Ajker Patrika

বিধিনিষেধ না মানলে কঠোর অবস্থান নেবে প্রশাসন

যশোর প্রতিনিধি
বিধিনিষেধ না মানলে কঠোর অবস্থান নেবে প্রশাসন

করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিধিনিষেধ মানাতে আজ থেকে কঠোর অবস্থানে যাবে যশোর জেলা প্রশাসন। প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) পাশাপাশি অন্তত ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। জনগণকে সচেতনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেও যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে জরিমানা কিংবা জেল দেওয়া হতে পারে। এমনকি উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার পদক্ষেপ নিতে পারেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, ‘ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সময় আমরা শুরুতেই লকডাউন দিতে চাইনি। আমাদের বিভিন্ন টিম সেসময় সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছে। সেসময় আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন মাধ্যমে ডোর টু ডোর গিয়ে মানুষকে সচেতন করতে। কেননা, তার আগেই লকডাউনের ভয়াবহতার অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে আমরা ধৈর্য ধারণ করেছিলাম। কিন্তু সাধারণ মানুষ আমাদের এ ধৈর্য ধারণকে গুরুত্ব দেয়নি। তাদের অনেকেই সেসময় প্রশাসনকে অসহযোগিতা করেছিলেন। এতে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিল। পরে আমরা লকডাউন দিতে বাধ্য হয়েছি।’ 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান আরও জানান, ‘বৃহস্পতিবার থেকেই আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা গণসচেতনতার জন্য মাঠে রয়েছেন। আজ রোববার যেহেতু ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন রয়েছে, সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি বড় অংশ কাজ করছে। কিন্তু সোমবার থেকে আবারও তারা বিধিনিষেধ পর্যবেক্ষণ করতে মাঠে নামবেন। অতীতের মত এবারও আমরা শুরুতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করব। তবে তাতে কাজ না হলে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যেকোনো ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 

এদিকে রোববারও যশোরে জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই দেখা যায়নি। সরকার ঘোষিত ১১টি বিধির মধ্যে কোনটিই মানতে দেখা যায়নি তাদের। কিছু মানুষ শুধুমাত্র মাস্ক ব্যবহার করলেও, তা সঠিকভাবে পরিধান করেননি বেশির ভাগই। শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বর, মনিহার, নিউমার্কেট, চাঁচড়া, পালবাড়ি, মুড়লী, টাউন হল, ঈদগাহ মোড়, হাসপাতাল চত্বরসহ প্রায় সব এলাকাতেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে। 

যশোর-মাগুরা, যশোর-নড়াইল, যশোর-খুলনা, যশোর-কেশবপুর, যশোর-চৌগাছা, যশোর-বেনাপোলসহ সবগুলো অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলোতেই অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেখা গেছে। দাঁড়িয়ে, ঠাসাঠাসি করে তারা বাসে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছালেও নির্বিকার ছিল বাস কর্তৃপক্ষ। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক আমিরুল ইসলাম রন্টু বলেন, ‘আমরা কেবল সরকারকেই দোষারোপ করি। কিন্তু নিজেদের ভুল দেখতে পাই না। আজ আমরা যদি সচেতন হই, তাহলে লকডাউনের মত কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না সরকারের। কিন্তু আমরা নিজেরাই পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলি। আমাদের উচিত সভ্য দেশগুলোর মত সচেতন হওয়া এবং দেশ ও জাতিকে ভয়াবহতার হাত থেকে রক্ষা করা।’ 

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক আমিরুল ইসলাম রন্টু আরও বলেন, ‘আজ সচেতন হলে আমদের না খেয়ে থাকতে হবে না। কিন্তু সচেতন না হলে করোনা সংক্রমণ বাড়বে। লকডাউন ঘোষণা হবে। দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে। তখন অনেক মানুষকে কষ্ট করে জীবন-যাপন করতে হবে। যার রেশ শুধু নিম্নবিত্তরা না, মধ্যবিত্ত এবং ধনিক শ্রেণিদেরও পোহাতে হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত