Ajker Patrika

জাককানইবিতে সংগীত বিভাগে পরীক্ষা আয়োজনে অনিয়ম

জাককানইবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা আয়োজনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গ করে সংগীত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনালের ‘মঞ্চ পরিবেশনা’ কোর্সের পরীক্ষা নির্ধারিত তারিখের আগেই অনুষ্ঠিত হওয়ায় গুরুতর অনিয়ম হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই পরীক্ষার এক্সটার্নাল পরীক্ষক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. অসিত রায়। পরীক্ষা শেষে বিল উত্তোলনের জন্য এক্সটার্নাল পরীক্ষকসহ সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আলিফ লায়লা এবং ড. দেবাশীষ বেপারী বিল ফরমে স্বাক্ষর করেন। সেই ফরমে দেখা গেছে, পরীক্ষা ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হলেও বিল জমা করা হয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখ দিয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ সালের ৪১-এর ৩ ধারা অনুযায়ী, কোনো পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো পরীক্ষক কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে ভাইস চ্যান্সেলরের নির্দেশে তাঁর স্থলে অন্য একজন পরীক্ষককে নিয়োগ দেওয়া যাবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। সেমিস্টার ফাইনালের কোনো কোর্সের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের লিখিত অনুমতি নিতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছু বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, কর্তৃপক্ষের এই নীরবতার সুযোগ নিয়ে কিছু শিক্ষক নিজেদের ব্যক্তিগত সুবিধার্থে নিয়ম ভঙ্গ করছেন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, তা এখন দেখার বিষয়। আমার যদি কখনো কিছু বলতে চাই, তাহলে আমাদের একাডেমিক রেজাল্টের ওপর প্রভাব পড়ে। কোর্স শিক্ষক ড. আলিফ লায়লা তাঁর পছন্দের শিক্ষার্থীকে বিশেষ সুবিধা দিতে এ কাজ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যদি তারা অনুমোদন না নিয়েই আগে পরীক্ষা নিয়ে থাকে, তাহলে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে।’ এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. দেবাশীষ বেপারী স্বীকার করেন যে পরীক্ষাটি আগে নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো শিক্ষকের ব্যক্তিগত সমস্যা থাকে, তাহলে তিনি চাইলে পরীক্ষা আগে-পরে নিতে পারেন।’

পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান জানান, বিভাগের দুই ইন্টারনাল পরীক্ষকের ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে পরীক্ষাটি এগিয়ে আনা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘সংগীত বিভাগে যে কোনো পরীক্ষা বহিরাগত ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষকের সম্মতিতে অনেক সময় আগে-পরে হয়ে থাকে। অনেক সময় আমরা রুটিন পরিবর্তনের জন্য কন্ট্রোলার সেকশনে চিঠি দিলেও সেটি প্রসেস হতে দেরি হয়। তখন আমরা নিজেরা আলোচনা করে পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করি।’

তবে সংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সুশান্ত কুমার সরকার এ বিষয়ে পুরোপুরি অবগত নন। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের ওপর। কন্ট্রোলার দপ্তর থেকে এর অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাজু আহমেদ এ ধরনের কাজের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অগ্রিম পরীক্ষা নিয়ে বিল জমা করা গুরুতর অন্যায়। ১৬ তারিখে পরীক্ষা নিয়ে বিল ফরমে ২৩ তারিখ লিখে জমা করলে তারা কোনোভাবেই বিল পাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেষ ওভারে নবির ছক্কাবৃষ্টি, বাংলাদেশের সমীকরণ কী দাঁড়াল

কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশ-সেনাবাহিনী মোতায়েন

দিয়াবাড়ির কাশবনে নারীর অর্ধগলিত লাশ, মৃত্যু ১০-১২ দিন আগে: পুলিশ

সেনা আশ্রয় ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে নেপালের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী

স্ত্রী পুরুষ নন—আদালতে প্রমাণ করতে হবে মাখোঁকে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত