মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের মাদারগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গোখাদ্যের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন বাণিজ্যিক, প্রান্তিক ও ছোট খামারিরা। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই দুগ্ধ উৎপাদন খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে, উপজেলায় ১ হাজার ৯২৪টি গরুর খামার রয়েছে। এর মধ্যে দুগ্ধ খামার রয়েছে ১ হাজার ৩৮টি এবং গরু মোটাতাজাকরণ খামার রয়েছে ৮৮৬টি। সব মিলিয়ে এসব খামারে গবাদিপশু রয়েছে প্রায় ৮৪ হাজার। এসব গবাদিপশুর জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হচ্ছে বিপুল পরিমাণ গোখাদ্য। কিন্তু খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বাণিজ্যিক, প্রান্তিক ও ছোট খামারিরা।
বালিজুড়ী এলাকার খামারি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার খামারে ১৭টি গাভিসহ ২৫টি গরু রয়েছে। গোখাদ্য ও শ্রমিকসহ প্রতি মাসে খরচ হয় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু দুধ বিক্রি থেকে আসে মাত্র ১ লাখ টাকা। এতে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
খামারি আরও বলেন, ‘এমন লোকসানে খামার ও আমাদের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে? সরকারের কাছে অনুরোধ করব, যেন দয়া করে আমাদের রক্ষা করে।’
সুখনগরী এলাকার স্বদেশ এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্মের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল হামিদ সরকার বলেন, এক বস্তা ভুসির দাম ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা। কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে বর্তমানে ১ হাজার ৮০০ টাকায় কিনতে হবে। খৈলের দাম ২ হাজার ৯০০ টাকা হলেও কয়েক দিনের ব্যবধানে এখন ৩ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, ১ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৬৫ টাকা। কিন্তু বাজারমূল্য মাত্র ৪০-৫০ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই দুগ্ধ উৎপাদনের খামার বন্ধ হয়ে যাবে।
একই এলাকার নবদীপ এগ্রো ডেইরি ফার্মের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এভাবে গোখাদ্যের দাম বাড়তে থাকলে সামনের দিনে খামার টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
উপজেলা চত্বরের হৃদয় ডেইরি ফার্মের মালিক হৃদয় চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘গোখাদ্যের দাম বাড়লেও বাড়ছে না দুধের দাম। প্রতিনিয়ত ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সরকারসহ সবাইকে বলব, আমাদের পাশে যেন দাঁড়ায়। না হলে খামার টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ভুসি, সয়াবিন, খৈলসহ অন্যান্য দানাদার খাদ্যের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে পরিবহন খরচও বেড়েছে। তবে খড় ও কাঁচা ঘাসের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তাই খামারিদের জন্য আমার পরামর্শ, শুধু দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভর না করে গবাদিপশুকে কাঁচা খাস খাওয়াতে হবে।’
জামালপুরের মাদারগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গোখাদ্যের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন বাণিজ্যিক, প্রান্তিক ও ছোট খামারিরা। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই দুগ্ধ উৎপাদন খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে, উপজেলায় ১ হাজার ৯২৪টি গরুর খামার রয়েছে। এর মধ্যে দুগ্ধ খামার রয়েছে ১ হাজার ৩৮টি এবং গরু মোটাতাজাকরণ খামার রয়েছে ৮৮৬টি। সব মিলিয়ে এসব খামারে গবাদিপশু রয়েছে প্রায় ৮৪ হাজার। এসব গবাদিপশুর জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হচ্ছে বিপুল পরিমাণ গোখাদ্য। কিন্তু খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বাণিজ্যিক, প্রান্তিক ও ছোট খামারিরা।
বালিজুড়ী এলাকার খামারি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার খামারে ১৭টি গাভিসহ ২৫টি গরু রয়েছে। গোখাদ্য ও শ্রমিকসহ প্রতি মাসে খরচ হয় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু দুধ বিক্রি থেকে আসে মাত্র ১ লাখ টাকা। এতে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
খামারি আরও বলেন, ‘এমন লোকসানে খামার ও আমাদের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে? সরকারের কাছে অনুরোধ করব, যেন দয়া করে আমাদের রক্ষা করে।’
সুখনগরী এলাকার স্বদেশ এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্মের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল হামিদ সরকার বলেন, এক বস্তা ভুসির দাম ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা। কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে বর্তমানে ১ হাজার ৮০০ টাকায় কিনতে হবে। খৈলের দাম ২ হাজার ৯০০ টাকা হলেও কয়েক দিনের ব্যবধানে এখন ৩ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, ১ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৬৫ টাকা। কিন্তু বাজারমূল্য মাত্র ৪০-৫০ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই দুগ্ধ উৎপাদনের খামার বন্ধ হয়ে যাবে।
একই এলাকার নবদীপ এগ্রো ডেইরি ফার্মের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এভাবে গোখাদ্যের দাম বাড়তে থাকলে সামনের দিনে খামার টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
উপজেলা চত্বরের হৃদয় ডেইরি ফার্মের মালিক হৃদয় চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘গোখাদ্যের দাম বাড়লেও বাড়ছে না দুধের দাম। প্রতিনিয়ত ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সরকারসহ সবাইকে বলব, আমাদের পাশে যেন দাঁড়ায়। না হলে খামার টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ভুসি, সয়াবিন, খৈলসহ অন্যান্য দানাদার খাদ্যের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে পরিবহন খরচও বেড়েছে। তবে খড় ও কাঁচা ঘাসের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তাই খামারিদের জন্য আমার পরামর্শ, শুধু দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভর না করে গবাদিপশুকে কাঁচা খাস খাওয়াতে হবে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে