Ajker Patrika

সড়কঘেঁষা দুই বিদ্যালয়, সীমানাপ্রাচীর না থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি

মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) 
সড়কঘেঁষা দুই বিদ্যালয়, সীমানাপ্রাচীর না থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি

সড়ক ঘেঁষে পাশাপাশি রয়েছে দুটি বিদ্যালয়। একটি প্রাথমিক, অন্যটি মাধ্যমিক। বিদ্যালয় দুটিতে রয়েছে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী। কোনো প্রাচীর না থাকায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দাবি দ্রুত সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের। 

বিদ্যালয় দুটি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় সদর থেকে নড়াইল-শাকুয়াই ইউনিয়নের প্রধান সড়কের খরমা এলাকার খরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাঘমারা খরমা কুমুরিয়া (বিকেবি) উচ্চবিদ্যালয়। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীরা খেলা ও ছোটাছুটি করছে। বিদ্যালয়টির পাশে রয়েছে বাজার। সড়কটি উপজেলার নড়াইল, শাকুয়াই ও বিলডোরা এলাকার মানুষ যাতায়াত করায় অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের চাপ থাকে বেশি।

এদিকে সীমানাপ্রাচীর না থাকায় শিশুশিক্ষার্থীদের সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অভিভাবকেরা। 

বিদ্যালয় দুটি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে নড়াইল ইউনিয়নে ৫০ শতাংশ জমিতে ওই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে সেখানে ছয়জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩৯ জন। পাশে রয়েছে বিকেবি উচ্চবিদ্যালয়। এতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯০ জন। ১৯৭২ সালে স্থাপন করা হয় এ বিদ্যালয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, সড়ক লাগোয়া বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা মাঠে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার সময় বল সড়ক পেরিয়ে যায়। শিশুরা কোনো কিছু না বুঝেই সেই বল দৌড় দিয়ে সড়ক থেকে আনতে যায়। এভাবে বল আনতে গিয়ে এর আগে পাঁচ শিশু অটোরিকশার ধাক্কায় আহত হয়েছে। ২০১৮ সালে এক শিশু দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। স্কুলের সীমানাপ্রাচীর দেওয়া হলে শিশুশিক্ষার্থীরা অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। 

খরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফি সাদিক খান বলে, টিফিনের সময় রাস্তার ওপারে বাজারে দোকানে যেতে ভয় হয়। 

একই শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত বলে, স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলাই। বল রাস্তার ওপারে যায়। একদিন বল আনতে গিয়ে রাস্তায় অটো ধাক্কা দিয়েছে। 

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ ইমরান বলে, এই সড়কে অটোরিকশা চলাচল বেশি করে। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় সড়ক পার হতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। এমনকি খেলার সময়ও ঝুঁকিতে থাকতে হয়।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, একসঙ্গে দুটি বিদ্যালয় এখানে। একদিকে রাস্তাটি সরু, অন্যদিকে অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল করে। সীমানাপ্রাচীর থাকলে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা অনেকটা কমে যাবে। 

বিকেবি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, শিক্ষার্থীরা টিফিনের সময় মাঠে খেলাধুলা করে। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়। সীমানাপ্রাচীর খুব জরুরি। 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিপ্রা দেবী বলেন, দুটি বিদ্যালয়েরে একটি মাঠ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা টিফিনের সময় মাঠে দৌড়াদৌড়ি করে। সীমানাপ্রাচীর করা দরকার। 

বিকেবি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন, বিদ্যালয়টি প্রধান সড়ক ঘেঁষে হওয়ায় সীমানাপ্রাচীর অতি প্রয়োজন। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেলিমা আক্তার খাতুন বলেন, উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়কে পর্যায়ক্রমে সীমানাপ্রাচীরের আওতায় আনা হবে। বিশেষ করে কোনো বিদ্যালয়ের পাশে বাজার থাকলে কিংবা জমি দখল হওয়ার আশঙ্কা থাকলে সে ক্ষেত্রে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম জানান, এ ব্যাপারে তিনি অবগত রয়েছেন। বিদ্যালয়টির সীমানাপ্রাচীর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেলুয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। সীমানাপ্রাচীরের বরাদ্দ উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়া হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যা: ছাত্রী বর্ষার জামিন নামঞ্জুর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

শুনানিতে আজ বর্ষার আইনজীবী মাহমুদুল হাসান শহীদ তাঁর জামিন আবেদনের সময় আদালতকে বলেন, বর্ষা সম্পূর্ণ নির্দোষ। তিনি ঘটনার শিকার। হত্যাকাণ্ডে বর্ষা অংশগ্রহণ করেননি। তিনি একজন শিক্ষার্থী। পড়াশোনা করার স্বার্থে তাঁকে জামিন দেওয়া প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুনানি শেষে বর্ষার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৯ অক্টোবর রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার মাহুতটুলিতে পানির পাম্প গলির নুর বক্স লেনে একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

এ ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।

মামলায় জোবায়েদের ছাত্রী বর্ষা, মাহির রহমান ও ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদীর ছোট ভাই জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি নুর বক্স লেনে রওশন ভিলায় বর্ষাকে পড়াতে যান। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে বর্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈকতকে ফোনে জানান, জোবায়েদ খুন হয়েছেন। জানার পরে বাদী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ভবনের সিঁড়িতে জোবায়েদের লাশ দেখতে পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১০ বছর আগের মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে অস্ত্র আইনে ১০ বছর আগের একটি মামলায় মো. আবদুর রহিম (৫০) নামে এক আসামিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরার আদালত আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে ২০১৫ সালের ২২ মে নগরের চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা হিন্দুপাড়া এলাকা থেকে একটি দেশীয় একনলা বন্দুক ও একটি শটগানের কার্তুজসহ আবদুর রহিমকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় পরে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোরশেদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আজ আদালত মামলাটির আসামি মো. আবদুর রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে অস্ত্রের জন্য ১০ বছর এবং কার্তুজের জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। আসামির দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে, সেই হিসাবে ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা মূলে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বাণিজ্যের’ অভিযোগ ওঠায় খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশ। ছবি: সংগৃহীত
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সারা দেশে গুদামের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি ও পদায়ন-বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার (৩ নভেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি হয়।

মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুমের আমন সংগ্রহ অভিযান নিরবচ্ছিন্ন ও সফলভাবে সম্পন্ন এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন স্থগিত থাকবে। এই সিদ্ধান্তের আওতায় এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সিএসডির ব্যবস্থাপক এবং সাইলোসমূহের অধীক্ষকগণও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, ‘নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি-পদায়নের অভিযোগ পেয়েছি। অনৈতিক লেনদেনের কথাও আলোচনায় এসেছে। বদলি-বাণিজ্যের বিষয়ে তদন্ত করে প্রমাণ মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকায় ‘খাদ্যগুদামে বদলি-বাণিজ্য’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়। এতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় খাদ্যগুদামের অন্তত ছয়জন কর্মকর্তাকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলি করার কথা উল্লেখ করা হয়। তাঁদের চাপ দিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পারিবারিক সমস্যার আবেদন লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একই গুদামে নতুন কর্মকর্তা পদায়নে ব্যাপক বাণিজ্যেরও অভিযোগ ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩৬ বছরের কর্মজীবন শেষে আবেগঘন বিদায়ে অশ্রুসিক্ত শায়েস্তা খাতুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১৬৬ নম্বর খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন শায়েস্তা খাতুন। আজ মঙ্গলবার ছিল তাঁর চাকরির শেষ কর্মদিবস। দিনটি উপলক্ষে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে সম্মাননা স্মারক, উপহারসামগ্রী, ফুলেল শুভেচ্ছাসহ আবেগঘন বিদায় জানায় গ্রামবাসী। বিদায়বেলায় সবার ভালোবাসায় অশ্রুসিক্ত হন শায়েস্তা খাতুন।

আজ দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক ও মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, গ্রামের শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, প্রায় ৩৬ বছর আগে খলিলাবাদ গ্রামটিতে শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তখন গ্রামের লোকজন মিলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলে শুরু থেকেই শায়েস্তা খাতুন নিরলসভাবে পাঠদান দিতেন। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে তিনি শুধু বিদ্যালয় নয়, গ্রামের মানুষকেও আলোকিত করেছেন।

বক্তারা আরও বলেন, তাঁর আন্তরিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ পাঠ্যবইয়ের শিক্ষার বাইরেও অনেক শিক্ষার্থীকে আলোকিত করেছে। তাঁর বহু শিক্ষার্থী সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছেন। তাঁর এই দীর্ঘ কর্মজীবনের শিক্ষা অনেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রয়ে যাবে। পুরো অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বক্তারা বিদায়ী প্রধান শিক্ষকের সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

বিদায়ী অনুষ্ঠানে শায়েস্তা খাতুন তাঁর অনুভূতির কথা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিদায় অনেক কষ্টের। আমি বিদায় নিতে চাই না। আমার কোমলমতি শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীরা আমাকে যে সম্মান দিয়েছে, তাতে আমি আবেগাপ্লুত, মুগ্ধ। সবার কাছ থেকে একজন শিক্ষকের এমন সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের। শিক্ষকের প্রতি এমন সম্মান সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক। বিদ্যালয়ের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।’

তিনি এ সময় অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং স্কুলে এসে পড়ালেখার খোঁজ নেওয়ারও আহ্বান জানান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৮৯ সালে খলিলাবাদ গ্রামে শিক্ষা বিস্তারের জন্য গ্রামের মানুষ খলিলাবাদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় আবুল হোসেনকে প্রধান শিক্ষক এবং আব্দুর রব, রানু বেগম, জোহরা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

১৯৯৭ সালে প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন চাকরি ছেড়ে দিলে শায়েস্তা খাতুন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং তখন থেকে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হলে ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়ও সরকারি হয়ে যায়।

শায়েস্তা খাতুনের দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিক্ষকতা জীবনে বিদ্যালয়টিতে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বর্তমানে দেশ-বিদেশে কর্মরত রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত