Ajker Patrika

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে নাকাল গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণীরা

তামিম আদনান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)
আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ১৪: ৫৫
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে নাকাল গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণীরা

কয়েক দিনের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে মানুষের পাশাপাশি নাকাল কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গৃহপালিতসহ বন্যপ্রাণীরাও। বৃষ্টির অভাবে পানি শুকিয়েছে নদী-নালার। এতে খাবার ও পানিসংকট দেখা দিয়েছে বন্যপ্রাণীর। গৃহপালিত প্রাণীদেরও গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা।

এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তি উদ্যোগে বন্যপ্রাণীদের খাবার ও পানি নিশ্চিতের পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশকর্মীরা। এদিকে উপজেলা বন বিভাগ বলছে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য তারা একটি অভয়ারণ্যের প্রস্তাব দিয়েছে। এর বাস্তবায়ন হলে এসব প্রাণী রক্ষায় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।

এদিকে গৃহপালিত প্রাণীদের সুস্থ রাখতে প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গৃহস্থালি ও বন্যপ্রাণীদের দুর্দশার কিছু চিত্র চোখে পড়ে।

বৈশাখের তপ্ত রোদে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পানিশূন্য পদ্মার কাঁদায় শামুক খুঁজছিল একদল শামুকখোল পাখি। কদিন আগে এখানে দুটি পাখি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, নদীর এই স্থানে প্রতিবছর পানি থাকে। এবার খরার মাত্রা বেশি থাকায় পানি শুকিয়ে গেছে। এতে খাবারের সংকট দেখা দেওয়ায় পাখিদের আনাগোনা কমেছে।

স্থানীয় আলোকচিত্রী ও পাখিপ্রেমী তন্ময় তাহসান সবুজ জানান, পাখিদের সঙ্গে চার বছরের সম্পর্কে এমন করুণ পরিস্থিতি আগে দেখেননি। একদিকে তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে নদী-নালায় পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছে এসব প্রাণী।

তপ্ত রোদে জড়সড় হয়ে জমিতে বসে আছে কিছু পাখি। ছবি: আজকের পত্রিকাকুষ্টিয়ার পরিবেশকর্মী ও বন্যপ্রাণীপ্রেমী সাহাব উদ্দিন মিলন বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রাণীরা তাদের সঠিক খাবার ও পানি পাচ্ছে না। এতে তারা মারা যাচ্ছে এবং প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এখন উচিত ব্যক্তি উদ্যোগে এসব প্রাণীর খাবার ও পানি নিশ্চিত করা। এতে কিছুটা হলেও এদের কষ্ট লাঘব হবে।

বৈশাখের এই তপ্ত রোদে হাঁসফাঁস করছে কৃষকের যত্নে থাকা গৃহপালিত পশু-পাখিও। পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এসব প্রাণী ভালো নেই বলে জানিয়েছেন দেলোয়ার হোসেন নামের এক খামারি। বাড়ির আঙিনায় দুটি গরু, পাঁচটি ছাগল ও ১০টি মুরগির ছোট খামার তাঁর। রোদের তাপে পশুর ঘরে ফ্যানের ব্যবস্থা, গা ধোয়ানোসহ সব ধরনের পরিচর্যা করেন তিনি। তবু গরমে ছটফট করছে তার পশু-পাখিগুলো।

ড্রচণ্ড খরায় শুকিয়ে যাওয়া নদীতে ঘাস খাচ্ছে ঘোড়া। ছবি: আজকের পত্রিকাএ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকে গৃহপালিত প্রাণীদের যত্নে আমরা প্রতিদিন কাজ করছি। আমাদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। প্রতিদিন খামারিদের সঙ্গে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুবকর বলেন, ‘রোদের এই তাপের কারণে বন্য পশু-পাখির খুব কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি। এদের রক্ষায় আমরা অভয়ারণ্য তৈরির জন্য ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদি মৌজা এলাকায় জমির প্রস্তাব দিয়েছি। অনুমতি পেলে বড় ধরনের ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত