ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্মৃতিসৌধে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন কেন্দ্রঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের নেতাকর্মীরা। দুই গ্রুপই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক গ্রুপ। আজ শনিবার ৯টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় স্মৃতিসৌধে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ১০ মিনিট ধাক্কাধাক্কি চলে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানান সমালোচনা।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, শুরুতে ফুল দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক ইউনিটের নেতাকর্মীরা নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন তাঁদের সামনে দিয়ে বিভিন্ন সংগঠন ও জিয়া পরিষদসহ অন্যরা ফুল দিয়ে চলে যাচ্ছে, কিন্তু তাঁদের নাম মাইকে ঘোষণা করা হয়নি। বিষয়টা সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলামকে জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার। শিক্ষক ইউনিটের নেতাকর্মীরা বেদিতে উঠতে গেলে তাদের বাধা দেন সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম।
এর পরও তাঁরা বেদিতে উঠে পড়লে কেন্দ্র ঘোষিত অংশের শিক্ষক নেতারা তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে তিন দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে স্মৃতিসৌধে। হাতাহাতির মাঝে উভয় গ্রুপই হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। দুই গ্রুপের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক এই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শ্রদ্ধাঞ্জলি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেয় কেন্দ্রঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রক্টরিয়াল বডি।
এদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার কাছে অভিযোগ দিতে গিয়েও অভিযোগ দিতে পারেননি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীদের তোপে। কয়েকবার তাঁদের বেদি থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন কেন্দ্রঘোষিত শিক্ষক নেতারা। শিক্ষক ইউনিট বেদি থেকে নেমে গেলে ওখানকার পরিবেশ শান্ত হয়। এর প্রতিবাদে বেলা ১১টায় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘আমরা দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে মহান স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে পারি। আমাদের সামনে দিয়ে বিএনপির লোকজনকে শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়া হয়। আমাদের নাম ঘোষণার কথা ছিল। আমাদের নাম তালিকায় ২২ নম্বরে ছিল, সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা আমাদের নাম কেটে দেন। এটা পূর্বপরিকল্পিত। জাতীয় দিবসে এমন ঘটনায় আমরা মর্মাহত ও দুঃখিত। আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন বলেন, ‘যারা জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা, তারা এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করার জন্য এখানে এসেছে। জাতীয় দিবসে এমন একটি ঘটনা খুবই দুঃখজনক।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাব্বির নামে এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘ফুল দেওয়ার নোংরা রাজনীতিতে শিক্ষকেরা যদি মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন, তবে শিক্ষার্থীরা কী শিক্ষা পাবে? কী শিখবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম? প্রতিযোগিতা যদি পাঠদানের ক্ষেত্রে হতো, তবেই দেশ ও জাতি প্রকৃত উন্নতির মুখ দেখত। শ্রদ্ধাঞ্জলি সবার অধিকার, এটি কুক্ষিগত করে রাখা কখনো দেশ ও জাতির জন্য শুভকর নয়। ভিডিও দিলে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্মান যাবে।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্মৃতিসৌধে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন কেন্দ্রঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের নেতাকর্মীরা। দুই গ্রুপই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক গ্রুপ। আজ শনিবার ৯টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় স্মৃতিসৌধে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ১০ মিনিট ধাক্কাধাক্কি চলে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানান সমালোচনা।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, শুরুতে ফুল দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক ইউনিটের নেতাকর্মীরা নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন তাঁদের সামনে দিয়ে বিভিন্ন সংগঠন ও জিয়া পরিষদসহ অন্যরা ফুল দিয়ে চলে যাচ্ছে, কিন্তু তাঁদের নাম মাইকে ঘোষণা করা হয়নি। বিষয়টা সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলামকে জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার। শিক্ষক ইউনিটের নেতাকর্মীরা বেদিতে উঠতে গেলে তাদের বাধা দেন সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম।
এর পরও তাঁরা বেদিতে উঠে পড়লে কেন্দ্র ঘোষিত অংশের শিক্ষক নেতারা তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে তিন দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে স্মৃতিসৌধে। হাতাহাতির মাঝে উভয় গ্রুপই হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। দুই গ্রুপের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক এই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শ্রদ্ধাঞ্জলি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেয় কেন্দ্রঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় প্রক্টরিয়াল বডি।
এদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার কাছে অভিযোগ দিতে গিয়েও অভিযোগ দিতে পারেননি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীদের তোপে। কয়েকবার তাঁদের বেদি থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন কেন্দ্রঘোষিত শিক্ষক নেতারা। শিক্ষক ইউনিট বেদি থেকে নেমে গেলে ওখানকার পরিবেশ শান্ত হয়। এর প্রতিবাদে বেলা ১১টায় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘আমরা দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে মহান স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে পারি। আমাদের সামনে দিয়ে বিএনপির লোকজনকে শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়া হয়। আমাদের নাম ঘোষণার কথা ছিল। আমাদের নাম তালিকায় ২২ নম্বরে ছিল, সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা আমাদের নাম কেটে দেন। এটা পূর্বপরিকল্পিত। জাতীয় দিবসে এমন ঘটনায় আমরা মর্মাহত ও দুঃখিত। আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন বলেন, ‘যারা জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা, তারা এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করার জন্য এখানে এসেছে। জাতীয় দিবসে এমন একটি ঘটনা খুবই দুঃখজনক।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাব্বির নামে এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘ফুল দেওয়ার নোংরা রাজনীতিতে শিক্ষকেরা যদি মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন, তবে শিক্ষার্থীরা কী শিক্ষা পাবে? কী শিখবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম? প্রতিযোগিতা যদি পাঠদানের ক্ষেত্রে হতো, তবেই দেশ ও জাতি প্রকৃত উন্নতির মুখ দেখত। শ্রদ্ধাঞ্জলি সবার অধিকার, এটি কুক্ষিগত করে রাখা কখনো দেশ ও জাতির জন্য শুভকর নয়। ভিডিও দিলে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্মান যাবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মো. আরমান মির্জা (২১) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) পাস করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেবক্তারা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান ও যোগাযোগব্যবস্থার দিক থেকে শরীয়তপুর ফরিদপুরের বিপরীতে অবস্থিত। অপর দিকে রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় এখানকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিভাগের সঙ্গেই প্রশাসনিকভাবে থাকতে চায়। ফরিদপুর বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হলে সাধারণ মানুষকে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে নানা ভোগান্তির...
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ও সংগীতশিল্পী শামীমা পারভীন রত্নাকে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে সাতক্ষীরা শহরের পিটিআই মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা ও বর্ণমালা একাডেমির পরিচালক।
১ ঘণ্টা আগেমৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, তানভীরের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় তার মা ইভা ৮ শতাংশ, ভাই তাওহীদ ১৫ শতাংশ পুড়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে