আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)

মানিকগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নদী ভাঙনের রূপ আরও ভয়াল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। ফলে জেলার ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও বসতবাড়ি নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য নদীর ভাঙনের আশঙ্কায় দিন পার করছেন নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।
পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতী, গাজীখালীসহ ছোট-বড় মোট ১৪টি নদীবেষ্টিত মানিকগঞ্জ জেলা। প্রতিবছর বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দেয় ভয়াবহ ভাঙন। এ বছর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের ভারাঙ্গা এলাকায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জেলার বাঘুটিয়া আলিম মাদ্রসা ও চরকাটারিয়া শুকুরিয়া দাখিল মাদ্রসাসহ নদীর তীরবর্তী হাট-বাজার, অন্তত ৬৪টি স্থান ও স্থাপনা সবচেয়ে বেশি ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্থানে জরুরি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা না নিলে নদীর পেটে চলে যেতে পারে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
নদীর তীরবর্তী এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন বলছেন, বর্ষা শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাড়াহুড়ো করে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু এসব অপরিকল্পিত জিও ব্যাগ ভাঙনরোধে তেমন কোনো কাজে আসে না।
জানা গেছে, ধলেম্বরী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া, মির্জাপুর মাঝিপাড়া, নকিববাড়ি, বড়টিয়া ও পূর্ব ঘিওর। যমুনা ও পদ্মা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর, কাঞ্চনপুর, সেলিমপুর, সুতালড়ি, হাতিঘাটা, মালুচি, গোপীনাথপুর উজানপাড়া ও আন্ধারমানিক এবং কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে সিঙ্গাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা, বালুরচর জামশা, দক্ষিণ চারিগ্রাম, বার্তাবাজার। যমুনা নদীর তাণ্ডবে শিবালয় উপজেলার গঙ্গাপ্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেওতা, তেওতা সমেজঘর, নেহালপুর, আরুয়া, আলোকদিয়া ভাঙনের ঝুঁকির মুখে আছে। যমুনা নদীবেষ্টিত দৌলতপুর উপজেলার চর কালিয়াপুর, বাঘুটিয়া, ভারাঙ্গা, রংদারপাড়া, বিষ্ণপুর, রামচন্দ্রপুর, আবুডাঙ্গা পূর্বপাড়া, চরকাটারি বোর্ডঘর বাজার, চরকাটারি সবুজসেনা হাই স্কুল, বাঁচামারা, সুবুদ্ধি পাচুরিয়া, বাঘুটিয়া বাজার, পারুরিয়া বাজার, রাহাতপুর, বৈন্যাঘাট, লাউতাড়া, লাউতাড়া আশ্রয়ণকেন্দ্র, চকবাড়াদিয়া, ভাঙা রামচন্দ্রপুর, রামচন্দ্রপুর নতুন পাড়া, চরমাস্তুল, হাতখোড়া, বিষ্ণপুর খাঁপাড়া, পাড় মাস্তুলসহ ২৮টি এলাকা; কালীগঙ্গা ও পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে সাটুরিয়া উপজেলার সনকা, পশ্চিম চর তিল্লী, আয়নাপুর, তিল্লী বাজার, পূর্ব সনকা, বরাইদ এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকা সদর উপজেলার বালিরটেক, চর বালিয়াবিল, চৈল্লা, পুটাইল, গড়পাড়া এলাকায় ভাঙন বেড়ে যাবে।
বাঘুটিয়া গ্রামের করিম শেখ বলেন, ‘এর আগে আরও তিনবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছি। যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করছে, লগে ভাঙন শুরু হইতাছে। নদীর পাড়ে বাড়ি থাকায় সব সময় ভয়ে থাকি, কখন যেন আবার বাড়িঘর নদীতে চলে যায়। মনে হয় এ বছরই বাঘুটিয়া আলিম মাদ্রাসা নদীভাঙনের কবলে পড়তে পারে।’

ঘিওরের কুস্তা গ্রামের নাজমুল হোসেন বলেন, ‘পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে কুস্তা কবরস্থানের পূর্ব পাশে কয়েকটি কবর ভেঙে গেছে। এ ছাড়া দু শ বছরের ঐতিহাসিক ঘিওর পশুর হাটের একাংশ নদীতে চলে গেছে। হুমকিতে রয়েছে হাটের পশ্চিমাংশ। হাট রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
দৌলতপুরের বাঁচামারা গ্রামের মান্নান মৃধা বলেন, ‘ভারাঙ্গা এলাকায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি গত সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্তত ১৫টি বসতবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়েছে। চোখের নিমিষেই নদী সব কেড়ে নেয়। আমার তিন বিঘা আবাদি জমি ইতিমধ্যে নদী গ্রাস করেছে।’
বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর নদীভাঙনের কবলে বসতবাড়ি, আবাদি জমি হারিয়ে শত শত মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে যমুনা নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে এই ভাঙন আরও বাড়ছে। চলতি মৌসুমে আমার ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, রাস্তা ও আবাদি জমি ভাঙনের শিকার হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এরই মধ্যে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর ভাঙন ঠেকাতে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তবে চরাঞ্চল এলাকায় বালু বেশি হওয়ায় সামান্য পানির স্রোতেই ভাঙন দেখা দেয়। তাই এসব এলাকায় ভাঙনরোধে প্রতিবছরই কাজ করতে হয়।’

মানিকগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নদী ভাঙনের রূপ আরও ভয়াল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। ফলে জেলার ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও বসতবাড়ি নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য নদীর ভাঙনের আশঙ্কায় দিন পার করছেন নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।
পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতী, গাজীখালীসহ ছোট-বড় মোট ১৪টি নদীবেষ্টিত মানিকগঞ্জ জেলা। প্রতিবছর বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দেয় ভয়াবহ ভাঙন। এ বছর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের ভারাঙ্গা এলাকায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জেলার বাঘুটিয়া আলিম মাদ্রসা ও চরকাটারিয়া শুকুরিয়া দাখিল মাদ্রসাসহ নদীর তীরবর্তী হাট-বাজার, অন্তত ৬৪টি স্থান ও স্থাপনা সবচেয়ে বেশি ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্থানে জরুরি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা না নিলে নদীর পেটে চলে যেতে পারে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
নদীর তীরবর্তী এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন বলছেন, বর্ষা শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাড়াহুড়ো করে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু এসব অপরিকল্পিত জিও ব্যাগ ভাঙনরোধে তেমন কোনো কাজে আসে না।
জানা গেছে, ধলেম্বরী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া, মির্জাপুর মাঝিপাড়া, নকিববাড়ি, বড়টিয়া ও পূর্ব ঘিওর। যমুনা ও পদ্মা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর, কাঞ্চনপুর, সেলিমপুর, সুতালড়ি, হাতিঘাটা, মালুচি, গোপীনাথপুর উজানপাড়া ও আন্ধারমানিক এবং কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে সিঙ্গাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা, বালুরচর জামশা, দক্ষিণ চারিগ্রাম, বার্তাবাজার। যমুনা নদীর তাণ্ডবে শিবালয় উপজেলার গঙ্গাপ্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেওতা, তেওতা সমেজঘর, নেহালপুর, আরুয়া, আলোকদিয়া ভাঙনের ঝুঁকির মুখে আছে। যমুনা নদীবেষ্টিত দৌলতপুর উপজেলার চর কালিয়াপুর, বাঘুটিয়া, ভারাঙ্গা, রংদারপাড়া, বিষ্ণপুর, রামচন্দ্রপুর, আবুডাঙ্গা পূর্বপাড়া, চরকাটারি বোর্ডঘর বাজার, চরকাটারি সবুজসেনা হাই স্কুল, বাঁচামারা, সুবুদ্ধি পাচুরিয়া, বাঘুটিয়া বাজার, পারুরিয়া বাজার, রাহাতপুর, বৈন্যাঘাট, লাউতাড়া, লাউতাড়া আশ্রয়ণকেন্দ্র, চকবাড়াদিয়া, ভাঙা রামচন্দ্রপুর, রামচন্দ্রপুর নতুন পাড়া, চরমাস্তুল, হাতখোড়া, বিষ্ণপুর খাঁপাড়া, পাড় মাস্তুলসহ ২৮টি এলাকা; কালীগঙ্গা ও পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে সাটুরিয়া উপজেলার সনকা, পশ্চিম চর তিল্লী, আয়নাপুর, তিল্লী বাজার, পূর্ব সনকা, বরাইদ এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকা সদর উপজেলার বালিরটেক, চর বালিয়াবিল, চৈল্লা, পুটাইল, গড়পাড়া এলাকায় ভাঙন বেড়ে যাবে।
বাঘুটিয়া গ্রামের করিম শেখ বলেন, ‘এর আগে আরও তিনবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছি। যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করছে, লগে ভাঙন শুরু হইতাছে। নদীর পাড়ে বাড়ি থাকায় সব সময় ভয়ে থাকি, কখন যেন আবার বাড়িঘর নদীতে চলে যায়। মনে হয় এ বছরই বাঘুটিয়া আলিম মাদ্রাসা নদীভাঙনের কবলে পড়তে পারে।’

ঘিওরের কুস্তা গ্রামের নাজমুল হোসেন বলেন, ‘পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে কুস্তা কবরস্থানের পূর্ব পাশে কয়েকটি কবর ভেঙে গেছে। এ ছাড়া দু শ বছরের ঐতিহাসিক ঘিওর পশুর হাটের একাংশ নদীতে চলে গেছে। হুমকিতে রয়েছে হাটের পশ্চিমাংশ। হাট রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
দৌলতপুরের বাঁচামারা গ্রামের মান্নান মৃধা বলেন, ‘ভারাঙ্গা এলাকায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি গত সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্তত ১৫টি বসতবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়েছে। চোখের নিমিষেই নদী সব কেড়ে নেয়। আমার তিন বিঘা আবাদি জমি ইতিমধ্যে নদী গ্রাস করেছে।’
বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর নদীভাঙনের কবলে বসতবাড়ি, আবাদি জমি হারিয়ে শত শত মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে যমুনা নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে এই ভাঙন আরও বাড়ছে। চলতি মৌসুমে আমার ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, রাস্তা ও আবাদি জমি ভাঙনের শিকার হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এরই মধ্যে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর ভাঙন ঠেকাতে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তবে চরাঞ্চল এলাকায় বালু বেশি হওয়ায় সামান্য পানির স্রোতেই ভাঙন দেখা দেয়। তাই এসব এলাকায় ভাঙনরোধে প্রতিবছরই কাজ করতে হয়।’
আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)

মানিকগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নদী ভাঙনের রূপ আরও ভয়াল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। ফলে জেলার ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও বসতবাড়ি নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য নদীর ভাঙনের আশঙ্কায় দিন পার করছেন নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।
পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতী, গাজীখালীসহ ছোট-বড় মোট ১৪টি নদীবেষ্টিত মানিকগঞ্জ জেলা। প্রতিবছর বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দেয় ভয়াবহ ভাঙন। এ বছর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের ভারাঙ্গা এলাকায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জেলার বাঘুটিয়া আলিম মাদ্রসা ও চরকাটারিয়া শুকুরিয়া দাখিল মাদ্রসাসহ নদীর তীরবর্তী হাট-বাজার, অন্তত ৬৪টি স্থান ও স্থাপনা সবচেয়ে বেশি ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্থানে জরুরি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা না নিলে নদীর পেটে চলে যেতে পারে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
নদীর তীরবর্তী এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন বলছেন, বর্ষা শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাড়াহুড়ো করে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু এসব অপরিকল্পিত জিও ব্যাগ ভাঙনরোধে তেমন কোনো কাজে আসে না।
জানা গেছে, ধলেম্বরী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া, মির্জাপুর মাঝিপাড়া, নকিববাড়ি, বড়টিয়া ও পূর্ব ঘিওর। যমুনা ও পদ্মা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর, কাঞ্চনপুর, সেলিমপুর, সুতালড়ি, হাতিঘাটা, মালুচি, গোপীনাথপুর উজানপাড়া ও আন্ধারমানিক এবং কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে সিঙ্গাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা, বালুরচর জামশা, দক্ষিণ চারিগ্রাম, বার্তাবাজার। যমুনা নদীর তাণ্ডবে শিবালয় উপজেলার গঙ্গাপ্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেওতা, তেওতা সমেজঘর, নেহালপুর, আরুয়া, আলোকদিয়া ভাঙনের ঝুঁকির মুখে আছে। যমুনা নদীবেষ্টিত দৌলতপুর উপজেলার চর কালিয়াপুর, বাঘুটিয়া, ভারাঙ্গা, রংদারপাড়া, বিষ্ণপুর, রামচন্দ্রপুর, আবুডাঙ্গা পূর্বপাড়া, চরকাটারি বোর্ডঘর বাজার, চরকাটারি সবুজসেনা হাই স্কুল, বাঁচামারা, সুবুদ্ধি পাচুরিয়া, বাঘুটিয়া বাজার, পারুরিয়া বাজার, রাহাতপুর, বৈন্যাঘাট, লাউতাড়া, লাউতাড়া আশ্রয়ণকেন্দ্র, চকবাড়াদিয়া, ভাঙা রামচন্দ্রপুর, রামচন্দ্রপুর নতুন পাড়া, চরমাস্তুল, হাতখোড়া, বিষ্ণপুর খাঁপাড়া, পাড় মাস্তুলসহ ২৮টি এলাকা; কালীগঙ্গা ও পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে সাটুরিয়া উপজেলার সনকা, পশ্চিম চর তিল্লী, আয়নাপুর, তিল্লী বাজার, পূর্ব সনকা, বরাইদ এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকা সদর উপজেলার বালিরটেক, চর বালিয়াবিল, চৈল্লা, পুটাইল, গড়পাড়া এলাকায় ভাঙন বেড়ে যাবে।
বাঘুটিয়া গ্রামের করিম শেখ বলেন, ‘এর আগে আরও তিনবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছি। যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করছে, লগে ভাঙন শুরু হইতাছে। নদীর পাড়ে বাড়ি থাকায় সব সময় ভয়ে থাকি, কখন যেন আবার বাড়িঘর নদীতে চলে যায়। মনে হয় এ বছরই বাঘুটিয়া আলিম মাদ্রাসা নদীভাঙনের কবলে পড়তে পারে।’

ঘিওরের কুস্তা গ্রামের নাজমুল হোসেন বলেন, ‘পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে কুস্তা কবরস্থানের পূর্ব পাশে কয়েকটি কবর ভেঙে গেছে। এ ছাড়া দু শ বছরের ঐতিহাসিক ঘিওর পশুর হাটের একাংশ নদীতে চলে গেছে। হুমকিতে রয়েছে হাটের পশ্চিমাংশ। হাট রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
দৌলতপুরের বাঁচামারা গ্রামের মান্নান মৃধা বলেন, ‘ভারাঙ্গা এলাকায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি গত সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্তত ১৫টি বসতবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়েছে। চোখের নিমিষেই নদী সব কেড়ে নেয়। আমার তিন বিঘা আবাদি জমি ইতিমধ্যে নদী গ্রাস করেছে।’
বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর নদীভাঙনের কবলে বসতবাড়ি, আবাদি জমি হারিয়ে শত শত মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে যমুনা নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে এই ভাঙন আরও বাড়ছে। চলতি মৌসুমে আমার ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, রাস্তা ও আবাদি জমি ভাঙনের শিকার হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এরই মধ্যে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর ভাঙন ঠেকাতে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তবে চরাঞ্চল এলাকায় বালু বেশি হওয়ায় সামান্য পানির স্রোতেই ভাঙন দেখা দেয়। তাই এসব এলাকায় ভাঙনরোধে প্রতিবছরই কাজ করতে হয়।’

মানিকগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নদী ভাঙনের রূপ আরও ভয়াল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। ফলে জেলার ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও বসতবাড়ি নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য নদীর ভাঙনের আশঙ্কায় দিন পার করছেন নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।
পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতী, গাজীখালীসহ ছোট-বড় মোট ১৪টি নদীবেষ্টিত মানিকগঞ্জ জেলা। প্রতিবছর বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দেয় ভয়াবহ ভাঙন। এ বছর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের ভারাঙ্গা এলাকায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জেলার বাঘুটিয়া আলিম মাদ্রসা ও চরকাটারিয়া শুকুরিয়া দাখিল মাদ্রসাসহ নদীর তীরবর্তী হাট-বাজার, অন্তত ৬৪টি স্থান ও স্থাপনা সবচেয়ে বেশি ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্থানে জরুরি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা না নিলে নদীর পেটে চলে যেতে পারে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
নদীর তীরবর্তী এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন বলছেন, বর্ষা শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাড়াহুড়ো করে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু এসব অপরিকল্পিত জিও ব্যাগ ভাঙনরোধে তেমন কোনো কাজে আসে না।
জানা গেছে, ধলেম্বরী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া, মির্জাপুর মাঝিপাড়া, নকিববাড়ি, বড়টিয়া ও পূর্ব ঘিওর। যমুনা ও পদ্মা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর, কাঞ্চনপুর, সেলিমপুর, সুতালড়ি, হাতিঘাটা, মালুচি, গোপীনাথপুর উজানপাড়া ও আন্ধারমানিক এবং কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে সিঙ্গাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা, বালুরচর জামশা, দক্ষিণ চারিগ্রাম, বার্তাবাজার। যমুনা নদীর তাণ্ডবে শিবালয় উপজেলার গঙ্গাপ্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেওতা, তেওতা সমেজঘর, নেহালপুর, আরুয়া, আলোকদিয়া ভাঙনের ঝুঁকির মুখে আছে। যমুনা নদীবেষ্টিত দৌলতপুর উপজেলার চর কালিয়াপুর, বাঘুটিয়া, ভারাঙ্গা, রংদারপাড়া, বিষ্ণপুর, রামচন্দ্রপুর, আবুডাঙ্গা পূর্বপাড়া, চরকাটারি বোর্ডঘর বাজার, চরকাটারি সবুজসেনা হাই স্কুল, বাঁচামারা, সুবুদ্ধি পাচুরিয়া, বাঘুটিয়া বাজার, পারুরিয়া বাজার, রাহাতপুর, বৈন্যাঘাট, লাউতাড়া, লাউতাড়া আশ্রয়ণকেন্দ্র, চকবাড়াদিয়া, ভাঙা রামচন্দ্রপুর, রামচন্দ্রপুর নতুন পাড়া, চরমাস্তুল, হাতখোড়া, বিষ্ণপুর খাঁপাড়া, পাড় মাস্তুলসহ ২৮টি এলাকা; কালীগঙ্গা ও পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে সাটুরিয়া উপজেলার সনকা, পশ্চিম চর তিল্লী, আয়নাপুর, তিল্লী বাজার, পূর্ব সনকা, বরাইদ এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকা সদর উপজেলার বালিরটেক, চর বালিয়াবিল, চৈল্লা, পুটাইল, গড়পাড়া এলাকায় ভাঙন বেড়ে যাবে।
বাঘুটিয়া গ্রামের করিম শেখ বলেন, ‘এর আগে আরও তিনবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছি। যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করছে, লগে ভাঙন শুরু হইতাছে। নদীর পাড়ে বাড়ি থাকায় সব সময় ভয়ে থাকি, কখন যেন আবার বাড়িঘর নদীতে চলে যায়। মনে হয় এ বছরই বাঘুটিয়া আলিম মাদ্রাসা নদীভাঙনের কবলে পড়তে পারে।’

ঘিওরের কুস্তা গ্রামের নাজমুল হোসেন বলেন, ‘পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে কুস্তা কবরস্থানের পূর্ব পাশে কয়েকটি কবর ভেঙে গেছে। এ ছাড়া দু শ বছরের ঐতিহাসিক ঘিওর পশুর হাটের একাংশ নদীতে চলে গেছে। হুমকিতে রয়েছে হাটের পশ্চিমাংশ। হাট রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
দৌলতপুরের বাঁচামারা গ্রামের মান্নান মৃধা বলেন, ‘ভারাঙ্গা এলাকায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি গত সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্তত ১৫টি বসতবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়েছে। চোখের নিমিষেই নদী সব কেড়ে নেয়। আমার তিন বিঘা আবাদি জমি ইতিমধ্যে নদী গ্রাস করেছে।’
বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর নদীভাঙনের কবলে বসতবাড়ি, আবাদি জমি হারিয়ে শত শত মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে যমুনা নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে এই ভাঙন আরও বাড়ছে। চলতি মৌসুমে আমার ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, রাস্তা ও আবাদি জমি ভাঙনের শিকার হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘এরই মধ্যে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর ভাঙন ঠেকাতে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তবে চরাঞ্চল এলাকায় বালু বেশি হওয়ায় সামান্য পানির স্রোতেই ভাঙন দেখা দেয়। তাই এসব এলাকায় ভাঙনরোধে প্রতিবছরই কাজ করতে হয়।’

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ান আলম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারওয়ান বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।
৩৯ মিনিট আগে
রাজশাহীর বাঘায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। ঘুরে বেড়ানো এক কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন পথচারী আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা নওদাপাড়া, পুকুরপাড়া, আঠালিয়াপাড়া, অমরপুরসহ লালপুর উপজেলার সাধুপাড়া, ধরবিলা...
৪১ মিনিট আগে
নাটোরের বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় (৭০) এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহপাড়া কবরস্থানের পাশ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী।
৪৩ মিনিট আগে
কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করান।
২ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ান আলম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারওয়ান বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মধ্যরাতে কুলাউড়া থেকে বড়লেখাগামী একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ানসহ মোট পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারওয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ান আলম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারওয়ান বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মধ্যরাতে কুলাউড়া থেকে বড়লেখাগামী একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ানসহ মোট পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারওয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

মানিকগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নদীভাঙনের রূপ আরও ভয়াল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে।
১৯ জুন ২০২৫
রাজশাহীর বাঘায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। ঘুরে বেড়ানো এক কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন পথচারী আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা নওদাপাড়া, পুকুরপাড়া, আঠালিয়াপাড়া, অমরপুরসহ লালপুর উপজেলার সাধুপাড়া, ধরবিলা...
৪১ মিনিট আগে
নাটোরের বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় (৭০) এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহপাড়া কবরস্থানের পাশ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী।
৪৩ মিনিট আগে
কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করান।
২ ঘণ্টা আগেবাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাঘায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। ঘুরে বেড়ানো এক কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন পথচারী আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা নওদাপাড়া, পুকুরপাড়া, আঠালিয়াপাড়া, অমরপুরসহ লালপুর উপজেলার সাধুপাড়া, ধরবিলা লক্ষবাড়িয়া গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হঠাৎ পাগলা কুকুর পথচারীদের ওপর আক্রমণ করে। এতে ১২ জন আহত হয়। তাদের অনেকেই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে দিঘা আঠালিয়া গ্রামের আহত নাজমুল হোসেনকে (২৫) সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কুকুরের কামড়ে আহত দিঘা নওদাপাড়া গ্রামের নাজিমুদ্দিন (৫৬) বলেন, ‘গতকাল দুপুরে বাড়ির পাশে পথে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ কুকুর কামড়ে দেয়। পরে ভ্যাকসিন নিয়েছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাদুজ্জামন আসাদ বলেন, আহত কয়েকজন ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে শুনেছি। তবে অতি দ্রুত কুকুরটি আটক করতে পারলে ভালো হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বাঘা পৌরসভার প্রশাসক শাম্মী আক্তার বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ পৌরসভায় কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে, তা জেনেছি। তবে হাইকোর্টে রিট থাকায় উপজেলা ও পৌরসভা কর্তৃক নিধন বা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আইন মেনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজশাহীর বাঘায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। ঘুরে বেড়ানো এক কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন পথচারী আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা নওদাপাড়া, পুকুরপাড়া, আঠালিয়াপাড়া, অমরপুরসহ লালপুর উপজেলার সাধুপাড়া, ধরবিলা লক্ষবাড়িয়া গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হঠাৎ পাগলা কুকুর পথচারীদের ওপর আক্রমণ করে। এতে ১২ জন আহত হয়। তাদের অনেকেই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে দিঘা আঠালিয়া গ্রামের আহত নাজমুল হোসেনকে (২৫) সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কুকুরের কামড়ে আহত দিঘা নওদাপাড়া গ্রামের নাজিমুদ্দিন (৫৬) বলেন, ‘গতকাল দুপুরে বাড়ির পাশে পথে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ কুকুর কামড়ে দেয়। পরে ভ্যাকসিন নিয়েছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাদুজ্জামন আসাদ বলেন, আহত কয়েকজন ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে শুনেছি। তবে অতি দ্রুত কুকুরটি আটক করতে পারলে ভালো হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বাঘা পৌরসভার প্রশাসক শাম্মী আক্তার বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ পৌরসভায় কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে, তা জেনেছি। তবে হাইকোর্টে রিট থাকায় উপজেলা ও পৌরসভা কর্তৃক নিধন বা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আইন মেনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মানিকগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নদীভাঙনের রূপ আরও ভয়াল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে।
১৯ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ান আলম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারওয়ান বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।
৩৯ মিনিট আগে
নাটোরের বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় (৭০) এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহপাড়া কবরস্থানের পাশ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী।
৪৩ মিনিট আগে
কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করান।
২ ঘণ্টা আগেবড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় (৭০) এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহ পাড়া কবরস্থানের পাশ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহপাড়া এলাকায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। আইনানুগ ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নাটোরের বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় (৭০) এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহ পাড়া কবরস্থানের পাশ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহপাড়া এলাকায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। আইনানুগ ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মানিকগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নদীভাঙনের রূপ আরও ভয়াল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে।
১৯ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ান আলম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারওয়ান বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।
৩৯ মিনিট আগে
রাজশাহীর বাঘায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। ঘুরে বেড়ানো এক কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন পথচারী আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা নওদাপাড়া, পুকুরপাড়া, আঠালিয়াপাড়া, অমরপুরসহ লালপুর উপজেলার সাধুপাড়া, ধরবিলা...
৪১ মিনিট আগে
কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করান।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আকস্মিক বন্ধের কারণে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা আজ সোমবার সকাল থেকে কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আজ সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু শ্রমিকেরা কর্মস্থলে এসে দেখেন মূল ফটকের সামনে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ ঝোলানো রয়েছে।
শ্রমিক শামীম বলেন, ‘দীর্ঘ বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা চলছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। আমাদের বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য দাবিদাওয়া না মিটিয়ে কারখানা বন্ধ করা শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায়।’
শ্রমিক বিলকিস বেগম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘কমপক্ষে ৯ বছর এই কারখানায় কর্মরত। শেষ বয়সে এসে চাকরি হারানোর মতো অবস্থা। এই বয়সে অন্য কোনো কারখানায় চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের বেতন-ভাতা কোনো কিছু পরিশোধ না করেই হঠাৎ বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। গত ২৩ তারিখ আমরা ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট খেয়েছি। আমাদের কী অপরাধ?’

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা কারখানার গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ভাঙচুর করেছে। এ অবস্থায় কারখানা চালানো সম্ভব নয়। মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে মোতাবেক বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩(১) অনুসারে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।’
শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘খবর পেয়ে সকাল থেকেই কারখানার নিরাপত্তায় আমরা রয়েছি। শ্রমিকেরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ইতিমধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমস্যা সমাধানের জন্য দুই ঘণ্টার সময় নিয়েছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই আকস্মিক বন্ধের কারণে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা আজ সোমবার সকাল থেকে কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছিলেন। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আজ সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু শ্রমিকেরা কর্মস্থলে এসে দেখেন মূল ফটকের সামনে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ ঝোলানো রয়েছে।
শ্রমিক শামীম বলেন, ‘দীর্ঘ বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা চলছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। আমাদের বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য দাবিদাওয়া না মিটিয়ে কারখানা বন্ধ করা শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায়।’
শ্রমিক বিলকিস বেগম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘কমপক্ষে ৯ বছর এই কারখানায় কর্মরত। শেষ বয়সে এসে চাকরি হারানোর মতো অবস্থা। এই বয়সে অন্য কোনো কারখানায় চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের বেতন-ভাতা কোনো কিছু পরিশোধ না করেই হঠাৎ বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। গত ২৩ তারিখ আমরা ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট খেয়েছি। আমাদের কী অপরাধ?’

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা কারখানার গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ভাঙচুর করেছে। এ অবস্থায় কারখানা চালানো সম্ভব নয়। মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে মোতাবেক বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ১৩(১) অনুসারে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।’
শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘খবর পেয়ে সকাল থেকেই কারখানার নিরাপত্তায় আমরা রয়েছি। শ্রমিকেরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ইতিমধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমস্যা সমাধানের জন্য দুই ঘণ্টার সময় নিয়েছে।’

মানিকগঞ্জে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নদীভাঙনের রূপ আরও ভয়াল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদী আগ্রাসী রূপ নিয়েছে।
১৯ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ান আলম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারওয়ান বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।
৩৯ মিনিট আগে
রাজশাহীর বাঘায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। ঘুরে বেড়ানো এক কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন পথচারী আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা নওদাপাড়া, পুকুরপাড়া, আঠালিয়াপাড়া, অমরপুরসহ লালপুর উপজেলার সাধুপাড়া, ধরবিলা...
৪১ মিনিট আগে
নাটোরের বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় (৭০) এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহপাড়া কবরস্থানের পাশ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী।
৪৩ মিনিট আগে