জিয়াউল হক, যশোর
করোনাকালে কত মানুষ কত দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হচ্ছে। সীমিত সামর্থ্যে সরকারও চেষ্টা করছে তাদের পাশে থাকার, বিভিন্ন খাতে দেওয়া হচ্ছে প্রণোদনা। যশোর দুগ্ধখামারিরাও পেয়েছেন তেমন প্রণোদনা। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলায় প্রণোদনার এই টাকা বেশ নয়ছয় হয়েছে। যাঁদের গাভি নেই, তাঁরাও যেমন পেয়েছেন অর্থ, আবার গাভি থাকার পরও অনেকে পাননি।
খামারিদের তালিকা করার দায়িত্ব ছিল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু সমস্যা যে হয়নি, তা নয়। যাঁরা মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন, তাঁরাই এগুলো সৃষ্টি করেছেন। আমরা ওই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।’
সদর উপজেলার প্রণোদনার জন্য খামারিদের তালিকায় ১ হাজার ৯২ জনের নাম আছে। ২ থেকে ৫টি গাভি থাকা খামারি ১০ হাজার, ৬ থেকে ৯টি গাভি থাকা খামারি ১৫ হাজার এবং ১০ থেকে ২০টি গাভি থাকা খামারিরা পেয়েছেন ২০ হাজার করে টাকা। কিন্তু এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তালিকার নাম থাকা অনেকেই গাভি পালন করেন না। গাভি না থাকলেও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শুধু গরু আছে, এমন লোকজন টাকা পেয়েছেন। আবার অনেকে বাণিজ্যিকভাবে খামার করেও টাকা পাননি বা তালিকায় নাম নেই।
সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের ঘোষপাড়া গ্রামের সাধন কুমার ও তাঁর ছেলে তাপস কুমার ঘোষ প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে তাপস কুমার ঘোষের গরু থাকলেও, সাধন কুমার ঘোষ একই খামার দেখিয়ে অনুদানের টাকা নিয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
দলীয় প্রভাব বিস্তার করে তালিকায় নিজের নাম ঢুকিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। অথচ একই গ্রামের সঞ্জীব কুমার ও কাজল কুমারের নাম তালিকায় থাকলেও, তাঁরা প্রণোদনার টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সাধন কুমার কোনো জবাব দিতে পারেননি।
লেবুতলা গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন, টিটো মিয়া, মামুন হোসেন, দাউদ হোসেন, দাউদ হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান, আন্দোলপোতা গ্রামের মেজবাহউদ্দিন, গয়েরপুর গ্রামের অপু কুমার ও সায়েরা বেগম, শশ্নুদাহ গ্রামের মতিয়ার রহমানসহ অনেকেরই গরুই নেই। অথচ তাঁরা পেয়েছেন প্রণোদনার টাকা। এদের মধ্যে দাউদ হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং সায়েরা বেগম লেবুতলা ইউপি সদস্য।
লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আসাদুজ্জামান আশা, মোহন কুমার ঘোষসহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন, প্রণোদনার তালিকা করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলনসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেন। তাঁরা নিজ অনুসারীদের নাম, ঠিকানা ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এতে প্রকৃত খামারিরা প্রণোদনার টাকা পাননি।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কাছে কেউ আসেনি। আমি কারও নামও দেইনি। কেউ বলে থাকলে, তারা মিথ্যা বলেছে।’
অথচ করোনায় চরম ক্ষতির শিকার হয়েছেন ঘোপ এলাকার নারী খামারি তাসলিমা মাহমুদ। ৪টি ষাঁড় ও ৪টি গাভি থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রণোদনার টাকা পাননি। তিনি বলেন, ‘৬০ টাকা কেজির দুধ ২০ টাকায় নেমে এসেছিল। খাবার সংগ্রহ করতে একটি গরুও বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছি। এরপরও প্রণোদনার টাকা পেলাম না।’
যশোর জেলা ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রকৃত খামারিদের অনেকেই প্রণোদনার টাকা পাননি। উপরন্তু যারা খামারি নন, তাঁরা টাকা পেয়েছেন, এমন অভিযোগ আমরাও পেয়েছি। শুধু সদরে নয়, এ চিত্র পুরো জেলারই। বিষয়টি দুঃখজনক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রণোদনার টাকা বিতরণের জন্য একটি কমিটি আছে। তারাই তদারকি করে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। সেখানে যদি কোনো অসংগতি দেখা দেয়, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’
করোনাকালে কত মানুষ কত দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হচ্ছে। সীমিত সামর্থ্যে সরকারও চেষ্টা করছে তাদের পাশে থাকার, বিভিন্ন খাতে দেওয়া হচ্ছে প্রণোদনা। যশোর দুগ্ধখামারিরাও পেয়েছেন তেমন প্রণোদনা। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলায় প্রণোদনার এই টাকা বেশ নয়ছয় হয়েছে। যাঁদের গাভি নেই, তাঁরাও যেমন পেয়েছেন অর্থ, আবার গাভি থাকার পরও অনেকে পাননি।
খামারিদের তালিকা করার দায়িত্ব ছিল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু সমস্যা যে হয়নি, তা নয়। যাঁরা মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন, তাঁরাই এগুলো সৃষ্টি করেছেন। আমরা ওই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।’
সদর উপজেলার প্রণোদনার জন্য খামারিদের তালিকায় ১ হাজার ৯২ জনের নাম আছে। ২ থেকে ৫টি গাভি থাকা খামারি ১০ হাজার, ৬ থেকে ৯টি গাভি থাকা খামারি ১৫ হাজার এবং ১০ থেকে ২০টি গাভি থাকা খামারিরা পেয়েছেন ২০ হাজার করে টাকা। কিন্তু এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তালিকার নাম থাকা অনেকেই গাভি পালন করেন না। গাভি না থাকলেও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শুধু গরু আছে, এমন লোকজন টাকা পেয়েছেন। আবার অনেকে বাণিজ্যিকভাবে খামার করেও টাকা পাননি বা তালিকায় নাম নেই।
সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের ঘোষপাড়া গ্রামের সাধন কুমার ও তাঁর ছেলে তাপস কুমার ঘোষ প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে তাপস কুমার ঘোষের গরু থাকলেও, সাধন কুমার ঘোষ একই খামার দেখিয়ে অনুদানের টাকা নিয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
দলীয় প্রভাব বিস্তার করে তালিকায় নিজের নাম ঢুকিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। অথচ একই গ্রামের সঞ্জীব কুমার ও কাজল কুমারের নাম তালিকায় থাকলেও, তাঁরা প্রণোদনার টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সাধন কুমার কোনো জবাব দিতে পারেননি।
লেবুতলা গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন, টিটো মিয়া, মামুন হোসেন, দাউদ হোসেন, দাউদ হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান, আন্দোলপোতা গ্রামের মেজবাহউদ্দিন, গয়েরপুর গ্রামের অপু কুমার ও সায়েরা বেগম, শশ্নুদাহ গ্রামের মতিয়ার রহমানসহ অনেকেরই গরুই নেই। অথচ তাঁরা পেয়েছেন প্রণোদনার টাকা। এদের মধ্যে দাউদ হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং সায়েরা বেগম লেবুতলা ইউপি সদস্য।
লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আসাদুজ্জামান আশা, মোহন কুমার ঘোষসহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন, প্রণোদনার তালিকা করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলনসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেন। তাঁরা নিজ অনুসারীদের নাম, ঠিকানা ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এতে প্রকৃত খামারিরা প্রণোদনার টাকা পাননি।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কাছে কেউ আসেনি। আমি কারও নামও দেইনি। কেউ বলে থাকলে, তারা মিথ্যা বলেছে।’
অথচ করোনায় চরম ক্ষতির শিকার হয়েছেন ঘোপ এলাকার নারী খামারি তাসলিমা মাহমুদ। ৪টি ষাঁড় ও ৪টি গাভি থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রণোদনার টাকা পাননি। তিনি বলেন, ‘৬০ টাকা কেজির দুধ ২০ টাকায় নেমে এসেছিল। খাবার সংগ্রহ করতে একটি গরুও বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছি। এরপরও প্রণোদনার টাকা পেলাম না।’
যশোর জেলা ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রকৃত খামারিদের অনেকেই প্রণোদনার টাকা পাননি। উপরন্তু যারা খামারি নন, তাঁরা টাকা পেয়েছেন, এমন অভিযোগ আমরাও পেয়েছি। শুধু সদরে নয়, এ চিত্র পুরো জেলারই। বিষয়টি দুঃখজনক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রণোদনার টাকা বিতরণের জন্য একটি কমিটি আছে। তারাই তদারকি করে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। সেখানে যদি কোনো অসংগতি দেখা দেয়, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।’
নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
১২ মিনিট আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
৩ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি কাঁঠালের জন্য ভাবি শোভা বেগমকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর রাকিব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হলে বিচারক রাহুল দে ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে
৩ ঘণ্টা আগে