অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরে ‘অভয়নগরের দুঃখ’ খ্যাত ভবদহ অঞ্চলে হাজার হাজার বিঘা জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিলের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বিস্তীর্ণ মাঠে থই থই করছে পানি। বিলের যেসব মৎস্য ঘেরে বোরো চাষ হয় সেগুলোতেও এখনো পানি। ফলে ধান রোপণ করতে পারছেন না কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অভয়নগর উপজেলার ঝিকরার, ধনিয়ার, সুন্দলীর পূর্ব, সুড়িরডাঙ্গা, ধোপাদী, ডুমুরতলা সহ উপজেলার বিভিন্ন বিলে এখনো থই থই পানি। আবার বিলগুলোর মধ্যে সরু বাঁধ দিয়ে পাড় বেঁধে তৈরি করা হয়েছে মৎস্য ঘের। কৃষকেরা জানান, বিলের মৎস্য ঘেরের অধিকাংশ জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তি থাকে মাছ চাষ শেষে ডিসেম্বরের মধ্যে ঘেরের পানি সেচ দিয়ে বোরো আবাদের পরিবেশ করে দিতে হবে। কিন্তু এ বছর তা হচ্ছে না।
এদিকে আমডাঙ্গা খাল দিয়ে পানি প্রবাহ বাড়াতে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে খালের পানি অপসারণ ও খাল প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। বিএডিসির অর্থায়নে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে আমডাঙ্গা খাল কাটা হয় এবং খালের ওপর পুনরায় ব্রিজটি ভেঙে দিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তা কৃষকের কোনো কাজে আসছে না।
এলাকার ঘের ব্যবসায়ীরা জানান, ঘের পানিতে ভরে গেছে। পানি সরাতে না পারায় এ বছর ঘেরে ধান চাষ সম্ভব হবে না। আবার মাছ চাষ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় তাঁরা ঘের থেকে পানি সেচ দিয়ে বোরো চাষ করতেন। মাছ চাষ করারও উপায় নেই। কারণ ঘেরে যে পরিমাণ পানি তাতে মাছ ছাড়া হলে পানির চাপ বাড়লে বা বৃষ্টি হলে সব ভেসে যাবে। এখন উভয়সংকট অবস্থা তাঁদের।
বিল ঝিকরার পাড়ের রাজাপুর, গোবিন্দপুর এলাকার কৃষকেরা নিজেদের অর্থায়নে পানি সেচ দিয়ে বোরো আবাদ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর পানির চাপ এত বেশি যে, পানি সেচ করতে যে পরিমাণ খরচ হবে তা বোরো আবাদ করে পোষাতে পারবেন কৃষকেরা। তাই পানি সেচে বোরো আবাদে আগ্রহ নেই কারও।
অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক বাবুল বলেন, ‘বিলের পানি দ্রুত সরাতে পারলে চাষিরা ধান রোপণ করতে পারবে। এ বছর বিলে পানি বেশি থাকায় অনেক জমিতে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব নাও হতে পারে।’ স্থায়ী সমাধানের জন্য ভবদহে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিআরএম প্রকল্প চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানী বলেন, ‘এর আগে আমরা কৃষকদের অনুপ্রাণিত করেছি বিলের পানি সরানোর জন্য। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বোরো চারা আছে। বোরো মৌসুমের শেষেও যদি পানি কমাতে পারে বা পানি কমে যায় তাহলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বোরো ধানের চারা চাষিদের মাঝে সরবরাহ করতে পারব।’
যশোরে ‘অভয়নগরের দুঃখ’ খ্যাত ভবদহ অঞ্চলে হাজার হাজার বিঘা জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিলের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বিস্তীর্ণ মাঠে থই থই করছে পানি। বিলের যেসব মৎস্য ঘেরে বোরো চাষ হয় সেগুলোতেও এখনো পানি। ফলে ধান রোপণ করতে পারছেন না কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অভয়নগর উপজেলার ঝিকরার, ধনিয়ার, সুন্দলীর পূর্ব, সুড়িরডাঙ্গা, ধোপাদী, ডুমুরতলা সহ উপজেলার বিভিন্ন বিলে এখনো থই থই পানি। আবার বিলগুলোর মধ্যে সরু বাঁধ দিয়ে পাড় বেঁধে তৈরি করা হয়েছে মৎস্য ঘের। কৃষকেরা জানান, বিলের মৎস্য ঘেরের অধিকাংশ জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তি থাকে মাছ চাষ শেষে ডিসেম্বরের মধ্যে ঘেরের পানি সেচ দিয়ে বোরো আবাদের পরিবেশ করে দিতে হবে। কিন্তু এ বছর তা হচ্ছে না।
এদিকে আমডাঙ্গা খাল দিয়ে পানি প্রবাহ বাড়াতে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে খালের পানি অপসারণ ও খাল প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। বিএডিসির অর্থায়নে প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করে আমডাঙ্গা খাল কাটা হয় এবং খালের ওপর পুনরায় ব্রিজটি ভেঙে দিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তা কৃষকের কোনো কাজে আসছে না।
এলাকার ঘের ব্যবসায়ীরা জানান, ঘের পানিতে ভরে গেছে। পানি সরাতে না পারায় এ বছর ঘেরে ধান চাষ সম্ভব হবে না। আবার মাছ চাষ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় তাঁরা ঘের থেকে পানি সেচ দিয়ে বোরো চাষ করতেন। মাছ চাষ করারও উপায় নেই। কারণ ঘেরে যে পরিমাণ পানি তাতে মাছ ছাড়া হলে পানির চাপ বাড়লে বা বৃষ্টি হলে সব ভেসে যাবে। এখন উভয়সংকট অবস্থা তাঁদের।
বিল ঝিকরার পাড়ের রাজাপুর, গোবিন্দপুর এলাকার কৃষকেরা নিজেদের অর্থায়নে পানি সেচ দিয়ে বোরো আবাদ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর পানির চাপ এত বেশি যে, পানি সেচ করতে যে পরিমাণ খরচ হবে তা বোরো আবাদ করে পোষাতে পারবেন কৃষকেরা। তাই পানি সেচে বোরো আবাদে আগ্রহ নেই কারও।
অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক বাবুল বলেন, ‘বিলের পানি দ্রুত সরাতে পারলে চাষিরা ধান রোপণ করতে পারবে। এ বছর বিলে পানি বেশি থাকায় অনেক জমিতে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব নাও হতে পারে।’ স্থায়ী সমাধানের জন্য ভবদহে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিআরএম প্রকল্প চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানী বলেন, ‘এর আগে আমরা কৃষকদের অনুপ্রাণিত করেছি বিলের পানি সরানোর জন্য। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বোরো চারা আছে। বোরো মৌসুমের শেষেও যদি পানি কমাতে পারে বা পানি কমে যায় তাহলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বোরো ধানের চারা চাষিদের মাঝে সরবরাহ করতে পারব।’
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রাধানগর গ্রামের রাখাল চন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তি ১৯৭৩ সালে ৩৩ শতাংশ জমি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে তার নাতি অরূপ রায় ওই জমিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশ জমি সরকারি নথিতে খেলার মাঠ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়কর
২ মিনিট আগেজানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
১৮ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগে