মো. লুৎফর রহমান, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার প্রান্তিক চাষিরা ব্যাপকভাবে ঝুঁকে পড়েছেন সবুজ বিষবৃক্ষ তামাক আবাদে। বেশি ফলনের আশায় অতিমাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছেন তাঁরা। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে যত্রতত্র তামাক রোদে শুকানোর ফলে এর বিষাক্ত দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত না থেকেও শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের সব শ্রেণির মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তামাক চাষে চাষিদের নিরুৎসাহিত করলেও চাষিরা কোনো তোয়াক্কা করছেন না। ফলে প্রতিবছরই তামাক চাষিসহ আশপাশের বাড়ির লোকজনদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের রোগব্যাধি। কেউ কেউ হৃদ্রোগ, অ্যালার্জি, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার মতো দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সরেজমিনে সম্প্রতি উপজেলার বরাইদ, উত্তর ছনকা, ফাজিলাবাড়ি, মহেরা, তিল্লি, শিমুলিয়া, সাভার, আগ সাভার, হামজা, জালশুকা, শালুয়াকান্দি, কৌড়ি, গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় বেশির ভাগ তামাকচাষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদের আশপাশের রাস্তা ও বাড়ির পাশে বাঁশের মাচা ও রশি বেঁধে শুকাচ্ছেন তামাক পাতা। সড়ক দিয়ে হাঁটতেই ঝাঁঝালো গন্ধে অসুস্থ পরিবেশ অনুভূত হয়। আবার এসব তামাক শুকিয়ে নিজ বসতঘরে গুদামজাত করছেন চাষিরা। জনবহুল এলাকা ও রাস্তার দুই পাশে ঘনবসতি থাকার পরও লম্বা লম্বা সারিবদ্ধ মাচা করে তামাক শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ফলে তাঁদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুটোই হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী ও পথচারীরা।
বরাইদ ইউনিয়নের উত্তর ছনকা এলাকার ষাটোর্ধ্ব মো. নূরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘এবার চার বিঘা জমিতে তামাক চাষ করতে গিয়ে ঠান্ডা, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৫ দিন ধরে অসুস্থ আছি। মাঝেমধ্যে তামাকের গন্ধে মাথা ঘোরে। অতি লাভের কারণে তামাক চাষ না করে থাকতে পারি না। বাড়িতে তামাক রাখায় অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
একই ইউনিয়নের উত্তর ছনকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনেই বিশাল বিশাল মাচা করে তামাক শুকানো হচ্ছে। তামাকের ঝাঁঝালো গন্ধে পরিবার নিয়ে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
স্থানীয় ফার্মাসিস্ট মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘এ বছর তামাক চাষ করতে গিয়ে প্রতিদিনই চাষিরা দোকানে আসছেন ঠান্ডা জ্বর ও শ্বাসকষ্টের নানা রকম রোগ নিয়ে। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। পাশাপাশি তামাক যাতে যত্রতত্র না শুকিয়ে লোকালয় থেকে দূরে রাখার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুন উর রশিদ বলেন, তামাক মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। তামাক শুকানোর ফলে যে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়, তা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য দুটোর ওপরেই এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, যা থেকে মানুষ গুরুতর অসুস্থতার সম্মুখীন হতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনার আওতায় চাষিদের নিয়ে আসা হয়েছে। তারপরও কিছু চাষি নগদ লাভের আশায় ক্ষতিকর তামাক চাষ করছেন। তবে যত্রতত্র তামাক শুকানোর বিষয়ে চাষিদের সতর্ক হতে হবে।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার প্রান্তিক চাষিরা ব্যাপকভাবে ঝুঁকে পড়েছেন সবুজ বিষবৃক্ষ তামাক আবাদে। বেশি ফলনের আশায় অতিমাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছেন তাঁরা। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে যত্রতত্র তামাক রোদে শুকানোর ফলে এর বিষাক্ত দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত না থেকেও শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের সব শ্রেণির মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তামাক চাষে চাষিদের নিরুৎসাহিত করলেও চাষিরা কোনো তোয়াক্কা করছেন না। ফলে প্রতিবছরই তামাক চাষিসহ আশপাশের বাড়ির লোকজনদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের রোগব্যাধি। কেউ কেউ হৃদ্রোগ, অ্যালার্জি, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার মতো দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সরেজমিনে সম্প্রতি উপজেলার বরাইদ, উত্তর ছনকা, ফাজিলাবাড়ি, মহেরা, তিল্লি, শিমুলিয়া, সাভার, আগ সাভার, হামজা, জালশুকা, শালুয়াকান্দি, কৌড়ি, গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় বেশির ভাগ তামাকচাষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদের আশপাশের রাস্তা ও বাড়ির পাশে বাঁশের মাচা ও রশি বেঁধে শুকাচ্ছেন তামাক পাতা। সড়ক দিয়ে হাঁটতেই ঝাঁঝালো গন্ধে অসুস্থ পরিবেশ অনুভূত হয়। আবার এসব তামাক শুকিয়ে নিজ বসতঘরে গুদামজাত করছেন চাষিরা। জনবহুল এলাকা ও রাস্তার দুই পাশে ঘনবসতি থাকার পরও লম্বা লম্বা সারিবদ্ধ মাচা করে তামাক শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ফলে তাঁদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুটোই হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী ও পথচারীরা।
বরাইদ ইউনিয়নের উত্তর ছনকা এলাকার ষাটোর্ধ্ব মো. নূরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘এবার চার বিঘা জমিতে তামাক চাষ করতে গিয়ে ঠান্ডা, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৫ দিন ধরে অসুস্থ আছি। মাঝেমধ্যে তামাকের গন্ধে মাথা ঘোরে। অতি লাভের কারণে তামাক চাষ না করে থাকতে পারি না। বাড়িতে তামাক রাখায় অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
একই ইউনিয়নের উত্তর ছনকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনেই বিশাল বিশাল মাচা করে তামাক শুকানো হচ্ছে। তামাকের ঝাঁঝালো গন্ধে পরিবার নিয়ে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
স্থানীয় ফার্মাসিস্ট মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘এ বছর তামাক চাষ করতে গিয়ে প্রতিদিনই চাষিরা দোকানে আসছেন ঠান্ডা জ্বর ও শ্বাসকষ্টের নানা রকম রোগ নিয়ে। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। পাশাপাশি তামাক যাতে যত্রতত্র না শুকিয়ে লোকালয় থেকে দূরে রাখার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুন উর রশিদ বলেন, তামাক মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। তামাক শুকানোর ফলে যে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়, তা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য দুটোর ওপরেই এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, যা থেকে মানুষ গুরুতর অসুস্থতার সম্মুখীন হতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনার আওতায় চাষিদের নিয়ে আসা হয়েছে। তারপরও কিছু চাষি নগদ লাভের আশায় ক্ষতিকর তামাক চাষ করছেন। তবে যত্রতত্র তামাক শুকানোর বিষয়ে চাষিদের সতর্ক হতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল সোমবার প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে দুজন সহসভাপতি (ভিপি), একজন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীসহ বাদ পড়েছেন ১৯ প্রার্থী। অন্যদিকে হল সংসদ নির্বাচনে কোনো
৩ ঘণ্টা আগেবেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে পশ্চিমাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী বেশ কিছু পরিবহনশ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বেশির ভাগ পরিবহনের দূরপাল্লার বাস চলছে না।
৪ ঘণ্টা আগেদিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নৌকার পর নৌকা ভিড়ছে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাকড়শনে। এটি শামুকের আড়ত। সকাল থেকে এখানে শুরু হয় জমজমাট ক্রয়-বিক্রয়।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথ
৪ ঘণ্টা আগে