Ajker Patrika

শ্যালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২০ বছর পর গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
শ্যালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২০ বছর পর গ্রেপ্তার

কিশোরী শ্যালিকাকে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মামলার পর থেকে ওই আসামি জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম-ঠিকানা বদলে (ছদ্মবেশে) ২০ বছর আত্মগোপনে ছিলেন বলেও র‍্যাব জানিয়েছে। 

আজ বুধবার তাঁকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ র‍্যাব ১৪-এর সিনিয়র এএসপি সবুজ রানা। 

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম আ. হামিদ (৪০)। তিনি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার বাড়েঙ্গা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। 

র‍্যাব বলছে, ২০০৩ সালের আগস্টে আ. হামিদ তাঁর শ্যালিকাকে (১৩) নিজ গ্রামের স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে একটি গাড়িতে উঠিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তিন দিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে শ্যালিকাকে সেখানে আহত অবস্থায় রেখে নিজ বাড়ি পূর্বধলায় চলে যান। পরে ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয়দের সহায়তায় পূর্বধলায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানায়। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর আ. হামিদ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দায় অবস্থান নেন। সেখানে গিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকেন। 

এ দিকে ওই মামলায় আ. হামিদকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন ও অপহরণের দায়ে আরও ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অবশেষে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার সকালে আ. হামিদকে পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করা হয়। 

পূর্বধলার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (বুধবার) দুপুরে আ. হামিদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত