কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
শস্যভান্ডার খ্যাত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় এক সময় প্রচুর ছোট চালকল বা হাসকিং মিল ছিল। বর্তমানে অটোরাইস মিলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে সেগুলো বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে। ফলে পেশা ছাড়ছেন শ্রমিকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনেক চালকল মালিক মূলধন হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকে টিকতে না পেরে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। কেউ কেউ চাতালগুলোতে চালের পরিবর্তে ধানের চিটা থেকে গুঁড়া তৈরি করছেন। ধানকেন্দ্রিক জেলা হওয়ায় এখানে এক সময় প্রচুর ছোট ছোট চালকল গড়ে উঠেছিল। শ্রমিকেরা চাতালেই বসবাস করতেন। দিন কিংবা রাত যে কোনো সময়ে চাতালে শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততার শেষ ছিল না।
উপজেলা খাদ্য গুদাম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে কাগজে কলমে ৩৩টি হাসকিং মিল বা চালকল রয়েছে। এর বাইরে আরও প্রায় ২০টি চাতাল বা হাসকিং মিলও আছে। যেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে চালকল বা হাসকিং মিলের পাশাপাশি উপজেলায় একটি অটো রাইস মিল, একটি চাল প্রসেসিং অটোরাইস মিল চালু হয়েছে। অটো মিলগুলো পুরোদমে চালু হওয়ায় হাসকিং মিলগুলোর প্রায় অর্ধেকের বেশি বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে হাসকিং মিলের নারী শ্রমিক জাবেদা খাতুন (৫০) বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই চালকলে কাজ করছি। আমার কলে ছয় থেকে ১০ জন কাজ করেন। চাতালে ধান ভিজানো ও শুকানো থেকে শুরু করে ভাঙানো পর্যন্ত কাজ করা হয়। আগে পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতিদিন ৫০০ টাকা এবং খাওয়ার জন্য চাল দেওয়া হত। এখন কাজ নেই, যে কাজ করি সেই কাজে প্রতিদিন ২০০ টাকাও হাজিরা হয় না।’
চাতালের শ্রমিক মো হান্নান শাহ বলেন, বর্তমানে জনপ্রতি ভাগে ২ শত টাকা ও সাড়ে ৩ কেজি করে চাল পাওয়া যায়, মাসে ৩-৪টা চাতাল উঠে। পরিশ্রম বেশি হয়। কিন্তু সে তুলনায় পারিশ্রমিক পাই না।
চাতালের শ্রমিক আব্দুল রহিম বলেন, ‘যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। এক সময় অনেক মানুষ কাজ করত চাতালে। এখন চাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। মিলের শ্রমিকেরা এখন কৃষিকাজ, ভ্যান চালানো কেউ বা ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করছেন। আমরা অন্য কোনো কাজে অভ্যস্ত না হওয়ায় এখনো চাতালেই পড়ে আছি।’
এ বিষয়ে উপজেলার হাবিব রাইচমিল চাতালের মালিক মো. সেলিম হোসেন বলেন, প্রায় ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে চাতালের সঙ্গে জড়িত। সে সময় মিলে ১৫-১৮ জন শ্রমিক কাজ করত। শ্রমিক সংকটে বেশ কিছুদিন ধরে চাতাল বন্ধ রয়েছে। এখন মিলে চাল উৎপাদনের পরিবর্তে এখন ধানের চিটা সংগ্রহ করে গুঁড়া ভাঙানোর কাজ করছি।
চাতালের মালিক জামির শেখ বলেন, ‘আমাদের ছোট চালকলে ধান কম লাগলেও বেশি দামে ধান কিনতে হয়। শ্রমিকের খরচ ও চাল উৎপাদন করতে গিয়ে খরচটা বেশি হয়। সে কারণে বেশ লোকসানে পড়তে হচ্ছে। যার কারণে মিল বন্ধ করে দিয়েছি। হাসকিং মিলগুলো আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।’
উপজেলা হাসকিং মিলের সভাপতি মো. মাহবুব-উল-আহসান উল্লাস বলেন, উপজেলায় ৩৫টি হাসকিং মিল রয়েছে, এর মধ্যে ১৮ থেকে ২০টা মিল চালু আছে। সব চাইতে বেশি সংকট শ্রমিকের, এই পেশায় কেউ নতুন করে আসছে চাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালুর রহমান বলেন, উপজেলা ৩৩টি হাকসিং মিল আছে, এর মধ্যে ৭টি বন্ধ আছে। এ ছাড়া একটি অটো রাইস মিল, একটি চাল প্রসেসিং মিল আছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসকিং ও অটো মিল থেকে এক হাজার ৭১১ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সরকার প্রান্তিক মিলারদের কাছ থেকে চাল ধান সংগ্রহ করছেন। এতে করে হাসকিং মিল মালিকেরা লাভবান হবেন।
শস্যভান্ডার খ্যাত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় এক সময় প্রচুর ছোট চালকল বা হাসকিং মিল ছিল। বর্তমানে অটোরাইস মিলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে সেগুলো বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে। ফলে পেশা ছাড়ছেন শ্রমিকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনেক চালকল মালিক মূলধন হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকে টিকতে না পেরে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। কেউ কেউ চাতালগুলোতে চালের পরিবর্তে ধানের চিটা থেকে গুঁড়া তৈরি করছেন। ধানকেন্দ্রিক জেলা হওয়ায় এখানে এক সময় প্রচুর ছোট ছোট চালকল গড়ে উঠেছিল। শ্রমিকেরা চাতালেই বসবাস করতেন। দিন কিংবা রাত যে কোনো সময়ে চাতালে শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততার শেষ ছিল না।
উপজেলা খাদ্য গুদাম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে কাগজে কলমে ৩৩টি হাসকিং মিল বা চালকল রয়েছে। এর বাইরে আরও প্রায় ২০টি চাতাল বা হাসকিং মিলও আছে। যেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে চালকল বা হাসকিং মিলের পাশাপাশি উপজেলায় একটি অটো রাইস মিল, একটি চাল প্রসেসিং অটোরাইস মিল চালু হয়েছে। অটো মিলগুলো পুরোদমে চালু হওয়ায় হাসকিং মিলগুলোর প্রায় অর্ধেকের বেশি বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে হাসকিং মিলের নারী শ্রমিক জাবেদা খাতুন (৫০) বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই চালকলে কাজ করছি। আমার কলে ছয় থেকে ১০ জন কাজ করেন। চাতালে ধান ভিজানো ও শুকানো থেকে শুরু করে ভাঙানো পর্যন্ত কাজ করা হয়। আগে পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতিদিন ৫০০ টাকা এবং খাওয়ার জন্য চাল দেওয়া হত। এখন কাজ নেই, যে কাজ করি সেই কাজে প্রতিদিন ২০০ টাকাও হাজিরা হয় না।’
চাতালের শ্রমিক মো হান্নান শাহ বলেন, বর্তমানে জনপ্রতি ভাগে ২ শত টাকা ও সাড়ে ৩ কেজি করে চাল পাওয়া যায়, মাসে ৩-৪টা চাতাল উঠে। পরিশ্রম বেশি হয়। কিন্তু সে তুলনায় পারিশ্রমিক পাই না।
চাতালের শ্রমিক আব্দুল রহিম বলেন, ‘যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। এক সময় অনেক মানুষ কাজ করত চাতালে। এখন চাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। মিলের শ্রমিকেরা এখন কৃষিকাজ, ভ্যান চালানো কেউ বা ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করছেন। আমরা অন্য কোনো কাজে অভ্যস্ত না হওয়ায় এখনো চাতালেই পড়ে আছি।’
এ বিষয়ে উপজেলার হাবিব রাইচমিল চাতালের মালিক মো. সেলিম হোসেন বলেন, প্রায় ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে চাতালের সঙ্গে জড়িত। সে সময় মিলে ১৫-১৮ জন শ্রমিক কাজ করত। শ্রমিক সংকটে বেশ কিছুদিন ধরে চাতাল বন্ধ রয়েছে। এখন মিলে চাল উৎপাদনের পরিবর্তে এখন ধানের চিটা সংগ্রহ করে গুঁড়া ভাঙানোর কাজ করছি।
চাতালের মালিক জামির শেখ বলেন, ‘আমাদের ছোট চালকলে ধান কম লাগলেও বেশি দামে ধান কিনতে হয়। শ্রমিকের খরচ ও চাল উৎপাদন করতে গিয়ে খরচটা বেশি হয়। সে কারণে বেশ লোকসানে পড়তে হচ্ছে। যার কারণে মিল বন্ধ করে দিয়েছি। হাসকিং মিলগুলো আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।’
উপজেলা হাসকিং মিলের সভাপতি মো. মাহবুব-উল-আহসান উল্লাস বলেন, উপজেলায় ৩৫টি হাসকিং মিল রয়েছে, এর মধ্যে ১৮ থেকে ২০টা মিল চালু আছে। সব চাইতে বেশি সংকট শ্রমিকের, এই পেশায় কেউ নতুন করে আসছে চাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামশেদ ইকবালুর রহমান বলেন, উপজেলা ৩৩টি হাকসিং মিল আছে, এর মধ্যে ৭টি বন্ধ আছে। এ ছাড়া একটি অটো রাইস মিল, একটি চাল প্রসেসিং মিল আছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসকিং ও অটো মিল থেকে এক হাজার ৭১১ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সরকার প্রান্তিক মিলারদের কাছ থেকে চাল ধান সংগ্রহ করছেন। এতে করে হাসকিং মিল মালিকেরা লাভবান হবেন।
বাউফল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ মার্চ উপজেলার কায়না গ্রামে শাহ-আলমের ছাগল গোবিন্দ ঘরামির জমিতে প্রবেশ করে ঘাস খাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শাহ-আলম গুরুতর আহত হন।
৮ মিনিট আগেগাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের ১১টি পদের মধ্যে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদগুলো হলো— উপজেলা প্রাণিসম্পদ সহকারী একজন, ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ) তিনজন, ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (কৃত্রিম প্রজনন) একজন, এবং অফিস সহায়ক একজন। ১৯৯৮ সাল থেকে...
২২ মিনিট আগেমোটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম (৩০) বলেন, প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা বা আমার বাড়ি সিরাজদিখানে যেতে হয়। কিন্তু সেতুর গর্তগুলো এত বড় যে সামান্য অসাবধান হলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গত সপ্তাহেই এক মোটরসাইকেলচালক গর্তে পড়ে আঘাত পেয়েছিলেন।
২৩ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মধুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল নিবন্ধন হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মনঃপূত ঘুষ না দিলে জমির দলিল নিবন্ধন ছাড়াই ফিরে আসতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলা রেজিস্ট্রার ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে লিখিত...
৮ ঘণ্টা আগে