Ajker Patrika

ময়মনসিংহে কমেছে পাসের হার, ১৫ প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৫৯
আজ সকালে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে এবার এইচএসসিতে পাসের হার ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৮৪ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮২৬ জন। এবার ১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেননি। তিন প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ফলাফল জানিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল্লাহ।

ড. মো. শহিদুল্লাহ জানান, বোর্ডের চার জেলার ৩০৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৫ হাজার ৮৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৩৯ হাজার ৯৬ জন। বোর্ডের অধীনে চার জেলার মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় পাসের হার ৫৫.৪৬ শতাংশ, শেরপুরে ৪৮.৬৯ শতাংশ, জামালপুরে ৪৭.৪১ শতাংশ ও নেত্রকোনায় ৪৭.৩৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে ৭৬.৯০, মানবিকে ৪৫.৬৪ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৪১.১২ শতাংশ পাস করেছেন। বোর্ডে শতভাগ কৃতকার্য প্রতিষ্ঠান ৩টি ও শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠান ১৫টি।

মো. শহিদুল্লাহ বলেন, শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্লাসে অমনোযোগী এবং অনিয়মিতের কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে। ভবিষ্যতে ভালো করার লক্ষ্যে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এদিকে ফল প্রকাশের পর ময়মনসিংহের সেরা কলেজগুলোতে উল্লাসে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

নগরীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এ বছর ১ হাজার ৩৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১ হাজার ৩০২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৯৮ জন। ফলাফল ঘোষণার পর আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী সিফাত উল্লাহ বলেন, ‘বরাবরের মতো এবারও আমাদের কলেজ ভালো ফলাফল করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমিও জিপিএ-৫ পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানাই স্যারদের প্রতি, তাঁরা যেভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের পড়িয়েছেন।’

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষক এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘এবার বোর্ডেই রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। সেই তুলনায় আমরা ভালো করেছি। কিন্তু আরও ভালো হওয়ার দরকার ছিল। নানা কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি আনমনা থাকায় এমন হয়েছে। ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামীতে আরও ভালো করার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...