মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের মেলান্দহ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ মণ বেগুন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। তবে কৃষকের কাছ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে কেনা এই বেগুন মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরের বাজারে গিয়ে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের টুপকারচর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেগুন কেনার জন্য পাশেই ঘর নির্মাণ করেছেন। শ্যামপুর ও টুপকার চর এলাকার বেগুনচাষিদের কাছ থেকে পাইকারেরা বেগুন খেত কিনে মহিষের গাড়ি দিয়ে টুপকার চর বাজারে নিয়ে বেগুন জমা করেন।
আবার কিছু কৃষক বেগুন অটোরিকশায় করে নিয়ে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। টুপকার চর বাজার থেকে ট্রাকে করে এসব বেগুন ঢাকার বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছে। প্রতিদিন ছোট-বড় অন্তত ১০টি ট্রাকে বেগুন যায়। এদিকে জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরাও বেগুন কিনে অটোরিকশায় করে শহরের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।
পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ বলেন, ‘কৃষকদের কাছ থেকে আমরা বেগুন কিনছি ৩০ থেকে ৩২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দরে। এই জায়গায় প্রায় পাঁচ থেকে ছয়জন পাইকারি ব্যবসায়ী রয়েছেন। আমরা এখান থেকে বেগুন কিনে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি বিক্রি করি। কৃষকদের খেত থেকে বেগুন কিনে মহিষ বা ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পার করে জমা করি। পরে এই জায়গা থেকে ট্রাকে করে ঢাকায় বেগুন নেওয়া হয়। প্রতিদিন এই জায়গা থেকে প্রায় ১৫০০ মণ বেগুন ঢাকায় যায়।’
বেগুনচাষি সাইদুর ইসলাম বলেন, ‘শ্যামপুর এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ বেগুন চাষ করেন। আগে বেগুন মেলান্দহ বাজারে পাইকারি বিক্রি করতাম। কয়েক বছর ধরে টুপকার চর বাজার থেকেই পাইকারি বিক্রি করছি। ৩০ টাকা কেজি বেগুন বিক্রি করলাম। এখন যে দাম আছে, এই দাম থাকলে কিছুটা লাভ হবে। বেগুন চাষে সবকিছুতেই দাম বেড়েছে। সার-বিষ ও বীজের দাম গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।’
জামালপুর শহরে সকাল বাজারে গিয়ে জানা গেছে, ‘প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারদের কাছ থেকে বেগুন কিনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজিতে পাঁচ থেকে দশ টাকা লাভ করছেন।’
সকাল বাজারের সবজি ক্রেতা শেখ ফরিদ বলেন, এখন যে দাম তাতে বেগুন কেনা একটু কঠিন। কারণ এখন পুরোপুরি বেগুন চাষের মৌসুম। এই সময়ে বেগুন ৬৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গত বছরের এই সময়ে বেগুনের দাম ছিল ৪৫-৪৫ টাকা।
মেলান্দহ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। এতে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেগুন ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলে কৃষকেরা তেমন লাভবান হবে না। কারণ সার, কীটনাশকসহ সবকিছুরই দাম বেড়েছে।
জামালপুরের মেলান্দহ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ মণ বেগুন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। তবে কৃষকের কাছ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে কেনা এই বেগুন মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরের বাজারে গিয়ে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের টুপকারচর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেগুন কেনার জন্য পাশেই ঘর নির্মাণ করেছেন। শ্যামপুর ও টুপকার চর এলাকার বেগুনচাষিদের কাছ থেকে পাইকারেরা বেগুন খেত কিনে মহিষের গাড়ি দিয়ে টুপকার চর বাজারে নিয়ে বেগুন জমা করেন।
আবার কিছু কৃষক বেগুন অটোরিকশায় করে নিয়ে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। টুপকার চর বাজার থেকে ট্রাকে করে এসব বেগুন ঢাকার বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছে। প্রতিদিন ছোট-বড় অন্তত ১০টি ট্রাকে বেগুন যায়। এদিকে জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরাও বেগুন কিনে অটোরিকশায় করে শহরের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।
পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ বলেন, ‘কৃষকদের কাছ থেকে আমরা বেগুন কিনছি ৩০ থেকে ৩২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দরে। এই জায়গায় প্রায় পাঁচ থেকে ছয়জন পাইকারি ব্যবসায়ী রয়েছেন। আমরা এখান থেকে বেগুন কিনে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি বিক্রি করি। কৃষকদের খেত থেকে বেগুন কিনে মহিষ বা ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পার করে জমা করি। পরে এই জায়গা থেকে ট্রাকে করে ঢাকায় বেগুন নেওয়া হয়। প্রতিদিন এই জায়গা থেকে প্রায় ১৫০০ মণ বেগুন ঢাকায় যায়।’
বেগুনচাষি সাইদুর ইসলাম বলেন, ‘শ্যামপুর এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ বেগুন চাষ করেন। আগে বেগুন মেলান্দহ বাজারে পাইকারি বিক্রি করতাম। কয়েক বছর ধরে টুপকার চর বাজার থেকেই পাইকারি বিক্রি করছি। ৩০ টাকা কেজি বেগুন বিক্রি করলাম। এখন যে দাম আছে, এই দাম থাকলে কিছুটা লাভ হবে। বেগুন চাষে সবকিছুতেই দাম বেড়েছে। সার-বিষ ও বীজের দাম গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।’
জামালপুর শহরে সকাল বাজারে গিয়ে জানা গেছে, ‘প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারদের কাছ থেকে বেগুন কিনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজিতে পাঁচ থেকে দশ টাকা লাভ করছেন।’
সকাল বাজারের সবজি ক্রেতা শেখ ফরিদ বলেন, এখন যে দাম তাতে বেগুন কেনা একটু কঠিন। কারণ এখন পুরোপুরি বেগুন চাষের মৌসুম। এই সময়ে বেগুন ৬৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গত বছরের এই সময়ে বেগুনের দাম ছিল ৪৫-৪৫ টাকা।
মেলান্দহ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। এতে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেগুন ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলে কৃষকেরা তেমন লাভবান হবে না। কারণ সার, কীটনাশকসহ সবকিছুরই দাম বেড়েছে।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
১৮ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৩ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
২৮ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে