Ajker Patrika

ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় আসামি ৪ হাজার, গ্রেপ্তার ১২২ 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় আসামি ৪ হাজার, গ্রেপ্তার ১২২ 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় প্রায় ৪০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এসব ঘটনায় ৫ জন নিহত এবং ৭০ জনের মতো আহত হয়েছেন। নিহত এবং আহত পরিবারের মধ্যে কেউই থানায় অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় ময়মনসিংহ সদর, গৌরীপুর এবং ফুলপুরসহ বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৮-২৩ জুলাই পর্যন্ত এসব মামলা করা হয়।

গত শুক্রবার বিকেলে নগরীর আঠারোবাড়ি বিল্ডিং এলাকায় পার্কিং করা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনির গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনার পরদিন গাড়ি চালক মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

একইদিন বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের বাসায় হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বাদী হয়ে ৬ জন সহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আনন্দ মোহন কলেজে কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর এবং ছাত্রলীগের ওপর হামলার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্র লীগের আহ্বায়ক শেখ সজল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে। 

গত শুক্রবার বিকেলে নগরীর চরপাড়া ও বাইপাস মোড়ে পুলিশ বক্সে আগুন, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী রেদুয়ান হাসান সাগর (১৯) নিহত হন। তিনি নগরীর ভাংগাপুল এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদের ছেলে। 

পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুরের এ ঘটনায় পুলিশ কোতোয়ালি মডেল থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় কেউ অভিযোগ না দিলেও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। 

গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার গৌরীপুরের কলতাপাড়া এলাকায় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুইটি পিকআপ ভ্যান ও তাল্লু স্পিনিং মিলের গোডাউন। করা হয় ভাঙচুর। এ সময় নয় পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন বিক্ষোভকারী মারা যান। 

নিহতরা হলেন—গৌরীপুরের কাউরাট গ্রামের আনার উদ্দিনের ছেলে জোবায়ের হোসেন (১৮), দামগাঁও গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. বিপ্লব (১৮) এবং চুড়ালী গ্রামের হেকিম মুন্সীর ছেলে রাকিব হাসান (১৯)। 

গৌরীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল ইমরান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং নাশকতার অভিযোগে গত রোববার রাতে পুলিশবাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় শুনেছি তিনজন বিক্ষোভকারী মারা গেছে। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’ 

গত শনিবার জেলার ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (৪২) নামের এক সবজি বিক্রেতা মারা যান। তিনি চর ডাকিয়া কান্দাপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। 

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ বক্সে আগুন এবং নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। 

পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

এ ছাড়া বিজিবির গাড়িতে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। 

হামলায় পথচারী সাইফুল ইসলাম (৪২) নামে একজন মারা গেছেন। এ বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন বলেন, নাশকতার অভিযোগে এ পর্যন্ত জেলায় ১৪টি মামলা করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে প্রায় ৪০০০ জনকে। বেশির ভাগ আসামি অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে। এর মধ্যে ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। 

ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশেরও সমর্থন ছিল। কারণ এটা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি। এই আন্দোলনে নাশকতাকারীরা প্রবেশ করে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে পুলিশের ৭০-৮০ জন আহত হয়। 

তিনি বলেন, কারা এসব ঘটিয়েছে তারা চিহ্নিত। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। সাধারণ মানুষের ভয়ের কোনো কারণ নেই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বাণিজ্যের’ অভিযোগ ওঠায় খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশ। ছবি: সংগৃহীত
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সারা দেশে গুদামের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার (৩ নভেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি হয়।

মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুমের আমন সংগ্রহ অভিযান নিরবচ্ছিন্ন ও সফলভাবে সম্পন্ন এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন স্থগিত থাকবে। এই সিদ্ধান্তের আওতায় এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সিএসডির ব্যবস্থাপক এবং সাইলোসমূহের অধীক্ষকগণও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, ‘নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি-পদায়নের অভিযোগ পেয়েছি। অনৈতিক লেনদেনের কথাও আলোচনায় এসেছে। বদলি-বাণিজ্যের বিষয়ে তদন্ত করে প্রমাণ মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকায় ‘খাদ্যগুদামে বদলি-বাণিজ্য’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়। এতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় খাদ্যগুদামের অন্তত ছয়জন কর্মকর্তাকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি করার কথা উল্লেখ করা হয়। তাঁদের চাপ দিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পারিবারিক সমস্যার আবেদন লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একই গুদামে নতুন কর্মকর্তা পদায়নে ব্যাপক বাণিজ্যেরও অভিযোগ ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩৬ বছরের কর্মজীবন শেষে আবেগঘন বিদায়ে অশ্রুসিক্ত শায়েস্তা খাতুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১৬৬ নম্বর খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন শায়েস্তা খাতুন। আজ মঙ্গলবার ছিল তাঁর চাকরির শেষ কর্মদিবস। দিনটি উপলক্ষে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে সম্মাননা স্মারক, উপহারসামগ্রী, ফুলেল শুভেচ্ছাসহ আবেগঘন বিদায় জানায় গ্রামবাসী। বিদায়বেলায় সবার ভালোবাসায় অশ্রুসিক্ত হন শায়েস্তা খাতুন।

আজ দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক ও মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, গ্রামের শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, প্রায় ৩৬ বছর আগে খলিলাবাদ গ্রামটিতে শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তখন গ্রামের লোকজন মিলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলে শুরু থেকেই শায়েস্তা খাতুন নিরলসভাবে পাঠদান দিতেন। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে তিনি শুধু বিদ্যালয় নয়, গ্রামের মানুষকেও আলোকিত করেছেন।

বক্তারা আরও বলেন, তাঁর আন্তরিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ পাঠ্যবইয়ের শিক্ষার বাইরেও অনেক শিক্ষার্থীকে আলোকিত করেছে। তাঁর বহু শিক্ষার্থী সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছেন। তাঁর এই দীর্ঘ কর্মজীবনের শিক্ষা অনেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রয়ে যাবে। পুরো অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বক্তারা বিদায়ী প্রধান শিক্ষকের সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

বিদায়ী অনুষ্ঠানে শায়েস্তা খাতুন তাঁর অনুভূতির কথা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিদায় অনেক কষ্টের। আমি বিদায় নিতে চাই না। আমার কোমলমতি শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীরা আমাকে যে সম্মান দিয়েছে, তাতে আমি আবেগাপ্লুত, মুগ্ধ। সবার কাছ থেকে একজন শিক্ষকের এমন সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের। শিক্ষকের প্রতি এমন সম্মান সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক। বিদ্যালয়ের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।’

তিনি এ সময় অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং স্কুলে এসে পড়ালেখার খোঁজ নেওয়ারও আহ্বান জানান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৮৯ সালে খলিলাবাদ গ্রামে শিক্ষা বিস্তারের জন্য গ্রামের মানুষ খলিলাবাদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় আবুল হোসেনকে প্রধান শিক্ষক এবং আব্দুর রব, রানু বেগম, জোহরা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

১৯৯৭ সালে প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন চাকরি ছেড়ে দিলে শায়েস্তা খাতুন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং তখন থেকে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হলে ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়ও সরকারি হয়ে যায়।

শায়েস্তা খাতুনের দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিক্ষকতা জীবনে বিদ্যালয়টিতে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বর্তমানে দেশ-বিদেশে কর্মরত রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় মশাল মিছিল

কুমিল্লা প্রতিনিধি
নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে সড়ক মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে সড়ক মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারীরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা ধর্মসাগরপাড়ে দলীয় কার্যালয় থেকে মশাল মিছিল বের করেন এবং নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূবালী চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেন।

মিছিল ও সমাবেশে নেতা-কর্মীরা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। এ সময় তাঁরা ‘অবৈধ প্রার্থী মানি না মানব না’; ‘আমি কে তুমি কে, ইয়াছিন ভাই ইয়াছিন ভাই”; ‘জেল-জুলুম, কারাগারে ইয়াছিন ভাই’; ‘কুমিল্লার ঘরে ঘরে ইয়াছিন ভাই’ এবং ‘নেতা-কর্মীদের সুখে-দুখে ইয়াছিন ভাই’ বলে স্লোগান তোলেন। নেতা-কর্মীদের দাবি, তাঁদের নেতা ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে সক্রিয়। তাঁকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতেও ইয়াছিন সমর্থকেরা কান্দিরপাড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এরপর আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনা চোরাচালান: ৫ জনকে অপহরণের মামলায় দুই সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
গ্রেপ্তার আজিজুল হক ও আমিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার আজিজুল হক ও আমিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের পাঁচ ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তাঁরা এজাহারনামীয় আসামি নন। আজ মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন জীবননগরের হরিহরনগর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হক (৪৫) ও আমিরুল ইসলাম (৩৭)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ও ১৪ অক্টোবর গোয়ালপাড়া গ্রামের স্বপন, হাসান, আবুল হোসেন, আনার হোসেন ও তাঁর ছেলে শফি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। তাঁদের স্বজনদের অভিযোগ, একটি সোনা চোরাচালানকে কেন্দ্র করে এই পাঁচজনকে অপহরণ করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন—স্বপন, হাসান ও আবুল হোসেন ওই সোনা চোরাচালানের সময় মাঠে ঘাস কাটছিলেন।

ওই ঘটনায় নিখোঁজ হাসানের বাবা শওকত আলী বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। ​মামলা করার পরও পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে গড়িমসি করছিল অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আনোয়ারুল কবির বলেন, অপহরণ মামলার পর সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত