শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরার শালিখা উপজেলার শতপাড়া গ্রামের পালপাড়ায় দুই শিশুর মারামারিতে গ্রাম্য সালিশ বসানো হয়। এতে সংখ্যালঘু একটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নগদ ১ লাখ টাকা দিতে হয়েছে পরিবারটিকে। বিষটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায়, এক মাস আগে শতপাড়ার পালপাড়ার সোহাগ মীরের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ময়মিন ও শ্রীবাস পালের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সুজয় পাল বাড়ির পাশে ক্রিকেট খেলা নিয়ে মারামারি করে। এতে সুজয় তেমন আঘাত না পেলেও ময়মিনের চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সংখ্যালঘু ওই পরিবার চিকিৎসার জন্য প্রথমে ৫ হাজার এবং পরে আরও ১০ হাজার টাকা দিলেও ময়মিনের পরিবার তা ফেরত দেয়। ফলে গত মঙ্গলবার পাল সম্প্রদায়ের নেতা নিরাপদ পালের নেতৃত্বে কিছু সহযোগিতা করার জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মন্দিরে স্বল্প আকারে এক সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত সভায় আহত শিশুর চিকিৎসা বাবদ সংখ্যালঘু পরিবারকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গত শনিবার ১ লাখ টাকা দিয়েছে ওই পরিবার। বাকি টাকা দেওয়ার জন্য সময় নিয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য শ্রীবাস পাল বলেন, ‘আমরা চিকিৎসার জন্য প্রথমে ১৫ হাজার টাকা দিলেও তা ফেরত দিয়েছে। পরে স্থানীয় সালিশে ৪ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে। গত শনিবার ১ লাখ টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা জোগাড় করতে অনেক কষ্ট হবে।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম বলেন, দুই শিশুর মারামারির ঘটনা সত্য। স্থানীয় পাল সম্প্রদায়ের নেতা নিরাপদ পালের নেতৃত্বে স্থানীয় মন্দিরে চেয়ারম্যান হুসাইন শিকদার, আমি, মফিজুর রহমানসহ কিছু লোকের উপস্থিতিতে আহত শিশুর চিকিৎসা বাবদ ৪ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে, যা তারা মেনে নিয়েছে। ফলে গত শনিবার ১ লাখ টাকা নিয়ে আহত শিশুর চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে।’
নিয়ম অনুয়ায়ী স্থানীয় সালিসে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। কিন্তু সালিশে এত টাকা জরিমানা করার ব্যাপারে মেম্বার বলেন, ‘আমি নতুন নির্বাচিত হয়েছি। সর্বোচ্চ কত টাকা সালিশে জরিমানা করা যায় তা আমার জানা নেই।’
স্থানীয় চেয়ারম্যান হুসাইন শিকদার উক্ত সালিশে উপস্থিত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘এ রকম সালিশের বিষটি আমি জানি না।’ চেয়ারম্যানকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় মেম্বার বললেই হলো? আমি এই ধরনের কোনো সালিশ করিনি।’
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ গ্রাম্য সালিশে এত টাকা জরিমানা করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মাগুরার শালিখা উপজেলার শতপাড়া গ্রামের পালপাড়ায় দুই শিশুর মারামারিতে গ্রাম্য সালিশ বসানো হয়। এতে সংখ্যালঘু একটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নগদ ১ লাখ টাকা দিতে হয়েছে পরিবারটিকে। বিষটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায়, এক মাস আগে শতপাড়ার পালপাড়ার সোহাগ মীরের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ময়মিন ও শ্রীবাস পালের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সুজয় পাল বাড়ির পাশে ক্রিকেট খেলা নিয়ে মারামারি করে। এতে সুজয় তেমন আঘাত না পেলেও ময়মিনের চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সংখ্যালঘু ওই পরিবার চিকিৎসার জন্য প্রথমে ৫ হাজার এবং পরে আরও ১০ হাজার টাকা দিলেও ময়মিনের পরিবার তা ফেরত দেয়। ফলে গত মঙ্গলবার পাল সম্প্রদায়ের নেতা নিরাপদ পালের নেতৃত্বে কিছু সহযোগিতা করার জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মন্দিরে স্বল্প আকারে এক সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত সভায় আহত শিশুর চিকিৎসা বাবদ সংখ্যালঘু পরিবারকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গত শনিবার ১ লাখ টাকা দিয়েছে ওই পরিবার। বাকি টাকা দেওয়ার জন্য সময় নিয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য শ্রীবাস পাল বলেন, ‘আমরা চিকিৎসার জন্য প্রথমে ১৫ হাজার টাকা দিলেও তা ফেরত দিয়েছে। পরে স্থানীয় সালিশে ৪ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে। গত শনিবার ১ লাখ টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা জোগাড় করতে অনেক কষ্ট হবে।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম বলেন, দুই শিশুর মারামারির ঘটনা সত্য। স্থানীয় পাল সম্প্রদায়ের নেতা নিরাপদ পালের নেতৃত্বে স্থানীয় মন্দিরে চেয়ারম্যান হুসাইন শিকদার, আমি, মফিজুর রহমানসহ কিছু লোকের উপস্থিতিতে আহত শিশুর চিকিৎসা বাবদ ৪ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে, যা তারা মেনে নিয়েছে। ফলে গত শনিবার ১ লাখ টাকা নিয়ে আহত শিশুর চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে।’
নিয়ম অনুয়ায়ী স্থানীয় সালিসে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। কিন্তু সালিশে এত টাকা জরিমানা করার ব্যাপারে মেম্বার বলেন, ‘আমি নতুন নির্বাচিত হয়েছি। সর্বোচ্চ কত টাকা সালিশে জরিমানা করা যায় তা আমার জানা নেই।’
স্থানীয় চেয়ারম্যান হুসাইন শিকদার উক্ত সালিশে উপস্থিত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘এ রকম সালিশের বিষটি আমি জানি না।’ চেয়ারম্যানকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় মেম্বার বললেই হলো? আমি এই ধরনের কোনো সালিশ করিনি।’
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ গ্রাম্য সালিশে এত টাকা জরিমানা করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৫ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৫ ঘণ্টা আগে