Ajker Patrika

নীলফামারীর ডিমলা: খননে আরও ভয়ংকর নাউতারা

  • ২০২১ সালে নদী খননের পর ধস শুরু হয়, বিলীন হয় বসতভিটা, সড়ক, কৃষিজমি ও বিভিন্ন অবকাঠামো।
  • স্লুইসগেট দেবে অকেজো হয়ে গেছে, ধসে পড়েছে ৩টি সেতু, হেলে পড়ে আরও দুটি।
  • সেচ ও যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে গেছে, ভোগান্তিতে কৃষক, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরা।
  • পাঁচ বছর পরও নদীতে ভেঙে পড়া ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করা হয়নি।
মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ৪৪
ডিমলায় নাউতারা নদী খননের পর ৬ ফুট নিচে দেবে অকেজো হয়ে যায় স্লুইসগেট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডিমলায় নাউতারা নদী খননের পর ৬ ফুট নিচে দেবে অকেজো হয়ে যায় স্লুইসগেট। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভাঙন রোধে করা হয়েছিল নদী খনন; কিন্তু সেটাই এখন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা নদীর তীরের মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খননের পর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মানুষের বসতভিটা, কৃষিজমি, বাঁধ, সড়ক ও সরকারি অবকাঠামো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদীটি উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, গয়াবাড়ি ও নাউতারা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ২৫ কিলোমিটার। এটি একসময় কৃষির প্রাণশক্তি ছিল। কৃষকেরা নদীর পানিতে সেচ পেতেন, মাছ চাষ করে জীবনধারণ করতেন; কিন্তু খননের পর নদীর প্রাকৃতিক গতিপথে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক চ্যানেল। নদী বিভক্ত হয়ে ভাঙন সৃষ্টি করেছে আরও দ্রুত।

স্থানীয়রা বলছেন, নদী যেন তাদের স্বপ্ন, জীবন ও বাড়ি এক রাতের মধ্যে গ্রাস করে নিয়েছে।

২০০৭ সালে কৃষি সেচ সুবিধার জন্য উপজেলার পূর্ব ছাতনাই এলাকায় এলজিইডি একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করে। এর আশপাশে গড়ে উঠেছিল কৃষি ও মাছ চাষনির্ভর জনপদ। কিন্তু ২০২১ সালে নদী খননের পর ধস শুরু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত খননে স্লুইসগেট ৬ ফুট নিচে দেবে অকেজো হয়ে যায়, ধসে পড়ে তিনটি সেতু, হেলে পড়ে আরও দুটি। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ছাতনাই, মিয়াপাড়া ও মধ্যপাড়া এলাকার চার কিলোমিটার বাঁধ কাম সড়ক। জমি ও বসতবাড়ি হারিয়েছে নদীর আশপাশের শতাধিক পরিবার।

পাউবো সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নাউতারা নদীর ২৫ কিলোমিটার এলাকা খননের উদ্যোগ নেয়। খনন সম্পন্ন হয় ২০২১ সালে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, স্লুইসগেট ও সেতু ধসে পড়ে রয়েছে নদীতে। ফলে সেচ ও যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে গেছে।

বাজারে কৃষিপণ্য পৌঁছানো বন্ধ, মাছ চাষও বন্ধ রয়েছে। যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়ায় স্কুল, চিকিৎসা ও হাট-বাজারেও চরম দুর্ভোগ।

স্থানীয়রা জানান, ধস শুরুর পর পাঁচ বছর পার হয়েছে, তবুও ভাঙা স্লুইসগেট, সেতু ও সড়কের ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করা হয়নি।

নদীতীরবর্তী পূর্ব ছাতনাই এলাকার বাসিন্দা আলিয়ার রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘চোখের সামনে নদী সব গিলে ফেলল। রান্নাঘর, শোবার ঘর, বাচ্চাদের বই-খাতা—এক রাতেই শেষ। প্রাণ নিয়ে বাঁচলাম, কিন্তু ভিটে তো আর ফেরত পাওয়া যাবে না। এখন শেষসম্বল আবাদি ২ বিঘা জমিও নদী গিলছে।’

মিয়াপাড়ার কৃষক লাল মিয়া বলেন, ‘৩ বিঘা জমি ছিল। ধান-ভুট্টা চাষ করতাম। নদী সব নিয়ে গেছে। এখন মজুরি খেটে বাঁচি।’

শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে রহিমা বেগম নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘রাস্তা নাই, সেতু নাই বাজারে যাইতে পারি না, ডাক্তার দেখাইতে পারি না। সন্তান অসুস্থ হলে বুক ফেটে যায়, কিন্তু কিছু করার উপায় নাই।’

রাস্তা ভেঙে পড়ায় স্কুলগামী শিশুদের প্রতিদিন কাদা-পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার বলে, ‘স্কুলে কাদা মাড়িয়ে যেতে যেতে প্রায়ই দেরি হয়ে যায়। পড়াশোনায় মনও বসে না। অনেক সময় মনে হয়, আমাদের স্বপ্নও নদীর জলে তলিয়ে যাচ্ছে।’

জানা যায়, নদীভিত্তিক কৃষির সুবিধা কাজে লাগাতে এলজিইডি গড়ে তুলেছিল ‘ক্ষুদ্র পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’। পাঁচ শতাধিক সদস্যের সমিতি চাঁদা দিয়ে সেচব্যবস্থা চালাত, নদীতে মাছ চাষ করত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘খননের পর সবকিছু ভেঙে গেছে। আমাদের স্বপ্নই নদীর গর্ভে হারিয়ে গেছে। পাঁচ বছর পার হয়েছে, তবুও নদীতে ভেঙে পড়া ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করা হয়নি। এভাবে নদীর ভাঙন আরও ভয়াবহ হয়ে গেছে। আমাদের জীবন এখন অনিশ্চয়তার খাঁচায় বন্দী। সরকার যদি পাশে না দাঁড়ায়, এলাকা জনশূন্য হয়ে যাবে।’

সমিতির সদস্য মোক্তার আলী বলেন, ‘উন্নয়নের নামে নেওয়া উদ্যোগ যদি মানুষের জীবন, জীবিকা ও স্বপ্নকে নষ্ট করে, তবে সেটি কী সত্যিই উন্নয়ন? নাউতারা নদীর ভাঙনের গল্প যেন সে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে।’

নদী নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও’ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সোহেল হাসান বলেন, ‘নদী খননের আগে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন অত্যন্ত জরুরি। নাউতারায় সে নিয়ম মানা হয়নি। ফলে ভাঙন ঠেকাতে খনন প্রকল্পটি এখন পরিণত হয়েছে সর্বনাশের কারণ।’

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, খননের পর নদীতে ভেঙে পড়া অবকাঠামোর কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ভাঙন বাড়ছে। অবকাঠামোগুলো এলজিইডির আওতায়। তাই অপসারণ করা হয়নি। দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে পরিবেশগত মূল্যায়ন ও টেকসই প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি পরে যোগদান করেছি।’

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম ও জেলা প্রকৌশলী ফিরোজ হাসান কথা বলতে রাজি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ের দেড় মাসের মাথায় সড়কে ঝরল প্রবাসীর প্রাণ

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
নিহত নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
নিহত নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দেবিদ্বারে কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজমুল হাসান (২৮) নামের এক প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় উপজেলার বেগমাবাদ এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে।

নিহত যুবকের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ বেলা সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন নাজমুল। বেগমাবাদ এলাকায় এলে একটি পিকআপ ভ্যান তাঁর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে চলন্ত একটি কাভার্ড ভ্যানের নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

নিহত যুবকের ফুফাতো ভাই ফারুক হোসেন জানান, নাজমুল হাসান কুয়েতে কাজ করেন। প্রায় তিন মাস আগে ছুটিতে দেশে ফেরেন। দেড় মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। ১৫ দিন পর তাঁর বিদেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল। আজ ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট বাজার থেকে একটি টি-শার্ট কিনে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান নাজমুল।

নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বুক চাপড়ে বলেন, ‘ছেলেকে বিয়ে করিয়ে খুব আনন্দে ছিলাম। আনন্দটা বেশি দিন টিকল না।’

এ বিষয়ে মীরপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই আনিসুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর সড়কে যানজট হয়। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলা ও গুলি, নিহত ১

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আইটি গেটসংলগ্ন বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় এমদাদুল হক (৫৫) নামের এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫)। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসে ছিলেন।

এ সময় দুর্বৃত্তরা হঠাৎ অফিসে থাকা মামুন শেখকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।

প্রথম গুলি মিস হয়ে পাশে থাকা এমদাদুল হকের শরীরে বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এরপর সন্ত্রাসীরা আরও গুলি চালালে মামুন শেখ গুলিবিদ্ধ হন। তখন দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা গুরুতর আহত মামুনকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে যাচ্ছি। একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি।’

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়ী গেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় মুগডালে ক্ষতিকর রং, ৪ দোকানিকে লাখ টাকা জরিমানা

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় ৪ দোকানিকে জরিমানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়ায় ৪ দোকানিকে জরিমানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুগডালে ক্ষতিকর রঙের উপস্থিতি পাওয়ায় বগুড়ায় চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার শহরের ডালপট্টিতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে এই জরিমানা করা হয়।

অভিযানে শহরের ডালপট্টি এলাকার একাধিক দোকানে মুগডালে ক্ষতিকারক রং আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। অভিযানে চারটি দোকানের মুগডালে ক্ষতিকারক রঙের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

যদিও দোকানিরা বলছেন, তাঁরা প্রত্যেকে এই ডালগুলো রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে কিনেছেন। এগুলোর মধ্যে রংমিশ্রিত থাকে তা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোই ভালো বলতে পারবে। তাঁরা পাইকারি এনে সেভাবেই আবার বিক্রি করেন।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ রোববার আকস্মিক অভিযানে সব ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি দুই দোকানকে ৩০ হাজার করে এবং আরও দুই দোকানকে ২০ হাজার করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পাশাপাশি আজ সন্ধ্যার মধ্যে যাঁদের কাছে রংমিশ্রিত ডাল রয়েছে, সেসব বস্তা নিজ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী নেতারা ডালের বস্তাগুলো একত্র করে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।’

জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. রাসেল বলেন, মুগডালে যে রঙের উপস্থিতি তাঁরা অভিযানে পেয়েছেন, তা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোজ্যপণ্যে ভেজাল কিংবা ক্ষতিকারক এমন রং ব্যবহারের প্রচেষ্টা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অভিযানে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছাসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরগঞ্জের বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন আজকের পত্রিকার সাজন আহম্মেদ পাপন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয় আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজন আহম্মেদ পাপনের হাতে। ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয় আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজন আহম্মেদ পাপনের হাতে। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড (সংবাদপত্র) পেলেন আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজন আহম্মেদ পাপন। চলতি বছর আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘১৪ বছর ধরে অনির্বাচিত কমিটি, অচল কিশোরগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গন’ প্রতিবেদনের জন্য তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে শহরের রথখোলা এলাকায় এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে চার ক্যাটাগরিতে চারজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব।

পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন অনলাইন ক্যাটাগরিতে তাসলিমা আক্তার মিতু, মাল্টিমিডিয়ায় রাকিবুল হাসান রোকেল ও টেলিভিশনে রুমন চক্রবর্তী।

কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির রমজান আলী, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি আলমগীর হোসাইন তালুকদার, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. একরাম আহসান জুয়েল, হয়বতনগর আনওয়ারুল উলুম (এইউ) কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজিজুল হক, পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মুআ লতিফ, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসিম খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত