নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চারটিতে পুরোনোদের নাম এসেছে। আর দুটিতে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার প্রাথমিকভাবে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের অনুসারীরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ, মোটরসাইকেল শোডাউন ও রাতভর পিকনিক করেছেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশ ছিল, মনোনয়ন ঘোষণার পর কোনো উল্লাস বা মিষ্টি বিতরণ করা যাবে না। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে বিভিন্ন এলাকায় অনুসারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কোথাও কোথাও মনোনয়ন না পাওয়া ব্যক্তিদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন আসনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে মনোনীত প্রার্থীরা অনুসারীদের সংযত থাকার আহ্বান জানালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দীন। তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। প্রথমবারই পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন। তাঁর ভাই প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক এই আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দুই দফায় মন্ত্রী ছিলেন।
মনোনয়ন ঘোষণার পর গোদাগাড়ী ও তানোরে শরীফ উদ্দীনের সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেন। কিছু এলাকায় রাতভর পিকনিকও হয়। একপর্যায়ে মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকেরা পৌরসভা ছাত্রদল নেতা এসাহাক আলী নয়নকে লাঞ্ছিত করেন এবং অন্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। তবে তানোরে তুলনামূলক পরিস্থিতি শান্ত ছিল।
রাতেই শরীফ উদ্দীন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা সবাই ধানের শীষের পক্ষে। কোনো ধরনের উল্লাস বা মিষ্টি বিতরণ করা যাবে না। কাউকে নাজেহাল করা বা অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।’
এই আসনে আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে শিল্পপতি সুলতানুল ইসলাম তারেক ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন সক্রিয় ছিলেন। তারেক বলেন, ‘এটি প্রাথমিক ঘোষণা। এখনই উল্লাসের কিছু নেই; দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবার সহনশীল থাকা জরুরি।’
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের টানা ১৭ বছরের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি রেকর্ডসংখ্যক ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তার মনোনয়ন ঘোষণার পর কয়েকটি স্থানে মিষ্টি বিতরণ ও আতশবাজি হলেও বড় ধরনের উল্লাস দেখা যায়নি।
মিনু বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। অতীতের মতো এবারও সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত।’
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহসম্পাদক এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। এবারও মনোনয়ন ঘোষণার পর পবার বায়া ও নওহাটায় সীমিত আনন্দ মিছিল হয়। পরে মিলন ভিডিও বার্তায় সমর্থকদের সংযত থাকার আহ্বান জানান।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়া। এটি তাঁর প্রথমবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া। ঘোষণার পর বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় তাঁর সমর্থকেরা মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল ও রাতভর পিকনিক করেছেন।
তবে জিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় অঙ্গনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, এতে জামায়াত লাভবান হবে। একজন নেতা-কর্মী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি, মিষ্টি খাচ্ছে জামায়াত।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘বাগমারায় বিএনপির প্রার্থী জিয়া, কিন্তু মিষ্টি বিতরণ করেছে অন্য দল, বিষয়টি বুঝলাম না।’ সবচেয়ে আলোচিত পোস্টটি করেছেন লন্ডনপ্রবাসী আকিফ, যিনি বাগমারা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান রঞ্জুর ছেলে। তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি দলের নামে প্রতারণা করেছে, তার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে, সে কীভাবে বিএনপির প্রার্থী হয়?’
এদিকে ডি এম জিয়ার অনুসারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোরে জিয়ার সমর্থকেরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুসারী চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবির মাছের দিঘিতে বিষ দিয়ে কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন বলে অভিযোগ। তবে জিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কোনো মাছ মরেনি। মাছ মরলে ক্ষতিপূরণ দেব।’
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল। তিনিও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে প্রার্থী ছিলেন। এবারও মনোনয়ন ঘোষণার পর বড় কোনো উল্লাস হয়নি, তবে তাঁর সমর্থকেরা একাধিক স্থানে আতশবাজি করেছেন।
নজরুল ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ধানের শীষের বিজয়ের জন্য সকলের সহনশীল আচরণ প্রয়োজন।’
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। ২০১৮ সালেও তিনি একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার তাঁর সমর্থকেরা উল্লাস প্রকাশ করেননি। চাঁদ বলেন, ‘দলের স্বার্থে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চারটিতে পুরোনোদের নাম এসেছে। আর দুটিতে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার প্রাথমিকভাবে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের অনুসারীরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ, মোটরসাইকেল শোডাউন ও রাতভর পিকনিক করেছেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশ ছিল, মনোনয়ন ঘোষণার পর কোনো উল্লাস বা মিষ্টি বিতরণ করা যাবে না। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে বিভিন্ন এলাকায় অনুসারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কোথাও কোথাও মনোনয়ন না পাওয়া ব্যক্তিদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন আসনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে মনোনীত প্রার্থীরা অনুসারীদের সংযত থাকার আহ্বান জানালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দীন। তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। প্রথমবারই পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন। তাঁর ভাই প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক এই আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দুই দফায় মন্ত্রী ছিলেন।
মনোনয়ন ঘোষণার পর গোদাগাড়ী ও তানোরে শরীফ উদ্দীনের সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেন। কিছু এলাকায় রাতভর পিকনিকও হয়। একপর্যায়ে মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকেরা পৌরসভা ছাত্রদল নেতা এসাহাক আলী নয়নকে লাঞ্ছিত করেন এবং অন্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। তবে তানোরে তুলনামূলক পরিস্থিতি শান্ত ছিল।
রাতেই শরীফ উদ্দীন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা সবাই ধানের শীষের পক্ষে। কোনো ধরনের উল্লাস বা মিষ্টি বিতরণ করা যাবে না। কাউকে নাজেহাল করা বা অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।’
এই আসনে আটজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে শিল্পপতি সুলতানুল ইসলাম তারেক ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন সক্রিয় ছিলেন। তারেক বলেন, ‘এটি প্রাথমিক ঘোষণা। এখনই উল্লাসের কিছু নেই; দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবার সহনশীল থাকা জরুরি।’
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের টানা ১৭ বছরের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি রেকর্ডসংখ্যক ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তার মনোনয়ন ঘোষণার পর কয়েকটি স্থানে মিষ্টি বিতরণ ও আতশবাজি হলেও বড় ধরনের উল্লাস দেখা যায়নি।
মিনু বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। অতীতের মতো এবারও সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত।’
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহসম্পাদক এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। এবারও মনোনয়ন ঘোষণার পর পবার বায়া ও নওহাটায় সীমিত আনন্দ মিছিল হয়। পরে মিলন ভিডিও বার্তায় সমর্থকদের সংযত থাকার আহ্বান জানান।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়া। এটি তাঁর প্রথমবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া। ঘোষণার পর বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় তাঁর সমর্থকেরা মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল ও রাতভর পিকনিক করেছেন।
তবে জিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় অঙ্গনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, এতে জামায়াত লাভবান হবে। একজন নেতা-কর্মী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি, মিষ্টি খাচ্ছে জামায়াত।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘বাগমারায় বিএনপির প্রার্থী জিয়া, কিন্তু মিষ্টি বিতরণ করেছে অন্য দল, বিষয়টি বুঝলাম না।’ সবচেয়ে আলোচিত পোস্টটি করেছেন লন্ডনপ্রবাসী আকিফ, যিনি বাগমারা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান রঞ্জুর ছেলে। তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি দলের নামে প্রতারণা করেছে, তার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে, সে কীভাবে বিএনপির প্রার্থী হয়?’
এদিকে ডি এম জিয়ার অনুসারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোরে জিয়ার সমর্থকেরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুসারী চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবির মাছের দিঘিতে বিষ দিয়ে কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন বলে অভিযোগ। তবে জিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কোনো মাছ মরেনি। মাছ মরলে ক্ষতিপূরণ দেব।’
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল। তিনিও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে প্রার্থী ছিলেন। এবারও মনোনয়ন ঘোষণার পর বড় কোনো উল্লাস হয়নি, তবে তাঁর সমর্থকেরা একাধিক স্থানে আতশবাজি করেছেন।
নজরুল ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ধানের শীষের বিজয়ের জন্য সকলের সহনশীল আচরণ প্রয়োজন।’
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। ২০১৮ সালেও তিনি একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার তাঁর সমর্থকেরা উল্লাস প্রকাশ করেননি। চাঁদ বলেন, ‘দলের স্বার্থে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

নওগাঁ সদর উপজেলায় জমি নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে অনুষ্ঠিত সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের...
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম বলেছেন, ‘যেকোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় পুলিশ বাহিনী একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি সর্বদা সরকারের দৃশ্যমান প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। আমরা অতীতে দেখেছি, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ উদ্ধারে পুলিশকে অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছ
২৬ মিনিট আগে
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘হাসিনা বাংলাদেশটাকে শেষ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো হাসিনার লোকজন সক্রিয় রয়েছে। কেউ এস আলমের মাধ্যমে, কেউ অন্যভাবে।
১ ঘণ্টা আগে
নিহত বাবলার ভাই আজিজ হোসেন দাবি করেন, ‘ছোট সাজ্জাদের লোকজনই পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। অনেক দিন ধরেই ওরা হুমকি দিচ্ছিল—“যা খেয়ে নে, সময় খুব কম।” আমরা নিরাপত্তা ভেবেছিলাম এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে কোনো বিপদ হবে না, কিন্তু ওরা সুযোগ নিয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগেনওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁ সদর উপজেলায় জমি নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে অনুষ্ঠিত সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই নয়ন ইসলাম জানান, মালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ ও আজাদ নামের দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে দুই পক্ষ একজন আইনজীবীর কাছে সালিস বৈঠকে বসে। সেখানে গোলাম হোসেন (নিহত) উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি আজাদের পক্ষে বক্তব্য দেন।
নয়ন ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার জেরে বুধবার রাতে হারুনুর রশিদের সঙ্গে গোলাম হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হারুনের ছেলে অন্তর এসে গোলাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নুরে আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁ সদর উপজেলায় জমি নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে অনুষ্ঠিত সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই নয়ন ইসলাম জানান, মালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ ও আজাদ নামের দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে দুই পক্ষ একজন আইনজীবীর কাছে সালিস বৈঠকে বসে। সেখানে গোলাম হোসেন (নিহত) উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি আজাদের পক্ষে বক্তব্য দেন।
নয়ন ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার জেরে বুধবার রাতে হারুনুর রশিদের সঙ্গে গোলাম হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হারুনের ছেলে অন্তর এসে গোলাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নুরে আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চারটিতে পুরোনোদের নাম এসেছে। আর দুটিতে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার প্রাথমিকভাবে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের অনুসারীরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ, মোটরসাইকেল...
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম বলেছেন, ‘যেকোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় পুলিশ বাহিনী একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি সর্বদা সরকারের দৃশ্যমান প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। আমরা অতীতে দেখেছি, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ উদ্ধারে পুলিশকে অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছ
২৬ মিনিট আগে
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘হাসিনা বাংলাদেশটাকে শেষ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো হাসিনার লোকজন সক্রিয় রয়েছে। কেউ এস আলমের মাধ্যমে, কেউ অন্যভাবে।
১ ঘণ্টা আগে
নিহত বাবলার ভাই আজিজ হোসেন দাবি করেন, ‘ছোট সাজ্জাদের লোকজনই পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। অনেক দিন ধরেই ওরা হুমকি দিচ্ছিল—“যা খেয়ে নে, সময় খুব কম।” আমরা নিরাপত্তা ভেবেছিলাম এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে কোনো বিপদ হবে না, কিন্তু ওরা সুযোগ নিয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী প্রতিনিধি

বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম বলেছেন, ‘যেকোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় পুলিশ বাহিনী একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি সর্বদা সরকারের দৃশ্যমান প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। আমরা অতীতে দেখেছি, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ উদ্ধারে পুলিশকে অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে। এর ফলস্বরূপ পুলিশের কার্যক্রমের প্রতি মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল। যার প্রতিচ্ছবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দৃশ্যমান হয়েছে। এ অভ্যুত্থান এটাই প্রমাণ করে যে জনমতের বিপক্ষে গিয়ে কখনো টিকে থাকা যায় না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৫২তম টিআরসি ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নোয়াখালীর কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান বিপিএম-সেবা।
সরদার নূরুল আমিন আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটি দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক। স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলার অভাবে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বোপরি জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই বর্তমান সরকার পুলিশকে একটি জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। যার জন্য পুলিশে ব্যাপক সংস্কারে কাজ করছে সরকার। আমরা আমাদের অতীতের ত্রুটিগুলো নিরূপণের চেষ্টা করছি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা কুচকাওয়াজ, প্যারেডসহ বিভিন্ন ডিসপ্লে পরিদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম বলেছেন, ‘যেকোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় পুলিশ বাহিনী একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি সর্বদা সরকারের দৃশ্যমান প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। আমরা অতীতে দেখেছি, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ উদ্ধারে পুলিশকে অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে। এর ফলস্বরূপ পুলিশের কার্যক্রমের প্রতি মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল। যার প্রতিচ্ছবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দৃশ্যমান হয়েছে। এ অভ্যুত্থান এটাই প্রমাণ করে যে জনমতের বিপক্ষে গিয়ে কখনো টিকে থাকা যায় না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৫২তম টিআরসি ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নোয়াখালীর কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান বিপিএম-সেবা।
সরদার নূরুল আমিন আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটি দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক। স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলার অভাবে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বোপরি জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই বর্তমান সরকার পুলিশকে একটি জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। যার জন্য পুলিশে ব্যাপক সংস্কারে কাজ করছে সরকার। আমরা আমাদের অতীতের ত্রুটিগুলো নিরূপণের চেষ্টা করছি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা কুচকাওয়াজ, প্যারেডসহ বিভিন্ন ডিসপ্লে পরিদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চারটিতে পুরোনোদের নাম এসেছে। আর দুটিতে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার প্রাথমিকভাবে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের অনুসারীরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ, মোটরসাইকেল...
৩ ঘণ্টা আগে
নওগাঁ সদর উপজেলায় জমি নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে অনুষ্ঠিত সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের...
১৩ মিনিট আগে
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘হাসিনা বাংলাদেশটাকে শেষ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো হাসিনার লোকজন সক্রিয় রয়েছে। কেউ এস আলমের মাধ্যমে, কেউ অন্যভাবে।
১ ঘণ্টা আগে
নিহত বাবলার ভাই আজিজ হোসেন দাবি করেন, ‘ছোট সাজ্জাদের লোকজনই পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। অনেক দিন ধরেই ওরা হুমকি দিচ্ছিল—“যা খেয়ে নে, সময় খুব কম।” আমরা নিরাপত্তা ভেবেছিলাম এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে কোনো বিপদ হবে না, কিন্তু ওরা সুযোগ নিয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, ‘হাসিনা বাংলাদেশটাকে শেষ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো হাসিনার লোকজন সক্রিয় রয়েছে। কেউ এস আলমের মাধ্যমে, কেউ অন্যভাবে। ইদানীং শুনতেছি, এস আলমের লোকজনকেও নমিনেশন দেওয়া হচ্ছে। এটা আমার কথা না, জনগণের কথা। আমিও তাদের সঙ্গে একমত।’ গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চন্দনাইশ উপজেলা গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে স্থানীয় বরমা কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। সবকিছুর দাম হু হু করে বাড়ছে। কারণ, হাসিনা বাংলাদেশে কিছুই রাখে নাই। ১৩৪ বিলিয়ন ডলার লুট করে নিয়ে গেছে। এ টাকা যদি বাংলাদেশে থাকত, তাহলে দেশ আজ পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে। কিছুই রাখে নাই। সব নিয়ে গেছে হাসিনা।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে অলি আহমদ বলেন, ‘আপনি হেলাফেলা করে দেশ পরিচালনা করলে হবে না। লটারি মন্ত্রীদেরকে নিয়ে আপনি দেশ চালাতে পারবেন না। এ রকম লটারি মন্ত্রী দিয়ে একটা দেশ পরিচালনা করা যায়, তা আমার ৬০ বছরের জীবনে আমি শুনি নাই।’ তিনি তাচ্ছিল্য করে বলেন, ‘অবশ্য লটারি মন্ত্রী দিয়ে দেশ পরিচালনার জন্য তিনি আরেকটা নোবেল পুরস্কারও পেতে পারেন। কারণ, তিনি এর আগে মাইক্রোক্রেডিটের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন। সাধারণ মানুষ এখন অসহায়।’
কর্নেল অলি বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। রক্তপাত হচ্ছে। বিএনপির নমিনেশন নিয়েও গোলাগুলি হয়েছে, মারামারি হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশ একটা অশান্ত পরিবেশের মধ্যে আছে। বিভিন্ন কারণে এই অশান্ত পরিবেশ। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল, তদবির ইত্যাদি নানামাত্রিক সমস্যায় মানুষ এখন কাহিল। এগুলো সমাধান হওয়া দরকার। গরিবদের ওপর জুলুম করা চলবে না। সরকারের দায়িত্ব এগুলোর সমাধান করা।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল চন্দনাইশ উপজেলার সভাপতি জসিম উদ্দীন। সাধারণ সম্পাদক মো. মোরশেদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, ‘হাসিনা বাংলাদেশটাকে শেষ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো হাসিনার লোকজন সক্রিয় রয়েছে। কেউ এস আলমের মাধ্যমে, কেউ অন্যভাবে। ইদানীং শুনতেছি, এস আলমের লোকজনকেও নমিনেশন দেওয়া হচ্ছে। এটা আমার কথা না, জনগণের কথা। আমিও তাদের সঙ্গে একমত।’ গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চন্দনাইশ উপজেলা গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে স্থানীয় বরমা কলেজ মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। সবকিছুর দাম হু হু করে বাড়ছে। কারণ, হাসিনা বাংলাদেশে কিছুই রাখে নাই। ১৩৪ বিলিয়ন ডলার লুট করে নিয়ে গেছে। এ টাকা যদি বাংলাদেশে থাকত, তাহলে দেশ আজ পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে। কিছুই রাখে নাই। সব নিয়ে গেছে হাসিনা।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে অলি আহমদ বলেন, ‘আপনি হেলাফেলা করে দেশ পরিচালনা করলে হবে না। লটারি মন্ত্রীদেরকে নিয়ে আপনি দেশ চালাতে পারবেন না। এ রকম লটারি মন্ত্রী দিয়ে একটা দেশ পরিচালনা করা যায়, তা আমার ৬০ বছরের জীবনে আমি শুনি নাই।’ তিনি তাচ্ছিল্য করে বলেন, ‘অবশ্য লটারি মন্ত্রী দিয়ে দেশ পরিচালনার জন্য তিনি আরেকটা নোবেল পুরস্কারও পেতে পারেন। কারণ, তিনি এর আগে মাইক্রোক্রেডিটের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন। সাধারণ মানুষ এখন অসহায়।’
কর্নেল অলি বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। রক্তপাত হচ্ছে। বিএনপির নমিনেশন নিয়েও গোলাগুলি হয়েছে, মারামারি হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশ একটা অশান্ত পরিবেশের মধ্যে আছে। বিভিন্ন কারণে এই অশান্ত পরিবেশ। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল, তদবির ইত্যাদি নানামাত্রিক সমস্যায় মানুষ এখন কাহিল। এগুলো সমাধান হওয়া দরকার। গরিবদের ওপর জুলুম করা চলবে না। সরকারের দায়িত্ব এগুলোর সমাধান করা।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল চন্দনাইশ উপজেলার সভাপতি জসিম উদ্দীন। সাধারণ সম্পাদক মো. মোরশেদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী।

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চারটিতে পুরোনোদের নাম এসেছে। আর দুটিতে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার প্রাথমিকভাবে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের অনুসারীরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ, মোটরসাইকেল...
৩ ঘণ্টা আগে
নওগাঁ সদর উপজেলায় জমি নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে অনুষ্ঠিত সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের...
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম বলেছেন, ‘যেকোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় পুলিশ বাহিনী একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি সর্বদা সরকারের দৃশ্যমান প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। আমরা অতীতে দেখেছি, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ উদ্ধারে পুলিশকে অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছ
২৬ মিনিট আগে
নিহত বাবলার ভাই আজিজ হোসেন দাবি করেন, ‘ছোট সাজ্জাদের লোকজনই পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। অনেক দিন ধরেই ওরা হুমকি দিচ্ছিল—“যা খেয়ে নে, সময় খুব কম।” আমরা নিরাপত্তা ভেবেছিলাম এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে কোনো বিপদ হবে না, কিন্তু ওরা সুযোগ নিয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে বিএনপির নির্বাচনী গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে সরোয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নিহতের ঘটনাটি রাজনৈতিক কারণে ঘটেনি। দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের পুরোনো বিরোধের জেরে ঘটেছে বলে দাবি পুলিশের। আর নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, দীর্ঘ পরিকল্পনা করে বাবলাকে হত্যা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ জানান, হামলায় টার্গেট ছিলেন বাবলা। চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার উদ্দেশ্য ছিল না।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগের সময় এই গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় এরশাদ উল্লাহ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। হঠাৎ এক যুবক কর্মীদের ভিড়ে ঢুকে খুব কাছ থেকে বাবলার ঘাড়ে গুলি করে। পরপর সাত-আটটি গুলিতে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন বাবলা।
গুলিতে আহত হন এরশাদ উল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক ইরফানুল হক (শান্ত), বিএনপি কর্মী আমিনুল হক ও মুর্তজা হক। তাঁদের নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ইরফানুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া এরশাদ উল্লাহর পেটে ছররা গুলি লাগে, তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
গতকাল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, হামলার টার্গেট ছিলেন বাবলা। তাঁর সঙ্গে বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত।
পুলিশ জানায়, বাবলার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যা ও চুরি-ডাকাতিসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। তিনি একাধিকবার জেল খেটেছেন। গত মার্চেও বাকলিয়া এক্সেস রোডে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, তখন দুজন নিহত হন।
দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরোধে ঘটনাটি ঘটলেও নির্বাচনের আগে এমন সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করছে পুলিশ। এসব কথা জানিয়ে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, ‘সামনে বিএনপি-জামায়াতসহ যেকোনো দল জনসভা বা গণসংযোগের অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে জানাতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব।’
হাসিব আজিজ আরও বলেন, হামলার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্তে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাবলা এক মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। বিয়েতে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহসহ কয়েকজন স্থানীয় নেতা ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে তিনি বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয় হতে শুরু করেন।
স্থানীয় ব্যক্তিদের মতে, বাবলা রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে যুক্ত ছিলেন।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘ঘটনাটি রাজনৈতিক নয় বলে আমরা নিশ্চিত। এটি বাবলা ও ছোট সাজ্জাদ গ্রুপের বিরোধেরই পরিণতি। জড়িতদের শনাক্তে একাধিক টিম কাজ করছে।’
বাবলার পরিবারের সদস্যদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। এ জন্য বহুবার বাবলাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
নিহত বাবলার ভাই আজিজ হোসেন দাবি করেন, ‘ছোট সাজ্জাদের লোকজনই পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। অনেক দিন ধরেই ওরা হুমকি দিচ্ছিল—“যা খেয়ে নে, সময় খুব কম।” আমরা ভেবেছিলাম এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে কোনো বিপদ হবে না, কিন্তু ওরা সুযোগ নিয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গুলি চালানো যুবকেরা গণসংযোগে আসা কর্মীদের সঙ্গেই মিশে ছিল। তারা একটি মাইক্রোবাসে করে এসে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
তবে বিএনপির দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে দলীয় কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণসংযোগে শত শত মানুষ অংশ নিয়েছিল। বাবলার সঙ্গে অন্য সন্ত্রাসী দলের বিরোধের জেরেই হামলা হয়েছে। সরকারপক্ষ এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দিতে চাইলে তা হবে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।’

চট্টগ্রামে বিএনপির নির্বাচনী গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে সরোয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নিহতের ঘটনাটি রাজনৈতিক কারণে ঘটেনি। দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের পুরোনো বিরোধের জেরে ঘটেছে বলে দাবি পুলিশের। আর নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, দীর্ঘ পরিকল্পনা করে বাবলাকে হত্যা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ জানান, হামলায় টার্গেট ছিলেন বাবলা। চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার উদ্দেশ্য ছিল না।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগের সময় এই গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় এরশাদ উল্লাহ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। হঠাৎ এক যুবক কর্মীদের ভিড়ে ঢুকে খুব কাছ থেকে বাবলার ঘাড়ে গুলি করে। পরপর সাত-আটটি গুলিতে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন বাবলা।
গুলিতে আহত হন এরশাদ উল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক ইরফানুল হক (শান্ত), বিএনপি কর্মী আমিনুল হক ও মুর্তজা হক। তাঁদের নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ইরফানুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া এরশাদ উল্লাহর পেটে ছররা গুলি লাগে, তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
গতকাল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, হামলার টার্গেট ছিলেন বাবলা। তাঁর সঙ্গে বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত।
পুলিশ জানায়, বাবলার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যা ও চুরি-ডাকাতিসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। তিনি একাধিকবার জেল খেটেছেন। গত মার্চেও বাকলিয়া এক্সেস রোডে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, তখন দুজন নিহত হন।
দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরোধে ঘটনাটি ঘটলেও নির্বাচনের আগে এমন সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করছে পুলিশ। এসব কথা জানিয়ে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, ‘সামনে বিএনপি-জামায়াতসহ যেকোনো দল জনসভা বা গণসংযোগের অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে জানাতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব।’
হাসিব আজিজ আরও বলেন, হামলার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্তে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাবলা এক মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। বিয়েতে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহসহ কয়েকজন স্থানীয় নেতা ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে তিনি বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয় হতে শুরু করেন।
স্থানীয় ব্যক্তিদের মতে, বাবলা রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে যুক্ত ছিলেন।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘ঘটনাটি রাজনৈতিক নয় বলে আমরা নিশ্চিত। এটি বাবলা ও ছোট সাজ্জাদ গ্রুপের বিরোধেরই পরিণতি। জড়িতদের শনাক্তে একাধিক টিম কাজ করছে।’
বাবলার পরিবারের সদস্যদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। এ জন্য বহুবার বাবলাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
নিহত বাবলার ভাই আজিজ হোসেন দাবি করেন, ‘ছোট সাজ্জাদের লোকজনই পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। অনেক দিন ধরেই ওরা হুমকি দিচ্ছিল—“যা খেয়ে নে, সময় খুব কম।” আমরা ভেবেছিলাম এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে কোনো বিপদ হবে না, কিন্তু ওরা সুযোগ নিয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গুলি চালানো যুবকেরা গণসংযোগে আসা কর্মীদের সঙ্গেই মিশে ছিল। তারা একটি মাইক্রোবাসে করে এসে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
তবে বিএনপির দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে দলীয় কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণসংযোগে শত শত মানুষ অংশ নিয়েছিল। বাবলার সঙ্গে অন্য সন্ত্রাসী দলের বিরোধের জেরেই হামলা হয়েছে। সরকারপক্ষ এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দিতে চাইলে তা হবে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।’

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চারটিতে পুরোনোদের নাম এসেছে। আর দুটিতে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার প্রাথমিকভাবে এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের অনুসারীরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ, মোটরসাইকেল...
৩ ঘণ্টা আগে
নওগাঁ সদর উপজেলায় জমি নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে অনুষ্ঠিত সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গোলাম হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের সুনলিয়া মালঞ্চি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত গোলাম হোসেন মালঞ্চি গ্রামের...
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন বিপিএম বলেছেন, ‘যেকোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় পুলিশ বাহিনী একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি সর্বদা সরকারের দৃশ্যমান প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। আমরা অতীতে দেখেছি, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ উদ্ধারে পুলিশকে অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছ
২৬ মিনিট আগে
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘হাসিনা বাংলাদেশটাকে শেষ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো হাসিনার লোকজন সক্রিয় রয়েছে। কেউ এস আলমের মাধ্যমে, কেউ অন্যভাবে।
১ ঘণ্টা আগে