নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের গালাগাল ও হুমকি দিয়ে এক নারী চিকিৎসকের কথা বলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক জয়ন্তী রানী ধরের ব্যক্তিগত চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে উত্তেজিত ওই চিকিৎসককে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা সাংবাদিকেরা আমার কিছুই করতে পারবেন না। ডাক্তার জয়ন্ত রানীকে আপনারা চিনেন না। আমার স্বামী মন্ত্রীর কাছের লোক, স্বামীর ছোট ভাই ডিআইজি। দাঁড়াও তাকে ফোন করে আপনাদের পুলিশে ধরিয়ে দেব।’ এই সময় সাংবাদিকদের সামনেই রোগীর ব্যবস্থাপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।
জয়ন্ত রানী ধর বর্তমানে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক। ৮-৯ বছর আগে তিনি দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেলেও সরকারি ছুটির দিনে দুর্গাপুরে এসে রোগী দেখেন।
রোগীর স্বজন ও উপস্থিত সাংবাদিকেরা জানান, শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছিলেন চিকিৎসক জয়ন্তী রানী ধর। এ সময় তিনি করোনার সময়ের মতো অনেক দূর থেকে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে রোগের কারণ জানার চেষ্টা করেন। রোগীরা এতে অসন্তুষ্ট হলে তিনি তাদের গালমন্দ করেন।
ওই সময় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে জয়ন্তী রানীর কাছে যান দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মো. জামাল তালুকদার। তবে চেম্বারে দূর থেকে রোগী দেখতে গেলে চিকিৎসককে রোগীর কাছে এসে দেখার অনুরোধ করেন সাংবাদিক।
এতে ক্ষিপ্ত হন চিকিৎসক জয়ন্তী রানী। রীতিমতো তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এসব শুনে অন্য সাংবাদিকেরা তাঁর চেম্বারে প্রবেশ করে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও রেগে যান।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার চেম্বারে কেন এসেছেন? আপনারা সাংবাদিকেরা আমার কিছুই করতে পারবেন না। ডাক্তার জয়ন্ত রানীকে আপনারা চিনেন না। আমার স্বামী মন্ত্রীর কাছের লোক, স্বামীর ছোট ভাই ডিআইজি। দাঁড়াও তাকে ফোন করে আপনাদের পুলিশে ধরিয়ে দেব।’ এই সময় সাংবাদিকদের সামনেই রোগীর ব্যবস্থাপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। পরে তাঁরা চেম্বার থেকে চলে আসেন।
তবে চিকিৎসকের ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে জয়ন্তী রানী ধরকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘কী ছিঁড়বেন, ছিঁড়েন গিয়ে আমার। দুর্গাপুরের সব সাংবাদিকদের আমার চেনা আছে। এর আগেও ময়মনসিংহে কেউ কিছু করতে পারেনি। ডাক্তার জয়ন্তী রানীকে আপনারা চিনেননি। আমি তিন মাস থেকেই ময়মনসিংহে থেকে চলে গেছি। যা আর কেউ পারেনি। আপনারা আমার চেম্বারে আসার সাহস পেয়েছেন কোথা থেকে। আমার স্বামীর ছোট ভাই ডিআইজি। মন্ত্রীরও কাছের লোক। আমি এখনই ডিআইজিকে ফোন দিচ্ছি। আপনাদের পুলিশে ধরিয়ে দেব।’
দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মো. জামাল তালুকদার বলেন, ‘বিকেলে স্ত্রীকে চিকিৎসা করানোর জন্য যাই জয়ন্ত রানীর কাছে। এর আগে ৭০০ টাকা ভিজিট দিয়ে টোকেন সংগ্রহ করি। চেম্বারে ঢুকে দেখি তিনি রোগীদের অনেক দূরে বসে থেকে নানা প্রশ্ন করছেন। কাছে এসে রোগীকে দেখে বিস্তারিত জানার অনুরোধ জানাই। এতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। এসব শুনে অন্য সাংবাদিকেরা ছুটে আসেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হন জয়ন্ত রানী।’
তিনি আরও বলেন, একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। পেশার সঙ্গে তাঁর এই আচরণ বেমানান।
স্থানীয়রা জানান, ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর প্রায়ই রোগীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, গালমন্দ করেন। অভিযোগ রয়েছে নানা সময় চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে আসছেন তিনি। সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে রোগী ও নবজাতক হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের ১২ আগস্ট সিজারিয়ান অপারেশনের পরপরই এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে জয়ন্তী রানী ধরের বিরুদ্ধে। পরে টাকা-পয়সা দিয়ে তা মীমাংসা করেন। ওই ঘটনার নিহত প্রসূতির চম্পা আক্তার উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের ফুরকান মিয়ার স্ত্রী। এমন অনেক অভিযোগ থাকলেও বিভিন্ন নানা প্রভাব খাঁটিয়ে তিনি পার পেয়ে যান।
এ নিয়ে জানতে চাইলে ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘উত্তেজিত হয়ে এ রকম আচরণ করেছি। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের গালাগাল ও হুমকি দিয়ে এক নারী চিকিৎসকের কথা বলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক জয়ন্তী রানী ধরের ব্যক্তিগত চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে উত্তেজিত ওই চিকিৎসককে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা সাংবাদিকেরা আমার কিছুই করতে পারবেন না। ডাক্তার জয়ন্ত রানীকে আপনারা চিনেন না। আমার স্বামী মন্ত্রীর কাছের লোক, স্বামীর ছোট ভাই ডিআইজি। দাঁড়াও তাকে ফোন করে আপনাদের পুলিশে ধরিয়ে দেব।’ এই সময় সাংবাদিকদের সামনেই রোগীর ব্যবস্থাপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।
জয়ন্ত রানী ধর বর্তমানে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক। ৮-৯ বছর আগে তিনি দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেলেও সরকারি ছুটির দিনে দুর্গাপুরে এসে রোগী দেখেন।
রোগীর স্বজন ও উপস্থিত সাংবাদিকেরা জানান, শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছিলেন চিকিৎসক জয়ন্তী রানী ধর। এ সময় তিনি করোনার সময়ের মতো অনেক দূর থেকে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে রোগের কারণ জানার চেষ্টা করেন। রোগীরা এতে অসন্তুষ্ট হলে তিনি তাদের গালমন্দ করেন।
ওই সময় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে জয়ন্তী রানীর কাছে যান দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মো. জামাল তালুকদার। তবে চেম্বারে দূর থেকে রোগী দেখতে গেলে চিকিৎসককে রোগীর কাছে এসে দেখার অনুরোধ করেন সাংবাদিক।
এতে ক্ষিপ্ত হন চিকিৎসক জয়ন্তী রানী। রীতিমতো তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এসব শুনে অন্য সাংবাদিকেরা তাঁর চেম্বারে প্রবেশ করে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও রেগে যান।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার চেম্বারে কেন এসেছেন? আপনারা সাংবাদিকেরা আমার কিছুই করতে পারবেন না। ডাক্তার জয়ন্ত রানীকে আপনারা চিনেন না। আমার স্বামী মন্ত্রীর কাছের লোক, স্বামীর ছোট ভাই ডিআইজি। দাঁড়াও তাকে ফোন করে আপনাদের পুলিশে ধরিয়ে দেব।’ এই সময় সাংবাদিকদের সামনেই রোগীর ব্যবস্থাপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। পরে তাঁরা চেম্বার থেকে চলে আসেন।
তবে চিকিৎসকের ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে জয়ন্তী রানী ধরকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘কী ছিঁড়বেন, ছিঁড়েন গিয়ে আমার। দুর্গাপুরের সব সাংবাদিকদের আমার চেনা আছে। এর আগেও ময়মনসিংহে কেউ কিছু করতে পারেনি। ডাক্তার জয়ন্তী রানীকে আপনারা চিনেননি। আমি তিন মাস থেকেই ময়মনসিংহে থেকে চলে গেছি। যা আর কেউ পারেনি। আপনারা আমার চেম্বারে আসার সাহস পেয়েছেন কোথা থেকে। আমার স্বামীর ছোট ভাই ডিআইজি। মন্ত্রীরও কাছের লোক। আমি এখনই ডিআইজিকে ফোন দিচ্ছি। আপনাদের পুলিশে ধরিয়ে দেব।’
দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মো. জামাল তালুকদার বলেন, ‘বিকেলে স্ত্রীকে চিকিৎসা করানোর জন্য যাই জয়ন্ত রানীর কাছে। এর আগে ৭০০ টাকা ভিজিট দিয়ে টোকেন সংগ্রহ করি। চেম্বারে ঢুকে দেখি তিনি রোগীদের অনেক দূরে বসে থেকে নানা প্রশ্ন করছেন। কাছে এসে রোগীকে দেখে বিস্তারিত জানার অনুরোধ জানাই। এতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। এসব শুনে অন্য সাংবাদিকেরা ছুটে আসেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হন জয়ন্ত রানী।’
তিনি আরও বলেন, একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। পেশার সঙ্গে তাঁর এই আচরণ বেমানান।
স্থানীয়রা জানান, ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর প্রায়ই রোগীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, গালমন্দ করেন। অভিযোগ রয়েছে নানা সময় চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে আসছেন তিনি। সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে রোগী ও নবজাতক হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের ১২ আগস্ট সিজারিয়ান অপারেশনের পরপরই এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে জয়ন্তী রানী ধরের বিরুদ্ধে। পরে টাকা-পয়সা দিয়ে তা মীমাংসা করেন। ওই ঘটনার নিহত প্রসূতির চম্পা আক্তার উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের ফুরকান মিয়ার স্ত্রী। এমন অনেক অভিযোগ থাকলেও বিভিন্ন নানা প্রভাব খাঁটিয়ে তিনি পার পেয়ে যান।
এ নিয়ে জানতে চাইলে ডাক্তার জয়ন্তী রানী ধর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘উত্তেজিত হয়ে এ রকম আচরণ করেছি। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’
প্রায় দেড় দশক পর হকারমুক্ত হয়েছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের জুরাইনের সড়ক। একসময় অপ্রশস্ত সড়কটি পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে হয়ে ওঠে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় প্রবেশের পথ। যানবাহনের চাপ বাড়ায় সড়কটি বেশ প্রশস্ত করা হলেও অর্ধেক চলে যায় হকারদের দখলে। এতে জুরাইন রেলগেট এলাকায় দিনরাতে যানজট লেগেই থাকত।
২৩ মিনিট আগেকিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনকে সম্মাননা দিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে গতকাল রোববার একাডেমির ব্যবস্থাপনায় তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
২৭ মিনিট আগেজমি নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতায় ঠাকুরগাঁওয়ে মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজেএম) আদালত ভবন নির্মাণকাজ থমকে রয়েছে। এতে বিচারক, আইনজীবী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশেষ করে বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। এজলাস সংকট, নথিপত্রের অব্যবস্থাপনা এবং মৌলিক সুবিধার অভাবে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম
৩১ মিনিট আগেশিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই উত্তাল রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে গতকাল রোববার বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
২ ঘণ্টা আগে