কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এই বিবৃতি পোস্ট করা হয়।
কমরেড বদরুদ্দীন উমরের বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উদ্ধৃত করে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুফতি আমির হামজা সাংবাদিকদের বক্তব্য দেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন। তাঁর লিখিত বইয়ে আমরা পড়েছি—মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব কল্পকাহিনী লেখা, এগুলো ১০০ ভাগের ৯০ ভাগ মিথ্যা। জামায়াত ইসলামী ওই সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তারা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। এখন আমরা এটা জেনেছি। এত দিন আমাদের এই সত্য জানতে দেওয়া হয়নি।’
এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে ফয়জুল হাকিম বলেছেন, ১৯৭১ সালে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন সামরিক শাসনের অধীনস্থ মালেক মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ছিল জামায়াতে ইসলামী। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ছিল—পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালিনিধন ও গণহত্যার প্রধান সহযোগী হওয়া; সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সশস্ত্র ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া।
অন্য দিকে ১৯৭১-এ পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী ও তার এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার-আলবদর-আলশামসের বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে সশস্ত্র স্বাধীনতাসংগ্রাম ও জনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পূর্ব বাংলার মুক্তিকামী জনগণ, ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তা ও সেনারা, আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট বিপ্লবী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গ্রুপের সদস্য-সমর্থকেরা।
বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম বলেন, ২০২৪-এ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদ করেছে। একই সঙ্গে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগের মিথ্যা বয়ান উচ্ছেদ হতে চলেছে। এই সুযোগে জামায়াতে ইসলামী দেশের নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেদের অতীত গণবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা, বিশেষত ১৯৭১-এর গণহত্যায় সহযোগী ভূমিকাকে আড়াল করতে মাঠে নেমেছে।
বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের ভূমিকা, গোপন বিপ্লবী ও সংসদীয় কমিউনিস্ট পার্টিসমূহের ভূমিকা, তৎকালীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা প্রভৃতি নিয়ে কমিউনিস্ট বিপ্লবী ও ইতিহাসবিদ বদরুদ্দীন উমর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমালোচনা করেছেন। সাম্প্রতিককালে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে রচিত ‘ইতিহাস’ সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করে উমর বলেছেন যে—এর ৯০ ভাগই মিথ্যা।
বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক বলেন, ‘কমরেড বদরুদ্দীন উমরের এই বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উদ্ধৃত করে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা যে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। জনগণকে ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কথা বলে মুফতি আমির হামজা মূলত জামায়াতে ইসলামীর অতীত গণবিরোধী ভূমিকা জনগণের কাছে আড়াল করতে চাইছেন। এ হচ্ছে প্রকৃতই অসৎ ও মিথ্যাবাদী লোকের বৈশিষ্ট্য।’
এ বিষয়ে জানার জন্য মুফতি আমির হামজার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এই বিবৃতি পোস্ট করা হয়।
কমরেড বদরুদ্দীন উমরের বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উদ্ধৃত করে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুফতি আমির হামজা সাংবাদিকদের বক্তব্য দেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন। তাঁর লিখিত বইয়ে আমরা পড়েছি—মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব কল্পকাহিনী লেখা, এগুলো ১০০ ভাগের ৯০ ভাগ মিথ্যা। জামায়াত ইসলামী ওই সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তারা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। এখন আমরা এটা জেনেছি। এত দিন আমাদের এই সত্য জানতে দেওয়া হয়নি।’
এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে ফয়জুল হাকিম বলেছেন, ১৯৭১ সালে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন সামরিক শাসনের অধীনস্থ মালেক মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ছিল জামায়াতে ইসলামী। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ছিল—পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালিনিধন ও গণহত্যার প্রধান সহযোগী হওয়া; সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সশস্ত্র ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া।
অন্য দিকে ১৯৭১-এ পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী ও তার এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার-আলবদর-আলশামসের বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে সশস্ত্র স্বাধীনতাসংগ্রাম ও জনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পূর্ব বাংলার মুক্তিকামী জনগণ, ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তা ও সেনারা, আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট বিপ্লবী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গ্রুপের সদস্য-সমর্থকেরা।
বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম বলেন, ২০২৪-এ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদ করেছে। একই সঙ্গে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগের মিথ্যা বয়ান উচ্ছেদ হতে চলেছে। এই সুযোগে জামায়াতে ইসলামী দেশের নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেদের অতীত গণবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা, বিশেষত ১৯৭১-এর গণহত্যায় সহযোগী ভূমিকাকে আড়াল করতে মাঠে নেমেছে।
বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের ভূমিকা, গোপন বিপ্লবী ও সংসদীয় কমিউনিস্ট পার্টিসমূহের ভূমিকা, তৎকালীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা প্রভৃতি নিয়ে কমিউনিস্ট বিপ্লবী ও ইতিহাসবিদ বদরুদ্দীন উমর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমালোচনা করেছেন। সাম্প্রতিককালে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে রচিত ‘ইতিহাস’ সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করে উমর বলেছেন যে—এর ৯০ ভাগই মিথ্যা।
বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক বলেন, ‘কমরেড বদরুদ্দীন উমরের এই বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উদ্ধৃত করে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা যে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। জনগণকে ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কথা বলে মুফতি আমির হামজা মূলত জামায়াতে ইসলামীর অতীত গণবিরোধী ভূমিকা জনগণের কাছে আড়াল করতে চাইছেন। এ হচ্ছে প্রকৃতই অসৎ ও মিথ্যাবাদী লোকের বৈশিষ্ট্য।’
এ বিষয়ে জানার জন্য মুফতি আমির হামজার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
১৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
৫ ঘণ্টা আগেনিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
৫ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
১৮ মিনিট আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
৫ ঘণ্টা আগেশেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে দুটি বড় ও গভীর পুকুর। এই দুই পুকুরের মাঝের একমাত্র সরু মাটির পাড় দিয়েই কমপক্ষে ১২৫ শিশুশিক্ষার্থীকে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয়রা জানান, পুকুরগুলোর গভীরতা প্রায় ৮-১০ ফুট। বর্ষাকাল বা সামান্য বৃষ্টিতেই মাটির পথ পিচ্ছিল ও কাদায় একাকার হয়ে যায়। পাড় ভাঙার কারণে রাস্তা এত সংকীর্ণ হয়ে গেছে যে, পাশাপাশি দুজনে হাঁটাও দায়। অভিভাবক ও স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো মুহূর্তে পাড় ধসে বা পা পিছলে শিক্ষার্থীরা পুকুরে পড়ে যেতে পারে।
প্রতষ্ঠানটির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওসমান গণি বলে, ‘স্কুলে আসার সময় খুব ভয় লাগে। রাস্তাটা অনেক চিকন, একটু এদিক-ওদিক হলেই পুকুরে পড়ে যাই। বর্ষাকালে তো আসা সম্ভব হয় না।’
চতুর্থ শ্রেণির ফাতেমা খাতুন এবং তৃতীয় শ্রেণির রিফাত হোসেন বলে, ‘পুকুরের পাড় অনেক উঁচু ও খাড়া। চলাচল করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে; কিন্তু ভয় করে।’
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিহা খাতুন ও জান্নাত ইসলাম জানায়, পথটি পার হতে তাদের অনেক কষ্ট এবং ভয় হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রুবেল বলেন, বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের এই পথ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় বাচ্চারা পুকুরে পড়ে যায়। বর্ষাকালে ভয়ে তারা স্কুলে যেতে চায় না। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জানতে চাইলে পুকুরের মালিক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এখানে পুকুর ও জঙ্গল ছিল। উত্তরের পুকুর ১ একর ৩৯ শতক, অন্যটি ৮২ শতক। পুকুর দুটির গভীরতা ৮-১০ ফুট। যেহেতু স্কুলের নিজস্ব কোনো রাস্তা নেই, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি এখানে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা রাস্তা প্রশস্ত করতে চায়, আমি পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘রাস্তার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হতে চায় না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’
শেরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সরেজমিনে বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিনিধি পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে দুটি বড় ও গভীর পুকুর। এই দুই পুকুরের মাঝের একমাত্র সরু মাটির পাড় দিয়েই কমপক্ষে ১২৫ শিশুশিক্ষার্থীকে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয়রা জানান, পুকুরগুলোর গভীরতা প্রায় ৮-১০ ফুট। বর্ষাকাল বা সামান্য বৃষ্টিতেই মাটির পথ পিচ্ছিল ও কাদায় একাকার হয়ে যায়। পাড় ভাঙার কারণে রাস্তা এত সংকীর্ণ হয়ে গেছে যে, পাশাপাশি দুজনে হাঁটাও দায়। অভিভাবক ও স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো মুহূর্তে পাড় ধসে বা পা পিছলে শিক্ষার্থীরা পুকুরে পড়ে যেতে পারে।
প্রতষ্ঠানটির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওসমান গণি বলে, ‘স্কুলে আসার সময় খুব ভয় লাগে। রাস্তাটা অনেক চিকন, একটু এদিক-ওদিক হলেই পুকুরে পড়ে যাই। বর্ষাকালে তো আসা সম্ভব হয় না।’
চতুর্থ শ্রেণির ফাতেমা খাতুন এবং তৃতীয় শ্রেণির রিফাত হোসেন বলে, ‘পুকুরের পাড় অনেক উঁচু ও খাড়া। চলাচল করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে; কিন্তু ভয় করে।’
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিহা খাতুন ও জান্নাত ইসলাম জানায়, পথটি পার হতে তাদের অনেক কষ্ট এবং ভয় হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রুবেল বলেন, বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের এই পথ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় বাচ্চারা পুকুরে পড়ে যায়। বর্ষাকালে ভয়ে তারা স্কুলে যেতে চায় না। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জানতে চাইলে পুকুরের মালিক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এখানে পুকুর ও জঙ্গল ছিল। উত্তরের পুকুর ১ একর ৩৯ শতক, অন্যটি ৮২ শতক। পুকুর দুটির গভীরতা ৮-১০ ফুট। যেহেতু স্কুলের নিজস্ব কোনো রাস্তা নেই, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি এখানে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা রাস্তা প্রশস্ত করতে চায়, আমি পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘রাস্তার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হতে চায় না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’
শেরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সরেজমিনে বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিনিধি পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
১৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
৫ ঘণ্টা আগেখান রফিক, বরিশাল

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে। মাঠপর্যায়ের তথ্য বলছে, অন্তত ৪টি আসনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বিএনপি।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া)
এ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (২০০১) জহির উদ্দিন স্বপন এবারও দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের রাসেল সরদার (মেহেদী) এবং জামায়াতে ইসলামীর কামরুল ইসলাম খান। আট দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পেলে এ আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন রাসেল। তবে এই সমীকরণ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিএনপির নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহানকে ঘিরে। কারণ, বিএনপির অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা সরে দাঁড়ালেও মাঠ ছাড়েননি সোবাহান। তাঁর অনুসারীরা দিনরাত সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্বপনকে প্রত্যাখ্যান করে ২০০১ সালের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে। এ ছাড়া সোবাহানের প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির আরও দুই নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান এবং কামরুল ইসলাম সজল। ফলে জোর গুঞ্জন চলছে, এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সোবাহান। ভোটের হিসাব বলছে, আওয়ামী সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ভোট এই আসনের বড় ফ্যাক্টর। তাঁরা যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, তিনিই হবেন বিজয়ী।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘২০০১ সালে এমপি হয়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছেন স্বপন। যে কারণে হিন্দুরা বিক্ষোভ করে তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়েছেন। অন্য যাঁরা মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তাঁরাও আমার সঙ্গে আছেন। ২০০৮ সালে আমি যখন বিএনপির প্রার্থী হলাম, তখন উনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ২০৩ ভোট পান। এরপর ১/১১-এ সংস্কারপন্থী হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এই স্বপন। এখন জনগণ যেটা চাইবে, সেটাই করব।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি মাঠে আছি। জনগণের চাওয়াই আমার চাওয়া।’
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার জহির উদ্দিন স্বপনের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া)
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস সরফুদ্দিন সান্টু। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল মান্নান এবং ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য নেছার উদ্দিন। জামায়াতের আব্দুল মান্নান প্রচারণায় বেশ এগিয়ে আছেন। তবে আসনটিতে সব হিসেবনিকাশ উল্টে যেতে পারে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি দেশে ফিরতে পারলে। তাঁর ঘনিষ্ঠ জেপির উজিরপুরের সাবেক সভাপতি সামসুল হক বলেন, ‘মাকে দেখার জন্য দেশে আসতে ২৪ নভেম্বর ট্রাভেল পাস চেয়ে বাংলাদেশ এম্বাসির কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনো সাড়া পাননি। অভি দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন।’
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী)
আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জামায়াতের বরিশাল নগরের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদও এ আসনের প্রার্থী। সব প্রার্থীই প্রচারণায় রয়েছেন। এদিকে জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্য ছত্তার খানের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘অনুন্নত বাবুগঞ্জ-মুলাদীকে বরিশালের একটি আধুনিক ও উন্নত এলাকায় রূপান্তর করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। এ অঞ্চলকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ তৈরি হয়।’
জামায়াতের প্রার্থী জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা আশাবাদী। এ জন্য ডোর টু ডোর যাচ্ছি।’
বরিশাল-৪ (হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ)
এ আসনে বিএনপির নবীন এমপি প্রার্থী রাজিব আহসান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এবং ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ মোহাম্মদ আবুল খায়ের। মাঠপর্যায়ের তথ্যমতে, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এ আসনে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তাঁর অনুসারীরা কোন পথে হাঁটবেন সেটি অজানা। এ ছাড়া আসনটিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল জব্বার। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক যারা দখল করতে পারবে, তারা নির্বাচনে সফল হবে।
বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ বরাবরই বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার পাঁচবারের এমপি। যদিও ৮-দলীয় জোটের হিসাবে এবার খালি মাঠে গোল দিতে পারবেন না সরোয়ার। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী মুয়াযযম হোসাইন হেলালও মাঠ ছাড়ার নয়। তবে চরমোনাই পীরের বাড়ি হওয়ায় জামায়াতসহ ৮-দলীয় জোটের মনোনয়ন ফয়জুল করীমই পাচ্ছেন বলে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, নির্বাচনে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেখা যাবে ফল কী হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৮ দলের আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন। এটা ইসলামী আন্দোলনের আমিরের বাড়ি। যে কারণে বরিশালে হাতপাখার অনেক ভোট। জনগণের মোটিভ ঘুরে গেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লা হয়তো জোট করবে। এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ করেছি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ। মহানগরে ধানের শীষের ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।’
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ)
আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান। এ ছাড়া জামায়াতের মাওলানা মাহামুদুন নবী তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমেরও এ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে প্রার্থী কে হবেন সেটার ওপর নির্ভর করছে ভোটের ফল।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে। মাঠপর্যায়ের তথ্য বলছে, অন্তত ৪টি আসনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বিএনপি।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া)
এ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (২০০১) জহির উদ্দিন স্বপন এবারও দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের রাসেল সরদার (মেহেদী) এবং জামায়াতে ইসলামীর কামরুল ইসলাম খান। আট দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পেলে এ আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন রাসেল। তবে এই সমীকরণ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিএনপির নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহানকে ঘিরে। কারণ, বিএনপির অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা সরে দাঁড়ালেও মাঠ ছাড়েননি সোবাহান। তাঁর অনুসারীরা দিনরাত সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্বপনকে প্রত্যাখ্যান করে ২০০১ সালের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে। এ ছাড়া সোবাহানের প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির আরও দুই নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান এবং কামরুল ইসলাম সজল। ফলে জোর গুঞ্জন চলছে, এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সোবাহান। ভোটের হিসাব বলছে, আওয়ামী সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ভোট এই আসনের বড় ফ্যাক্টর। তাঁরা যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, তিনিই হবেন বিজয়ী।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘২০০১ সালে এমপি হয়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছেন স্বপন। যে কারণে হিন্দুরা বিক্ষোভ করে তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়েছেন। অন্য যাঁরা মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তাঁরাও আমার সঙ্গে আছেন। ২০০৮ সালে আমি যখন বিএনপির প্রার্থী হলাম, তখন উনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ২০৩ ভোট পান। এরপর ১/১১-এ সংস্কারপন্থী হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এই স্বপন। এখন জনগণ যেটা চাইবে, সেটাই করব।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি মাঠে আছি। জনগণের চাওয়াই আমার চাওয়া।’
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার জহির উদ্দিন স্বপনের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া)
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস সরফুদ্দিন সান্টু। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল মান্নান এবং ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য নেছার উদ্দিন। জামায়াতের আব্দুল মান্নান প্রচারণায় বেশ এগিয়ে আছেন। তবে আসনটিতে সব হিসেবনিকাশ উল্টে যেতে পারে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি দেশে ফিরতে পারলে। তাঁর ঘনিষ্ঠ জেপির উজিরপুরের সাবেক সভাপতি সামসুল হক বলেন, ‘মাকে দেখার জন্য দেশে আসতে ২৪ নভেম্বর ট্রাভেল পাস চেয়ে বাংলাদেশ এম্বাসির কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনো সাড়া পাননি। অভি দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন।’
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী)
আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জামায়াতের বরিশাল নগরের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদও এ আসনের প্রার্থী। সব প্রার্থীই প্রচারণায় রয়েছেন। এদিকে জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্য ছত্তার খানের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘অনুন্নত বাবুগঞ্জ-মুলাদীকে বরিশালের একটি আধুনিক ও উন্নত এলাকায় রূপান্তর করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। এ অঞ্চলকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ তৈরি হয়।’
জামায়াতের প্রার্থী জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা আশাবাদী। এ জন্য ডোর টু ডোর যাচ্ছি।’
বরিশাল-৪ (হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ)
এ আসনে বিএনপির নবীন এমপি প্রার্থী রাজিব আহসান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এবং ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ মোহাম্মদ আবুল খায়ের। মাঠপর্যায়ের তথ্যমতে, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এ আসনে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তাঁর অনুসারীরা কোন পথে হাঁটবেন সেটি অজানা। এ ছাড়া আসনটিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল জব্বার। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক যারা দখল করতে পারবে, তারা নির্বাচনে সফল হবে।
বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ বরাবরই বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার পাঁচবারের এমপি। যদিও ৮-দলীয় জোটের হিসাবে এবার খালি মাঠে গোল দিতে পারবেন না সরোয়ার। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী মুয়াযযম হোসাইন হেলালও মাঠ ছাড়ার নয়। তবে চরমোনাই পীরের বাড়ি হওয়ায় জামায়াতসহ ৮-দলীয় জোটের মনোনয়ন ফয়জুল করীমই পাচ্ছেন বলে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, নির্বাচনে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেখা যাবে ফল কী হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৮ দলের আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন। এটা ইসলামী আন্দোলনের আমিরের বাড়ি। যে কারণে বরিশালে হাতপাখার অনেক ভোট। জনগণের মোটিভ ঘুরে গেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লা হয়তো জোট করবে। এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ করেছি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ। মহানগরে ধানের শীষের ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।’
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ)
আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান। এ ছাড়া জামায়াতের মাওলানা মাহামুদুন নবী তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমেরও এ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে প্রার্থী কে হবেন সেটার ওপর নির্ভর করছে ভোটের ফল।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
১৮ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
৫ ঘণ্টা আগে