মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজারকে বন্যা থেকে রক্ষা করার জন্য মনু নদের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ও তীর রক্ষায় প্রায় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তবে এই কাজের তিনটি প্যাকেজের ১ হাজার ৪৫০ মিটার নো ম্যানস ল্যান্ডের কাজ ভারতের বাধায় আটকা আছে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে। এতে করে জেলার কুলাউড়া উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সরকারিভাবে এই কাজের অগ্রগতির কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দ্রুত কাজটি শেষ করার দাবি জানান।
জানা যায়, ২০২০ সালে ৯৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার এই বৃহৎ প্রকল্পটি একনেকের সভায় অনুমোদন হয়। ২০২১ সালে কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। তবে ভারতের বাধায় জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের মনু নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের তেলিবিল, বাগজুর ও নিশ্চিন্তপুর এলাকার নো ম্যানস ল্যান্ডের কাজ বন্ধ আছে।
তেলিবিল এলাকার নো ম্যানস ল্যান্ডে গিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশের অংশে বাঁধ ভেঙে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি কাছে চলে এসেছে। নদের পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ উপচে পানি বাইরে আসে। এই এলাকায় ৬৫০ মিটার বাঁধ ব্লক দিয়ে কাজ করার কথা রয়েছে। কাজ করার জন্য পাশেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্লক তৈরি করে রেখেছে দুই বছর আগে। তবে উভয় দেশের জয়েন্ট রিভার কমিশন কোনো সমাধান না করায় কাজ বন্ধ আছে। ভারতের দাবি, মনু নদের মধ্যখানে সীমানা পিলার রয়েছে। তবে নদ থেকে কাঁটাতারের বেড়া প্রায় ৩০০-৪০০ মিটার দূরে রয়েছে। তেলিবিলের পাশেই রয়েছে বাগজুরে ৩০০ মিটার নো ম্যানস ল্যান্ড; সেখানেও বাংলাদেশ অংশ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া নিশ্চিন্তপুরে ৫০০ মিটার কাজ হওয়ার কথা। এই কাজ একবার টেন্ডার দিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আবার টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছেন। তবে কোনো সমাধান পাননি।
তেলিবিল এলাকার আরিফ আলী বলেন, ‘নদের পানি বৃদ্ধি পেলে আমরা অনেক আতঙ্কে থাকি। বাঁধের পাশে ঠিকাদার বছরখানেক আগে দুই গাড়ি ব্লক এনে রেখেছেন। শুনেছি ভারতীয়রা দাবি করেছে নদের মাঝখানে উভয় দেশের সীমানা, এ জন্য কাজ করতে দিচ্ছে না। অথচ তাদের সীমানা অনেক দূরে।
নদ থেকে কাঁটাতারের বেড়া দূর আছে। এই বাঁধ মেরামত করা না হলে নদের পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙে যাবে।’
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, তারা দুই বছর ধরে ব্লক তৈরি করে রেখেছে। কাজ না করায় তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জেলার সবচেয়ে বড় মনু নদের বন্যা আর ভাঙন থেকে জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের জন্য প্রায় ৯৯৬ কোটি টাকার এই বৃহৎ প্রকল্পটি নেওয়া হয়। এই প্রকল্প ৭০টি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। কাজের প্রায় ২০ জন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। নো ম্যানস ল্যান্ডে চারটি কাজ ছিল। এর মধ্যে দত্তগ্রামের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি তেলিবিল, বাগজুর ও নিশ্চিন্তপুরে কাজ করা যাচ্ছে না।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ বলেন, ‘মনু নদের বাঁধ মেরামতের কাজ প্রায় ৫৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। কাজের মেয়াদ শেষ হলে আবার বাড়ানো হবে। নো ম্যানস ল্যান্ডের কাজ করার জন্য উভয় দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সমাধান হয়নি। কাজের অনুমোদন এলে আমরা দ্রুত কাজ শেষ করব।’
জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, ‘নো ম্যানস ল্যান্ডের কাজের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। চারটি নো ম্যানস ল্যান্ডের মধ্যে একটির কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, অন্যান্য জায়গার জটিলতা সমাধান হবে।’
সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজারকে বন্যা থেকে রক্ষা করার জন্য মনু নদের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ও তীর রক্ষায় প্রায় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তবে এই কাজের তিনটি প্যাকেজের ১ হাজার ৪৫০ মিটার নো ম্যানস ল্যান্ডের কাজ ভারতের বাধায় আটকা আছে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে। এতে করে জেলার কুলাউড়া উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সরকারিভাবে এই কাজের অগ্রগতির কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দ্রুত কাজটি শেষ করার দাবি জানান।
জানা যায়, ২০২০ সালে ৯৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার এই বৃহৎ প্রকল্পটি একনেকের সভায় অনুমোদন হয়। ২০২১ সালে কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। তবে ভারতের বাধায় জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের মনু নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের তেলিবিল, বাগজুর ও নিশ্চিন্তপুর এলাকার নো ম্যানস ল্যান্ডের কাজ বন্ধ আছে।
তেলিবিল এলাকার নো ম্যানস ল্যান্ডে গিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশের অংশে বাঁধ ভেঙে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি কাছে চলে এসেছে। নদের পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ উপচে পানি বাইরে আসে। এই এলাকায় ৬৫০ মিটার বাঁধ ব্লক দিয়ে কাজ করার কথা রয়েছে। কাজ করার জন্য পাশেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্লক তৈরি করে রেখেছে দুই বছর আগে। তবে উভয় দেশের জয়েন্ট রিভার কমিশন কোনো সমাধান না করায় কাজ বন্ধ আছে। ভারতের দাবি, মনু নদের মধ্যখানে সীমানা পিলার রয়েছে। তবে নদ থেকে কাঁটাতারের বেড়া প্রায় ৩০০-৪০০ মিটার দূরে রয়েছে। তেলিবিলের পাশেই রয়েছে বাগজুরে ৩০০ মিটার নো ম্যানস ল্যান্ড; সেখানেও বাংলাদেশ অংশ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া নিশ্চিন্তপুরে ৫০০ মিটার কাজ হওয়ার কথা। এই কাজ একবার টেন্ডার দিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আবার টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছেন। তবে কোনো সমাধান পাননি।
তেলিবিল এলাকার আরিফ আলী বলেন, ‘নদের পানি বৃদ্ধি পেলে আমরা অনেক আতঙ্কে থাকি। বাঁধের পাশে ঠিকাদার বছরখানেক আগে দুই গাড়ি ব্লক এনে রেখেছেন। শুনেছি ভারতীয়রা দাবি করেছে নদের মাঝখানে উভয় দেশের সীমানা, এ জন্য কাজ করতে দিচ্ছে না। অথচ তাদের সীমানা অনেক দূরে।
নদ থেকে কাঁটাতারের বেড়া দূর আছে। এই বাঁধ মেরামত করা না হলে নদের পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙে যাবে।’
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, তারা দুই বছর ধরে ব্লক তৈরি করে রেখেছে। কাজ না করায় তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জেলার সবচেয়ে বড় মনু নদের বন্যা আর ভাঙন থেকে জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের জন্য প্রায় ৯৯৬ কোটি টাকার এই বৃহৎ প্রকল্পটি নেওয়া হয়। এই প্রকল্প ৭০টি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। কাজের প্রায় ২০ জন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। নো ম্যানস ল্যান্ডে চারটি কাজ ছিল। এর মধ্যে দত্তগ্রামের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি তেলিবিল, বাগজুর ও নিশ্চিন্তপুরে কাজ করা যাচ্ছে না।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন অলীদ বলেন, ‘মনু নদের বাঁধ মেরামতের কাজ প্রায় ৫৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। কাজের মেয়াদ শেষ হলে আবার বাড়ানো হবে। নো ম্যানস ল্যান্ডের কাজ করার জন্য উভয় দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সমাধান হয়নি। কাজের অনুমোদন এলে আমরা দ্রুত কাজ শেষ করব।’
জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, ‘নো ম্যানস ল্যান্ডের কাজের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। চারটি নো ম্যানস ল্যান্ডের মধ্যে একটির কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, অন্যান্য জায়গার জটিলতা সমাধান হবে।’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া না দিতে মাইকিং করেছে পুলিশ। কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের সদস্য হিসেবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে মাইকিংয়ে বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গোসলের সময় নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণ ও অশ্লীল কথাবার্তার দায়ে মো. রুবেল (৩০) নামের এক যুবকের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট...
৩ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার থেকে যাত্রীবেশে পাকস্থলীতে করে ইয়াবা বড়ি নিয়ে এসে ধরা পড়েছেন রাজু মোল্লা নামের এক মাদক কারবারি। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেরাঙামাটির সাজেকে চান্দের গাড়ি দুর্ঘটনায় ছাত্রী নিহতের ঘটনায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল সাদাত এ তথ্য জানিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে