Ajker Patrika

ইউএনওর গাড়িচাপায় নিহতের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ মে ২০২২, ১৬: ৫৫
ইউএনওর গাড়িচাপায় নিহতের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

নাটোরের সিংড়ায় নলডাঙার ইউএনওর গাড়িচাপায় সাংবাদিক সোহেল আহমেদ ওরফে জীবন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনকে কমিটির প্রধান করে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম. এম সামিরুল ইসলাম ও নাটোরের বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রাশেদুজ্জামানকে সদস্য করে এই কমিটি করা হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। 

নলডাঙ্গা ইউএনওর গাড়ির নিচে চাপা পড়ে সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবন নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১টা পর্যন্ত এ-সংক্রান্ত কোনো এজাহার পাননি। 

এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির পরিবারসহ স্থানীয় সাংবাদিক মহল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানিয়েছে। 

এদিকে পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবনের স্ত্রী জনি খাতুন। দুটি শিশুসন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তাঁর স্বামীই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। নিহত সোহেল আহমেদ জীবন উপজেলার শেরকোল আগপাড়া বন্দর উচ্চবিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দুরন্ত সংবাদে সিংড়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। 

নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘গাড়ির চালক কে ছিলেন, সরকারি গাড়ি নিয়ে কেন সেখানে যাওয়া হয়েছিল, চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচ্ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবনের মরদেহ তাঁর বালুয়া বাসুয়ার বাড়িতে নেওয়া হলে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে বাদ এশা দমদমা আল জামেতুল কোরআনিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে কবরস্থানে তাঁর দাফন করা হয়। 

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়ার নিংগইন এলাকায় নলডাঙ্গা ইউএনওর সরকারি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবন নিহত হয়। সাংবাদিক সোহেল আহমেদের মোটরসাইকেলে করে তাঁর কর্মস্থল সিংড়া উপজেলার শেরকোল আগপাড়া বন্দর উচ্চবিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর মোটরসাইকেলটি সরকারি গাড়ির নিচে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে প্রায় এক ঘণ্টা পর ইউএনওর গাড়িটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে বিএনপি নেতার বহুতল ভবনে রাতভর অভিযান: আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৭

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সাতজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সাতজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে রাতভর অভিযান চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ওয়াকিটকি, গুলি ও বিপুল সরঞ্জামসহ বিএনপি নেতা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এনামুল হক মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় শুরু হওয়া এই অভিযান ভোররাতে শেষ হয়।

গ্রেপ্তার মো. এনামুল হক মোল্লা (৫০) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে। তিনি মক্কা নগরীর মেছপালা বিএনপির সভাপতি ও বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন শওকত মীর (৪৫), জাহিদ মিয়া (৪০), মোস্তফা কামাল (৩২), সিদ্দিকুর রহমান (৩৪), বুলবুল মিয়া (৩৫) ও তোফাজ্জল হোসেন (৪৫)।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে গাজীপুর সেনাক্যাম্পের মেজর খন্দকার মহিউদ্দিন আলমগীরের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে এনামুল হক মোল্লাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্যমতে এনামুল হক মোল্লার বহুতল ভবনের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করে দুটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, চারটি গুলি, চারটি ওয়াকিটকি, চারটি বেটন, দুই ইলেকট্রনিক শক মেশিন, একটি হ্যামার নীলগান ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ওয়াকিটকি, গুলি ও বিপুল সরঞ্জামসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ওয়াকিটকি, গুলি ও বিপুল সরঞ্জামসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানা যায়, ১৫ বছর সৌদিতে ছিলেন গ্রেপ্তার বিএনপির নেতা। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে ফেরেন তিনি। এর পর থেকে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন। গাজীপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে চালিয়েছেন প্রচার-প্রচারণা। ফেস্টুন ও ব্যানার টানিয়েছেন নির্বাচনী এলাকায়। গত সোমবার বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর তিনি ফেসবুক আইডিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীর চারটিতে পুরোনো প্রার্থী, দুটিতে নতুন মুখ: দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর চারটিতে পুরোনো প্রার্থী, দুটিতে নতুন মুখ: দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চারটিতে পুরোনোদের নাম এসেছে। আর দুটিতে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার প্রাথমিকভাবে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের অনুসারীরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ, মোটরসাইকেল শোডাউন ও রাতভর পিকনিক করেছেন।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশ ছিল, মনোনয়ন ঘোষণার পর কোনো উল্লাস বা মিষ্টি বিতরণ করা যাবে না। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে বিভিন্ন এলাকায় অনুসারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কোথাও কোথাও মনোনয়ন না পাওয়া ব্যক্তিদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন আসনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে মনোনীত প্রার্থীরা অনুসারীদের সংযত থাকার আহ্বান জানালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দীন। তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। প্রথমবারই পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন। তাঁর ভাই প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক এই আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দুই দফায় মন্ত্রী ছিলেন।

মনোনয়ন ঘোষণার পর গোদাগাড়ী ও তানোরে শরীফ উদ্দীনের সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেন। কিছু এলাকায় রাতভর পিকনিকও হয়। একপর্যায়ে মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকেরা পৌরসভা ছাত্রদল নেতা এসাহাক আলী নয়নকে লাঞ্ছিত করেন এবং অন্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। তবে তানোরে তুলনামূলক পরিস্থিতি শান্ত ছিল।

রাতেই শরীফ উদ্দীন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা সবাই ধানের শীষের পক্ষে। কোনো ধরনের উল্লাস বা মিষ্টি বিতরণ করা যাবে না। কাউকে নাজেহাল করা বা অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।’

এই আসনে আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে শিল্পপতি সুলতানুল ইসলাম তারেক ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন সক্রিয় ছিলেন। তারেক বলেন, ‘এটি প্রাথমিক ঘোষণা। এখনই উল্লাসের কিছু নেই; দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবার সহনশীল থাকা জরুরি।’

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের টানা ১৭ বছরের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি রেকর্ডসংখ্যক ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তার মনোনয়ন ঘোষণার পর কয়েকটি স্থানে মিষ্টি বিতরণ ও আতশবাজি হলেও বড় ধরনের উল্লাস দেখা যায়নি।

মিনু বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। অতীতের মতো এবারও সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত।’

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহসম্পাদক এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। এবারও মনোনয়ন ঘোষণার পর পবার বায়া ও নওহাটায় সীমিত আনন্দ মিছিল হয়। পরে মিলন ভিডিও বার্তায় সমর্থকদের সংযত থাকার আহ্বান জানান।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়া। এটি তাঁর প্রথমবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া। ঘোষণার পর বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় তাঁর সমর্থকেরা মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল ও রাতভর পিকনিক করেছেন।

তবে জিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় অঙ্গনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, এতে জামায়াত লাভবান হবে। একজন নেতা-কর্মী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি, মিষ্টি খাচ্ছে জামায়াত।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘বাগমারায় বিএনপির প্রার্থী জিয়া, কিন্তু মিষ্টি বিতরণ করেছে অন্য দল, বিষয়টি বুঝলাম না।’ সবচেয়ে আলোচিত পোস্টটি করেছেন লন্ডনপ্রবাসী আকিফ, যিনি বাগমারা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান রঞ্জুর ছেলে। তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি দলের নামে প্রতারণা করেছে, তার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে, সে কীভাবে বিএনপির প্রার্থী হয়?’

এদিকে ডি এম জিয়ার অনুসারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোরে জিয়ার সমর্থকেরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুসারী চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবির মাছের দিঘিতে বিষ দিয়ে কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন বলে অভিযোগ। তবে জিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কোনো মাছ মরেনি। মাছ মরলে ক্ষতিপূরণ দেব।’

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল। তিনিও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে প্রার্থী ছিলেন। এবারও মনোনয়ন ঘোষণার পর বড় কোনো উল্লাস হয়নি, তবে তাঁর সমর্থকেরা একাধিক স্থানে আতশবাজি করেছেন।

নজরুল ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ধানের শীষের বিজয়ের জন্য সকলের সহনশীল আচরণ প্রয়োজন।’

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। ২০১৮ সালেও তিনি একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার তাঁর সমর্থকেরা উল্লাস প্রকাশ করেননি। চাঁদ বলেন, ‘দলের স্বার্থে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় নছিমন-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি এবং নিহত চালক। ছবি: সংগৃহীত
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি এবং নিহত চালক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নছিমন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত সিএনজিচালক মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন (৩২) মারা গেছেন। গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত নেজাম উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চুল্লাজামার বাড়ির মো. আনোয়ারের ছেলে।

এর আগে বুধবার সকালে আনোয়ারা-পিএবি সড়কের শোলকাটা রাস্তার মাথা এলাকায় দ্রুতগামী একটি মাছবাহী নছিমনের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং চালক নেজাম উদ্দীনসহ আরও এক যাত্রী গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদেরকে উদ্ধার করে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে চালক নেজাম উদ্দীন মারা যান। আহত অপর ব্যক্তির নাম ও পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা

শেরপুর প্রতিনিধি
ছাত্রদল নেতা নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তাঁর অফিস কক্ষে মারধর করছেন। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া
ছাত্রদল নেতা নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তাঁর অফিস কক্ষে মারধর করছেন। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া

সরকারি কৃষি প্রণোদনার ভাগ না পাওয়ায় শেরপুরের নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সরকারি অফিস কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় কাইয়ুমের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মী ফজলুও ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এই ঘটনায় কাইয়ুম ও ফজলুর বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) নকলা পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোল্লার ছেলে এবং ফজলু (৩২) একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।

কৃষি অফিস ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর অফিস কক্ষে যান উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম। এ সময় বাইরে অপেক্ষা করছিলেন ছাত্রদল কর্মী ফজলু। কাইয়ুম কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কাছে কৃষি প্রণোদনা কাকে কাকে দেওয়া হয়েছে জানতে চান এবং ছাত্রদলের ভাগ তাঁকে দিতে বলেন। বিষয়টি মোবাইলে উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদুর রহমানকে জানালে কাইয়ুম আরও ক্ষিপ্ত হন এবং কথা বলার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে সজোরে চড় মারেন। পরে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে কক্ষের বাইরে নিয়ে ফজলু ও কাইয়ুম মারতে থাকলে আশপাশের লোকজন গিয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন।

কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ফজলু আমার সরকারি অফিসে এসে আমি এখনো কেন বদলি হচ্ছি না জিজ্ঞাসা করে এবং প্রণোদনার ভাগ চায়। বিষয়টি উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদুর রহমানকে জানালে কাইয়ুম আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।’

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক খোরশেদুর রহমান বলেন, ‘ওই কৃষি কর্মকর্তা প্রণোদনা নিয়ে তাঁকে চাপ দেওয়ার বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে আমি ছাত্রদল নেতার জেঠাতো ভাই যুবদল নেতা লোটাসকে জানালে লোটাস রাহাতকে মোবাইলে শাসায়। রাহাত এর জেরে এই ঘটনা ঘটায়।’

জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম সিদ্দিকী বাবু বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছি। কর্মরত সরকারি অফিসারের গায়ে হাত তোলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই ঘটনায় আমরা দলীয়ভাবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী তারা নিজেদের ব্যবস্থা নেবে। তবে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাহাত হাসান কাইয়ুমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমের মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি মোবাইল বন্ধ করে পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা।

এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, এই ঘটনায় দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত