মেহেরপুর ও গাংনী প্রতিনিধি
অনাবৃষ্টি, খাল-বিলে পানি না থাকা, পোকার আক্রমণ এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মেহেরপুরে পাটের আবাদ কমেছে। এমনকি ন্যায্যমূল্য না পেয়ে গত বছরের অবিক্রীত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পাট এখনো ব্যবসায়ীদের গুদামে রয়েছে। এসব কারণে অনেক কৃষক পাট চাষ ছেড়ে অন্য ফসল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এ বছরে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টরে। এমন আবহাওয়া চলতে থাকলে ভবিষ্যতে মেহেরপুরে পাটের আবাদ আশঙ্কাজনক হারে কমতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেহেরপুর কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ফসলের জন্য সহনীয় তাপমাত্রা ১৮ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ প্রতিবছরই পাটা চাষের মৌসুমে মেহেরপুরে তাপমাত্রা বিরাজ করে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর, সঙ্গে রয়েছে অনাবৃষ্টি। এতে পাটখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। সেচ দিয়েও কৃষকদের ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদিও কয়েক দিনে ধরে বৃষ্টির ফলে পাটচাষিদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবু পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে খাল-বিলে কোথাও পানি পাওয়া যাবে না। এতে পাট কাটার পর জাগ দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হবে কৃষকদের। ফলে পাটচাষিরা লোকসানের শঙ্কায় আছেন।
জেলার গাংনী উপজেলায় গত বছর অনাবৃষ্টির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল পাটচাষিদের। একদিকে সার, ডিজেল, মজুরির খরচ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে পাটচাষি চরম ক্ষতির মুখে পড়েন। গত বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও পাটের দাম না পাওয়ায় এ বছর গাংনীতেও পাট চাষ কমেছে। উপজেলার একাধিক পাটচাষির সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে।
গাংনীর গোয়াল গ্রামের কৃষক মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর অনাবৃষ্টির কারণে পাট নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। মজুরি খরচ, সার, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে পাটচাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। তবে পাটের দাম ভালো পেলে আর কষ্ট থাকত না। কিন্তু পাটের দাম ছিল একেবারেই কম। দাম কমে যাবে বলে সে সময়ই ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে প্রতি মণ বিক্রি করে দিয়েছিলাম। তবে এখন দাম ভালো, থাকলে বেশি লাভ হতো।’
এদিকে জেলার ভৈরবসহ বেশ কয়েকটি নদে কিছু পানি থাকলেও সেখানে পাট জাগ দিতে মানা কৃষকদের। অন্যদিকে খাল-বিলে পানি থাকে না। পানিরও স্তর নেমে গেছে। ফলে পাটের উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। এতে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা। তাঁরা ঝুঁকছেন সবজি আবাদের দিকে।
জেলা শহরের পাট ব্যবসায়ী তানজিলুর রহমান বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন কলে আমরা পাট সরবরাহ করে থাকি। গত বছর থেকে পাট কেনা কমিয়ে দিয়েছি। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ঘরে গত বছরের পাট পড়ে রয়েছে। এতে দাম কমছে। এ বছরও মিলগুলোতে পাটের চাহিদা কম। অন্য বছরের এ সময় নিজ জেলায় পাট কেনা শেষ করে বাইরের জেলায় চলে যেতাম পাট কিনতে। কিন্তু এ মৌসুমে নিজ জেলার পাটই কিনে শেষ করতে পারিনি। এখনো ২৫ থেকে ৩০ ভাগ পাট রয়েছে ব্যবসায়ীদের গুদামে। যে কারণে পাট ওঠার পর দাম আবারও কমতে পারে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেহেরপুরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এই অবস্থা চলতে থাকলে জেলায় ব্যাপক হারে পাটের আবাদ কমে যেতে পারে।
অনাবৃষ্টি, খাল-বিলে পানি না থাকা, পোকার আক্রমণ এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মেহেরপুরে পাটের আবাদ কমেছে। এমনকি ন্যায্যমূল্য না পেয়ে গত বছরের অবিক্রীত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পাট এখনো ব্যবসায়ীদের গুদামে রয়েছে। এসব কারণে অনেক কৃষক পাট চাষ ছেড়ে অন্য ফসল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এ বছরে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টরে। এমন আবহাওয়া চলতে থাকলে ভবিষ্যতে মেহেরপুরে পাটের আবাদ আশঙ্কাজনক হারে কমতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেহেরপুর কার্যালয়ের তথ্য বলছে, ফসলের জন্য সহনীয় তাপমাত্রা ১৮ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ প্রতিবছরই পাটা চাষের মৌসুমে মেহেরপুরে তাপমাত্রা বিরাজ করে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর, সঙ্গে রয়েছে অনাবৃষ্টি। এতে পাটখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। সেচ দিয়েও কৃষকদের ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদিও কয়েক দিনে ধরে বৃষ্টির ফলে পাটচাষিদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবু পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে খাল-বিলে কোথাও পানি পাওয়া যাবে না। এতে পাট কাটার পর জাগ দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হবে কৃষকদের। ফলে পাটচাষিরা লোকসানের শঙ্কায় আছেন।
জেলার গাংনী উপজেলায় গত বছর অনাবৃষ্টির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল পাটচাষিদের। একদিকে সার, ডিজেল, মজুরির খরচ বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে পাটচাষি চরম ক্ষতির মুখে পড়েন। গত বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও পাটের দাম না পাওয়ায় এ বছর গাংনীতেও পাট চাষ কমেছে। উপজেলার একাধিক পাটচাষির সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে।
গাংনীর গোয়াল গ্রামের কৃষক মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর অনাবৃষ্টির কারণে পাট নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। মজুরি খরচ, সার, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে পাটচাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। তবে পাটের দাম ভালো পেলে আর কষ্ট থাকত না। কিন্তু পাটের দাম ছিল একেবারেই কম। দাম কমে যাবে বলে সে সময়ই ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে প্রতি মণ বিক্রি করে দিয়েছিলাম। তবে এখন দাম ভালো, থাকলে বেশি লাভ হতো।’
এদিকে জেলার ভৈরবসহ বেশ কয়েকটি নদে কিছু পানি থাকলেও সেখানে পাট জাগ দিতে মানা কৃষকদের। অন্যদিকে খাল-বিলে পানি থাকে না। পানিরও স্তর নেমে গেছে। ফলে পাটের উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। এতে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা। তাঁরা ঝুঁকছেন সবজি আবাদের দিকে।
জেলা শহরের পাট ব্যবসায়ী তানজিলুর রহমান বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন কলে আমরা পাট সরবরাহ করে থাকি। গত বছর থেকে পাট কেনা কমিয়ে দিয়েছি। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ঘরে গত বছরের পাট পড়ে রয়েছে। এতে দাম কমছে। এ বছরও মিলগুলোতে পাটের চাহিদা কম। অন্য বছরের এ সময় নিজ জেলায় পাট কেনা শেষ করে বাইরের জেলায় চলে যেতাম পাট কিনতে। কিন্তু এ মৌসুমে নিজ জেলার পাটই কিনে শেষ করতে পারিনি। এখনো ২৫ থেকে ৩০ ভাগ পাট রয়েছে ব্যবসায়ীদের গুদামে। যে কারণে পাট ওঠার পর দাম আবারও কমতে পারে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেহেরপুরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এই অবস্থা চলতে থাকলে জেলায় ব্যাপক হারে পাটের আবাদ কমে যেতে পারে।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৭ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৩২ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৭ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে