Ajker Patrika

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ স্বজনদের

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ স্বজনদের

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের পাহাড়ীপটল এলাকায় কনিকা আক্তার চায়না (২৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় দিকে ঘরের বারান্দায় ঝুলন্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। নিহত ওই নারীর ডান পায়ে আঘাত ও গায়ে রক্তাক্ত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এদিকে ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। 

স্থানীয়রা বলছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা দিকে উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের পাহাড়ীপটল এলাকায় প্রবাসী লেমন মিয়ার স্ত্রী কনিকা আক্তার চায়নার মরদেহ ঘরের বারান্দায় ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। চায়নার স্বামী লেমন আট বছর আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তিনি গত সোমবার সৌদি আরব থেকে বাড়িতে আসেন। লেমন সৌদি আরবে যাওয়ার সময় চায়নাকে তালাক দিয়ে যান। ওই সময় চায়না অন্তঃসত্ত্বা ছিল। পরবর্তীতে আবার লেমনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় চায়নার। 

নিহত কনিকা আক্তারের বড় ভাই মনির হোসেন বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে লেমন ও তাঁর বাবা আলফাজ মেম্বার। ৮ বছর আগে লেমন সৌদিতে যাওয়ার আগে আগে আমার বোনকে গোপনে তালাক দিয়ে চলে যায়। বাচ্চা পেটে থাকায় সে সময় তালাক হয়নি। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে আবার বিয়ে হয়। ঈদের আগের দিন লেমন বাড়িতে আসে। গত শুক্রবারে আমি ও আমার আর এক বোন তাঁদের বাড়িতে যাই আমাদের বাড়িতে দাওয়াত করে ডেকে আনার জন্য। আজ আমাদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের কিন্তু তার আগেই আমার বোনকে মেরে ফেলল তাঁরা।’ 

নিহতের বোন কল্পনা বেগম বলেন, ‘কাল রাতে আমাকে ফোন দিয়ে চায়না বলেছে আমাকে মারধর করতাছে। তখন আমি ফোনে বলেছিলাম কাল সকালে চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে আসতাছি। তাঁর আগে আমার কাছে খবর আসে আমার বোন আর এ পৃথিবীতে নাই। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’ 

অভিযুক্ত লেমন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডান পায়ে আঘাতের চিহ্ন ও নাকে রক্ত ছিল।’ 

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর ঘটনার কারণ জানা যাবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত