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৬০টি ঘর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, অসহায়, স্বামী পরিত্যক্ত ও গৃহহীন গরিব মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে এ ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির বলেন, মুজিব শতবর্ষের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৬৫০টির মধ্যে ১০২টি ঘর পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট সবার লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
এনসিপি কোনো জোটে বিশ্বাসী নয়, তবে আমাদের সঙ্গে যদি কেউ আসতে চায় সংস্কারের প্রশ্নে, আমরা তাদের জোটে নেব। কিন্তু পার্লামেন্টের সিট ভাগাভাগি করে সেই খন্দকার মোশতাক হতে আমরা আসিনি।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিএমপির খিলক্ষেত থানায় আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী সাবেক সেনাসদস্য মোহাম্মদ মোরশেদ আলম খান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরে খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকায় আজ দুপুরে অভিযান চালিয়ে সৌরভ ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাজিদ হাসান সৌরভ ও একই উপজেলার কুড়াতলা গ্রামের কামরুল মুন্সির ছেলে রাসেল মুন্সি। তাঁরা বর্তমানে খিলক্ষেতের পূর্ব নামাপাড়ার বাবুলের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী সাবেক সেনাসদস্য জানান, একটি অপরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে নওশিন (২৬) নামের এক নারীর সঙ্গে পরিচয় ও কথাবার্তা হতো তাঁর। একপর্যায়ে নওশিন তাঁকে দেখা করার প্রস্তাব দেন। পরে তিনি গত ৬ অক্টোবর বেলা ১১টায় খিলক্ষেতের বটতলা এলাকায় দেখা করেন। তারপর তাঁকে খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকার বাবুলের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান ওই নারী।
সেখানে যাওয়া মাত্রই সৌরভ, রাসেল, জাফর, তালহাসহ তাঁদের আরও দুই থেকে তিনজন সহযোগী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগী মোরশেদ আলমকে মারধর করে পকেট থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। তারপর তাঁর বিকাশ থেকে ৫ হাজার ৫০ টাকা নেন। এ ছাড়া তাঁর অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। না দিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দৃশ্য ছড়িয়ে দেওয়া ও হত্যার হুমকি দেন।
অতঃপর আটকে রেখে তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা নিয়ে নেন। এর পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছেড়ে দেন। ওই সময় থানা-পুলিশ করলে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশিকুর রহমান দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নারী দিয়ে ডেকে নিয়ে মারধর করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পরপর খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৌরভ ও রাসেল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে সঙ্গে চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিএমপির খিলক্ষেত থানায় আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ভুক্তভোগী সাবেক সেনাসদস্য মোহাম্মদ মোরশেদ আলম খান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরে খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকায় আজ দুপুরে অভিযান চালিয়ে সৌরভ ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাজিদ হাসান সৌরভ ও একই উপজেলার কুড়াতলা গ্রামের কামরুল মুন্সির ছেলে রাসেল মুন্সি। তাঁরা বর্তমানে খিলক্ষেতের পূর্ব নামাপাড়ার বাবুলের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী সাবেক সেনাসদস্য জানান, একটি অপরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে নওশিন (২৬) নামের এক নারীর সঙ্গে পরিচয় ও কথাবার্তা হতো তাঁর। একপর্যায়ে নওশিন তাঁকে দেখা করার প্রস্তাব দেন। পরে তিনি গত ৬ অক্টোবর বেলা ১১টায় খিলক্ষেতের বটতলা এলাকায় দেখা করেন। তারপর তাঁকে খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকার বাবুলের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান ওই নারী।
সেখানে যাওয়া মাত্রই সৌরভ, রাসেল, জাফর, তালহাসহ তাঁদের আরও দুই থেকে তিনজন সহযোগী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগী মোরশেদ আলমকে মারধর করে পকেট থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। তারপর তাঁর বিকাশ থেকে ৫ হাজার ৫০ টাকা নেন। এ ছাড়া তাঁর অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। না দিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দৃশ্য ছড়িয়ে দেওয়া ও হত্যার হুমকি দেন।
অতঃপর আটকে রেখে তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫২০ টাকা নিয়ে নেন। এর পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছেড়ে দেন। ওই সময় থানা-পুলিশ করলে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশিকুর রহমান দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নারী দিয়ে ডেকে নিয়ে মারধর করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পরপর খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৌরভ ও রাসেল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে সঙ্গে চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত টিম। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তিন ভাগে তারা এসব ঘর পরিদর্শন করেন।
২৮ জুলাই ২০২১
এনসিপি কোনো জোটে বিশ্বাসী নয়, তবে আমাদের সঙ্গে যদি কেউ আসতে চায় সংস্কারের প্রশ্নে, আমরা তাদের জোটে নেব। কিন্তু পার্লামেন্টের সিট ভাগাভাগি করে সেই খন্দকার মোশতাক হতে আমরা আসিনি।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতদের জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) স্বাগত জানানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘বিএনপির যাঁরা মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশ পন্থায় বিশ্বাস করেন, ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে যাঁরা দায়িত্ব নিতে চান, আমরা তাঁদের এনসিপিতে ওয়েলকাম জানাচ্ছি।’
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এনসিপির মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘কে জিতবে, কে হারবে, সেটা মুখ্য নয়; আমরা চাই, জনগণের ভোট যেন নির্বাচনে জিতে যায়। নির্বাচনকে আমাদের জেতাতে হবে, নির্বাচনব্যবস্থাকে জেতাতে হবে।’
বিএনপি প্রার্থীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘আমরা এমন এক মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছি, যারা নিজ দলের লোকদের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করতে পিছপা হয় না।
‘যারা গুলি না খেতে চান এই বাংলাদেশে... তারা এই অস্ত্রের রাজনীতিতে, পেশিশক্তির রাজনীতিতে নিজের সম্ভাবনাটাকে নষ্ট করবেন না। এই অস্ত্রের রাজনীতি আর পেশিশক্তির রাজনীতি দিয়ে আপনাদের নিজেদের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেটা নষ্ট করবেন না।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘এই মাফিয়াতন্ত্র বিএনপির রাজনীতি, এই চাঁদাবাজির রাজনীতিতে মানুষ এলাকায়-এলাকায় অতিষ্ঠ। মামলা-বাণিজ্য দিয়ে একদম ভরিয়ে ফেলেছে। কোরামবাজি, গ্রুপিং—মানুষ আতঙ্কে আছে। মানুষ আতঙ্কে আছে যে, তারা ভোট দিতে যাবে কি না। আমরা শুনছি, ব্যালট বাক্স নাকি ১২টার মধ্যে ভরে ফেলা হবে, ব্যালট বাক্স নাকি ১২টার মধ্যে ছিনতাই করে ফেলা হবে।’
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা বলতে চাই, একজন হাসনাত আবদুল্লাহ, আমরা যদি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি, আপনাদের সমস্ত শক্তি দিয়েও আমাদের ব্যালটের জয় আপনারা ঠেকাতে পারবেন না। মাফিয়াতন্ত্র, আপনারা বুলেট দিয়ে...যেখানে ব্যালট শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল, সেখানে আজকে চট্টগ্রামে বুলেট শক্তিশালী হয়েছে।
‘যারা ব্যালটের পরিবর্তে বুলেটকে বেছে নিয়েছে, আমরা তাদের বিচার করব। যারা ব্যালটের পরিবর্তে বুলেট বেছে নিয়েছে এবং বাংলাদেশকে সংকটে ফেলেছে, আমরা সরকার গঠন করার পর তাদের বিচার করব।’
আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘এনসিপি কোনো জোটে বিশ্বাসী নয়, তবে আমাদের সঙ্গে যদি কেউ আসতে চায় সংস্কারের প্রশ্নে, আমরা তাদের জোটে নেব। কিন্তু পার্লামেন্টের সিট ভাগাভাগি করে সেই খন্দকার মোশতাক হতে আমরা আসিনি। আমরা লড়ব, স্বচ্ছ লড়াই করে প্রয়োজনে হারব। যে জিতবে, তাকে সমর্থন দেব।
‘কিন্তু কারও বগলের নিচে গিয়ে মন্ত্রিত্ব নেব না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রাজপথকে সংসদ বানাব। আমাদের সংসদ হচ্ছে রাজপথ। আমাদের শক্তি হচ্ছে জনগণ। রাজনৈতিক সততা হচ্ছে আমাদের ইনভেস্টমেন্ট। পর্দার আড়ালের কোনো নেগোসিয়েশনে আমরা বিশ্বাস করি না।’
মহানগর এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ এস এম সুজাউদ্দিন, উত্তর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী সাগুপ্তা বুশরা মিশমা, দক্ষিণ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসান আলী প্রমুখ।
এর আগে হাসনাত আবদুল্লাহ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা ‘শাপলা কলি’ হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তিনি ৭ নভেম্বর পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগে তিন দিন সাংগঠনিক সফর করবেন।

বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতদের জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) স্বাগত জানানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘বিএনপির যাঁরা মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশ পন্থায় বিশ্বাস করেন, ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে যাঁরা দায়িত্ব নিতে চান, আমরা তাঁদের এনসিপিতে ওয়েলকাম জানাচ্ছি।’
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এনসিপির মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘কে জিতবে, কে হারবে, সেটা মুখ্য নয়; আমরা চাই, জনগণের ভোট যেন নির্বাচনে জিতে যায়। নির্বাচনকে আমাদের জেতাতে হবে, নির্বাচনব্যবস্থাকে জেতাতে হবে।’
বিএনপি প্রার্থীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘আমরা এমন এক মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছি, যারা নিজ দলের লোকদের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করতে পিছপা হয় না।
‘যারা গুলি না খেতে চান এই বাংলাদেশে... তারা এই অস্ত্রের রাজনীতিতে, পেশিশক্তির রাজনীতিতে নিজের সম্ভাবনাটাকে নষ্ট করবেন না। এই অস্ত্রের রাজনীতি আর পেশিশক্তির রাজনীতি দিয়ে আপনাদের নিজেদের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেটা নষ্ট করবেন না।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘এই মাফিয়াতন্ত্র বিএনপির রাজনীতি, এই চাঁদাবাজির রাজনীতিতে মানুষ এলাকায়-এলাকায় অতিষ্ঠ। মামলা-বাণিজ্য দিয়ে একদম ভরিয়ে ফেলেছে। কোরামবাজি, গ্রুপিং—মানুষ আতঙ্কে আছে। মানুষ আতঙ্কে আছে যে, তারা ভোট দিতে যাবে কি না। আমরা শুনছি, ব্যালট বাক্স নাকি ১২টার মধ্যে ভরে ফেলা হবে, ব্যালট বাক্স নাকি ১২টার মধ্যে ছিনতাই করে ফেলা হবে।’
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা বলতে চাই, একজন হাসনাত আবদুল্লাহ, আমরা যদি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি, আপনাদের সমস্ত শক্তি দিয়েও আমাদের ব্যালটের জয় আপনারা ঠেকাতে পারবেন না। মাফিয়াতন্ত্র, আপনারা বুলেট দিয়ে...যেখানে ব্যালট শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল, সেখানে আজকে চট্টগ্রামে বুলেট শক্তিশালী হয়েছে।
‘যারা ব্যালটের পরিবর্তে বুলেটকে বেছে নিয়েছে, আমরা তাদের বিচার করব। যারা ব্যালটের পরিবর্তে বুলেট বেছে নিয়েছে এবং বাংলাদেশকে সংকটে ফেলেছে, আমরা সরকার গঠন করার পর তাদের বিচার করব।’
আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘এনসিপি কোনো জোটে বিশ্বাসী নয়, তবে আমাদের সঙ্গে যদি কেউ আসতে চায় সংস্কারের প্রশ্নে, আমরা তাদের জোটে নেব। কিন্তু পার্লামেন্টের সিট ভাগাভাগি করে সেই খন্দকার মোশতাক হতে আমরা আসিনি। আমরা লড়ব, স্বচ্ছ লড়াই করে প্রয়োজনে হারব। যে জিতবে, তাকে সমর্থন দেব।
‘কিন্তু কারও বগলের নিচে গিয়ে মন্ত্রিত্ব নেব না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রাজপথকে সংসদ বানাব। আমাদের সংসদ হচ্ছে রাজপথ। আমাদের শক্তি হচ্ছে জনগণ। রাজনৈতিক সততা হচ্ছে আমাদের ইনভেস্টমেন্ট। পর্দার আড়ালের কোনো নেগোসিয়েশনে আমরা বিশ্বাস করি না।’
মহানগর এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ এস এম সুজাউদ্দিন, উত্তর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী সাগুপ্তা বুশরা মিশমা, দক্ষিণ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসান আলী প্রমুখ।
এর আগে হাসনাত আবদুল্লাহ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা ‘শাপলা কলি’ হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তিনি ৭ নভেম্বর পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগে তিন দিন সাংগঠনিক সফর করবেন।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত টিম। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তিন ভাগে তারা এসব ঘর পরিদর্শন করেন।
২৮ জুলাই ২০২১
রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
বিএনপি প্রার্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন এক ডজনের বেশি মামলার আসামি সরওয়ার বাবলা (৪৩)। তাঁর গায়ে ছিল সাদা প্যান্ট ও গেঞ্জি। গেঞ্জির পেছনে বড় অক্ষরের ইংরেজি লেখা। বাবলার পিঠের কাছাকাছি একজন সেলফিতে ব্যস্ত, আচমকা পেছন থেকে একটি হাত ওঠে, বাড়ন্ত ওই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাস ঠাস আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সংখ্যায় তাঁরা আটজনের মতো ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ইসমাইল জানান, গণসংযোগকালে সাত থেকে আটজনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পিতা আবদুল কাদের ও ভাই মো. আজিজ আহাজারি করে বলেন, ‘এভাবে গুলি করে বাবলাকে মারার ঘটনা নজিরবিহীন। কার কাছে বিচার চাইব?’
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন জানান, গণসংযোগের প্রচারণা দলের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। কেউ কোনো কিছু আঁচ করতে পারেনি এ কারণে।
এ ঘটনায় পাশে থাকা বিএনপি প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে শান্ত নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। সবাইকে কাছাকাছি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা বাবলাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুজন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনজনের মধ্যে সরোয়ার বাবলা মারা গেছেন। অন্য দুজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত দুজনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’ যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেয় সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে মাগরিবের নামাজের পরপর শুরু হওয়া নির্বাচনী গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
বিএনপি প্রার্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন এক ডজনের বেশি মামলার আসামি সরওয়ার বাবলা (৪৩)। তাঁর গায়ে ছিল সাদা প্যান্ট ও গেঞ্জি। গেঞ্জির পেছনে বড় অক্ষরের ইংরেজি লেখা। বাবলার পিঠের কাছাকাছি একজন সেলফিতে ব্যস্ত, আচমকা পেছন থেকে একটি হাত ওঠে, বাড়ন্ত ওই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাস ঠাস আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সংখ্যায় তাঁরা আটজনের মতো ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ইসমাইল জানান, গণসংযোগকালে সাত থেকে আটজনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পিতা আবদুল কাদের ও ভাই মো. আজিজ আহাজারি করে বলেন, ‘এভাবে গুলি করে বাবলাকে মারার ঘটনা নজিরবিহীন। কার কাছে বিচার চাইব?’
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন জানান, গণসংযোগের প্রচারণা দলের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। কেউ কোনো কিছু আঁচ করতে পারেনি এ কারণে।
এ ঘটনায় পাশে থাকা বিএনপি প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে শান্ত নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। সবাইকে কাছাকাছি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা বাবলাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুজন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনজনের মধ্যে সরোয়ার বাবলা মারা গেছেন। অন্য দুজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত দুজনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’ যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেয় সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে মাগরিবের নামাজের পরপর শুরু হওয়া নির্বাচনী গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত টিম। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তিন ভাগে তারা এসব ঘর পরিদর্শন করেন।
২৮ জুলাই ২০২১
রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
এনসিপি কোনো জোটে বিশ্বাসী নয়, তবে আমাদের সঙ্গে যদি কেউ আসতে চায় সংস্কারের প্রশ্নে, আমরা তাদের জোটে নেব। কিন্তু পার্লামেন্টের সিট ভাগাভাগি করে সেই খন্দকার মোশতাক হতে আমরা আসিনি।
৮ মিনিট আগে
বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা বেগম (২৮) ও বিপুল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিপুল শামিমার মামাতো ভাই।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে হাজরাদীঘি গ্রামের একটি ধানখেতে জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। নিহত যুবকের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। লাশ উদ্ধারের পর নিহত যুবকের স্ত্রী পুলিশকে জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে কে বা কারা জহুরুলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে জহুরুল আর ফিরে আসেননি। কিন্তু পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তিগত তদন্ত করে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা ও তাঁর মামাতো ভাই পার্শ্ববর্তী অন্তাহার গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে বিপুল হোসেনকে সন্দেহ করে। পরে আজ ভোরে নিহত জহুরুলের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী শামিমা ও বিপুলকে আটক করে।
থানায় দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা পুলিশকে জানান, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী একে অপরের মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। আর জহুরুল ও বিপুল একে অপরের খালাতো ভাই। জহুরুল ইসলামের বাড়ি কাহালু উপজেলায় হলেও বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকেই তিনি মামার বাড়ি হাজরাদীঘি গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি পেশায় বেকারি পণ্যসামগ্রী পরিবহনের ভ্যানচালক আর বিপুল পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। জহুরুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৫ বছর আগে। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই বিপুলের সঙ্গে শামিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরেও তাঁরা প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপুল মাঝেমধ্যে শামিমার বাড়িতে আসতেন। শামিমার বাবা বিপুল ও জহুরুলের মামা হওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখতেন না। কিন্তু বিপুলের যাতায়াত পছন্দ করতেন না জহুরুল। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে জহুরুলের দাম্পত্যকলহ লেগেই থাকত। শামিমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিপুল তাঁকে একটি ছোট মোবাইল ফোন কিনে দেন। সেই ফোনটি শামিমা লুকিয়ে রাখতেন। এভাবে দীর্ঘদিন সম্পর্ক চলার একপর্যায় স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিপুলের সঙ্গে পরামর্শ করেন শামিমা। দুজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার রাতে শামিমা দুধের সঙ্গে কৌশলে তাঁর স্বামীকে ১৫টি ঘুমের বড়ি সেবন করান। কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে বিপুল শামিমার বাড়ি আসেন। এরপর বিপুল কাঁধে করে জহুরুলকে বাড়ি থেকে বের করে গ্রামের একটি মাঠে পরিত্যক্ত বাড়ির কাছে নিয়ে যান। এ সময় সঙ্গে শামিমাও সেখানে যান। এরপর জহুরুলের মাথা পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়ালের সঙ্গে কয়েকবার আঘাত করেন। একপর্যায়ে একটি পুরোনো স্যানিটারি প্যানের পরিত্যক্ত ভাঙা অংশ দিয়ে জহুরুলের মাথায় একাধিক আঘাত করে পাশের ধানখেতে ফেলে রেখে দুজন চলে যান।
পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান জানান, নিহত জহুরুলের মা-বাবার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ না থাকায় এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শামিমার বাবা শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য।

বগুড়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা বেগম (২৮) ও বিপুল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিপুল শামিমার মামাতো ভাই।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে হাজরাদীঘি গ্রামের একটি ধানখেতে জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। নিহত যুবকের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। লাশ উদ্ধারের পর নিহত যুবকের স্ত্রী পুলিশকে জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে কে বা কারা জহুরুলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে জহুরুল আর ফিরে আসেননি। কিন্তু পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তিগত তদন্ত করে নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা ও তাঁর মামাতো ভাই পার্শ্ববর্তী অন্তাহার গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে বিপুল হোসেনকে সন্দেহ করে। পরে আজ ভোরে নিহত জহুরুলের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী শামিমা ও বিপুলকে আটক করে।
থানায় দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত যুবকের স্ত্রী শামিমা পুলিশকে জানান, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী একে অপরের মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। আর জহুরুল ও বিপুল একে অপরের খালাতো ভাই। জহুরুল ইসলামের বাড়ি কাহালু উপজেলায় হলেও বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ছোটবেলা থেকেই তিনি মামার বাড়ি হাজরাদীঘি গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি পেশায় বেকারি পণ্যসামগ্রী পরিবহনের ভ্যানচালক আর বিপুল পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। জহুরুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৫ বছর আগে। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। জহুরুলের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই বিপুলের সঙ্গে শামিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরেও তাঁরা প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপুল মাঝেমধ্যে শামিমার বাড়িতে আসতেন। শামিমার বাবা বিপুল ও জহুরুলের মামা হওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখতেন না। কিন্তু বিপুলের যাতায়াত পছন্দ করতেন না জহুরুল। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে জহুরুলের দাম্পত্যকলহ লেগেই থাকত। শামিমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিপুল তাঁকে একটি ছোট মোবাইল ফোন কিনে দেন। সেই ফোনটি শামিমা লুকিয়ে রাখতেন। এভাবে দীর্ঘদিন সম্পর্ক চলার একপর্যায় স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিপুলের সঙ্গে পরামর্শ করেন শামিমা। দুজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার রাতে শামিমা দুধের সঙ্গে কৌশলে তাঁর স্বামীকে ১৫টি ঘুমের বড়ি সেবন করান। কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে বিপুল শামিমার বাড়ি আসেন। এরপর বিপুল কাঁধে করে জহুরুলকে বাড়ি থেকে বের করে গ্রামের একটি মাঠে পরিত্যক্ত বাড়ির কাছে নিয়ে যান। এ সময় সঙ্গে শামিমাও সেখানে যান। এরপর জহুরুলের মাথা পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়ালের সঙ্গে কয়েকবার আঘাত করেন। একপর্যায়ে একটি পুরোনো স্যানিটারি প্যানের পরিত্যক্ত ভাঙা অংশ দিয়ে জহুরুলের মাথায় একাধিক আঘাত করে পাশের ধানখেতে ফেলে রেখে দুজন চলে যান।
পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান জানান, নিহত জহুরুলের মা-বাবার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ না থাকায় এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শামিমার বাবা শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত টিম। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তিন ভাগে তারা এসব ঘর পরিদর্শন করেন।
২৮ জুলাই ২০২১
রাজধানীর খিলক্ষেতে সাবেক এক সেনাসদস্যকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে মারধর, অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাজিদ হাসান সৌরভ (৩০) ও রাসেল মুন্সি (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
এনসিপি কোনো জোটে বিশ্বাসী নয়, তবে আমাদের সঙ্গে যদি কেউ আসতে চায় সংস্কারের প্রশ্নে, আমরা তাদের জোটে নেব। কিন্তু পার্লামেন্টের সিট ভাগাভাগি করে সেই খন্দকার মোশতাক হতে আমরা আসিনি।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
২ ঘণ্টা আগে