Ajker Patrika

রাজৈরের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কুম্ভমেলা শুরু: ভক্ত-সাধুসন্তদের সমাগমে মুখর হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
রাজৈরের কদমবাড়ীতে কুম্ভমেলায় কীর্তন শোনেন ভক্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজৈরের কদমবাড়ীতে কুম্ভমেলায় কীর্তন শোনেন ভক্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুর রাজৈরের কদমবাড়ীতে চার দিনব্যাপী ‘কুম্ভমেলা’ বা কামনার মেলা শুরু হয়েছে। রাজৈরের কদমবাড়ীর দীঘিরপাড় এলাকার মহামানব গণেশ পাগল সেবাশ্রমের এ মেলায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্ত-সাধুদের সমাগম হয়। মেলায় আসেন নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের সাধুরাও। মেলা কমিটির আশা, প্রতিবছরের মতো এবারও মেলায় ১৫ লাখ ভক্তের আগমন ঘটবে। মেলাকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেলাকে ঘিরে বসেছে সারি সারি দোকান। এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে পছন্দের সব জিনিসপত্র।

আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকে মেলা শুরু হয়ে আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে দলে দলে জয় ডংকা ও নানা রকমের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে জয় হরিবল ও জয়বাবা গণেশ পাগল ধ্বনি করতে করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধু-সন্ন্যাসী ও ভক্তরা বাসে, ট্রাকে, ট্রলারে ও পদব্রজে মেলা প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শত বছর ধরে মাদারীপুর রাজৈরের কদমবাড়ীর দীঘিরপাড় এলাকার মহামানব শ্রী শ্রী গণেশ পাগল সেবাশ্রমে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই কুম্ভমেলাকে অনেকে কামনার মেলাও বলে থাকেন। হিন্দু ধর্মাম্বলীদের শাস্ত্রমতে, সত্য যুগে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে সমুদ্র মন্থনে যে অমৃত সুধা উঠেছিল, তা চারটি কুম্ভ পাত্র—হরিদ্বার, প্রয়াগ, উজ্জয়িনী ও নাসিকে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনার পর থেকে ভারতীয় মুনি-ঋষিরা কুম্ভমেলার আয়োজন করে আসছেন।

শত বছর আগে জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৩ তারিখে ১৩ জন সাধু, ১৩ সের চাল ও ১৩ টাকা নিয়ে রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ীর দীঘিরপাড় এলাকায় ভারতের কুম্ভমেলাকে অনুসরণ করে এ মেলার আয়োজন করা হয়। সেই থেকে এখানে মহামানব শ্রী শ্রী গণেশ পাগল সেবাশ্রমে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মূল মেলা হয় এক রাতের জন্য। তবে এই মেলা চার দিন চলবে। কখনো কখনো সপ্তাহব্যাপীও হয়ে থাকে। এখানে বিভিন্ন দেব-দেবতার ১০৮টি মন্দির রয়েছে। আয়োজকেরা ধারণা করছেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ১৫ লক্ষাধিক ভক্তের উপস্থিতি ঘটবে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, খুলনা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, বগুড়া, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গৌরনদীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে মানুষ এই মেলায় আসেন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান থেকেও বহু ভক্ত আসেন ঐতিহ্যবাহী এই কুম্ভমেলায়। এ মেলায় আসা হাজার হাজার সাধু-সন্ন্যাসী ও ভক্তরা একতারা আর দোতারায় সুর দিয়ে সারা রাত মেতে থাকেন। ছোট-বড় অর্ধশতাধিক প্যান্ডেলে বাউল ও ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে ভক্তদের মধ্যে ভক্তসেবা কমিটির প্রসাদ বিতরণ।

মেলা উপলক্ষে প্রায় বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে বসেছে সারি সারি দোকান। এ মেলা উপলক্ষে সাত দিন আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন দোকানিরা। বাঁশ-বেতের শিল্প কারুকাজ খচিত গৃহস্থালি মালামাল, মৃৎশিল্প বা মাটির তৈরি তৈজসপত্র, বাহারি মিষ্টি, খেলনা ও বাহারি প্রসাধনী পণ্য দিয়ে সাজিয়ে ছোট-বড় দুই হাজারের বেশি দোকান বসেছে।

মেলায় ঘুরতে এসে দর্শনার্থী প্রীতম ঘোষ বলেন, ‘আমি শরীয়তপুর থেকে এসেছি। আমি প্রতিবছরই আসি। এখানে এসে পূজা-অর্চনা করি এবং ঘুরে ঘুরে সব দেখি। আমার খুব ভালো লাগে।’ খুলনা থেকে আসা প্রদীপ সাহা বলেন, ‘পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে কুম্ভমেলায় ঘুরতে আসি। এটি আমাদের কাছে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ মেলা বলে মনে করি। তা ছাড়া গণেশ পাগলের কাছে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। তাই এখানে এসেছি।’

ব্যবসায়ী মনোষ সাহা বলেন, ‘প্রতিবছরই এই কুম্ভমেলায় দোকান নিয়ে আসি। আমার প্রসাধনী ও কসমেটিকসের দোকান। মেলায় বেচাকেনা অনেক ভালো হয়। লাভও ভালো হয়।’

গণেশ পাগল সেবাশ্রম ও মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নীল রতন সরকার বলেন, ‘এবারও মেলায় ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষের আগমন হবে বলে আশা করছি। আবহাওয়া ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় আগেভাগেও চলে এসেছেন অনেক ভক্ত। তা ছাড়া এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে মেলা শেষ করতে সবাই আন্তরিক আছেন। আশা করছি, সুন্দর পরিবেশের মধ্য দিয়ে মেলা শেষ হবে।’

রাজৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় মেলার চারদিকে পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। প্রায় ২০০ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কাজ করছেন। উৎসব শান্তিপূর্ণ করতে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ও টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে, যা থেকে মেলার মাঠ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ের দেড় মাসের মাথায় সড়কে ঝরল প্রবাসীর প্রাণ

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
নিহত নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
নিহত নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দেবিদ্বারে কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজমুল হাসান (২৮) নামের এক প্রবাসী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় উপজেলার বেগমাবাদ এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজমুল উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে।

নিহত যুবকের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ বেলা সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন নাজমুল। বেগমাবাদ এলাকায় এলে একটি পিকআপ ভ্যান তাঁর মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে চলন্ত একটি কাভার্ড ভ্যানের নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

নিহত যুবকের ফুফাতো ভাই ফারুক হোসেন জানান, নাজমুল হাসান কুয়েতে কাজ করেন। প্রায় তিন মাস আগে ছুটিতে দেশে ফেরেন। দেড় মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। ১৫ দিন পর তাঁর বিদেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল। আজ ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট বাজার থেকে একটি টি-শার্ট কিনে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান নাজমুল।

নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বুক চাপড়ে বলেন, ‘ছেলেকে বিয়ে করিয়ে খুব আনন্দে ছিলাম। আনন্দটা বেশি দিন টিকল না।’

এ বিষয়ে মীরপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই আনিসুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর সড়কে যানজট হয়। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলা ও গুলি, নিহত ১

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আইটি গেটসংলগ্ন বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় এমদাদুল হক (৫৫) নামের এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫)। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসে ছিলেন।

এ সময় দুর্বৃত্তরা হঠাৎ অফিসে থাকা মামুন শেখকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।

প্রথম গুলি মিস হয়ে পাশে থাকা এমদাদুল হকের শরীরে বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এরপর সন্ত্রাসীরা আরও গুলি চালালে মামুন শেখ গুলিবিদ্ধ হন। তখন দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা গুরুতর আহত মামুনকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে যাচ্ছি। একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি।’

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়ী গেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় মুগডালে ক্ষতিকর রং, ৪ দোকানিকে লাখ টাকা জরিমানা

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় ৪ দোকানিকে জরিমানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়ায় ৪ দোকানিকে জরিমানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুগডালে ক্ষতিকর রঙের উপস্থিতি পাওয়ায় বগুড়ায় চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার শহরের ডালপট্টিতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে এই জরিমানা করা হয়।

অভিযানে শহরের ডালপট্টি এলাকার একাধিক দোকানে মুগডালে ক্ষতিকারক রং আছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয়। অভিযানে চারটি দোকানের মুগডালে ক্ষতিকারক রঙের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

যদিও দোকানিরা বলছেন, তাঁরা প্রত্যেকে এই ডালগুলো রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে কিনেছেন। এগুলোর মধ্যে রংমিশ্রিত থাকে তা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোই ভালো বলতে পারবে। তাঁরা পাইকারি এনে সেভাবেই আবার বিক্রি করেন।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ রোববার আকস্মিক অভিযানে সব ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি দুই দোকানকে ৩০ হাজার করে এবং আরও দুই দোকানকে ২০ হাজার করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পাশাপাশি আজ সন্ধ্যার মধ্যে যাঁদের কাছে রংমিশ্রিত ডাল রয়েছে, সেসব বস্তা নিজ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী নেতারা ডালের বস্তাগুলো একত্র করে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।’

জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. রাসেল বলেন, মুগডালে যে রঙের উপস্থিতি তাঁরা অভিযানে পেয়েছেন, তা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোজ্যপণ্যে ভেজাল কিংবা ক্ষতিকারক এমন রং ব্যবহারের প্রচেষ্টা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অভিযানে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছাসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরগঞ্জের বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন আজকের পত্রিকার সাজন আহম্মেদ পাপন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয় আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজন আহম্মেদ পাপনের হাতে। ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয় আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজন আহম্মেদ পাপনের হাতে। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড (সংবাদপত্র) পেলেন আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাজন আহম্মেদ পাপন। চলতি বছর আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘১৪ বছর ধরে অনির্বাচিত কমিটি, অচল কিশোরগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গন’ প্রতিবেদনের জন্য তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে শহরের রথখোলা এলাকায় এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে চার ক্যাটাগরিতে চারজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব।

পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্য তিনজন হলেন অনলাইন ক্যাটাগরিতে তাসলিমা আক্তার মিতু, মাল্টিমিডিয়ায় রাকিবুল হাসান রোকেল ও টেলিভিশনে রুমন চক্রবর্তী।

কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির রমজান আলী, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি আলমগীর হোসাইন তালুকদার, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. একরাম আহসান জুয়েল, হয়বতনগর আনওয়ারুল উলুম (এইউ) কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজিজুল হক, পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মুআ লতিফ, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসিম খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত