ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
বৃষ্টিতে ধসে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল-ধানীখোলা সড়কে। ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী হাজারো মানুষ। এ অবস্থায় ছোট কিছু গাড়ি ও মানুষ রাস্তাটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ত্রিশাল পৌর শহর থেকে ধানীখোলা বাজার পর্যন্ত সড়কের দূরত্ব আট কিলোমিটার। দুই কিলোমিটার সড়ক পৌর শহরে পড়লেও সংস্কারের অভাবে কয়েক বছর ধরেই নাজুক। বাকি ছয় কিলোমিটার সড়ক বছর দেড়েক আগে পাকা হলেও বৃষ্টি ও মাছের গাড়ি চলাচলের কারণে কয়েক জায়গায় ধস এবং খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে অল্প কিছু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর মোটরসাইকেল থেমে থেমে চলাচল করছে। যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে ঠেলে ঠেলে এটি পার হচ্ছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ ছাড়া পুরো সড়কের বেশ কিছু অংশে বৃষ্টির কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে যে সড়কটুকু দিয়ে হেঁটে চলা যায়, সেটুকুও ধসে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলায় যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সড়ক এটি। প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাইক, মালবাহী বিভিন্ন গাড়িসহ শতাধিক গাড়ি চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। বছরখানেক আগে সড়কটি নতুন করে পাকা হওয়ার পর থেকেই উঁচু স্থানের পানি নামার জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পুরো পাকা সড়ক ধসে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এতে এই এলাকার মানুষ যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই সড়ক ধসে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও কেউ এটি সমাধানে এগিয়ে আসছে না। কয়েক দিন আগে ইউএনও স্যার দেখে গেছেন। গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের এমন বিপজ্জনক অবস্থার সমাধানে কারও নজর নেই। দ্রুত আমরা এর সমাধান চাই।’
এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী শামসুল হক বলেন, ‘আমি প্রায়ই এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। বৃষ্টির দিনে এমন ঘটনা নতুন নয়। সড়ক ধসে গেছে অনেক দিন, আমাদের কষ্ট করে চলতে হচ্ছে। রোগী নিয়ে চলাচলে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি। দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।’
মোটরসাইকেলচালক কামরুল এহসান বলেন, ‘এভাবে একটি সড়ক আজ কয়েক দিন যাবৎ ধসে বন্ধ হয়ে আছে, কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়াশব্দ নেই। ঘুরেফিরে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার।’
এ সড়কের ভ্যানচালক জমসেদ মিয়া বলেন, ‘সড়ক ধসের কারণে বেশি ভাড়া মারতে পারি না। গাড়ি ভাঙা দিয়া নিয়া গেলে ভেঙে যায়। রাইতে বেশি রিস্কে থাকি—কহন যেন ভ্যান লইয়া নদীর মধ্যে পইড়া যাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘ইতিমধ্যে ধসে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি ইউএনও স্যারকে সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি। ওই এলাকার বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই। সড়কের নিচ দিয়ে লিকেজ হয়ে পানি নদীতে নামার কারণে ধসে গেছে। খুব দ্রুতই সড়কটি মেরামত করা হবে। পাশাপাশি পানি নামার জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী বলেন, ‘ধসে যাওয়া সড়কের অংশটি দেখে এসেছি। উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে এলজিইডিতে প্রপোজাল পাঠানো হয়েছে, বরাদ্দ এলেই দ্রুতই সড়ক মেরামত করা হবে। আর ওই সড়কের সমানের অংশটুকু টেন্ডার হয়েছে, বৃষ্টির জন্য কাজটি আটকে আছে। সংস্কারের কাজটি দ্রুতই করা হবে।’
বৃষ্টিতে ধসে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল-ধানীখোলা সড়কে। ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী হাজারো মানুষ। এ অবস্থায় ছোট কিছু গাড়ি ও মানুষ রাস্তাটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ত্রিশাল পৌর শহর থেকে ধানীখোলা বাজার পর্যন্ত সড়কের দূরত্ব আট কিলোমিটার। দুই কিলোমিটার সড়ক পৌর শহরে পড়লেও সংস্কারের অভাবে কয়েক বছর ধরেই নাজুক। বাকি ছয় কিলোমিটার সড়ক বছর দেড়েক আগে পাকা হলেও বৃষ্টি ও মাছের গাড়ি চলাচলের কারণে কয়েক জায়গায় ধস এবং খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে অল্প কিছু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর মোটরসাইকেল থেমে থেমে চলাচল করছে। যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে ঠেলে ঠেলে এটি পার হচ্ছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ ছাড়া পুরো সড়কের বেশ কিছু অংশে বৃষ্টির কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে যে সড়কটুকু দিয়ে হেঁটে চলা যায়, সেটুকুও ধসে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলায় যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সড়ক এটি। প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাইক, মালবাহী বিভিন্ন গাড়িসহ শতাধিক গাড়ি চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। বছরখানেক আগে সড়কটি নতুন করে পাকা হওয়ার পর থেকেই উঁচু স্থানের পানি নামার জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পুরো পাকা সড়ক ধসে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এতে এই এলাকার মানুষ যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই সড়ক ধসে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও কেউ এটি সমাধানে এগিয়ে আসছে না। কয়েক দিন আগে ইউএনও স্যার দেখে গেছেন। গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের এমন বিপজ্জনক অবস্থার সমাধানে কারও নজর নেই। দ্রুত আমরা এর সমাধান চাই।’
এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী শামসুল হক বলেন, ‘আমি প্রায়ই এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। বৃষ্টির দিনে এমন ঘটনা নতুন নয়। সড়ক ধসে গেছে অনেক দিন, আমাদের কষ্ট করে চলতে হচ্ছে। রোগী নিয়ে চলাচলে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি। দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।’
মোটরসাইকেলচালক কামরুল এহসান বলেন, ‘এভাবে একটি সড়ক আজ কয়েক দিন যাবৎ ধসে বন্ধ হয়ে আছে, কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়াশব্দ নেই। ঘুরেফিরে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার।’
এ সড়কের ভ্যানচালক জমসেদ মিয়া বলেন, ‘সড়ক ধসের কারণে বেশি ভাড়া মারতে পারি না। গাড়ি ভাঙা দিয়া নিয়া গেলে ভেঙে যায়। রাইতে বেশি রিস্কে থাকি—কহন যেন ভ্যান লইয়া নদীর মধ্যে পইড়া যাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘ইতিমধ্যে ধসে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি ইউএনও স্যারকে সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি। ওই এলাকার বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই। সড়কের নিচ দিয়ে লিকেজ হয়ে পানি নদীতে নামার কারণে ধসে গেছে। খুব দ্রুতই সড়কটি মেরামত করা হবে। পাশাপাশি পানি নামার জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী বলেন, ‘ধসে যাওয়া সড়কের অংশটি দেখে এসেছি। উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে এলজিইডিতে প্রপোজাল পাঠানো হয়েছে, বরাদ্দ এলেই দ্রুতই সড়ক মেরামত করা হবে। আর ওই সড়কের সমানের অংশটুকু টেন্ডার হয়েছে, বৃষ্টির জন্য কাজটি আটকে আছে। সংস্কারের কাজটি দ্রুতই করা হবে।’
স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ একাধিক দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
৫ মিনিট আগেনিখোঁজের তিনদিন পর ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহারিয়ার ইসলাম তুষারকে (২৭) উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভোরে ফেনী শহরের নাসির মেমোরিয়াল কলেজের যাত্রী ছাউনির ভেতর থেকে তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
২৭ মিনিট আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
১ ঘণ্টা আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ক্যাম্পাসে তিন দিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগে