Ajker Patrika

নীলফামারীতে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা

প্রতিনিধি
নীলফামারীতে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা

নীলফামারী: নীলফামারীতে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে জ্বর ও সর্দির প্রকোপ। এতে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সৈয়দপুর ১০০ শয্যা ও রেলওয়ে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ-বহির্বিভাগে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ জ্বরে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. ওয়াসিম বারী জয় বলেন, হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকলেও কিছুতেই মানতে চান না তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। এভাবেই জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা করোনা পরীক্ষায় একেবারেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

তিনি আরও জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে দিনে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। দিনের বেলা প্রচণ্ড গরম ও ভোররাতে কিছুটা ঠান্ডা পড়ছে। আবহাওয়ার কারণেও জ্বর বেড়ে যেতে পারে। তবে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাকেও কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের জ্বরে আক্রান্ত রোগী মাসুদা আক্তার জানান, দুই দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন তিনি। গ্রামের চিকিৎসকের পরামর্শে নাপা ট্যাবলেট খেয়েছেন। তবু তাঁর জ্বর কমেনি। তাই বাধ্য হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এ ছাড়া তাঁদের গ্রামে অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালের বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম বলেন, `এটাকে আমরা বলি সিজনাল ফ্লু। যখন গরম ঠান্ডা ওঠা নামা করে তখন এ ধরনের জ্বর সর্দি হয়। এটা হলে প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার খাওয়ার পাশাপাশি জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। স্বাভাবিক খাবার, ফল, শাক সবজি বেশি খেতে হবে। এর মধ্যে যদি কারও ইনফেকশন যোগ হয়ে যায়, তখন তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে।'

নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অমল রায় বলেন, জ্বর হলে অনেকেই নিজের ইচ্ছে মতো নাপা বা অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খান। এটা মোটেও ঠিক না। যদি জ্বর হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসক দেখিয়ে তাঁর পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ খেতে হবে। কেননা, এখন করোনা ভাইরাসও রয়েছে। সিজনাল জ্বর-সর্দি নাকি কারোনার জন্য জ্বর-সর্দি তা চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি ভালো বুঝবেন এবং সেই ভাবে পরামর্শ দেবেন। তাই নিজেরা ওষুধ না খেয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খেতে হবে। যে কোনো সমস্যায় চিকিৎসককে জানাতে হবে।

জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা স্বীকার করেন নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির। তবে সিজোনাল কারণে টাইফয়েডের প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ কে চিহ্নিত করতে রেপিটেনজিন কীটের মাধ্যমে দ্রুত পরীক্ষার জন্য প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘমল্লারের জবাবের পর ডাকসু ও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যা লিখলেন শশী থারুর

জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস, বিপক্ষে ভোট দিল যারা

উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরে মাহফুজকে হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে: নাহিদ

রপ্তানিতে দ্বিতীয় থেকে ১০ নম্বরে নামল চিংড়ি

২০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটার কারা, প্রশ্ন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত