Ajker Patrika

‘বিএনপির ডানার নিচে লুকাইয়া ছিলেন, এখন স্লোগান দেন, আপনারা তো মুনাফেক’

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০: ১৯
প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ফজলুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ফজলুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা গত ৩ আগস্ট স্লোগান দিয়েছিলাম “এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি।” হাসিনা কি স্থানীয় সরকারের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল? সে তো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিল। আমরা তো কেন্দ্রীয় সরকার, পার্লামেন্ট সরকারের পতন চাইছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকারের পতন চেয়েছিলাম বলেই তো এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন হবে। আমরা হাসিনাকে তাড়াইছি।’

জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে ফজলুর রহমান বলেন, ‘এর বাইরে যারা রংবেরঙের কথা বলে, তারা রং দেখছে, রঙের কৌটা দেখছে না। বেশি বাড়াবাড়ি কইরেন না। বিএনপিরে লাল চোখ দেখান না। ১৮ বছর বিএনপির ডানার নিচে লুকাইয়া ছিলেন।... এখন একটু সুযোগ পাইছেন আর এমনিই স্লোগান দেন, “নৌকা আর ধানের শীষ, দুই সাপের এক বিষ”। আপনারা তো মুনাফেক।...এখন বলতেছেন সব ক্ষমতা আমরা নিমু, বিএনপি আর আসতে পারবে না।’

আজ বুধবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদীদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে কিশোরগঞ্জ বিএনপি এ জনসভার আয়োজন করে।

জনতার উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই চক্রান্ত কি আপনারা মানবেন? এই দেশে ইলেকশন হবে এবং সেটা পার্লামেন্ট ইলেকশন। ১৮ কোটি মানুষের দেশ। তারা হলো দেশের মালিক। তারা সিদ্ধান্ত নেবে, তাদের বাড়ির পাহারাদার কে হবে? চক্রান্ত কইরেন না। চক্রান্ত করা ভালো না। আমি বলি সব সময়, হাসিনার সময় ছিল গভীর অন্ধকার। কিন্তু টর্চ লাইট মারলে দেখা যাইতো। এখন হইলো গভীর কুয়াশা। এখন দুইটা লাইট জ্বালাইলেও গাড়ি চলতে চায় না।’

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুরো সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি বিরোধিতা করেছে: নাহিদ

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর পর্যটন হোটেলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুর পর্যটন হোটেলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুরো সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি বিরোধিতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার রংপুর পর্যটন হোটেলে এনসিপির আট জেলা ও এক মহানগর আহ্বায়ক কমিটির পদপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন যথার্থ সুপারিশ দিয়েছে। সংস্কারের বিপক্ষে আমরা ঐকমত্য কমিশনে অনেক দলকে অবস্থান নিতে দেখেছি। বিএনপিও অনেকগুলো বড় সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে গোটা সংস্কারপ্রক্রিয়াকে তারা চায় কি না, এইটা নিয়ে কিন্তু এখন প্রশ্ন তৈরি হবে। কারণ, পুরো সময় ধরে দেখেছি আমরা, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিএনপি ভেটো দিয়েছে, বিরোধিতা করেছে।’

নাহিদ আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে তো নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। জুলাই সনদ ও বিচারের রোডম্যাপ দিয়ে তারপরে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। এ কারণে দ্রুত সংস্কারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জনগণের তো অনেক প্রত্যাশা ছিল গণ-অভ্যুত্থানের পরে, এই সরকারের পক্ষ থেকে এবং এমনকি আমাদের পক্ষ থেকেও। ফলে আমাদের সেই প্রত্যাশাগুলো পূরণ করতে হবে।’

দেশের মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে দেশের। মানুষের একটা ভয় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সবকিছু আগের মতো হয়ে যাচ্ছে কি না, যাবে কি না। নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ আসবে কি না, স্বৈরতন্ত্র আসবে কি না, মানুষের সে কথা বলার জায়গাটা থাকবে কি না। ৫ আগস্টের পরে আমরা দেখেছি যে, দেশে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি নতুন করে শুরু হয়েছে। আবার অন্যদিকে আমরা সামাজিক ফ্যাসিবাদের উত্থান দেখছি।’

দেশের নানামুখী সংকটের কথা জানিয়ে এনসিপি নেতা বলেন, ‘দেশে কিন্তু নানামুখী সংকট আছে। আবার পতিত স্বৈরাচারী শক্তি, তারা তো নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে, তাদের সঙ্গে বহু নানান বৈদেশিক শক্তি জড়িত। ফলে আমরা কিন্তু একটা সংকটের মুখেই আছি।

‘এই সংকটের মধ্যে আমাদের যেমন জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন, আবার এই জাতীয় ঐক্যের ভেতরে আমাদের নিজেদের দলগুলোর ভেতরে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেই সমস্যাগুলোও সমাধান করে আমাদের এক জায়গায় থাকতে হবে।’

এককভাবে সরকার গঠন সম্ভব নয় উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন কেউ যদি মনে করে, সে এককভাবেই সব নেতৃত্ব দেবে অথবা সরকার গঠন করে ফেলবে, এটা আসলে সম্ভব হবে না। যদি এই ন্যূনতম ঐক্য না থাকে দেশের সবগুলো পক্ষের মধ্যে, ফলে এককভাবে সরকার গঠন করা এবং সেই সংসদ ও সরকার টিকিয়ে রাখা কারও পক্ষে সম্ভব হবে না।

জনগণের যে ন্যূনতম আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল; সংস্কার ও বিচার—এই দাবিগুলোকে উপেক্ষা করে যদি নির্বাচনের দিকে যাওয়া হয়, সেটিও আসলে টেকসই হবে না।’

এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘একটা টেকসই পরিবর্তনের জন্য, স্থিতিশীল পরিবর্তনের জন্য অনেক সংস্কার আমরা চেয়েছিলাম, সেটা হয়নি। কিন্তু সংবিধানের অল্প কিছু জায়গায় আমরা ঐকমত্য হয়েছি, কিছু গণতান্ত্রিক, যেটা একটা স্পেস আমাদের তৈরি করে দেবে, ন্যূনতম এই সংস্কার নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই।

‘সেই জায়গায় যদি বাধা তৈরি হয়, সেই জায়গায়ও যদি সরকারের জায়গা থেকে কোনো গড়িমসি তৈরি হয়, তাহলে এই সরকারকে কিন্তু জনগণের মুখোমুখি হতে হবে এবং যারা বাধা দেবে, তাদেরও জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।’

জোট গঠন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা কারও মুখাপেক্ষী নই, কারও ওপর নির্ভরশীল হয়ে আমরা রাজনীতি করব না। কিন্তু নির্বাচনে কৌশলগত কারণে বা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে যদি কোনো ধরনের সমঝোতা প্রয়োজন হয়, আমরা সেটার জন্য ওপেন আছি। আমরা এইটুকুই বলছি। কিন্তু আমরা কার সঙ্গে জোট হবে কি হবে না, সেটার ওপর বসে নেই, সেটার ওপর নির্ভর করে নেই। আমরা আমাদের মতোই কার্যক্রম করছি এবং আমরা আমাদের মতো প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।’

নাহিদ আরও বলেন, ‘জনগণের আমাদের নিয়ে অনেক প্রত্যাশা আছে। আমাদের তারা একটা স্বতন্ত্র জায়গায় দেখতে চায় এবং পুরোনো দলগুলোর প্রতি জনগণের অনীহা আছে। আওয়ামী লীগ তো একটা ফ্যাসিস্ট রূপ নিয়েই ছিল, জনগণ তাকে বিতাড়িত করেছে।

‘এ ছাড়া যে দলগুলো আছে, গত ১৬ বছর তাদের ভূমিকা, জনগণের পক্ষে সঠিকভাবে দাঁড়াতে না পারা এবং ঐতিহাসিকভাবেও অনেক দলের অনেক ধরনের ব্যাগেজ (খারাপ নজির) থাকার কারণে কিন্তু জনগণের নতুন রাজনীতির আকাঙ্ক্ষা সমাজে তৈরি হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫৯
খান সানজিয়া সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত
খান সানজিয়া সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ড. মোছা. সানজিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। বিধি অনুযায়ী তিনি সব সুবিধা পাবেন।

নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান সানজিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি চিঠি পেয়েছেন এবং এর পর থেকে দায়িত্ব নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মুসিন উদ্দিন ইউজিসির চারটি অবজারভেশনসহ নানা কারণে পদত্যাগ করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে খান সানজিয়া সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে হেলমেট ছাড়াই মোটরসাইকেলে সতর্ক মহড়ায় পুলিশ, ভিডিও ভাইরাল

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত

‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে সতর্ক মহড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের মাথায় হেলমেট ছিল না। ছবি: সংগৃহীত

তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জনগণের জানমাল রক্ষায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ মহড়া দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী আলফাডাঙ্গা বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, জনবহুল স্থান ও গ্রামীণ এলাকায় টহল দেওয়া হয়। এতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলযোগে উপজেলাজুড়ে টহল ও মহড়ায় অংশ নেন। এ সময় তাঁরা জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।

পরে ওই মহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন এসআই লিয়াকত হোসেন, যা ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছয়টি মোটরসাইকেলে পুলিশের দুজন সদস্য করে ১২ জন রয়েছেন এবং ছয়জন চালকসহ কারও মাথায় হেলমেট নেই। তাঁদের পেছনে ছিল টহলরত আরও একটি জিপগাড়ি।

ফরিদপুর নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কান্তি বালা পান্না বলেন, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট না পরা, এটা একটা অপরাধ। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালালে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। অবশ্যই তাঁদের হেলমেট পরা উচিত ছিল।

জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আসলে হেলমেট পরা উচিত ছিল। কিন্তু হেলমেটটা পরলে ওইভাবে আমরা যে মুভ করতেছি, বোঝা যেত না। পরলে ভালো হতো। আসলে সব ভুল ধরলে তো আর কাজ করা যাবে না। পরে আমরা হেলমেট পরে নেব।’

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ‘টহলের সময় আমি ছিলাম না। বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি দেখছি। যদি এমন হয়, তাহলে পরবর্তীতে যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আটজন। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আটজন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেনসাগর (৩০), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম ওরফে সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), ওসমান (২৮) ও দিদারুল আলম রাসেল (২৪)।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় নগরের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোডের সৈয়দ শাহ রোড এলাকায় ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি হয়। যুবদল নেতা পরিচয় দেওয়া সোহেল ও বোরহান উদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারীদের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বাকলিয়া থানা-পুলিশ জানায়, গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় যুবদল কর্মী সাজ্জাদ হোসেন মারা যান। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও ১৩ জন। তাঁরা হলেন মো. পারভেজ (২০), শরীফ (২৯), রিফাত (২৫), ইউসুফ (৩০), জিসান (২২), জুয়েল (২৫), একরাম (২৩), ইব্রাহিম (২৩), শুক্কুর (২৫), ওবাইদুল (৩০), সাব্বির (২২), ফারুক (২৮) ও ফয়সাল (২০)।

তবে ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় ব্যানার টানানোসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর গুলিবর্ষণ করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পুলিশের তথ্যে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (২৯), নজরুল ইসলাম সোহেল (৪২), মিল্টন (৪৪), বাদশা ওরফে ছোট বাদশা (৩০), ইউসুফ ওরফে হিরন (২৫), সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), মোহাম্মদ দিদার (৪৫), রিয়াজ করিম (৩৩), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), বোরহান (২৫), মোজাহের মেম্বার (৫০), এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) ও নাঈম উদ্দিন (২৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, মামলার আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম সোহেল যুবদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকলেও তাঁরা গত বছর অভ্যুত্থানের আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত সোমবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাটির সূত্রপাত বোরহান উদ্দিনের একটি ব্যানার টানানো নিয়ে। ওই ব্যানারে বোরহান নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে চসিক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেনের ছবি যুক্ত করেছিলেন।

একই মামলায় এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যিনি সারা দেশে আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

ভোলার বিরুদ্ধে মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলে পুলিশ। তবে ভোলা এসব অস্বীকার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত