কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে ঢলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়ার সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। এ অবস্থায় ভাটিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় তিস্তার নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করার পাশাপাশি ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগামী ১৮ ঘণ্টা তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পরবর্তীতে পানি কমতে শুরু করবে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকায় জেলার রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝের চর, সরিষাবাড়ি এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়িরহাটের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে ভাঙন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শনিবার জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দুর্যোগপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ইউনিয়নের গতিয়াশাম গ্রামের বাসিন্দা রাকিবুল বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে পানি বাড়তেছে। শনিবার কিছু বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সঙ্গে কিছু এলাকায় ভাঙনও আছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গতিয়াশাম গ্রামে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতভিটা ও গ্রামীণ সড়ক।’
৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিচু এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকতেছে। আমার বাড়িতেও পানি ঢুকছে। রাত পোহাতে পোহাতে আরও পানি ঢুকতে পারে।’
ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক বলেন, ‘ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী কিছু বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে।’
পাউবো নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই সময়ে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়াও ধরলার পানি কুড়িগ্রাম শহর (ধরলা সেতু) পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদের পানি ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯৫ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘জেলার সককটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তিস্তা ছাড়া অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছার সম্ভাবনা নেই। পূর্বাভাস অনুযায়ী তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও ২৪ ঘণ্টা পর পানি কমতে শুরু করবে।’
জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, ‘শনিবার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেছি। কিছু বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ স্থানীয়দের উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।’
কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে ঢলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়ার সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। এ অবস্থায় ভাটিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় তিস্তার নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করার পাশাপাশি ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগামী ১৮ ঘণ্টা তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পরবর্তীতে পানি কমতে শুরু করবে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকায় জেলার রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝের চর, সরিষাবাড়ি এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়িরহাটের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে ভাঙন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শনিবার জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দুর্যোগপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ইউনিয়নের গতিয়াশাম গ্রামের বাসিন্দা রাকিবুল বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে পানি বাড়তেছে। শনিবার কিছু বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সঙ্গে কিছু এলাকায় ভাঙনও আছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গতিয়াশাম গ্রামে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতভিটা ও গ্রামীণ সড়ক।’
৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিচু এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকতেছে। আমার বাড়িতেও পানি ঢুকছে। রাত পোহাতে পোহাতে আরও পানি ঢুকতে পারে।’
ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক বলেন, ‘ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী কিছু বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে।’
পাউবো নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই সময়ে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়াও ধরলার পানি কুড়িগ্রাম শহর (ধরলা সেতু) পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদের পানি ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯৫ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘জেলার সককটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তিস্তা ছাড়া অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছার সম্ভাবনা নেই। পূর্বাভাস অনুযায়ী তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও ২৪ ঘণ্টা পর পানি কমতে শুরু করবে।’
জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, ‘শনিবার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেছি। কিছু বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ স্থানীয়দের উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।’
সিলেটে ছয়জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে মোট ছয়জন নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে।
২৪ মিনিট আগের্যাবের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, ‘দুর্গাপূজাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা চেষ্টার পাঁয়তারা চলছে। আমরা এটি টের পাচ্ছি। এ নিয়ে আমাদের আইসিটি বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করছি।’
৩৭ মিনিট আগে১৩ দিনের নবজাতককে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন শাহাজাদী ও তাঁর মা নার্গিস বেগমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।
৪২ মিনিট আগেগাভির সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৯ দিন বয়সী একটি বাছুরও। খামারমালিক হারুনুর রশিদ বলছেন, বাছুরটি প্রতিদিন প্রায় আধা লিটারের মতো দুধ দিচ্ছে। অনেকে বাছুরটি দেখতে আসছেন। কেউ দাঁড়িয়ে দুধ দোহন দেখছেন আবার কেউ মোবাইল ফোনে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন।
১ ঘণ্টা আগে