নীলফামারী প্রতিনিধি

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নেমেছেন নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। জেলার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত শম্পাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই দিন রাত ৮টার দিকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। এই কর্মসূচি আজ বুধবার সন্ধ্যারাতেও অব্যাহত থাকে। কর্মবিরতি চলাকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে তানহা (১৪) নামের এক কিশোরীকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সে চিকিৎসাধীন ছিল মুক্তিযোদ্ধা কেবিনে। ওই রোগীর বাবা নীলফামারী সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামীম শাহ আলম তমু ও চাচা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা।
শামীম ও বাবলা মেডিসিন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত শম্পার কাছে রোগীকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিতে বলেন। তিনি ওই রোগীকে শিশু ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসককে দেখাতে বলেন। এতে চিকিৎসকের সঙ্গে বাকতিন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এই দুই অভিভাবক। একপর্যায়ে তাঁরা ওই নারী চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়ে লাঞ্ছিত করেন ও কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া তাঁরা চিকিৎসককে লাঞ্ছিতের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। এ ঘটনায় আহত চিকিৎসককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক আহসান হাবিব বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী সুরাইয়া জান্নাত শম্পাকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তার করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনে যাব।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত শম্পা বলেন, ‘মেডিসিন ওয়ার্ডে চারজন জটিল রোগীকে ভর্তি করছিলাম। এ সময় শামীম নামের এক ব্যক্তি এসে তাঁর মেয়েকে দেখতে বলেন। আমি তাঁকে অনুরোধ করেছি জটিল চার রোগীকে দেখে ও ভর্তি করে আপনার মেয়েকে দেখছি। এতে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ফাইল নিয়ে দেখি ওনার মেয়েকে ইমার্জেন্সি থেকে শিশু ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। এরপরও মেয়েকে দেখে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে বলি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় আমি ডিউটি রুমে চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর শামীম ও তাঁর বড় ভাই বাবলা ডিউটি রুমে এসে পুনরায় আমার ওপর চড়াও হয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে থাকেন। তাদেরকে নিষেধ করলে আক্রমণাত্মক হয়ে আমার শরীরে আঘাত ও হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে কক্ষে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। পরে হাসপাতালে থাকা রোগীর অন্য স্বজন এবং একজন ওয়ার্ড বয় এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’
চিকিৎসক শম্পার সহকর্মী আফসানা মিমি বলেন, ‘বাবলা ও শামীম দেড় মাস আগে বিনা কারণে আমার ওপর ও এক সিনিয়র নার্সের ওপর চড়াও হয়ে গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় হাসপাতালের স্টাফরা এগিয়ে আসায় পালিয়ে যান তাঁরা। ওই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ব্যবস্থা নেওয়া হলে পুনরায় চিকিৎসক লাঞ্ছিতের সাহস পেতেন না।’
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আরিফুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করা, মামলা করা, সবকিছু প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি সবকিছু নিয়ম মাফিক হবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা বলেন, ‘আমার ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত। আমার ভাতিজি মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারালে তাঁকে হাসপাতালে আনি। জরুরি বিভাগ থেকে রোগীকে শিশু ওয়ার্ডে নিতে বলা হয়। শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় নার্সের পরামর্শে কেবিনে ভাতিজিকে রেখে চিকিৎসকের ডিউটি কক্ষে যায় আমার ভাই। এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত শম্পাকে রোগী দেখার অনুরোধ করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। আমরা তাঁকে অনুরোধ করতে থাকলে তিনি মোবাইল ফোন বের করে আমাদের ছবি তোলেন। আবারও রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার অনুরোধ করা হলে তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় উপস্থিত রোগী এবং স্বজনেরা চিকিৎসকসহ হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে অভিযোগ করতে থাকলে তা নিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফেসবুকে লাইভ করি। এতে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।’

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নেমেছেন নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। জেলার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত শম্পাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই দিন রাত ৮টার দিকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। এই কর্মসূচি আজ বুধবার সন্ধ্যারাতেও অব্যাহত থাকে। কর্মবিরতি চলাকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে তানহা (১৪) নামের এক কিশোরীকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সে চিকিৎসাধীন ছিল মুক্তিযোদ্ধা কেবিনে। ওই রোগীর বাবা নীলফামারী সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামীম শাহ আলম তমু ও চাচা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা।
শামীম ও বাবলা মেডিসিন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত শম্পার কাছে রোগীকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিতে বলেন। তিনি ওই রোগীকে শিশু ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসককে দেখাতে বলেন। এতে চিকিৎসকের সঙ্গে বাকতিন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এই দুই অভিভাবক। একপর্যায়ে তাঁরা ওই নারী চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়ে লাঞ্ছিত করেন ও কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া তাঁরা চিকিৎসককে লাঞ্ছিতের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। এ ঘটনায় আহত চিকিৎসককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক আহসান হাবিব বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী সুরাইয়া জান্নাত শম্পাকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তার করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনে যাব।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত শম্পা বলেন, ‘মেডিসিন ওয়ার্ডে চারজন জটিল রোগীকে ভর্তি করছিলাম। এ সময় শামীম নামের এক ব্যক্তি এসে তাঁর মেয়েকে দেখতে বলেন। আমি তাঁকে অনুরোধ করেছি জটিল চার রোগীকে দেখে ও ভর্তি করে আপনার মেয়েকে দেখছি। এতে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ফাইল নিয়ে দেখি ওনার মেয়েকে ইমার্জেন্সি থেকে শিশু ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। এরপরও মেয়েকে দেখে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে বলি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় আমি ডিউটি রুমে চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর শামীম ও তাঁর বড় ভাই বাবলা ডিউটি রুমে এসে পুনরায় আমার ওপর চড়াও হয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে থাকেন। তাদেরকে নিষেধ করলে আক্রমণাত্মক হয়ে আমার শরীরে আঘাত ও হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে কক্ষে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। পরে হাসপাতালে থাকা রোগীর অন্য স্বজন এবং একজন ওয়ার্ড বয় এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’
চিকিৎসক শম্পার সহকর্মী আফসানা মিমি বলেন, ‘বাবলা ও শামীম দেড় মাস আগে বিনা কারণে আমার ওপর ও এক সিনিয়র নার্সের ওপর চড়াও হয়ে গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় হাসপাতালের স্টাফরা এগিয়ে আসায় পালিয়ে যান তাঁরা। ওই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ব্যবস্থা নেওয়া হলে পুনরায় চিকিৎসক লাঞ্ছিতের সাহস পেতেন না।’
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আরিফুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করা, মামলা করা, সবকিছু প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি সবকিছু নিয়ম মাফিক হবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা বলেন, ‘আমার ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত। আমার ভাতিজি মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারালে তাঁকে হাসপাতালে আনি। জরুরি বিভাগ থেকে রোগীকে শিশু ওয়ার্ডে নিতে বলা হয়। শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় নার্সের পরামর্শে কেবিনে ভাতিজিকে রেখে চিকিৎসকের ডিউটি কক্ষে যায় আমার ভাই। এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক সুরাইয়া জান্নাত শম্পাকে রোগী দেখার অনুরোধ করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। আমরা তাঁকে অনুরোধ করতে থাকলে তিনি মোবাইল ফোন বের করে আমাদের ছবি তোলেন। আবারও রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার অনুরোধ করা হলে তিনি আমাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় উপস্থিত রোগী এবং স্বজনেরা চিকিৎসকসহ হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে অভিযোগ করতে থাকলে তা নিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফেসবুকে লাইভ করি। এতে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।’

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
৩৯ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু।
১ ঘণ্টা আগে
যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে।
১ ঘণ্টা আগে
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
৭ ঘণ্টা আগেচিরিরবন্দর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা।
চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের বানিয়াখাড়ী সরকারি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ এনে স্থানীয় অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় দুই বছরের মধ্যেই বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজের সময় আমরা মৌখিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘নতুন ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিচতলার সিঁড়ির বারান্দায় বড় ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষের মেঝে ও পিলারের সঙ্গে দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনারা খাতুন বলেন, ‘নতুন বিল্ডিংয়ের দুই বছর এখনো হয়নি, তাতেই মেঝেসহ অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তারা দ্রুত মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবেদ আলী মাস্টার বলেন, ‘বিল্ডিং হস্তান্তর করার প্রায় দুই বছর হয়েছে। মেঝেতে শুধু পলেস্তারায় “চিড়” ধরেছে, তেমন কোনো সমস্যা নেই। আমি আমার ম্যানেজারকে পাঠিয়ে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করব।’
এলজিইডির চিরিরবন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান একই সুরে বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের মেঝে ও সিঁড়ির কিছু অংশে কেবল পলেস্তারার ওপরে ফাটল বা চিড় ধরেছে। আমি ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত মেরামতের জন্য বলব।’

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা।
চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের বানিয়াখাড়ী সরকারি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ এনে স্থানীয় অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় দুই বছরের মধ্যেই বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজের সময় আমরা মৌখিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘নতুন ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিচতলার সিঁড়ির বারান্দায় বড় ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষের মেঝে ও পিলারের সঙ্গে দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনারা খাতুন বলেন, ‘নতুন বিল্ডিংয়ের দুই বছর এখনো হয়নি, তাতেই মেঝেসহ অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তারা দ্রুত মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবেদ আলী মাস্টার বলেন, ‘বিল্ডিং হস্তান্তর করার প্রায় দুই বছর হয়েছে। মেঝেতে শুধু পলেস্তারায় “চিড়” ধরেছে, তেমন কোনো সমস্যা নেই। আমি আমার ম্যানেজারকে পাঠিয়ে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করব।’
এলজিইডির চিরিরবন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান একই সুরে বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের মেঝে ও সিঁড়ির কিছু অংশে কেবল পলেস্তারার ওপরে ফাটল বা চিড় ধরেছে। আমি ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত মেরামতের জন্য বলব।’

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নেমেছেন নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। জেলার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
২০ নভেম্বর ২০২৪
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু।
১ ঘণ্টা আগে
যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে।
১ ঘণ্টা আগে
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
৭ ঘণ্টা আগেদুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু। ভাঙা মাটির রাস্তা আর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠ-বাঁশের সাঁকোই তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। দুই চাকার বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল ছাড়া এই গ্রামে অন্য কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আনা থেকে শুরু করে গর্ভবতী নারী বা রোগীকে জরুরি মুহূর্তে হাসপাতালে নিতেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
গ্রামের একমাত্র সেতুটি ২০১৪ সালের দিকে ভেঙে যাওয়ার পর কাঠ-বাঁশের সেতুই এখন একমাত্র ভরসা। উন্নয়ন যেন এখানকার মানুষের কাছে সোনার হরিণ। কবে মিলবে স্থায়ী সেতু ও পাকা রাস্তা জানেন না কেউই।
স্থানীয় বাসিন্দা সজীব মিয়া বলেন, ‘যুগের পর যুগ কেটে গেলেও আমরা উন্নয়নবঞ্চিত। স্বাধীনতার পর থেকে এ গ্রামে কোনো দিন পাকা রাস্তা বা স্থায়ী সেতু হয়নি। গ্রামের দুটি সেতুর মধ্যে একটি কাঠ-বাঁশের আর অন্যটি পাকা হলেও সেটিও সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমেই পথ মেরামত করে যাতায়াত করছি।’

আরেক বাসিন্দা সামছু মিয়া জানান, গর্ভবতী নারী বা রোগীকে জরুরি মুহূর্তে হাসপাতালে নিতে নদীপথই ভরসা। কৃষিজাত পণ্যও বাজারে নেওয়া কষ্টসাধ্য।
স্কুলশিক্ষার্থী মুর্শিদা আক্তার বলে, ‘প্রতিদিন কাঁচা রাস্তায় কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হয় স্কুলে যেতে। বর্ষায় কাদা-জলে ভিজে স্কুলে পৌঁছানোই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে পড়ালেখায় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের দাবি পাকা রাস্তা ও সেতু নির্মাণ করা হোক।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা আফসানা বলেন, ‘গ্রামটি দেখেছি। মানুষ সত্যিই কষ্টে আছে। ভবানীপুরের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। শিগগিরই যাতে গ্রামের মানুষ যাতায়াত সুবিধা ভোগ করতে পারে, সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু। ভাঙা মাটির রাস্তা আর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠ-বাঁশের সাঁকোই তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। দুই চাকার বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল ছাড়া এই গ্রামে অন্য কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আনা থেকে শুরু করে গর্ভবতী নারী বা রোগীকে জরুরি মুহূর্তে হাসপাতালে নিতেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
গ্রামের একমাত্র সেতুটি ২০১৪ সালের দিকে ভেঙে যাওয়ার পর কাঠ-বাঁশের সেতুই এখন একমাত্র ভরসা। উন্নয়ন যেন এখানকার মানুষের কাছে সোনার হরিণ। কবে মিলবে স্থায়ী সেতু ও পাকা রাস্তা জানেন না কেউই।
স্থানীয় বাসিন্দা সজীব মিয়া বলেন, ‘যুগের পর যুগ কেটে গেলেও আমরা উন্নয়নবঞ্চিত। স্বাধীনতার পর থেকে এ গ্রামে কোনো দিন পাকা রাস্তা বা স্থায়ী সেতু হয়নি। গ্রামের দুটি সেতুর মধ্যে একটি কাঠ-বাঁশের আর অন্যটি পাকা হলেও সেটিও সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমেই পথ মেরামত করে যাতায়াত করছি।’

আরেক বাসিন্দা সামছু মিয়া জানান, গর্ভবতী নারী বা রোগীকে জরুরি মুহূর্তে হাসপাতালে নিতে নদীপথই ভরসা। কৃষিজাত পণ্যও বাজারে নেওয়া কষ্টসাধ্য।
স্কুলশিক্ষার্থী মুর্শিদা আক্তার বলে, ‘প্রতিদিন কাঁচা রাস্তায় কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হয় স্কুলে যেতে। বর্ষায় কাদা-জলে ভিজে স্কুলে পৌঁছানোই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে পড়ালেখায় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের দাবি পাকা রাস্তা ও সেতু নির্মাণ করা হোক।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা আফসানা বলেন, ‘গ্রামটি দেখেছি। মানুষ সত্যিই কষ্টে আছে। ভবানীপুরের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। শিগগিরই যাতে গ্রামের মানুষ যাতায়াত সুবিধা ভোগ করতে পারে, সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নেমেছেন নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। জেলার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
২০ নভেম্বর ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
৩৯ মিনিট আগে
যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে।
১ ঘণ্টা আগে
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
৭ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে। দুই চোখ দৃষ্টিহীন হলেও, তাঁর কর্মস্পৃহা আর আত্মনির্ভরশীলতার গল্প আজ গোটা এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
প্রায় ৩৫ বছর ধরে দৃষ্টিশক্তি হারানো মঙ্গল মিয়ার বয়স বাড়লেও, তাঁর জীবনীশক্তি যেন কমেনি এতটুকু। তাঁর সঙ্গে কথা বলা, পথ চলা বা কাজ করার ধরন দেখলে সহজে বোঝার উপায় নেই যে তিনি জগতের রূপ দেখতে পান না। প্রতিদিনের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই হাতে লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। একাই খুলে বসেন তাঁর ছোট্ট মেকানিকের দোকানটি। আর এই দোকানটিই যেন তাঁর কর্মযজ্ঞের মন্দির।
বাইসাইকেল থেকে শুরু করে জরুরি কৃষি যন্ত্রপাতি—পানির পাম্প, শ্যালো মেশিন এবং বিস্ময়করভাবে জটিল পাওয়ার টিলার পর্যন্ত সবকিছুই তিনি মেরামত করেন। এলাকার মানুষ তাঁর এই অন্ধত্বের ওপর দৃষ্টি না রেখে, বরং তাঁর দক্ষতার ওপর চোখ বন্ধ করে নির্ভর করে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা তাঁদের প্রাণের যন্ত্র—শ্যালো বা টিলার বিগড়ে গেলেই ছুটে আসেন মঙ্গল মিয়ার কাছে।
মঙ্গল মিয়ার দক্ষতাকে শুধু ‘মেকানিক’ শব্দটি দিয়ে প্রকাশ করা কঠিন। তাঁর হাত যেন এক জাদুকরের স্পর্শ পেয়েছে। তিনি শুধু হাতের স্পর্শেই নোটের আকার-প্রকৃতি বুঝে নির্ভুলভাবে টাকার পরিমাণ বলে দিতে পারেন। একবার শুনে নেওয়া যেকোনো ফোন নম্বর তিনি মুখস্থ রাখেন নিখুঁতভাবে। স্থানীয়রা তাঁকে শুধু একজন দক্ষ মেকানিক হিসেবে নয়, বরং একজন ‘দৃষ্টিমান হৃদয়’-এর মানুষ হিসেবে দেখেন। বহু দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ ছুটে আসে তাঁর কাছে, কারণ তারা জানেন—মঙ্গল মিয়ার হাতে কাজ দিলে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।

নিজের দীর্ঘ লড়াইয়ের গল্প বলতে গিয়ে মঙ্গল মিয়া জানান এক আশ্চর্য পথচলার কথা। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর হলো আমি চোখে দেখি না। ছোটবেলায় সাইকেল সারানোর কাজটা শিখেছিলাম। পরে নিজের চেষ্টায় শ্যালো মেশিন ও পাওয়ার টিলার মেরামতের কাজও রপ্ত করি। একটা সময় তো বিদ্যুতের কাজও করতাম।’
এই স্বশিক্ষিত কারিগর একা একাই জীবনের সমস্ত কাজ করে চলেন। মঙ্গল মিয়ার জীবন আমাদের এক চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়—শারীরিক সীমাবদ্ধতা জীবনের বোঝা নয়, বরং ইচ্ছাশক্তির সামনে তা নতজানু হতে বাধ্য। চুয়াডাঙ্গার এই অদম্য মানুষটি তাঁর হাতের স্পর্শ, কঠোর পরিশ্রম আর অটুট মনোবল দিয়ে কেবল মেশিন নয়, মেরামত করে চলেছেন মানুষের জীবনবোধকেও। মঙ্গল মিয়া প্রমাণ করলেন—ইচ্ছা থাকলে অন্ধত্বও কোনো বাধা নয়, এটি বরং হাজারো মানুষের জন্য এক প্রেরণার উৎস হতে পারে। তিনি চোখে না দেখেও স্বনির্ভরতার যে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন, তা বাংলাদেশের হাজারো সংগ্রামীর পথকে আলোকিত করে তুলবে।

যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে। দুই চোখ দৃষ্টিহীন হলেও, তাঁর কর্মস্পৃহা আর আত্মনির্ভরশীলতার গল্প আজ গোটা এলাকার মানুষের মুখে মুখে।
প্রায় ৩৫ বছর ধরে দৃষ্টিশক্তি হারানো মঙ্গল মিয়ার বয়স বাড়লেও, তাঁর জীবনীশক্তি যেন কমেনি এতটুকু। তাঁর সঙ্গে কথা বলা, পথ চলা বা কাজ করার ধরন দেখলে সহজে বোঝার উপায় নেই যে তিনি জগতের রূপ দেখতে পান না। প্রতিদিনের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই হাতে লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। একাই খুলে বসেন তাঁর ছোট্ট মেকানিকের দোকানটি। আর এই দোকানটিই যেন তাঁর কর্মযজ্ঞের মন্দির।
বাইসাইকেল থেকে শুরু করে জরুরি কৃষি যন্ত্রপাতি—পানির পাম্প, শ্যালো মেশিন এবং বিস্ময়করভাবে জটিল পাওয়ার টিলার পর্যন্ত সবকিছুই তিনি মেরামত করেন। এলাকার মানুষ তাঁর এই অন্ধত্বের ওপর দৃষ্টি না রেখে, বরং তাঁর দক্ষতার ওপর চোখ বন্ধ করে নির্ভর করে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা তাঁদের প্রাণের যন্ত্র—শ্যালো বা টিলার বিগড়ে গেলেই ছুটে আসেন মঙ্গল মিয়ার কাছে।
মঙ্গল মিয়ার দক্ষতাকে শুধু ‘মেকানিক’ শব্দটি দিয়ে প্রকাশ করা কঠিন। তাঁর হাত যেন এক জাদুকরের স্পর্শ পেয়েছে। তিনি শুধু হাতের স্পর্শেই নোটের আকার-প্রকৃতি বুঝে নির্ভুলভাবে টাকার পরিমাণ বলে দিতে পারেন। একবার শুনে নেওয়া যেকোনো ফোন নম্বর তিনি মুখস্থ রাখেন নিখুঁতভাবে। স্থানীয়রা তাঁকে শুধু একজন দক্ষ মেকানিক হিসেবে নয়, বরং একজন ‘দৃষ্টিমান হৃদয়’-এর মানুষ হিসেবে দেখেন। বহু দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ ছুটে আসে তাঁর কাছে, কারণ তারা জানেন—মঙ্গল মিয়ার হাতে কাজ দিলে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।

নিজের দীর্ঘ লড়াইয়ের গল্প বলতে গিয়ে মঙ্গল মিয়া জানান এক আশ্চর্য পথচলার কথা। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর হলো আমি চোখে দেখি না। ছোটবেলায় সাইকেল সারানোর কাজটা শিখেছিলাম। পরে নিজের চেষ্টায় শ্যালো মেশিন ও পাওয়ার টিলার মেরামতের কাজও রপ্ত করি। একটা সময় তো বিদ্যুতের কাজও করতাম।’
এই স্বশিক্ষিত কারিগর একা একাই জীবনের সমস্ত কাজ করে চলেন। মঙ্গল মিয়ার জীবন আমাদের এক চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়—শারীরিক সীমাবদ্ধতা জীবনের বোঝা নয়, বরং ইচ্ছাশক্তির সামনে তা নতজানু হতে বাধ্য। চুয়াডাঙ্গার এই অদম্য মানুষটি তাঁর হাতের স্পর্শ, কঠোর পরিশ্রম আর অটুট মনোবল দিয়ে কেবল মেশিন নয়, মেরামত করে চলেছেন মানুষের জীবনবোধকেও। মঙ্গল মিয়া প্রমাণ করলেন—ইচ্ছা থাকলে অন্ধত্বও কোনো বাধা নয়, এটি বরং হাজারো মানুষের জন্য এক প্রেরণার উৎস হতে পারে। তিনি চোখে না দেখেও স্বনির্ভরতার যে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন, তা বাংলাদেশের হাজারো সংগ্রামীর পথকে আলোকিত করে তুলবে।

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নেমেছেন নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। জেলার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
২০ নভেম্বর ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
৩৯ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু।
১ ঘণ্টা আগে
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
৭ ঘণ্টা আগেশিপুল ইসলাম, রংপুর প্রতিনিধি

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
রংপুরের তারাগঞ্জের কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে গতকাল সকাল থেকে চলছে ব্যস্ততা। সড়কে রঙিন গেট, উঠানে বাঁশের মাচা, মণ্ডপ, রঙিন কাপড়ের প্যান্ডেল, ধোঁয়া উঠছে রান্নার হাঁড়ি থেকে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, আনন্দঘন উৎসব, কিন্তু একটু কাছে গেলে বোঝা যায়—উৎসবের ভেতর পরিবারের সদস্যদের মনে লুকিয়ে রয়েছে রূপলালকে হারানোর গভীর ব্যথা।
রূপলালের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ১০ আগস্ট রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের দিন ঠিক করার কথা ছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। এ জন্য ৯ আগস্ট মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে আত্মীয় রূপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস। তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে থামান স্থানীয় কয়েকজন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে মব তৈরি করে রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী হত্যা মামলা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
বাবার মৃত্যুর পর নুপুর রানীর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। রূপলালকে হারিয়ে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে রূপলালের পরিবার জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ, তারাগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ীরা ৭১ হাজার, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার, একটি সংগঠন থেকে এক লাখ টাকা টাকা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি রূপলালের ছেলে জয় রবিদাস ও ছোট মেয়ে রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের ভেতরে কনে নুপুর রবিদাস বসে আছেন বিয়ের শাড়িতে। মুখে বিয়ের সাজ, কিন্তু চোখ দুটো লাল। পাশে মা ভারতী রানী নীরবে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি সামলাচ্ছেন।

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
রংপুরের তারাগঞ্জের কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে গতকাল সকাল থেকে চলছে ব্যস্ততা। সড়কে রঙিন গেট, উঠানে বাঁশের মাচা, মণ্ডপ, রঙিন কাপড়ের প্যান্ডেল, ধোঁয়া উঠছে রান্নার হাঁড়ি থেকে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, আনন্দঘন উৎসব, কিন্তু একটু কাছে গেলে বোঝা যায়—উৎসবের ভেতর পরিবারের সদস্যদের মনে লুকিয়ে রয়েছে রূপলালকে হারানোর গভীর ব্যথা।
রূপলালের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ১০ আগস্ট রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের দিন ঠিক করার কথা ছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। এ জন্য ৯ আগস্ট মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে আত্মীয় রূপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস। তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে থামান স্থানীয় কয়েকজন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে মব তৈরি করে রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী হত্যা মামলা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
বাবার মৃত্যুর পর নুপুর রানীর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। রূপলালকে হারিয়ে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে রূপলালের পরিবার জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ, তারাগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ীরা ৭১ হাজার, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার, একটি সংগঠন থেকে এক লাখ টাকা টাকা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি রূপলালের ছেলে জয় রবিদাস ও ছোট মেয়ে রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের ভেতরে কনে নুপুর রবিদাস বসে আছেন বিয়ের শাড়িতে। মুখে বিয়ের সাজ, কিন্তু চোখ দুটো লাল। পাশে মা ভারতী রানী নীরবে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি সামলাচ্ছেন।

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নেমেছেন নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। জেলার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
২০ নভেম্বর ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
৩৯ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ভবানীপুর। স্বাধীনতার অর্ধশতক পেরিয়ে আজও এই জনপদ পিছিয়ে আছে অন্ধকারে। এখানকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন যেন দুর্গম যাতায়াতে আটকা—নেই কোনো পাকা সড়ক, নেই স্থায়ী সেতু।
১ ঘণ্টা আগে
যেখানে জীবনের ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতাকেও অনেকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন, সেখানে কিছু মানুষ নিঃশব্দে এক মহাকাব্য রচনা করে চলেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল মিয়া সেই বিরল মানুষদের একজন—অন্ধত্বের বাধা ডিঙিয়ে যিনি দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন জীবন সংসারে।
১ ঘণ্টা আগে