Ajker Patrika

সূর্যমুখী ফুল থেকে মধু আহরণ

প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
সূর্যমুখী ফুল থেকে মধু আহরণ

কিশোরগঞ্জের আদিত্যপাশা বিলভরা প্রেমনগর এলাকায় সূর্যমুখী ফুল থেকে মধু আহরণ করা হচ্ছে। ওই ইউনিয়নসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে রবি মৌসুমে পতিত জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে।  সূর্যমুখীর বাগানগুলো ফুলে ফুলে ভরে গেছে। উৎপাদন ভালো হয়েছে এবং বাজারে এর ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।  

স্থানীয়ভাবে সূর্যমুখী বীজ থেকে তৈল উৎপাদন সম্ভব। তাই অনেকেই সূর্যমুখীর বাগান ঘুরে আগাম বীজ কিনে রাখছেন। তাছাড়া সূর্যমুখী ফুল থেকে মানসম্মত মধু সংগ্রহ করা যায়। সেজন্য একজন মধু চাষী প্রেমনগর এলাকার ১০বিঘা সূর্যমুখীর বাগানের পাশে ভ্রাম্যমাণ ‘মৌবক্স’ স্থাপন করেছেন। মধু সংগ্রহের জন্য মৌবক্স স্থাপন করলে পরাগায়নের ফলে ফলন ২০ থেকে ২৫ ভাগ বেশি হয়। এজন্য কৃষকরাও মৌবক্স স্থাপনে সহযোগিতা করছেন।     

সূর্যমুখী চাষী রুকুন উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীর চাষ করেছি। বেশ ফলন হয়েছে। মৌমাছি পরাগায়নের ফলে উৎপাদন বাড়বে। সেজন্য মৌচাষিদের সহযোগিতা করছি।’  

বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী মাঠে মৌবক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করছেন মঙলবাড়িয়া মৌ খামারের স্বত্বাধিকারী ছফির উদ্দিন লিমন। তিনি বলেন, ‘ চার থেকে পাঁচ বছর ধরে মধু চাষের সঙ্গে জড়িত। লিচু, সরিয়া, সূর্যমুখীর খাঁটি মধু আহরণ করে থাকি। সপ্তাহ দুয়েক আগে মঙলবাড়িয়া লিচু বাগান থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। লিচু থেকে মধু আহরণের সময় শেষ হয়েছে। তাই এই এলাকায় এসেছি এবং সূর্যমুখী বাগানের পাশে ৬০টি  ভ্রাম্যমাণ বক্স স্থাপন করা হয়েছে। মৌমাছিরা নিজেদের খাবার চাহিদা মিটাচ্ছে। পাশাপাশি মধু আহরণ করছে। এতে পরাগায়নের ফলে সূর্যমুখীর উৎপাদন যেমন বাড়বে তেমনি মুধ আহরণেও লাভবান হওয়া যাবে।  

উপজেলার আঙিয়াদী ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগ জানান, ‘প্রথমবারের মতো এ উপজেলায় পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতার ফলে ভালো ফলন হয়েছে। মৌমাছি পরাগায়নে সাহায্য করে। পরাগায়নের ফলে ২০ থেকে ২৫ ভাগ উৎপাদন বাড়ে। সেজন্য স্থানীয় মৌচাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে’।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল হাসান আলামিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ৩০০ কৃষককে ৩০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করার জন্য ৩০০ কেজি করে বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। প্রথমবারেই বেশ ফলন হয়েছে। যেহেতু মৌমাছি পরাগায়নে সহায়তা করে সেজন্য মৌচাষিদেরও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন তেলের চাহিদা মিটবে অপরদিকে খাঁটি মধুও পাওয়া যাবে’। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডাকসুতে শিবিরের জয়ে উদ্বেগ শশী থারুরের, জবাব দিলেন মেঘমল্লার

‘বেয়াদবি ছুটায় দেব’: সরি বলতে অসুবিধা নেই, বললেন সেই জামায়াত নেতা

নতুন ট্রেন্ড ন্যানো ব্যানানা, নিজের থ্রিডি ফিগারিন বানাবেন যেভাবে

ইসরায়েলের হামলার কী জবাব হবে—আরব-ইসলামিক সম্মেলন ডাকল কাতার

রাজাকারের বাচ্চারা মুক্তিযুদ্ধকে বিনাশ করতে পারবে না: ফজলুর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত