যশোরের মনিরামপুরে এক মোটরসাইকেলচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার চালকের নাম মনিরুল ইসলাম (৩৫)। গতকাল সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চালকের স্ত্রী শিউলি বেগমকে পুলিশ লাঞ্ছিত করেছে বলেও জানা গেছে। আহত মনিরুল ইসলামকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মনিরামপুরের বিজয়রামপুর গ্রামের সামছুল মোড়লের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মনিরুলকে মারার সময় তাঁর স্ত্রী এগিয়ে যান। তখন ট্রাফিক পিলশ মনিরুলের স্ত্রীকে গলা ধরে ধাক্কা দেন। বেশ কয়েক দিন ধরে মনিরামপুরে ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান পরিচালনার সময় তাঁরা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখার আগেই মামলা লেখা শুরু করেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলেও অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, অভিযান চালানোর সময় একজন সার্জেন্ট ও একজন ট্রাফিক পুলিশ থাকেন। কিন্তু তাঁরা সঙ্গে করে আরও তিন-চারজন যুবক নিয়ে আসেন এবং লাঠি হাতে অভিযানে অংশ নেন। তাঁরা মোটরসাইকেলচালকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
এ বিষয়ে মনিরুলের স্ত্রী বলেন, `গতকাল বিকেলে আমার স্বামীর মোটরসাইকেলে চড়ে আমরা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম। এ সময় তাহেরপুর চার রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ আমাদের থামান। তাঁরা কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমার স্বামী দেখান। এরপর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান তাঁরা। আমার স্বামীর ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করা আছে। সেই কাগজ দেখালে পুলিশ আসল কপি চায়। আসল কপি না থাকায় মামলা দেয়। তখন কথা-কাটাকাটি হলে সার্জেন্টের সঙ্গে থাকা লোকজন আমার স্বামীকে মারপিট করেন। আমি ঠেকাতে গেলে আমার হাতে আঘাত লাগে। এরপর ওরা আমার স্বামীকে মারতে মারতে মাইক্রোবাসে তুলে মনিরামপুর বাজারের দিকে নিয়ে যায়। গাড়ির ভেতরেও আমার স্বামীকে মারপিট করা হয়েছে। একপর্যায়ে তাঁরা আমার স্বামীকে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।'
আহত মনিরুল ইসলাম বলেন, `সার্জেন্ট মেহেদী ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন মাইক্রোবাসের ভেতরে আমাকে খুব মেরেছে। তাঁরা আমার মানিব্যাগে থাকা ২ হাজার টাকা নিয়ে নেছে। আবার ৩ হাজার টাকার মামলাও দিয়েছে। আমার কানে ও মাথায় বেশি মেরেছে। এখন আমি কানে ভালো শুনতে পাচ্ছি না।'
মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, `একজন কনস্টেবল ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের নিয়ে মনিরামপুরে অভিযানে ছিলাম। মনিরুল খারাপ প্রকৃতির লোক। মামলা দেওয়ার পর সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমরা তাকে মারপিট করিনি, সুন্দরভাবে বুঝাইছি।'
মনিরামপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডবয় আক্তার হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যার আগে মনিরুল নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) নুর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন, `শুনেছি ছেলেটি পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। তিনি সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন।'
যশোর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক খন্দকার মশিউর রহমান বলেন, `ঘটনাটি শুনে আমি বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়েছি। শুনেছি ছেলেটি আগে সার্জেন্টের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।'
যশোরের মনিরামপুরে এক মোটরসাইকেলচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার চালকের নাম মনিরুল ইসলাম (৩৫)। গতকাল সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চালকের স্ত্রী শিউলি বেগমকে পুলিশ লাঞ্ছিত করেছে বলেও জানা গেছে। আহত মনিরুল ইসলামকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মনিরামপুরের বিজয়রামপুর গ্রামের সামছুল মোড়লের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মনিরুলকে মারার সময় তাঁর স্ত্রী এগিয়ে যান। তখন ট্রাফিক পিলশ মনিরুলের স্ত্রীকে গলা ধরে ধাক্কা দেন। বেশ কয়েক দিন ধরে মনিরামপুরে ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান পরিচালনার সময় তাঁরা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখার আগেই মামলা লেখা শুরু করেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলেও অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, অভিযান চালানোর সময় একজন সার্জেন্ট ও একজন ট্রাফিক পুলিশ থাকেন। কিন্তু তাঁরা সঙ্গে করে আরও তিন-চারজন যুবক নিয়ে আসেন এবং লাঠি হাতে অভিযানে অংশ নেন। তাঁরা মোটরসাইকেলচালকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
এ বিষয়ে মনিরুলের স্ত্রী বলেন, `গতকাল বিকেলে আমার স্বামীর মোটরসাইকেলে চড়ে আমরা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম। এ সময় তাহেরপুর চার রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ আমাদের থামান। তাঁরা কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমার স্বামী দেখান। এরপর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান তাঁরা। আমার স্বামীর ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করা আছে। সেই কাগজ দেখালে পুলিশ আসল কপি চায়। আসল কপি না থাকায় মামলা দেয়। তখন কথা-কাটাকাটি হলে সার্জেন্টের সঙ্গে থাকা লোকজন আমার স্বামীকে মারপিট করেন। আমি ঠেকাতে গেলে আমার হাতে আঘাত লাগে। এরপর ওরা আমার স্বামীকে মারতে মারতে মাইক্রোবাসে তুলে মনিরামপুর বাজারের দিকে নিয়ে যায়। গাড়ির ভেতরেও আমার স্বামীকে মারপিট করা হয়েছে। একপর্যায়ে তাঁরা আমার স্বামীকে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।'
আহত মনিরুল ইসলাম বলেন, `সার্জেন্ট মেহেদী ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন মাইক্রোবাসের ভেতরে আমাকে খুব মেরেছে। তাঁরা আমার মানিব্যাগে থাকা ২ হাজার টাকা নিয়ে নেছে। আবার ৩ হাজার টাকার মামলাও দিয়েছে। আমার কানে ও মাথায় বেশি মেরেছে। এখন আমি কানে ভালো শুনতে পাচ্ছি না।'
মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, `একজন কনস্টেবল ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের নিয়ে মনিরামপুরে অভিযানে ছিলাম। মনিরুল খারাপ প্রকৃতির লোক। মামলা দেওয়ার পর সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমরা তাকে মারপিট করিনি, সুন্দরভাবে বুঝাইছি।'
মনিরামপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডবয় আক্তার হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যার আগে মনিরুল নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) নুর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন, `শুনেছি ছেলেটি পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। তিনি সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন।'
যশোর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক খন্দকার মশিউর রহমান বলেন, `ঘটনাটি শুনে আমি বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়েছি। শুনেছি ছেলেটি আগে সার্জেন্টের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।'
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৫ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৬ ঘণ্টা আগে