Ajker Patrika

দোষ থাকলে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক: কুয়েট শিক্ষক সমিতি

খুলনা প্রতিনিধি
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় দোষ থাকলে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আর দোষী না হলে তাঁর মর্যাদা সমুন্নত রাখা হোক।

আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এ কথা বলেন। এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি শাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক হোসেনসহ শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষকেরা জানান, শিক্ষকদের গায়ে থুতু দেওয়া, হাত তোলা, অমর্যাদা করাসহ সব অপমান-অপদস্থের সুষ্ঠু বিচার হতে হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে শিক্ষকেরা ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার জের ধরে আজ পর্যন্ত কুয়েট অশান্ত। উত্তরণের আশানুরূপ দিকনির্দেশনা নেই। এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কমিটি তদন্ত করছে। ওই ঘটনায় শিক্ষকের মাথা থেকেও রক্ত ঝরেছে। শিক্ষকেরা ছাত্র ও প্রশাসনের সঙ্গে থেকে সুরাহার চেষ্টা করেছেন। ছাত্রদের দাবি ছিল পাঁচটি। এর সবগুলোই যথোপযুক্তভাবে পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে। পরে পাঁচ দফা ছয় দফায় মোড় নেয়। সময় যত গড়ায়, তা তত ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। শিক্ষকদের প্রতিটি কাজের ভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত চিত্র আড়াল করা হয়েছে। কুয়েট প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার কারণে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করা হয়েছে।

শিক্ষক নেতারা বলেন, নামাজ পড়তে না দেওয়া, ইন্টারনেট বন্ধ এবং বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। এগুলোর কোনোটাই সত্য নয়। ছাত্রদের মুখোমুখি শিক্ষকেরা হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এগুলোর সুযোগ অন্য কেউ নিতে পারে। বারবার শিক্ষকদের হেয় করা হচ্ছে। শিক্ষকদের বক্তব্য নিয়ে ট্রল, তাঁদের অসম্মানিত ও বারবার নিগৃহীত করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন ব্যানারে ঘটনাটি ছড়িয়ে দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষকেরা সুনাম রক্ষায় অবিচল থাকবেন। তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিকে ব্যাটল গ্রাউন্ড বা যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে সুবিধা নিতে চাওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। সেই সঙ্গে বলেন, অপরাধীদের শনাক্ত ও শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকেরা প্রয়োজন হলে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখবেন। শিক্ষকদের আহত করার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে যাবেন না। ছাত্রদের পাঁচটি দাবির সঙ্গে শিক্ষকেরা একমত হওয়ার পরও ছাত্ররা তাঁদের মর্যাদা দেননি।

উপাচার্যের বিষয়ে শিক্ষক নেতারা বলেন, উপাচার্য নিয়োগে শিক্ষকদের হাত নেই। তাঁকে অপসারণের দায়িত্ব শিক্ষকদের নয়। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষকেরা কিছু করতে পারেন না। তাঁকে নিয়োগ দেয় সরকার। সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দোষী সাব্যস্ত হলে উপাচার্য অপসারণ হোক। দোষী না হলে তাঁকে অপসারণের সুযোগ নেই।

শিক্ষকেরা জানান, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গঠনে উপাচার্যকে সময় দেওয়া দরকার ছিল। এ-সংক্রান্ত দাবি বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষকেরাও আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থানা থেকে জব্দ করা জাটকা ইলিশ লুট

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
থানা থেকে মাছ লুটের দৃশ্য। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
থানা থেকে মাছ লুটের দৃশ্য। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বরগুনার আমতলীতে নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের জব্দ করা জাটকা ইলিশ মাছ থানা থেকে লুট হয়েছে। এমন ঘটনার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে আমতলী থানায় এ ঘটনা ঘটে।

১ নভেম্বর থেকে সাগর ও নদীতে জাটকা ইলিশ শিকার করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তালতলী, কলাপাড়া ও আমতলী উপজেলার অসাধু জেলেরা সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবাধে মাছ শিকার করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলেদের শিকার করা জাটকা ইলিশ আজ দুপুরে চারটি গাড়িতে আমতলী থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ সময় ১ হাজার ৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ নৌবাহিনীর সদস্য ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের লোকজন জব্দ করেন। জব্দ করা মাছ তাঁরা আমতলী থানায় মজুত রাখেন। আজ বিকেলে ওই মাছ স্থানীয় ৫০টি এতিমখানায় বিতরণ করা হচ্ছিল। ওই মুহূর্তে শতাধিক মানুষ থানা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে মাছগুলো লুট করে নিয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পুলিশের সামনে জাটকা ইলিশ লুট হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী গাজী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের সামনে থেকে জব্দ করা জাটকা ইলিশ লুট হওয়া খুবই দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। উপজেলা প্রশাসন ঠিকমতো বণ্টন করলে এমন হতো না। জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানাই।’

আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন, জব্দ করা ১ হাজার ৫০০ কেজি মাছ ৫০টি এতিমখানায় বিতরণকালে অপরিচিতি শতাধিক লোকজন এসে মাছ লুট করে নিয়েছেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘জব্দ করা অর্ধেক মাছ সঠিকভাবে বণ্টন করা হয়েছে। বাকি অর্ধেক মানুষ নিয়ে গেছে। আমি ঠেকানোর চেষ্টা করেও পারিনি।’

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। থানা একটি সুরক্ষিত জায়গা, সেখান থেকে মাছ লুট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও যদি লুট হয়ে থাকে, জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সমন্বয়কের ওপর হামলায় বিএনপি ও যুবদল জড়িত দাবি, প্রতিবাদে মানববন্ধন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় সরকারি অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ বৃহস্পতিবার শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি হয়।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থকেরা অংশ নেন। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, ৪ নভেম্বর তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজিত পতাকা স্ট্যান্ড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনসমাগম, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পরিকল্পিতভাবে ফজলে রাব্বীর ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁরা দাবি করেন, হামলার নেতৃত্বে ছিলেন তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন রঞ্জু ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান, কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান, জেলা জাগপার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, এনসিপির উপজেলা সমন্বয়কারী শিশির আসাদসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, যাঁরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণ তা মেনে নেবে না।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সেখানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাঁদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনের সরকারি কর্মসূচি থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, সেদিন সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর কিছু সময়ের জন্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে সরিয়ে দেয়। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে তেঁতুলিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাকির হোসেন বলেন, ‘সেদিন লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। ফজলে রাব্বী আমাদের সভাপতি রঞ্জু ভাইয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। আমি শুধু জিজ্ঞেস করি, আপনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন? এরপর সামান্য হট্টগোল হয়, পরে শান্ত হয়ে যায়। তাঁকে কেউ ধাক্কা দেয়নি। তিনি মুখের ভাষা খারাপ করায় পাশে থাকা কিছু যুবক উত্তেজিত হয়েছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি, কসাইকে জরিমানা

 নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে আসলাম হোসেন নামে এক কসাইকে ২৫ হাজর টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনতাসির মাহফূজ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভাদুরিয়া বাজারে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করে।

জানা গেছে, অভিযানে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে কসাই মো. আসলাম হোসেনের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. মোকছেদুল মোমিনসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাঁওতাল দিবস পালন, তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার দাবি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল হত্যা দিবস পালন ও তিন সাঁওতাল হত্যার ন্যায়বিচারসহ সাত দফা দাবিতে সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল হত্যা দিবস পালন ও তিন সাঁওতাল হত্যার ন্যায়বিচারসহ সাত দফা দাবিতে সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদে এবং তিন সাঁওতাল হত্যার ন্যায়বিচারসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সাঁওতাল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে উপজেলার বাগদা সাহেবগঞ্জ এলাকায় নিহতদের স্মরণে অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্বালন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বাগদা ফার্ম থেকে একটি শোক মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাঁটামোড় হয়ে সাহেবগঞ্জ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সাহেবগঞ্জ এলাকায় সাঁওতালরা সমাবেশ করেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি গণেশ মুর্মু। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কফি রতন, আদিবাসী ইউনিয়নের সভাপতি রেবেকা সরেন ও সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত মাহাতো, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রভাত টুডু, ভূমিহীন আন্দোলনের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহ্বায়ক গোলাম রাব্বী মুসা এবং সাঁওতাল নেতৃবৃন্দ বিমল বেসরা, জামিন হেমব্রন, ময়রা হেমব্রন, রুমিলা কিসকু ও ইলিকা টুডু প্রমুখ।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল হত্যা দিবস পালন ও তিন সাঁওতাল হত্যার ন্যায়বিচারসহ সাত দফা দাবিতে সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল হত্যা দিবস পালন ও তিন সাঁওতাল হত্যার ন্যায়বিচারসহ সাত দফা দাবিতে সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বক্তারা বলেন, ঘটনার ৯ বছর পার হলেও মামলার কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। পিবিআই তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৩ জুলাই ৯০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলেও মূল আসামিসহ ১১ জনকে বাদ দেওয়া হয়। এতে ভিকটিম পক্ষ নারাজি দিলে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্তভার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তবে সিআইডির দীর্ঘসূত্রতা ও কার্যকর তদন্ত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন ভুক্তভোগীরা। নিহতদের স্বজনেরা আশা প্রকাশ করেন, সিআইডি নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বিনা নোটিশে রংপুর সুগার মিলস কর্তৃপক্ষ পুলিশ, প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় গোবিন্দগঞ্জের জয়পুর ও মাদারপুর গ্রামে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বসতবাড়ি উচ্ছেদ অভিযান চালায়। ওই সময় হামলা, বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুলিতে ও নির্যাতনে নিহত হন তিন সাঁওতাল শ্যামল হেমরম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু। আহত হন আরও অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত