ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরাণগঞ্জ গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন। ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে বরাবরই সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন। এবার চার একর জমিতে টমেটো, আলু, বেগুন, কপি, কাঁচা মরিচ, লালশাকসহ বেশ কয়েক প্রকার শাকসবজি চাষ করেছেন। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে শীতে অপরিপক্ব সবজি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিলেও দুশ্চিন্তা কাটছে না তাঁর। কামাল হোসেনের মতো প্রচণ্ড শীতে শাকসবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলের শত শত কৃষক।
কামাল হোসেন বলেন, এমন সময় অন্যান্য বছর টমেটো, কপি, আলু এবং কাঁচা মরিচ পরিপক্ব হলেও এ বছর অনেকটা অপরিপক্ব। তিন একর জমিতে এসব আবাদ করতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এখন চিন্তা হচ্ছে। সকাল, দুপুর এবং রাতে সমানভাবে ঠান্ডা পড়ছে, খেতে এসে যে একটু কাজ করব তারও অবস্থা নেই। এ রকম পরিস্থিতি থাকলে ফসল থেকে প্রত্যাশামতো টাকা ওঠানো যাবে না।
একই এলাকার আরেক কৃষক সোহেল রানা বলেন, নিম্ন তাপমাত্রা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে আলু, টমেটো, কপি এবং কাঁচা মরিচের গাছ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। তাই কৃষি কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে এসব ফসল রক্ষায় বাড়তি যত্ন ও ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। ফসল টিকিয়ে রাখতে তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছি। কারণ এই ফসল করেই সারা বছর পরিবার ও ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ মেটাতে হয়। এত নিম্ন তাপমাত্রার কারণে মাঠে কাজ করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। বাড়িতে বসে থাকলেও চলবে না। তাই একটু কুয়াশা কমলেই ফসল তদারকিতে খেতে আসি।
আবুল হোসেন মেম্বার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে পরামর্শ দিতে কৃষি কর্মকতার্রা মাঠে এলেও কোনো ধরনের প্রণোদনা পাচ্ছি না। কুয়াশার কারণে ধানের বীজতলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এ বছর বোরো আবাদ করাটাও কঠিন হয়ে পড়বে। এ ছাড়া আমি কয়েক শতাংশ জমিতে লাউ ও লালশাক আবাদ করেছি। শীতে ফলন বাড়ছে না। কদিন পরে শাকের বাজারও পাওয়া যাবে না। খুব একটা ঝামেলার মধ্যে রয়েছি।’
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জুবায়রা বেগম সাথী বলেন, সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে টমেটো ১১৫০ হেক্টর, ফুলকপি ৮০০ হেক্টর, বাঁধাকপি ৭৫০ হেক্টর, করলা ৪০০ হেক্টর, বেগুন ৫৫০ হেক্টর, লাউ ৪৬০ হেক্টর, মিষ্টিকুমড়া ৩২০ হেক্টর এবং শিম ২৬০ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া বীজতলা রয়েছে ১ হাজার ৩০০ হেক্টর। তীব্র শীতের কারণে সবজির খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বীজতলার কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষতি তেমন হবে না।
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাছরিন আক্তার বানু বলেন, সপ্তাহব্যাপী শৈত্যপ্রবাহের কারণে ধানের বীজতলায় থাকা চারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চারা হলুদ বা ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই কৃষকদের বীজতলা রক্ষায় প্রতি শতাংশ জমিতে ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৪০০ গ্রাম জিপসাম দিতে হবে। সম্ভব হলে রাতের বেলা পানি দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, যেসব বীজতলার চারার বয়স বেশি হয়ে গেছে সেগুলোর ক্ষতি হবে না। তবে, যেগুলোতে নতুন বপন করা হচ্ছে সেগুলোতে ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা থাকে। এ ছাড়া জেলায় অন্যান্য সবজি খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। তবে ফলন কিছুটা কমছে। দিনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কৃষক তা পুষিয়ে উঠতে পারবে।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরাণগঞ্জ গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন। ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে বরাবরই সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন। এবার চার একর জমিতে টমেটো, আলু, বেগুন, কপি, কাঁচা মরিচ, লালশাকসহ বেশ কয়েক প্রকার শাকসবজি চাষ করেছেন। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে শীতে অপরিপক্ব সবজি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিলেও দুশ্চিন্তা কাটছে না তাঁর। কামাল হোসেনের মতো প্রচণ্ড শীতে শাকসবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলের শত শত কৃষক।
কামাল হোসেন বলেন, এমন সময় অন্যান্য বছর টমেটো, কপি, আলু এবং কাঁচা মরিচ পরিপক্ব হলেও এ বছর অনেকটা অপরিপক্ব। তিন একর জমিতে এসব আবাদ করতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এখন চিন্তা হচ্ছে। সকাল, দুপুর এবং রাতে সমানভাবে ঠান্ডা পড়ছে, খেতে এসে যে একটু কাজ করব তারও অবস্থা নেই। এ রকম পরিস্থিতি থাকলে ফসল থেকে প্রত্যাশামতো টাকা ওঠানো যাবে না।
একই এলাকার আরেক কৃষক সোহেল রানা বলেন, নিম্ন তাপমাত্রা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে আলু, টমেটো, কপি এবং কাঁচা মরিচের গাছ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। তাই কৃষি কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে এসব ফসল রক্ষায় বাড়তি যত্ন ও ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। ফসল টিকিয়ে রাখতে তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছি। কারণ এই ফসল করেই সারা বছর পরিবার ও ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ মেটাতে হয়। এত নিম্ন তাপমাত্রার কারণে মাঠে কাজ করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। বাড়িতে বসে থাকলেও চলবে না। তাই একটু কুয়াশা কমলেই ফসল তদারকিতে খেতে আসি।
আবুল হোসেন মেম্বার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে পরামর্শ দিতে কৃষি কর্মকতার্রা মাঠে এলেও কোনো ধরনের প্রণোদনা পাচ্ছি না। কুয়াশার কারণে ধানের বীজতলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এ বছর বোরো আবাদ করাটাও কঠিন হয়ে পড়বে। এ ছাড়া আমি কয়েক শতাংশ জমিতে লাউ ও লালশাক আবাদ করেছি। শীতে ফলন বাড়ছে না। কদিন পরে শাকের বাজারও পাওয়া যাবে না। খুব একটা ঝামেলার মধ্যে রয়েছি।’
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জুবায়রা বেগম সাথী বলেন, সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে টমেটো ১১৫০ হেক্টর, ফুলকপি ৮০০ হেক্টর, বাঁধাকপি ৭৫০ হেক্টর, করলা ৪০০ হেক্টর, বেগুন ৫৫০ হেক্টর, লাউ ৪৬০ হেক্টর, মিষ্টিকুমড়া ৩২০ হেক্টর এবং শিম ২৬০ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া বীজতলা রয়েছে ১ হাজার ৩০০ হেক্টর। তীব্র শীতের কারণে সবজির খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বীজতলার কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষতি তেমন হবে না।
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাছরিন আক্তার বানু বলেন, সপ্তাহব্যাপী শৈত্যপ্রবাহের কারণে ধানের বীজতলায় থাকা চারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চারা হলুদ বা ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই কৃষকদের বীজতলা রক্ষায় প্রতি শতাংশ জমিতে ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৪০০ গ্রাম জিপসাম দিতে হবে। সম্ভব হলে রাতের বেলা পানি দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, যেসব বীজতলার চারার বয়স বেশি হয়ে গেছে সেগুলোর ক্ষতি হবে না। তবে, যেগুলোতে নতুন বপন করা হচ্ছে সেগুলোতে ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা থাকে। এ ছাড়া জেলায় অন্যান্য সবজি খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। তবে ফলন কিছুটা কমছে। দিনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কৃষক তা পুষিয়ে উঠতে পারবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী সার্ভিস লেনে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেছে। এতে চিটাগাংরোড থেকে মৌচাক এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের আমিজউদদীন পেট্রল পাম্পের উল্টো পাশে চট্টগ্রামমুখী লেনে এ
৪২ মিনিট আগেভোলার চরফ্যাশনে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেওয়া ১৮৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা ও গম উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নে
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৮ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৮ ঘণ্টা আগে