Ajker Patrika

দুদকের মামলায় মানিকগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা মট্টুসহ দুজন গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০২: ০৪
দুদকের মামলায় মানিকগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা মট্টুসহ দুজন গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মো.আমিরুল ইসলাম মট্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় গত সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকবর আলী খান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাঁকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মাটি ভরাটের কাজ করেন মহুয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আমিরুল ইসলাম মট্টু। মাটি ভরাটে অতিরিক্ত বিলসহ অনিয়মের অভিযোগে মানিকগঞ্জ সদর থানায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকবর আলী খান আজকের পত্রিকাকে জানান, আদালত থেকে আমিরুল ইসলাম মট্টুসহ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে গত ৬ ডিসেম্বর সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারের পাঠানো হয়েছে। তিনি উল্লেখ করে বলেন, আদালত তাঁদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। 

এদিকে, দুদকের দায়ের করা মামলায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার ইকবাল খানও গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিটি মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে রয়েছেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র মো.রমজান আলী। এই মামলায় মেয়র রমজান আলী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে পেয়েছেন বলে এই কর্মকর্তা জানান। 

মানিকগঞ্জ পৌর মেয়র মো. রমজান আলী মামলার বিষয়ে বলেন, 'আমি এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার পর তাঁদের জামিন নিতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা মামলার বিষয়টি আমলে নেয়নি। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় এবং তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।'  পরে থানায় গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন বলে তিনি জানান।

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, আমিরুল ইসলাম মট্টুর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আদালত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর তার মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন তাঁর জামিন হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন। 

এ সব ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) আজকের পত্রিকাকে বলেন, পৌর মেয়র রমজান আলী এই মামলার হাজিরার তারিখ জেনে তিনি নিজে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে সেই তথ্য তিনি আমিরুল ইসলাম মট্টু ও ইকবাল হোসেনের কাছে গোপন রাখার কারণে তাঁরা সময়মতো জামিন নিতে পারেননি এবং অবশেষে জেল হাজতে গেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত