Ajker Patrika

কর্মস্থলে যোগদানের সপ্তাহ না যেতেই কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
কর্মস্থলে যোগদানের সপ্তাহ না যেতেই কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

চার দিন পূর্বে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি ভাতের হোটেলে কাজ নিয়েছিলেন চাকরির খোঁজে আসা আসাদুজ্জামান (৩৭)। কাজে প্রবেশের সপ্তাহ না পেরোতেই নিজ কর্মস্থল থেকে মিলল তাঁর ঝুলন্ত লাশ। প্রাথমিক সুরতহালে পুলিশের ধারণা, আত্মহত্যা করেছেন আসাদ। বিষয়টি ময়নাতদন্তের পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

আজ শনিবার সকালে বন্দরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহী মসজিদ এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আসাদ গাজীপুর জেলা শহরের সাতাশ ব্যাংকপাড়া এলাকার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিক সেলিম। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিহত আসাদের পা মাটিতে ভাঁজ হয়ে আছে। সামনেই রয়েছে ভাতের হোটেলের বসার বেঞ্চ। অর্থাৎ ফাঁস লাগানো অবস্থায় বাঁচার চেষ্টা করার সুযোগ ছিল আসাদের। এমন অবস্থায় এটি আদৌও আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে সকলের কাছে। 

হোটেল মালিক সেলিম বলেন, ‘৩ / ৪ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের এক নম্বর রেলগেট এলাকায় পরিচয় হয় আসাদুজ্জামানের সঙ্গে। সে আমাকে জানায়, তার মা বাবা কেউ নেই। অসহায় হয়ে রেলস্টেশন সহ রাস্তাঘাটে ঘোরাঘুরি করত। চাকরি করার আগ্রহ প্রকাশ করলে সঙ্গে করে আমার খাবার হোটেলে নিয়ে আসি। দোকানের ভেতরেই সে ঘুমাত। প্রতিদিনের মতো গতরাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে আসি। সকালে দোকানের সাটার টোকা দিলে কোনো সাড়াশব্দ পাই না। পরে সাটার খুললে দোকানের ভেতর সিলিংয়ের সঙ্গে আসাদের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই।’ 

সেলিম আরও বলেন, ‘ঘটনার পরপরেই পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে। ঠিক কেন সে মারা গেল জানি না। তার পরিবারের সঙ্গেও আমার তেমন যোগাযোগ নেই। হতাশাগ্রস্ত ছিল, তাই চাকরিতে এনে দিলাম। এমন ঘটনা ঘটে যাবে ভাবতে পারিনি!’ 

বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসাদুজ্জামানের বাড়ি গাজীপুরের একটি ঠিকানা আমরা পেয়েছি। সেখানে তার পরিবারের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আত্মীয়স্বজন পেলে তাদের কাছে, আর না পেলে হোটেল মালিক সেলিমের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’ 

নিহতের পা মাটিতে ভাঁজ হয়ে থাকার প্রশ্নে বলেন, ‘আত্মহত্যা করলে গলায় যেই ধরনের দাগ বসে তার উপস্থিতি আমরা পেয়েছি। অন্য কোনো কারণ সুরতহালে পাওয়া যায়নি। হতে পারে রশি ধীরে ধীরে লুজ হয়ে তার দেহ নামিয়ে এনেছে। তবে লাশটি ময়নাতদন্তের পরে হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত